![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একটা ছেলের গল্প বলি,আত্মীয়তার খাতিরে আমার সাথে পরিচয় ৭-৮ বছরের মত হবে।
বয়সে মোটামুটি সমবয়সী হওয়ায় আমার সাথে সখ্যতা গড়তে খুব একটা দেড়ি হয়নি।তার মাদকতা ছড়ানো আচরনে কিছুদিনের মধ্যে তার ভক্ত হয়ে গেলাম।এমন চনমনে সরল সততার উদাহরন খুজে পাওয়া কঠিন।
আড্ডয় জমিয়ে রাখতে পারতো সারাদিন।তার ব্যক্তিত্ব ছিল অসাধারন।
সব সময় তার সাথে ঘুরতে ভাল লাগত,কিছুদিন পরের কথা,মা বাবা ভাই বোনসহ শত কষ্ট দারিদ্র্যতার মাঝেও
ভালই কাটছিল দিনগুলো।পরিবারের সম্মতিতে সুখের ঘর বাধার সপ্ন দেখে ছেলেটা।কিন্তু সুখ যেন কিছুতেই তাকে ধরা দিচ্ছিলনা।বরং অন্য কোন আচ্ছন্ন অন্ধকার ঘিরে ধরছিল তাকে।তার সব হাসিগুলো লীন হয়ে যায়।ধীরে ধীরে খোলসে আবৃত হতে থাকে সে।নিজেকে গুটিয়ে নেয় তার সমস্ত দুরন্তপনা থেকে।কখনো বুঝতে দেয়নি কি হচ্ছে তার মধ্যে।হয়ত ঐ মেয়েটা তাকে মেনে নিতে পারেনি সেভাবে।যাক, ব্যাপারনা আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাবে সবকিছু,সেভাবে দিন কাটতে থাকে।অভাব অনটনে জর্জরিত সংশারে শত কষ্টেও দিশে হারাতে দেখিনি ছেলেটাকে।ওরা ছিল অত্যন্ত গরীব।তাদের ডিজাইনেশনটা ডাক্তার অথবা ইন্জিনিয়ারদের থেকে একটু ভিন্ন।পেটের দায়ে একেক সময়ে একেক ধরনের উপাধি গ্রহন করতে হয়।কখনো দিনমজুর,কখনো নির্মান শ্রমিক,কখনো ফসল কেটে অন্যের গোলা ভর্তি করতে হয়।কিন্তু নিজের জীবনকে কখনো বাধতে পারেনা ইট পাথরের শক্ত বাধনে।এদের আরো অনেক পদবী হয় যেমন গরীব, ফকির,ছোটলোক ইত্যাদি।কিন্তু একটা জিনিস এদের কখনো হয়না তা হলো সুখ, সংশার, স্ত্রী, আভিজাত্য এগুলো।তেমনি ওর কপালেও সুখ আসলোনা।বৌটা চলে গেল ওকে ছেড়ে অনেক অনেক দুরে না ফেরার দেশে।যেমন চলে গেছে সুখগুলো।হয়তো আর কখনো ফিরবেনা ওর অসমাপ্ত জীবনে।অজানা কারনে আত্মহত্যা করে মেয়েটা।চলে গেছে প্লানেটের সর্বোচ্চ দুরত্বতম স্থানে।যেখানে দারিদ্র, হতাশা,অসম ভালবাসা কোনকিছুই স্পর্শ করতে পারবেনা তাকে।কিন্তু ছেলেটির মুক্তি মিললনা।রহস্যঘেরা পৃথীবিতে তাকে আজীবন বয়ে বেড়াতে হবে হারানোর নির্মম যন্ত্রনা।
তার উপড় মাথার উপড়ে ঝুলছে মামলার খরগ।যা কোনদিনো তাকে পিছু ছারবেনা,অদৃশ্য ছায়ার মত লেগে থাকবে আজীবন।অসহ্য মৃত্যু যন্ত্রনা তাকে তাড়িয়ে বেড়াবে নিরন্তর...
কথাঃএটি একটি বাস্তব গল্প।কোন বই থেকে নেওয়া হয়নি।।।
©somewhere in net ltd.