নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিকেলের রোদ

স্বাগতা জেবিন

স্বপ্নচারী

স্বাগতা জেবিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

মেঘ স্বপ্ন (পর্ব ৩)

২৫ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:১৪

মেঘ স্বপ্ন (পর্ব ৩)

দিন গুলা কেমন করে যেন চলে যায় । খুব দ্রুত । ছোটবেলায় ফাইনাল পরীক্ষা শেষের দিন গুলা যেন আসতোই না। খুব ধীরে ধীরে বড় হতাম যেন । আর এখন দিন গুলা খুব দ্রুত পার হয় । সেদিন বছর শুরু হয়ে কয়দিন পরই যেন শেষ হয় । পার হয়ে যায় মাঝে অনেক গুলা দিন ।কয়েকটা ঋতু বদল হয় , নতুন করে আকাশে মেঘ জমে, নতুন বছর আসে। টিভিতে নতুন সিরিয়াল আসে ঠিক একি কাহিনী নিয়ে। ছাদে নতুন ২ টা খরগোশ আনা হয়। নাম দেয়া হয় ময়না আর টিয়ে। আর সব থেকে বড় ঘটনা আসে মাহির বিয়ে হয়ে যায় ।

রাশেদ ভাইয়া এর চ্ছোট্ট বেলার অনেক কাছের বন্ধু আকাশ । মাহির কথা সে অনেক আগে থেকেই জানত। পরিচয় ও ছিল তাদের ।বরং সেই ভয়াবহ এক্সিডেন্ট তাদের দুই জনকেই ভেঙ্গে দিয়েছিল পুরাপুরিভাবে ।সময় চলে যায় কষ্ট যত বড় হোক না কেন এক সময় হালকা হয়ে আসে । এক সময় নতুন করে আবারো সব শুরু করতে চাওয়াই যায়। মাহি আর আকাশ এত বছর পরে নিজেদের মত করে নতুন করে আগানোর সিধান্তে বিয়ে করে এই শীতে ।

এই সময়ের বিকালটা আমার অনেক ভালো লাগে । হালকা একটা বাতাস বয়ে যায় । বিকালের হাওয়া খেতে বাসার ছাদে গিয়ে দাড়াই । নতুন খরগোস দুইটার সাথে আমার তো পরিচয়ই নেই । এ বাড়িতে আমরা আছি অনেক বছর । ভাড়াটিয়ের মত সম্পর্ক আমাদের নেই । এ বাড়ীর ছোট ছেলেরই এক মাত্র খরগোস এর শখ । সে বিদেশ বিভূঁইয়ে থাকলেও নিয়মিত বাসায় খরগোশ থাকাই চাই । আচ্ছা এটা বলা হয়নি ছোট ছেলে ফাহাদ আমার অনেকদিনের বন্ধু।মানে এই খরগোসেরই জন্যি আমরা বন্ধু। বিদেশে যাবার পর থেকে কেমন জানি কলম বন্ধু হয়ে গেছি আমরা । এখন প্রযুক্তি অনেক আধুনিক । চাইলেই কথা বলা যায় । ঘন্টার পর ঘণ্টা সামাজিক মাধ্যমে মেসেজ করা যায় কিন্তু আমরা কেন জানি চিঠি লিখতে পছন্দ করি । ঠিক ডাকপিওনের চিঠি না । আধুনিক চিঠি ।ইমেইল নামের চিঠি। তাও প্রতি দিন না মাসে এক আধটা । কিন্তু সেই চিঠির জন্যই আমি হয়ত আগ্রহে বসে থাকি ।

আকাশ ভেঙ্গে পানি পড়া শুরু করেছে , ঠাণ্ডা বাতাস অনেক । জ্বর এর ভয় না করেই খুব ভিজতে ইচ্ছা করছে । আচ্ছা সব দিন তো জ্বর নাও হতে পারে না? মাঝে মাঝে তো একটু ভেজা যায় ।ময়না টিয়ে তাদের খাঁচার ভেতরে ভিজছে ওদের সাথে আমিও ভিজি । ওরা তো খাচায় বন্দি কিন্তু আমি তো স্বাধীন । অনেক দিন পড়ে বৃষ্টির জলে নিজেকে সমর্পণ । যেন এক পসলা পানি আজ আমার ভেতরের সব কষ্ট গ্লানি হতাশা ধুয়ে দিচ্ছে । বিদেশ বিভুইয়েও কি এমন করে বৃষ্টি হয়? ফাহাদ কি বৃষ্টিতে ভেজার সময় পায় ? আজই তাকে লিখতে হবে। অনেক কথা জমানো । সব কিছু সময়ে না বললে এক সময় আর বলা হয়ে আসে না ।
সন্ধ্যা থেকে যা হবাই তাই শুরু হল, গলাটা ব্যাথা আর নাক দিয়ে পানি পড়া শুরু। মা এর কাছে কিছুক্ষন বকা খেলাম। বকা খেলেও আজ ভালো লাগছে। নিয়তিতে যদি জ্বর ঠাণ্ডা লেখাই থাকে তাহলে ভিজলেও হবে না ভিজলেও হবে এমন আমার উক্তিতে মা রেগে চলে গেল। ঠান্ডাটা ভালই লেগে গেল একটু কষ্ট লাগছে এখন। এত কিছু ভাবতে ভাবতে ঘুম কখন এসে ভর করল কিছুই বুঝতেও পারিনি । রাতের দিকে একটু চোখ মেলে দেখি মা মাথায় জল পট্টি দিচ্ছে জ্বর তাহলে ভালই এসে ভর করেছে। চোখ খুলতেও ব্যাথা করছে । ঘুমের ঘোরও কাটছে না । ঘুমিয়ে পড়লাম । মেইলও আজ আর করা হল না আমার ।
(চলবে )


মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:০১

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: লেখক আবার কবে থেকে ব্লগে উদয় হল????:P

১০ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:৫২

স্বাগতা জেবিন বলেছেন: :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.