নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আশা নিয়ে বসে আছি ।

রানার ব্লগ

দুরে থাকুন তারা যারা ধর্ম কে পুজি করে জীবিকা নির্বাহ করেন। দূরে থাকুন তারা যারা ১৯৭১ থেকে অদ্যাবদি বাংলাদেশ বিরধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত এবং সকল পাকিস্থানী প্রেমী গন।

রানার ব্লগ › বিস্তারিত পোস্টঃ

দুঃখবোধ নম্বর-এক

২৬ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১:৪২




জীবনে সকল মানুষের দুঃখ বোধ আছে । যার যার দুঃখ বোধ তার তার কাছে । অন্য দুঃখ কে কেউ ছুঁতে পারে না । যে পারে সে মহামানব পর্যায়ের একজন মানব সন্তান । কিন্তু এই মানব সমাজের কিছু প্রজাতি আছেন তারা তাদের দুঃখ বোধ কে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে পারেন অনায়াসে । তাদের দুঃখ কথন শুনলে আপনার নিজেরে দুঃখ কে বড্ড ছেলে খেলা মনে হবে । সেই ব্যক্তির দুঃখ খানা কে মনে হবে পৃথিবীর একমাত্র দুঃখ , এর পরে আর অন্য কোন দুঃখ নাই । সেই ব্যক্তি আর কেউ নন, একজন লেখক । একজন লেখক পারেন তার দুঃখবোধ কে ইনিয়ে বিনিয়ে রাং তামাশায় পুর্ন করে মানুষের ভেতরে বীজ আঁকারে রোপণ করে তার দুঃখবোধ কে অন্যের দুঃখে পরিনিত করতে । আপনার বা আমার মনে হবে এমন একখানা আরামদায়ক দুঃখ সহজেই যা অনুভব করা যায় মাঝে মধ্যে ছুঁয়ে দেখা যায় (বইয়ের পাতায়) আপনার আশেপাশে দিবালোকের সূর্যের ন্যায় জ্বলমান থাকতে আপনি কি প্রয়োজনে নিজের দুঃখ কে এতো গুরুত্ব দিয়েছেন। আপনি নিজের কাছে নিজেই লজ্জায় পরে যাবেন । মনে মনে হয় তো তওবা আস্তাগফেরুল্লাহ পরে মাফ চেয়ে নেবেন । তারপর ব্যথিত হৃদয়ে লেখক দ্বারা রচিত দুঃখবোধ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে যাবেন । দুফোটা আশ্রু বিয়গ করলেও অবাক হবো না । জাহান্নামে যাক নিজের তুচ্ছ দুঃখ।

যেহেতু লেখক কুলে প্রবেশাধিকার পাই নাই সেহেতু এমন সব রসগোল্লা মার্কা দুঃখবোধ নিজ ভান্ডে ভরপুর থাকা সত্বেও তা প্রকাশের ভংগির অভাবে কেবলি নিজেদের আস্তাকুরে বেচারারা ঠোক্কর খেয়ে মরছে । লেখক লেবেল খানা গায়ে লাগাতে পারি নাই তাই নিজ আয়েত্বে থাকা দুঃখবোধ কে পাঠকের মনের গভীরে শেয়াল কাটার মতো বা চোরা কাটার মতো বিধতে বা বিধাতে সম্পুর্ন অপারাগ হয়েছি । আজ তাই নিজের কিছু পায়ে ফোসকা পরা সম তিব্র ব্যাথা দায়ক বা গলায় কাটা বেধার মতো অসহ্য যন্ত্রনা দায়ক কিছু দুঃখ প্রকাশ করবো । যাহা পাঠক হৃদয়ে জায়গা করে না নিতে পারলেও কিঞ্চিত খোঁচা সম্ভাবত সৃষ্টির অপচেষ্টা করবে।

দুঃখবোধ নম্বর- একঃ

সময়টা ছিলো ১৯৯৩ সালের মাঝামাঝি । পিতা তার উপরে অর্পিত দায়িত্ব নিয়ে সাত সমুদ্র তেরো নদী পারে গেলেন । যাবার সময় সকল প্রান কে কাঁদিয়ে গেলেন কেবল আমি ছাড়া । কারন পিতার বহিরবিশ্বে গমন অর্থ আমার কিছু উপকৌঠন লাভের সমূহ সম্ভাবনা । আমি হাসিমুখে তাকে বিদায় দিতে যথা সম্ভব কম লম্ফযম্ফ দিয়ে বিমান অবতরন কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে গেলাম। সাথে যাহারা ছিলো তারা মনের সুখ মিটিয়ে কেঁদে গেলো । সে কি কান্না উথাল পাথাল কান্না । কারো আঁচল কারো জামার হাতা কারো মাফলার ভিজে গেলো । পিতা অবাক চোখে প্রস্থদেশ উর্ধে তুলে দুই পা কে যথাসম্ভব বিভিন্ন কারুকর্যে বেকিয়ে নাড়িয়ে আমার আজব নৃত্য চেষ্টা দেখে খানিক রুষ্ঠ হয়ে জিজ্ঞাসা করলেন কি আনবো , উত্তর একদম প্রস্তুত। সেই সময় ছোট এক প্রকার টেপ রেকর্ডার পাওয়া যেতো । যার সাথে হেড ফোনের মতো কিছু একটা ছিলো যার কান গুলো বেশ গোল গোল আকর্ষনীয় ছিলো । বন্ধুদের অনেককেই দেখতাম তারা কানে হেডফোন গুঁজে জন ডেনভার বা মাইকেল জ্যাক্সান শুনতে শুনতে মাথা আর কোমড় দোলাতে । তাই বিনা চিন্তায় বলে দিলাম অমন একখানা রেকর্ডার চাই । ওমনি মেয়ে মহল থেকে তিব্র প্রতিবাদ এলো, না না ওতে কান নষ্ট হয়ে যায় এবং যথারীতি কার কার কান কি কি ভাবে নষ্ঠ হয়েছে তার বিবরন প্রকাশ পেয়ে গেলো । ফলাফল রেকর্ডার বাতিল । মুখ চুন করে চাইলাম ক্যামেরা । সময় টা ছিলো ক্যামেরার , ক্রেজ ছিলো আকশ ছোঁয়া। মেয়ে মহলে ক্যামেরা ম্যানের বেশ কদর আদর ছিলো ব্যপক মাত্রায় । আমারো এমন আদরের ভাগ বসাতে বেশ ইচ্ছে ইচ্ছে হলো । প্রথম আবদার বাতিল হবার পরে ক্যামেরা চেয়ে বসলাম । এতে অন্তত কর্ন কুহরের কোন অপঘাত হবার সম্ভাবনা নেই ।

বিঁধিবাম । মাতাশ্রী তারা কিন্নরকন্ঠ কে কাজে লাগিয়ে বলে দিলেন । দামি জিনিস এনে নষ্ট করার কোন মানে হয় না । অযথা টাকা নষ্ট । এর থেকে খেলনা গাড়ি আনলেই চলবে । আমার তখন প্রেমে হাবুডুবু খাবার বয়স খেলনা গাড়িতে কি আর মন ভড়ে ? শেষ চেষ্টা বলে দিলাম ক্রিকেট ব্যাট আনতে । যেহেতু দেশ খানা রাজার দেশ । উইলো গাছের ভরপুর উৎপাদন । এক খানা ব্যাটা তো আমার পাওয়াই উচিৎ । সময় নষ্ট না করে বলে দিলাম ক্রিকেট ব্যাট । এটাই ফাইনাল ডিসেশান । পিতার আমার খেলা ধুলার প্রতি তেমন মোহ কোন কালেই ছিলো না । তো ক্রিকেট ব্যাট চাওয়া যে বুমেরাং হবে এটা বুঝতে বুঝতে পিতা তার উড়ুক্কু যানে চড়ে রাজার দেশে চলে গেলেন ।

বুকের ভেতর আশা নিরাশা নিয়ে দিন কাটাচ্ছি । প্রতি মাসে এক খানা পত্র আসতে । তাতে কেবল বিভিন্ন উপদেশ মূলক বাক্যবান আর কুশল বিনিময়ের বাক্যমালায় সজ্জিত থাকতো । ক্রিকেট ব্যাটের কোন খবর নাই । বন্ধুদের কাছে বলে রেখেছি ক্রিকেট ব্যাট এলে পাশের বিল্ডিঙ্গের দলের সাথে ম্যাচ পাতাবো । সবাই মোটামুটি সমিহ করে চলছে । আস্ত একখানা উইলো গাছের ব্যাটের মালিক হওয়া চাট্টিখানি কথা নয় একদম । হাতে চিঠির খাম দেখলেই বন্ধুদের অনেকেই জিজ্ঞাস করতো ব্যাটের আগমনের সময় আর কতো দূর। পাশের বিল্ডিঙের দলের মুখ ভয়ে চুন হয়ে আছে । শুধু মাত্র এক খানা ভালো ব্যাটের অভাবে ওদের হারাতে পারি নাই কখনোই । এইবার হার নিশ্চিত । আড়ালে আবডালে শোনা গেলো তাদের কোন মামা রাজার দেশের থালাবাটি মাজে তার কাছে অনুরোধ করেছে একটা ব্যাটের । উইলো কাঠের হবে না নিশ্চিত । শিকড় বাকড়ের কিছু একটা হবে ।

লোক মুখে শোনা যায় । পিতা তার প্রতি দায়িত্বের ভাড় সফল ভাবে সম্পন্ন করে প্রশান্ত মহাসাগর পাড়ি দিচ্ছেন । তিন খানা নৌযান কে পরিচালনা করে তীরে ভেড়াবার কাজে ন্যাস্ত আছেন । আমার হৃদয় বন্দর ও অপেক্ষায় আছে উইলো গাছের ক্রিকেট ব্যাটের । আমার আগ্রহ বাড়ে আর প্রতিপক্ষের মুখে চুন জমে দৈ হয়ে যায় । কারন তাদের ব্যাটের কোন সংবাদ হাতে নাই । শোনা গেলো জাহাজ তিন খানার দুই খানায় পানি ঢুকে গেছে । সবাই বেশ চিন্তিত । আমিও চিন্তিত । ব্যাটে পানি লাগলে নষ্ট হয়ে যাবে । ব্যাটে যেনো কোন ভাবেই পানি না লাগে। তার উপরে নোনা পানি । পিতা তার সকল কলা কৌশল প্রয়গ করে নৌযান তিনখান কে নিজ দেশের বন্দরে ভিড়ালেন। সকলে আনন্দে উচ্ছাস প্রকাশ করতে লাগলো । কেউ কেউ আমাকে এসেও শুভেচ্ছা জানালো । আমি লোক দেখানো একটা মর্কট মার্কা হাসি দেখিয়ে দেখালাম আমিও খুশি ।

তরী তীরে ভেড়ার সাত দিন পর পিতা একখানা বিশাল বাক্স নিয়ে গৃহে প্রবেশ করলেন । মুহুর্তে আমার কর্ন গহব্বরে সংবাদ পৌছে গেলো । আমি ছিলাম খেলার মাঠে । বিনা বাক্য ব্যায়ে বাড়িতে নিজের দেহ খানা রাখলাম। যা এই আট মাসে কালে ভাদ্রে রেখেছি । পিতা এই গল্প তো সেই গল্প করেন । আসল কাজ করেন না । অনেক গল্প হবার পর যখন ধৈর্যের বাধ আর নিতে পারছিলো না তখন বাক্সের মুখ খুললেন । এর জন্য তার জন্য একটা একটা করে পন্যের আগমন হচ্ছে তারা খুশিতে হই হই করে উঠছে । অবশ্য তারা বলতে আমার ভাতৃ । তার উপহারের বন্যা জলচ্ছাস ভুমিকম্প সুনামি সাইক্লন বয়ে যাচ্ছে । আমার আশার বাতির আগুন একবারের জন্যও চামকাচ্ছে না । উপহার শেষ হতে হতে তলদেশ থেকে একখানা জ্যাকেট বের হলো যার সাইজ আমার থেকে দেড় গুন বড় । উহা আমার হাতে দিয়ে বলা হলো ইহাই আমার উপহার। চোখ বুক সব ফেটে কান্নার আইলা ছুটে গেলো । ভবিষ্যত অপমান অপদস্তের কথা ভেবে কান্নার মাত্রা বেড়ে গেলো আরো বেশি । তারপরেও পুরুষ মানুষের সংজ্ঞায় সংজ্ঞায়িত হয়ে কান্না চেপে আশায় বুক বাধলাম এর পর হবে ক্রিকেট ব্যাট । কপাল খারাপ এরপর অনেক কিছুর আড়ালে বের হলো অদ্ভুত দর্শনের এক প্রকার জুতা । যা না চামড়ার তৈরী না রেক্সিনের এবং উহাই আমার ভাগ্যে স্থান নিয়ে দুই হাতে চমকাইতে লাগলো ।

গলার ভেতর তিব্র খেদ ও অভিমান নিয়ে স্বল্প স্বরে বলার চেষ্টা করলাম । ক্রিকেট ব্যাট কি নাই ? উত্তর ওখানে ক্রিকেট ব্যাট পাওয়া যায় না । কি পরিহাস , কি নির্মম পরিহাস, কি মর্মান্তিক বেদনা দায়ক উপহাস। ক্রিকেটের সুতিকাগারে ক্রিকেটের ব্যাট পাওয়া যায় না । ইংল্যান্ডে ক্রিকেট ব্যাট পাওয়া যায় না এটা কি ধরনের কথা , এমন কথা বলা মাত্রই মাতার পরিহাসের সাথে ধমক মিশ্রিত কান মোচর চুপ , পাওয়া যায় না ব্যাস পাওয়া যায় না । এতো কথা কিসের? অদ্ভুত দর্শন জ্যাকেট ও জুতা হাতে নিয়ে এক কোনায় বসে থেকে নিরবে আশ্রু ত্যাগের চেষ্টা করতে লাগলাম কিন্তু ওটাও হলো না দেখে ফেলার ভয়ে। পরে শুনেছিলাম টেপ রেকর্ডার ও ক্যামেরা আনা হয়েছিলো গোটা তিনেক যার সব আমার খালাতো ভাইরা নিয়ে ফুর্তি ফার্তি করছে। দুঃখবোধের সাথে বন্ধু কর্তৃক অপমানের বোঝা মাথায় নিয়ে বাকি জীবন কাটিয়ে দিলাম ।

চলবে ................।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে নভেম্বর, ২০২৩ ভোর ৫:০০

কামাল১৮ বলেছেন: মানুষ মানুষের জন্য।

২৬ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৪৬

রানার ব্লগ বলেছেন: এই কারনেই এমন প্রতিকূল পরিবেশে মানুষ আজো টিকে আছে পৃথীবিতে । মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।

২| ২৬ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:১০

বিজন রয় বলেছেন: এটা তাহলে আপনার জীবন কাহিনী!!
বেশ লেখার হাত আছে আপনার , সেকেল ঢঙের কিন্ত একেলে প্রকাশ।
ভাষারও ব্যাবহার মাধুর্য।

লাগল বেশ।

২৬ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৪৮

রানার ব্লগ বলেছেন: জীবনে অনেক দুঃখ বোধ আছে যা সময়ের কারনে হাস্যরসের আকার ধারন করেছে । এ তেমনি একখানা দুঃখবোধ ।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।

৩| ২৬ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৩১

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর লেখা।
ভাষা সহজ সরল।
লেখা চলুক। সাথে আছি।

২৬ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:২৯

রানার ব্লগ বলেছেন: ধন্যবাদ । সাথে থাকার জন্য ।

৪| ২৬ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৩১

শায়মা বলেছেন: হ্যাঁ জীবনে অনেক দুঃখ থাকে।

তবে সে সব ভাবলে দেখা যায় সেই দুঃখ আর নেই।

সময় বন্ধু তার সাথে নিয়ে পথ চলতে চলতে সেই দুঃখ ভুলিয়ে দিয়েছে।

২৬ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৩১

রানার ব্লগ বলেছেন: দুঃখ গুলো পরিপক্কতা হারিয়ে হাশি তামাশায় রুপ নিয়েছে । কিন্তু এক সময় কিন্তু উহা বড্ড বেদনার ছিলো ।

৫| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:৪৮

জুন বলেছেন: রানার ব্লগ অত্যন্ত রসিয়ে রসিয়ে নিজের দুক্ষের কথা লিখেছেন যা পড়ে আমার ছেলের কথা মনে পরলো । যে সময়ে সে গ্যাদা সেই সময় তার আব্বা এক মাস থাইল্যান্ডে এক কোর্সে ছিল । ছেলের বয়স তখন ৭/৮ মাস , দুনিয়ার কিছুই বোঝে না তার জন্য নিয়ে আসলো এক ঢাউস স্যুটকেস ভর্তি খেলনা । কি নেই তাতে ! বাড়ি মেরে ভেংগে ভেংগে তাদের প্রান নাশ হলো।
তারপর যখন ফাইভ সিক্সে পড়ে খেলনার মর্ম বুঝে তখন আমরা দুজন গেলাম ইতালী । ছেলে তার কাজিনদের বলে আমার আব্বা আমার জন্য এক স্যুটকেস খেলনা নিয়ে আসবে । আমরা এনেছিলাম ফেরারী রেসিং কারের একটা ছোট্ট রেপ্লিকা যার দাম ছিল অনেক । কিন্ত তার মর্ম বোঝার বয়স তখন তার না । কাজিনদের কাছে মুখ দেখাতে পারে না। আমরাতো তার চোখের পানি আর ডিপ্রেশনের কারন বুঝি না। তখন আমার বোনের কাছ থেকে জানলাম তার মনের গোপন গহীনের বেদনা। অযত্নে অবহেলায় সেটাও গেল ।
এরপরের বার তার আব্বা যাবে পাকিস্তান। আফগানিস্তান যাওয়া নিষেধ তাই আফগান স্টাফদের পাকিস্তানে এনে ট্রেনিং দেয়া হবে। তার আব্বা বল্লো 'কি চাও লিস্ট বানাও । আমি এক বিশাল লম্বা লিস্ট করলাম :P
ছেলে তখন নাইনে পড়ে, তার লিস্টে একটাই আইটেম ছিল সাইদ আনোয়ার খেলতো যেই ব্যাট সেই ck ব্যাট।
কিন্ত বেচারা সেই ব্যাট দিয়ে একটাদিনও খেলতে পারেনি, মাঠে ক্রিকেট এর কাঠের বল মাথায় লেগে -----
অনেক বড় মন্তব্য লিখে ফেললাম রানার ব্লগ । পুরনো স্মৃতি মনে করিয়ে দেবার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ।
+

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:১০

রানার ব্লগ বলেছেন: বালত বেলার দুঃখ গুলো এমনি হয়। কিন্তু সমস্যা হলো এই দুঃখ গুল বড় বেলায় দুঃখ থাকে না।

মাঝে মাঝে পুরানো স্মৃতি মনে করতে হয়। এতে স্মৃতি গুলো বেচে ওঠে।


মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৬| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:১১

মিরোরডডল বলেছেন:




পরের পর্ব কখন আসবে রানা?

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৪২

রানার ব্লগ বলেছেন: আপনার ফেরার অপেক্ষায় ছিলাম

৭| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:০১

মিরোরডডল বলেছেন:




এই সাধারন মস্তিষ্কের মানুষটাই কিন্তু অসাধারণ লেখে।
সেকেন্ড পর্ব নিয়ে আসবে, লং ওয়েট করতে পারবো না।
তখন ভুলে যাই রানা, প্রথম পর্বে কি পড়েছি।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:০৬

রানার ব্লগ বলেছেন: কাল রাতে বসেছিলাম লিখতে , মেজাজ খারাপ হয়ে গেলো পুরা লেখা হয় নাই ।আজ দিয়ে দেব ।

৮| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:৫০

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: জীবন মানেই দুঃখ। সমস্যা নেই এগিয়ে যান, আমরা আছি আপনার সাথে।

আমার সদ্য কেনা ব্যাট আমার পিতা দা দিয়ে কুপিয়ে টুকরো টুকরো করে ফেলেছিলো আমারই চোখের সামনে, দায়ের প্রতিটি কোপ ব্যাটে নয় যেন আমার বুকে লেগেছিল, আমার ধারণা আমার হ্রদয়ে ওই দয়ের কোপ এখনো রয়ে গেছে। কতটা কষ্ট পেয়েছিলাম তা হয়তো কাউকে বুঝাতে পারবো না তবে উক্ত দৃশ্য আমি জীবনে কোনদিন ভুলতে পারবো না।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১:২৩

রানার ব্লগ বলেছেন: আমারো এমন ঘটনা আছে তবে উপকরন ভিন্ন। লাটিম। আমার টা লাটিম ছিলো।

৯| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:০৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: ছোটবেলার এসব ছোট ছোট চাওয়া পূরণ না হবার ব্যথা আজীবন বয়ে বয়ে নিয়ে বেড়াতে হয়। আমিও আমার ছোটবেলার এক ঈদে একটি কেরোলিন শার্ট (তখনকার দিনে চালু) চেয়ে না পেয়ে আহত হয়েছিলাম। এখন আমার ওয়ার্ডরোবে উপহার পাওয়া ভাঁজ না ভাঙ্গা অনেক নতুন শার্ট পড়ে থাকে। সেসব পরার সময় সুযোগ কমে গেছে। সময় পরিস্থি্তি বদলে দেয়।

জুন এর গল্পটির শেষে এসে ব্যথিত হলাম।

দুঃখের কথাগুলো রম্যভাষায় সুন্দর প্রকাশ করেছেন। পোস্টে দশম প্লাস। + +

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:১৬

রানার ব্লগ বলেছেন: আমার ছোট বেলা থেকে বই পড়ার বেশরম নেশা ছিলো । এক ঈদে আমি বায়না ধরলাম যে আমাকে ঈদের কাপড় কিনে না দিয়ে যেনো টারজান এর অনুবাদ বই টা কিনে দেয়া হয় । খুব স্বাভাবিক ভাবে উহা কিনে দেয় আহয় নাই । সেই ঈদ আমার চরম বিরক্ত ও দুঃখে কেটেছে । মজার খাবার গুলো মনে হয়েছিলো বিষ খাচ্ছি ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.