নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার মনের মাঝে শঙ্খচিল ডানা মেলে প্রতিদিন,ভুলতে পারিনি সেই অভিমান আবার ফিরে আসা তোমার কাছে !
বাংলাদেশে একটাও বৃদ্ধাশ্রম থাকতো না - পর্ব: ৩
A lonely mother, but she have 8 son
আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস , সাধারনত পালিত হয় প্রতি বৎসর ১লা অক্টোবর
সারাদেশে বিভিন্ন সংগঠন ,মানববন্ধন, র্যালি, আলোচনা সভাসহ নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিনটি উদযাপন করে।
আর্ন্তজাতিক ঘোষিত এবারের প্রবীণ দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় হলো :
" মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় প্রবীণদের স্মরণ পরম -শ্রদ্ধায়"
এই উপলক্ষ্যে দেশব্যাপী ব্যাপক আয়োজন করা হয়েছে । সংশ্লিষ্ট সকল সরকারী প্রতিষ্ঠান এর্ং বেসরকারী
প্রতিষ্ঠান যার যার স্হান থেকে ভূমিকা রাখবে ।
উল্লেখ্য, ১৯৯০ সালে জাতিসংঘ প্রতিবছর ১ অক্টোবর আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেয়। প্রবীণদের সুরক্ষা এবং অধিকার নিশ্চিতের পাশাপাশি বার্ধক্যের বিষয়ে বিশ্বব্যাপী গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ১৯৯১ সাল থেকে এ দিবসটি পালন করা শুরু হয়।
.............................................................................................................................................................
রোহিঙ্গা মাবিয়া খাতুন , ৭৫ (কম্বলের মধ্যে ), তাহার দুই সন্তান মিয়ানমার থেকে বহন করে নিয়ে যাচ্ছে, উখিয়া বাংলাদেশ ।
বিগত প্রবীণ দিবস পালনের সময়ে গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রশিক্ষক বলেন, প্রবীণ মানুষগুলোর সুস্থজীবন যাপনের জন্য তাদের বার্ধক্যকে সম্মানজনকভাবে কাটানোর ব্যবস্থা করা প্রতিটি সন্তানদের দায়িত্ব হওয়া উচিত। কারণ তাদের বাদ দিয়ে সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়।
সরকার এপর্যন্ত ছয়টি শান্তি নিবাস তৈরী করেছেন যা অত্যন্ত অপ্রতুল, বিশেষত গ্রাম অঞ্চলে এর চাহিদা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এই কাজে The Bangladesh Association for the Aged and the Institute of Geriatric Medicine সরকারকে নানা
ভাবে সহায়তা দিচ্ছে । এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে, বৃদ্ধাশ্রমে আগত ৪৭% এর ব্যক্তগিত জীবনে দেখা শুনার কেউ নাই তন্মধ্যে ৬০% ই পুরুষ । বেসরকারী ভাবে ঢাকা , সাভার ও গাজীপুরের আশে পাশে প্রায় ১৫ থেকে ২০টি বৃদ্ধাশ্রম পরিচলনা করা হয় , যার মধ্যে বেশ কিছু অর্থ পরিশোধের বিনিময়ে সেবা প্রদান করা হয়ে থাকে, তবে আশ্চর্যজনক সত্য যে , কিছু কিছু বিত্তবান মহিলা উন্নত বৃদ্ধাশ্রমে থাকেন নিজ ব্যবস্হাপনায় ।
সামাজিক সম্মানবোধ ও মানব মূল্যবোধকে সমুন্নত রাখতে, করুণা করে নয় বরং ভালোবাসা আর সম্মান প্রদর্শনের মাধ্যমেই সকল সন্তান তথা দায়িত্বপ্রাপ্তদের তাদের সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করতে হবে। অধিকারের প্রশ্নে নয় বরং তাদের জীবনের শেষভাগ যেন সফল, সার্থক, স্বাচ্ছন্দ্যময় ও আপনজনের সান্নিধ্যে কাটে তা নিশ্চিত করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব হতে হবে। কারো জীবনের শেষ সময়টা যেন পরিবারহীন বৃদ্ধাশ্রমে না কাটে। আজ যাদের প্রবীণ বলা হচ্ছে, তাদের জীবনে আমরাও একদিন প্রবেশ করবো।
.........................................................................................................................................................................
আজকের সন্তান আগামী দিনের পিতা বা মাতা হবে। তাদের জগত আমাদের দেখানো পথেই চলবে।
বৃদ্ধাশ্রম যেন কোন বাবা-মায়ের শেষ বয়সের ঠিকানা না হয়।
Old Home
ভিডিও ফাহিম মোনায়েম
(চলবে)
০১ লা অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:১৯
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ
২| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১:৩৫
আরোগ্য বলেছেন: "আজকের সন্তান আগামী দিনের পিতা বা মাতা
হবে। তাদের জগত আমাদের দেখানো
পথেই চলবে।
বৃদ্ধাশ্রম যেন কোন বাবা-মায়ের শেষ বয়সের
ঠিকানা না হয়।"
খুবই ভাল বলেছেন।
০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ২:৩৭
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: স্বাগত: আমার ব্লগে আগমনের জন্য
আমাদের সকলের উচিত .........
বৃদ্ধাশ্রম যেন কোন বাবা-মায়ের শেষ বয়সের ঠিকানা না হয়।
.........................................................................
৩| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:২০
মেহেদী হাসান হাসিব বলেছেন: বৃদ্ধাশ্রম যেন যেন কোন পিতা-মাতার শেষ ঠিকানা না হয়!
০৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১:০৩
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার ঐকান্তিক ইচ্ছার জন্য
৪| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১২:৫৭
ল বলেছেন: খুবই ভাল বলেছেন
০৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১:০২
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যর জন্য
৫| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১:১০
ল বলেছেন: ভালোবাসাময়
শুভেচ্ছা
০৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১:১২
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন:
৬| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১:১৯
ল বলেছেন:
৭| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:৪২
নজসু বলেছেন: ছেলে আমার মস্ত মানুষ মস্ত অফিসার,
মস্ত ফ্লাটে যায়না দেখা, এপারওপার
নানানরকম জিনিস। আর আসবাব দামি দামি,
সবচেয়ে কম দামি ছিলাম, একমাত্র আমি,
ছেলের আমার, আমার প্রতি, অগাধ সম্ভ্রম,
আমার ঠিকানা তাই, বৃদ্ধাশ্রম.....
নচিকেতার এই গানটা আমাকে কাঁদায়।
০৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:৩৮
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: এপারওপার
নানানরকম জিনিস। আর আসবাব দামি দামি,
সবচেয়ে কম দামি ছিলাম, একমাত্র আমি,
.....................................................................................................
যথার্থ বলেছেন, আমাদের মতো ক্ষুদাতাড়িত , সমস্যা পীড়িত দেশে
এর বেশী আমরা কি চিন্তা করতে পারি ???
আপনার অনুভুতি আমাকে ভীষনভাবে আরও কিছু লেখার প্রেরনা দিল!!!
.....................................................................................................
৮| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:৫৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: একটা মর্মস্পর্শী বিষয়ে লিখেছেন।
দ্বিতীয় ছবিটা দেখে মনে পড়ে গেল আমাদের এখানে একাত্তরের স্মৃতি। সেদিন বাঙলার নারী পুরুষেরাও উদ্ভ্রান্তের মত ছুটেছিল একটুখানি নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য। যেকোন যুদ্ধবিগ্রহে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হন নারী, শিশু আর প্রবীণেরা। যেখানে প্রাণভয়ে সবাই যার যার জীবন নিয়ে ছুটছে, সেখানে প্রবীণ মাকে এই অভিনব পন্থায় তার দু'ছেলে কর্তৃক নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে নিজেদের কাঁধে করে বহন করে নিয়ে যাওয়ার দৃশ্যটা আমায় অভিভূত করেছে। একাত্তরেও এমন দৃশ্য দেখেছিলাম আমাদের গ্রামের পথে ঘাটে।
বিশ্বের সকল প্রবীণদের প্রতি শুভকামনা! বিশেষ করে ছেলেপুলে নাতি নাতনি থেকেও আজ যারা নিঃসঙ্গ জীবন যাপন করছেন, তাদের প্রতি রইলো আন্তরিক সহমর্মিতা। আর এমন একটি হৃদয়স্পর্শী পোস্টের জন্য আপনাকেও জানাচ্ছি আন্তরিক ধন্যবাদ।
দ্বিতীয় ছবিটা দেখে আমার কিছু নিজস্ব ভাবনা এখানে শেয়ার করলামঃ
তোমাদের দুটো কাঁধ একটি বাঁশের দন্ডে
ভাগ করে নিয়েছে প্রবীণ মায়ের পাতলা
দেহের ওজনটুকু। হেঁটে চলেছো তোমরা
অজানা পথে, অজানা গন্তব্যে, প্রাণভয়ে।
ঝুলন্ত কম্বলের মাঝে আধবসা, আধশোয়া
মা দেখতে পাচ্ছেন কেবল খোলা আকাশ,
জানেননা তিনিও হায়, এ গন্তব্য কোথায়!
এ দৃশ্য দেখে মনে পড়ে যায়, একাত্তরের
মার্চ-এপ্রিলে আমরাও ছুটেছিলাম, এমনই
উদ্ভ্রান্ত হয়ে, শঙ্কা আর ত্রাসে, অচিন পথে।
০৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:৩১
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: খুব সুন্দর, খুবই সুন্দর
আপনার অনুভুতি আমাকে ভীষনভাবে নাড়া দিল
এবং স্মৃতি গুলো চোখের সামনে ভেসে উঠল
এখন মনে হলো আমার এই লেখার বিন্দুমাত্র হলেও সার্থক হয়েছে ।
....................................................................................................................
মা দেখতে পাচ্ছেন কেবল খোলা আকাশ,
জানেননা তিনিও হায়, এ গন্তব্য কোথায়!
এ দৃশ্য দেখে মনে পড়ে যায়, একাত্তরের
....................................................................................................................
আমি আপনার কাছে বিষেশ ভাবে কৃতজ্ঞ !
৯| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ ভোর ৪:০২
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: সর্বশেষ সংবাদ :
৫ সন্তানের জনক ছিলেন---
বাংলার নবাব সিরাজউদ্দৌলা খ্যাত অভিনেতা আনোয়ার হোসেন।
জীবনের সকল আয়, ব্যয় করেছেন সন্তানদের পেছনে।
বড় ছেলে সুইডেন, বাকী ৩ ছেলে ও ১ কন্যা আমেরিকায়। একা বাসায় ধুকে ধুকে মরলেন। ১টি সন্তানও এলেন না বাবাকে দেখতে।
জীবনের শেষ বেলাতেও অভিনয় করতে হয়েছে পেটের তাগিদে চাকর,বাকরের চরিত্রে।
২ সন্তানের জনক সময়ের সাহসী কবি আল মাহমুদ।
বনানীর বাড়ী বিক্রী করে সন্তানদের বিদেশে পাঠান
আর ফিরে আসেনি আদরের দুলালেরা।
কবি আজ নিজ গ্রামের বাড়ীতে বিছানায় পড়ে রয়েছেন। দেখার কেউ নেই। এক সময় চলে যাবেন না ফিরার দেশে।
সন্তান মেধাবী হলে বাবা মা তাঁদের পেছনে পয়সা খরচ করতে কৃপনতা করে না। বাড়ী, গাড়ী, সোনা, গহনা সবই বিক্রী করে দেয় তবুও মা-বাবার আনন্দের সীমা থাকে না----।
অথচ এই সন্তানগুলোই বড় হয়ে ভালো পজিশনে পৌঁছে মা-বাবাকে কষ্ট দেয়- ভীষণ কষ্ট দেয়।
বিশ্বাস না হলে
বৃদ্ধাশ্রম গুলি একবার ঘুরে আসুন। তার প্রমান সহজেই পেয়ে যাবেন।
৯০% উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা, ডাক্তার, সচিব,সেনা অফিসার, ইঞ্জিনিয়ার, বিদেশীর মা বাবারাই বৃদ্ধাশ্রমে।
অবিশ্বাস্য হলেও এটি বেদনাদায়ক সত্যি।
১০| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১২:৩৩
স্বপ্নডানা১২৩ বলেছেন: কিছু মানুষ বাবা মার অবদান ভুলে গিয়ে এত নিষ্ঠুর হতে পারে .।.।.।.।.।.।।।
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১২:৪০
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: বাস্তবতা এখন বেদনাদায়ক সত্যি।
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:০৯
রাজীব নুর বলেছেন: চার মিনিট ছাব্বিশ সেকেন্ডের ভিডিওটি ভালো লেগেছে।