নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষের জীবন প্রতিদিন তার বেঁচে থাকার লাইসেন্স নবায়ন করে ।প্রকৃতি এটা নিয়ন্ত্রন করে,যেদিন নবায়ন হবেনা,সেদিন মৃত্যু অনিবার্য ।

স্বপ্নের শঙ্খচিল

আমার মনের মাঝে শঙ্খচিল ডানা মেলে প্রতিদিন,ভুলতে পারিনি সেই অভিমান আবার ফিরে আসা তোমার কাছে !

স্বপ্নের শঙ্খচিল › বিস্তারিত পোস্টঃ

!!! বাংলায় প্রথম ব্যাংক লুট করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পিতামহ দ্বারকানাথ ঠাকুর !!!

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ভোর ৪:৩২

ব্যাংক লুঠ নিয়ে সারা দেশ যখন তোলপাড়, আমরা একটু ইতিহাস দেখে নিই।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++

১৮২৯ সালে দ্বারকানাথ ঠাকুর তৈরি করেন ইউনিয়ন ব্যাংক। সেই ব্যাংকের কর্তৃত্ব নিজের হাতে রাখার জন্য তিনি তার ঘনিষ্ঠ ও আজ্ঞাবহ রমানাথ ঠাকুরকে ব্যাংকের কোষাধ্যক্ষ বানান। ব্যাংকের অন্যান্য পদে পরিবর্তন হলেও ব্যাংক দেউলিয়া হয়ে যাবার আগে পর্যন্ত এই রমানাথ ঠাকুর এই পদে কর্মরত থাকেন।

১৬ লক্ষ টাকা মুলধন নিয়ে ব্যাংক যাত্রা শুরু করে। তিন বছরের মধ্যে ব্যাংকের মুলধন ১ কোটি টাকা দাঁড়ায়। মুল লুটপাট হয় হুন্ডির মাধ্যমে। তখন হুন্ডি বৈধ ছিল। লুটপাট চালাতো দ্বারকানাথ নিজে ও নীলকরেরা। অডিটে এসব ধরা পড়লে দ্বারকানাথই সেসব ঝামেলা ঠেকাতো। মুলধনের দুই তৃতীয়াংশই যা সাকুল্যে ৭৩ লাখ টাকা, তা খেলাপি ঋনে পরিণত হয় ১৮৪৩ সালে। যার মধ্যে ১৮ লক্ষ টাকা খেলাপি ছিল দ্বারকানাথ ঠাকুরের কোম্পানির।

খেলাপি ঋণের এই ৭৩ লক্ষ টাকা লুটেরারা সরিয়ে ফেললেও দ্বারকানাথ ঠাকুর পরিচালনা বোর্ডে বলেন, ক্ষতি যা হবার হয়েছে এখন লোকসান কত কমানো যায় সেই চেষ্টা করা উচিৎ। দ্বারকানাথ ঠাকুর হিসাবের খাতাতেও কারচুপি করেন। এদিকে ব্যাংকের হিসাবরক্ষক এ এইচ সিমকে ১২ লক্ষ টাকা তছরুপের অভিযোগে বহিস্কার হয় । দ্বারকানাথ ঠাকুর সেই ঘটনা ধামাচাপা দিতে চেষ্টা করেন। কিন্তু পরে ঘটনা জানাজানি হয়ে গেলে নিজের তহবিল থেকে ১২ লাখ টাকা দ্বারকানাথ ঠাকুর শোধ করে দেন।

মূলধনের ১ কোটি টাকার ৯৩ লাখ টাকাই এভাবে লুটপাট হয়ে যায় ১৮৪৬ সালের মধ্যে। ১৮৪৬এ ১ কোটি টাকা আজকের মূল্যে কত একটু হিসেব করবেন। বিদ্যাসাগর মশাইয়ের বাবা ১৮২০ সালে শিপসরকারের হৌসে কাজ করে মাসে ২টাকা রোজগার করে বাড়িতে টাকা পাঠাবার কথা চিন্তা করলেন। সে সময় সব থেকে ভাল চাল ১ মন বালাম চালের দাম ছিল ১টাকা ২৫ পয়সা।

লুটপাট শেষ হলে দ্বারকানাথ ঠাকুর তার ৭০০ শেয়ারের মধ্যে সাড়ে ছয়শো শেয়ার বিক্রি করে কেটে পড়েন আর তারপরেই ১৮৪৬ সালে ব্যাংকটি দেউলিয়া হয়ে যায়।

তথ্যসুত্রঃ

১) দ্বারকানাথ ঠাকুর, কিশোরীচাঁদ মিত্র, অনুবাদ দ্বিজেন্দ্রলাল নাথ, সম্পাদনা কল্যাণ কুমার দাশগুপ্ত, সম্বোধি পাবলিকেশন, ১৩৬৯
২) দ্বারকানাথ ঠাকুরের জীবনী, ক্ষিতীন্দ্র ঠাকুর, বিশ্বভারতী, ১৩৭৬
৩) দ্বারকানাথ ঠাকুর ঐতিহাসিক সমীক্ষা, রঞ্জিত চক্রবর্তী, গ্রন্থবিতান, ১৩৬৭
৪) দ্বারকানাথ ঠাকুরঃ বিস্মৃত পথিকৃৎ। কৃষ্ণ কৃপালিনি, অনুবাদ ক্ষিতিশ রায়, ন্যাশন্যাল বুক ট্রাষ্ট ইন্ডিয়া। ১৯৮০

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৩:০৫

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: কি যে একটা অভূতপূর্ব (আমার জন্য) তথ্য ! আমার খুব সন্দেহ এদেশের কয়জন মানুষ বিষয়টা সম্পর্কে জানেন (?)। আপনি প্রচুর পাঠক ডিজার্ভ করেন ভাই। আপনার ব্লগ ঘুরে দেখলাম বিচিত্র বিষয় নিয়ে অনেক ভালো লেখেন আপনি। বোধহয় প্রথম পাতায় অনুমতি পাননি এখনো। প্লীজ মডুদের কাছে অনুরোধ করেন। আশা করি তারা অবশ্যই সেফ করে দেবে।

২| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ২:২৩

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: আপনার অভূতপূর্ব ভালােলাগা আমার সঞ্চয়,
আমি খুব কম সময় পাই, ছোট বেলা থেকেই কবিতার জন্য একটু আধটু
পুরস্কার পেতাম , একসময় লেখক হবো চিন্তা করতাম, অনেক কবি-কবিতার
অনুষ্ঠানে যেতাম। কিন্ত হতে পারলাম কোথায় ,
তাই নিভৃতে পথ চলা।
....................................................................................................................................................................

৩| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ২:২৪

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন:

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.