![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিঃ দ্রঃ আমি 'ক্যাচাল' নামে ব্লগিং শুরু করেছিলাম , কিন্তু ব্যান খাইছি, তাই আমি আজ 'সুশীল সমাজ' হইছি .................................। কবি নজরুল বলেনঃ হিন্দু হিন্দু থাক, মুসলমান মুসলমান থাক, শুধু একবার এই মহাগগনতলের সীমা হারা মুক্তির মাঝে দাঁড়াইয়া মানব তোমার কন্ঠে সেই সৃষ্টিতে আদিমবানী ফুটাও দেখি। বল দেখি "আমার মানুষ ধর্ম"। দেখিবে দশদিকে সার্বভৌমিক সাড়ার আকুল স্পন্দন কাঁপিয়া উঠিতেছে। -- মানবতার এই মহান যুগে একবার গন্ডী কাটিয়া বাহির হইয়া আসিয়া বল যে, তুমি ব্রাহ্মন নও, শুদ্র নও, হিন্দু নও, মুসলমানও নও, তুমি মানুষ - তুমি ধ্রুব সত্য।
" দি জুয়েল অব মদিনা” বই নিয়ে সারা বিশ্বের মুসলমান একযোগে জেগে উঠেছে। কিন্তু এর মধ্যে কয়জন “ইফকের ঘটনা” সম্পর্কে অবগত আছে সেই বিষয়ে আমার সন্দেহ আছে। তাই আমি স্বল্প পরিসরে সেই অপবাদের কাহিনী বর্ননা করছি।
বুখারী, মুসলিম ও অন্যান্য হাদীসগ্রন্থে এই ঘটনাটি দীর্ঘ ও বিস্তারিত আকারে উল্লেখ করা হয়েছে। ষষ্ঠ হিজ্রীতে যখন নবীজি বনী মুস্তালিক নামান্তরে মুরায়সী যুদ্ধে গমন করেন, তখন বিবিদের মধ্যে আয়েশা সাথে ছিলেন। ইতোপুর্বে নারীদের পর্দার বিধান অবতীর্ন হয়েছিলো। তাই আয়েশার উঠের পিঠে পর্দাবিশিষ্ট আসনের ব্যবস্থা করা হয়। আয়েশা প্রথমে পর্দাবিশিষ্ট আসনে সোয়ার হয়ে যেতেন। এরপর লোকেরা আসন টিকে উঠের পিঠে বসিয়ে দিতো। এটাই ছিলো নিত্যকার অভ্যাস।
যুদ্ধ সমাপ্তির পর মদিনায় ফেরার পথে একটি ঘটনা ঘটলো। এক মঞ্জিলে কাফেলা অবস্থান করার পর শেষ রাত্রে প্রস্থানের কিছু পূর্বে ঘোষনা করা হয় যে , কাফেলা কিছুক্ষনের মধ্যে এখান থেকে রওয়ানা হয়ে যাবে। তাই প্রত্যেকেই যেন নিজ নিজ প্রয়োজন সেরে প্রস্তুত হয়। আয়েশার তখন প্রকৃতিত ডাকে সারা দেওয়ার ইচ্ছে হয়। তিনি জংগলের দিকে চলে গেলেন।সেখানে ঘটনাক্রমে তার গলার হার ছিড়ে গিয়ে হারিয়ে গেলো। তিনি সেই হার খুজতে ব্যস্ত হয়ে গেলেন।। বেশ কিছু সময় অতিবাহিত হয়ে গেলো। আয়েশা স্বস্থানে ফিরে এসে দেখলেন যে , কাফেলা রওয়ান হয়ে গেছে। রওয়ানা হওয়ার সময় আয়েশার পর্দা বিশিষ্ট আসনটিকে যথারীতি উঠের পিঠে সোয়ার করিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং বাহকরা মনে করেছে যে , তিনি ভেতরেই আছেন। উঠানোর সময় ও সন্দেহ হয়নি তাদের। কারন তিনি তখন অল্প বয়স্কা ক্ষীণাংগিণি ছিলেন। ফলে আসন টি যে শুন্য - এরুপ ধারনা ও কারো মনে আসেনি।
আয়েশা ফিরে এসে যখন কাফেলাকে পেলেন না, তখন অত্যন্ত বুদ্ধিমত্তা ও স্থির চিত্ততার পরিচয় দিলেন এবং কাফেলার পশ্চাতে দৌড়াদৌড়ি করা কিম্বা এদিক ওদিক তালাশ করার পরিবর্তে স্বস্থানে চাদর গায়ে জড়িয়ে বসে রইলেন। তিনি মনে করলেন যে, নবীজি ও তার সংগি গন যখন জানতে পারবেন যে, আমি আসনে অনুপস্থিত, তখন আমার খোঁজে তারা এখানে আসবেন। কাজেই আমি এদিক ওদিক চলে গেলে তাদের জন্য তালাশ করে নেওয়া কঠিন হবে। তাই তিনি স্বস্থানেই চাদর গায়ে বসে রইলেন। সময় ছিলো শেষ রাত্রি তাই কিছুক্ষনের মধ্যেই তিনি নিদ্রার কোলে ঢলে পড়লেন।
অপরদিকে সাফওয়ানকে নবীজি এ কাজের জন্য নিযুক্ত করেছিলেন যে, তিনি কাফেলার পশ্চাতে সফর করবেন এবং কাফেলা রওয়ানা হয়ে যাওয়ার পর কোন কিছু পড়ে থাকলে তা কুড়িয়ে নেবেন। তিনি সকাল বেলায় সেখানে পৌছলেন। তখন পর্যন্ত প্রভাত হয়নি। তিনি শুধু একজন মানুষকে নিদ্রামগ্ন দেখতে পেলেন। কাছে এসে আয়েশাকে চিনে ফেললেন। কারন পর্দাপ্রথা অবতীর্ন হওয়ার পূর্বে তিনি আয়েশা কে দেখেছিলেন। চেনার পর অত্যন্ত বিচলিত কন্ঠের সাথে তার মুখ থেকে “ইন্না লিল্লাহে অয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন” উচ্চারিত হয়ে গেলো। এই বাক্য আয়েশার কানে পড়ার সাথে সাথে তিনি জেগে উঠলেন এবং মুখমন্ডল ঢেকে ফেলেন।
সাফওয়ান নিজের উট কাছে এনে বসিয়ে দিলেন। আয়েশা তাতে সওয়ার হয়ে গেলেন এবং নিজে উটের নাকের রশি ধরে পায়ে চলতে লাগলেন। অবশেষে তিনি কাফেলার সাথে মিলিত হয়ে গেলেন।
আমারব্লগে পুর্বে প্রকাশিত।
১৪ ই অক্টোবর, ২০০৮ বিকাল ৩:০২
সুশীল সমাজ বলেছেন: কোন সমস্যা নাই আর সেটাই জানাইলাম।
২| ১৪ ই অক্টোবর, ২০০৮ দুপুর ২:৫৩
রাইডার বলেছেন: পিলাস
১৪ ই অক্টোবর, ২০০৮ বিকাল ৪:১০
সুশীল সমাজ বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩| ১৪ ই অক্টোবর, ২০০৮ বিকাল ৩:২১
আলাউদ্দীন বলেছেন: কিন্তু তাইজুদ্দিন না আইজুদ্দিন কি যেন নাম সেতো উল্টা-পাল্টা কয়।
১৪ ই অক্টোবর, ২০০৮ বিকাল ৪:১০
সুশীল সমাজ বলেছেন: আইজু তো বংগানুবাদ করছে। সে তো আর নিজে বানিয়ে লিখছে না।
৪| ১৪ ই অক্টোবর, ২০০৮ বিকাল ৪:০৫
চনদন বলেছেন: ক্যাচাল ভাই; আমি একজন নতুন ব্ল্যাগার আর আপনার ২০০৮-এর আগের লেখাগুলি পড়েছি। ভাল লেখেন তাতে কোন সন্দেহ নাই। আপনার নতুন আইডি পেয়ে খুশি হলাম। কিন্তু আপনি ব্যান খাইছিলেন কেন?
১৪ ই অক্টোবর, ২০০৮ বিকাল ৪:০৮
সুশীল সমাজ বলেছেন: জামাতিদের ঠেকাইতে গিয়ে একদিন ফ্লাডিন করেছিলাম, সেজন্য।
৫| ১৪ ই অক্টোবর, ২০০৮ বিকাল ৫:৪৭
মাহবুব সুমন বলেছেন: ইহুদি নিয়া লিখলে এন্টি সেমেটিক মুসলিমদের নিয়া লিখলে মুক্তমনা
১৪ ই অক্টোবর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৪৮
সুশীল সমাজ বলেছেন: কেন মুসল্মান কিংবা হিহুদি - এদেরকে নিয়ে লেখা নিষেদ আছে নাকি?
৬| ১৪ ই অক্টোবর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৫৩
আরিফুর রহমান বলেছেন: মা সু, এন্টি মুসলমান বললে কি আপনার কৈব্যল্যানন্দ হয়?
৭| ১৫ ই অক্টোবর, ২০০৮ রাত ৩:৪৮
মাহবুব সুমন বলেছেন:
নাহ সুশীল সমাজ, সেটা থাকবে কেনো ! অবশ্য যাবে।
আমার বলার ইচ্ছে হলো তাই বল্লাম, নাকি সেটাও বলা যাবে না ?
বলেনতো, একটা ইহুদি বিরোধী বইকি ইউরোপে বা অন্য কোথাও বের করা যাবে ? যেটা মুসলানমানদের নিয়ে করা হয় প্রায়শই।
যাই হোক এখানে ধর্ম আনছি না ভাইটু, শুধু মাত্র একটা ছোট্ট জিনিসের উপর ফোকাস করছি মাত্র।
ভালো থাকবেন।
ঐ বইটা পড়ার চেস্টা করছি, লাইব্রেরীতে আসলেই পড়ে ফেলবো, কেনার ইচ্ছে নাই।
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই অক্টোবর, ২০০৮ দুপুর ২:৫০
কৌশিক বলেছেন: তাতে সমস্যা কি? এর মধ্যে বিতর্কের কি আছে?