নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বপ্ন দেখি আমার দুটি পাখা হোক,

খুব জানতে ইচ্ছে করে...তুমি কি সেই আগের মতনই আছো নাকি অনেকখানি বদলে গেছো...

কামরুল হাসান ভুঞা

জ্বলে পুড়ে মরে ছাড়খার তবুও মাথা নোয়াবার নয়......

কামরুল হাসান ভুঞা › বিস্তারিত পোস্টঃ

তারেক জ্বরে আক্রান্ত রাজনীতি

৩০ শে মে, ২০১৩ সকাল ১১:৩৯



রাজনীতিতে এখন তারেক ঝড় বয়ে যাচ্ছে। বিএনপি বলছে তারেকের দেশে ফিরে আসার কথা শুনে সরকারের ভীত নড়ে গেছে। আবার সরকার বলছে তারেককে যথাযথ আইনের মাধ্যমে দেশে ফিরে আনা হবে। বিএনপি নেতা শামসুজ্জামান দুদু তারেককে ভাবী প্রধানমন্ত্রী বলার পরদিনই নি¤œ আদালত থেকে তারেককে পলাতক দেখিয়ে ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেফতারি পরয়ানা জারি করেছে। তারেক দেশের ভাবী প্রধানমন্ত্রী এ কথা শুনে ” বিশিষ্ট কলামিষ্ট আব্দুল গাফফার চৌধুরি বলেছেন তারেক প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে যেন আল্লাহ ওনার মৃত্যু দেন”। কিন্তু নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোণ থেকে যদি বিচার করা হয় তাহলে তারেক জিয়ার উখান ও রাজনীতিতে তার যে পথভ্রষ্ট হয়েছিল তাওতো আর মিথ্যে হয়ে যাবেনা। এহেন কোন কর্ম নাই এ বরপুত্র করেননি। তার রাজনীতিতে আসা কিন্তু ইতিবাচক ছিল। সুদর্শন স্মার্ট খুব সাদা মাটা একটা মানুষ গত বিএনপি আমলে রাজনীতিতে আসাকে অনেকেই ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে দেখেছিল। বিশেষকরে ছাত্রদলের ইউনিয়ন পর্যায়ে রাজনীতিক যোগ সৃষ্টি করে সেসময় বেশ আলোচিতও হয়েছিল বেগম জিয়ার বড় পুত্র। কিন্তু তারেক তার ভালো মানুষিটা ধরে রাখতে পারেনি। একদল অসৎ ও রাজনৈতিক শিষ্টাচার বিবর্জিত লোককে তার ডান পাশে বাম পাশে বসিয়ে ক্ষমতার মোহে অন্ধ হয়ে গিয়েছিল। হাওয়া ভবন কেন্দ্রিক দ্বিতীয় পাওয়ার হাউজ তৈরি করে সেসময় অনেকটা খোলামেলা ভাবেই তার নেতৃত্বে ঘুষ বাণিজ্য, নিয়োগ বাণিজ্য, টেন্ডার বাণিজ্য, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের নিয়ন্ত্রন ইত্যাদি সবকিছু তার আঙ্গুলির ইশারায় হতো। সেসময় বিএনপির সিনিয়র অনেক নেতা মন্ত্রী পর্যন্তও তারেক সিন্ডিকেটের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে কোনঠাসা হয়ে পড়েছিল। তৎকালীন অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমানতো কয়েকবার মন্ত্রীত্ব ছেড়ে দেয়ার কথাও বলেছিলেন। পরে খালেদা জিয়ার হস্তক্ষেপে শেষ পর্যন্ত রক্ষা হয়। তারেক জিয়ার দুর্নীতি ও বিদেশে অর্থ পাচারের গল্পগুলো কিন্তু গালগল্প ছিলনা। যাই হোক তারেক জিয়ার অনেক বদনাম আছে। কিন্তু সে পলাতক এটা মানতে পারলামনা। সরকার জানে তারেক জিয়া লন্ডনে বসে বিএনপি রাজনীতি নিয়ন্ত্রন করছে। বিএনপির মনোয়ন প্রত্যাশীরা লন্ডনে গিয়ে তারেক জিয়ার আর্শিবাদ নিয়ে এসে রাজনীতিতে সক্রিয় হচ্ছে। তারেক জিয়া লন্ডনে থাকা কারনে অনেক ছাত্রদল নেতা যুবদল ও বিএনপি’র মিড পর্যায়ে নেতারা ঘন ঘন লন্ডন সফর করছে। কারন একটাই তারেক জিয়ার আর্শীবাদ নেয়া। বিএনপি যারা করে’ সেটা বিএনপি’র স্হায়ী কমিটি থেকে কেন্দ্রিয় পর্যায়ের সব নেতা কর্মীরা সবায় তারেক জিয়ার সুদৃষ্টি নিয়েই রাজনীতিতে টিকে থাকতে চায়। কারন একটাই বিএনপি সমর্থক কর্মী নেতারা মনে করে তারেকই আগামি দিনের কান্ডারি। অর্থাৎ বিএনপি ক্ষমতায় আসলে তারেক জিয়ার নেতৃত্বেই সরকার পরিচালিত হবে।

২. তারেক প্রীতি বা বিদ্বেষি হওয়ার জন্য বলছিনা। তারেক জিয়ার বিরুদ্ধে যেসব মামলা আছে বিশেষ করে অনেক গুরুত্বপুর্ণ মামলাও কিন্তু সরকার ইতি টানতে পারেনি। যেসব মামলা দিয়ে সরকার চাইলে অতি সহজেই তারেক জিয়াকে বিচারের মুখোমুখি করতে পারতো কিন্তু সরকার রাজনৈতিক কৌশল হিসেবেই হোক বা ইচ্ছে করেই হোক তা করেনি। কিন্তু কেন? বিএনপির অনেক নেতা যারা পরিচ্ছন্ন রাজনীতির অধিকারি তারাও কিন্তু গরু চুরির মামলায় মুরগি চুরির মামলায় জেল খেটেছে। অতচ তারেক কোকো’র মতো মহাঅপরাধিরা দিনের পর দিন বহালতবিয়তে আছে। কোকো’র পাচার করা অর্থ সিঙ্গাপুর থেকে আদালতের মাধ্যমে দেশে ফেরৎ এসেছে কিন্তু কোকো কিন্তু আসেনি। অর্থ পাচারকারী হিসেবে কোকোকে আইনের আওতায় আনতে সরকার ব্যর্থ হয়েছে। একই রুপে তারেক জিয়ার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলাগুলো এতো ধীর গতিতে চলছে যে এ মামলাগুলোর কুলকিনারাই সরকার করতে পারেনি। যেহেতু কোর্ট থেকে তারেককে এখনো কোন মামলায় সাজা দেয়া যায়নি তাহলে তারেক রহমান অপরাধি সেটা বলাওতো এক ধরনের অপরাধ। সরকারের হাতে পাচটি বছর সময় ছিল; এ পাচ বছরেও সরকার তারেক রহমানকে বিচারের মুখোমুখি করতে পারেনি। এ ব্যর্থতার দায়ভার সরকারকেই নিতে হবে। এখন ক্ষমতার শেষ প্রান্তে এসে ইন্টারপোলের মাধ্যমে তারেক রহমানকে পলাতক দেখিয়ে গ্রেফতারি পরয়না একধরনের রাজনৈতিক স্ট্যান্টবাজি ছাড়া আর কিছুই নেই। সামনে নির্বাচন, বৃহৎ দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে তাকে দেশে আসতেই হবে। কারণ বিএনপি রাজনীতি এখন পুরোটাই তারেক নির্ভর। আর বেগম খালেদা জিয়াও চান তারেক রহমান বিএনপি’র হাল ধরুক। তাই তারেক রহমানের দেশে আসা নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক হতেই পারে কিন্তু তাকে দেশান্তরি করে রাখার মতো কোন মোওকা সরকারের হাতে নেই। এখন তারেক রহমান দেশে ফিরে কিভাবে আইনি মোকাবেলা করবে সেটা তার ব্যাপার। কারন এ সরকার যখন ক্ষমতা ছেড়ে দিবে তখন প্রশাসন আওয়ামীলীগের লোকজনের কথা শুনতে বাধ্য নয়। নি¤œ আদালত থেকে তারেক রহমানের শাস্তি হলে উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিবেন আর তখন উচ্চ আদালত থেকে তারেক জিয়ার জামিন পেতে সমস্যা হবেনা। কারন এদেশে আইন বিচার সবই ক্ষমতাকেন্দ্রিক।

৩. অতি প্রচলিত একটা প্রবাদ আছে ’ চুন খেয়ে মুখ পুড়লে দই দেখলেও ভয় জাগে’। তারেক জিয়া রাজনীতিতে পুর্নবাসিত হলে আর বিএনপি ক্ষমতা আসলে আওয়ামীলীগকে ধ্বংস করার জন্য যা যা করা লাগে তা সবই করবে, এটা আগাম বলে রাখা যায়। তারেক জিয়া সংশোধিত হবেন কিনা একান্ত এটা ওনার ব্যাপার। কিন্তু ওনার চারিপাশে এখনো যারা ঘুরঘুর করে তাতে পুর্বরুপে যে তারেক রহমান স্বমহিমায় ফিরবেন তাও দিনের আলোর মতনই সত্য। তারওপর ১/১১’র দু:সহ স্মৃতি তাকে প্রতিনিয়ত তাড়া করে বেড়াচ্ছে। সব মিলিয়েই একটা শ ঙ্কা বিরাজ করছে। এ শঙ্কাটা শুধু আওয়ামীলীগের নয় বিএনপির অনেক সিনিয়র নেতারও। কারন তারেক রহমান যত বেশি বিএনপি নিয়ন্ত্রন করবে তত বেশি প্রবীন নেতারা কদর্য হারাবেন। তাই ভয়টা তাদের মধ্যেই বেশি কাজ করছে।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১২:১৭

মদন বলেছেন: চমৎকার লেখা।
+

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.