নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষের জীবন প্রতিদিন তার বেঁচে থাকার লাইসেন্স নবায়ন করে ।প্রকৃতি এটা নিয়ন্ত্রন করে,যেদিন নবায়ন হবেনা,সেদিন মৃত্যু অনিবার্য ।

স্বপ্নের শঙ্খচিল

আমার মনের মাঝে শঙ্খচিল ডানা মেলে প্রতিদিন,ভুলতে পারিনি সেই অভিমান আবার ফিরে আসা তোমার কাছে !

স্বপ্নের শঙ্খচিল › বিস্তারিত পোস্টঃ

একজন শিক্ষাবিদ ও বীরযোদ্ধার কথা বলছি

২৮ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৩

একজন শিক্ষাবিদ ও বীরযোদ্ধার কথা বলছি

সকালে বন্ধু মোবাইলে ফোন করে খুব ঝাড়পোছ করল আমাকে,
ব্লগে এত্ত এত্ত কিছু লেখা হয় অথচ একজন শিক্ষার উজ্জল আলো নিয়ে বিচরন
করছেন আমাদের মাঝে, হঠাৎ তিনি আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন,
কোথায় ব্লগে এমন কোন আলোচনা দেখলাম না !!!



মনটা খুব বিষন্ন ছিলো গত দুদিন যাবত, ভাবছিলাম কি লিখব, জীবিত থাকতে কিছু
লিখলাম না, বুঝতে পারছিলাম বন্ধুটি কার কথা বলছে ।

এখন তো করোনা কান্ডে প্রায়:শ দেখতে পাই অনেক প্রিয় মুখ হারায়ে যাচ্ছে, তেমনি একজন ছিল
সাদাত স্যার, কিন্ত যেদিন উনার স্ত্রী মারা যান সেদিন বিস্য়করভাবে জানলাম, উনার স্ত্রী
আমাদের টিচার ছিলেন ।সারাদিন আমার মন খারাপ করা দিন কেটেছিলো ।

বন্ধুর কথায় এখন যার কথা বলব তিনি নিজ চেষ্টায়, ১৯৭৪ সালে নিজ বাসায় ১৫ জন শিক্ষার্থীর মাধ্যমে ছোট
বিদ্যালয়টির সূচনা করেন,দেশের ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষাব্যবস্থার উন্নতির জন্য কিছু একটা করার চিন্তা থেকে স্কুল প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেন। ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে ইংরেজি শেখাতেই হবে, এমন বাধ্যবাধকতার মাঝেও
তিনি মনে করতেন বাংলা ভাষা না শিখে কিংবা বাঙালিত্ব হারিয়ে নয়। সবার আগে মাতৃভাষা বাংলা, এ বিষয়ে আপস নেই। বাংলা শিখে বাঙালি হিসেবে বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে হবে। আর এখন তো শিশুদের তিনটি ভাষা শেখানোর কথা বলা হয়। ছোটবেলায় ভাষা শেখাটা সহজ। সেখানে আমাদের দেশে বাংলার পাশাপাশি ইংরেজি শেখাটা কঠিন কোনো ব্যাপার বলে মনে হয় না।


অভিজ্ঞ শিক্ষাবিদ হিসাবে উনার অভিমত ছিলো যে , চাহিদা আছে বলেই ইংরেজি শিক্ষার প্রতি ঝোঁক বাড়ছে। আমাদের নতুন প্রজন্মের জন্য আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা আবশ্যক। গতিময় বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে শিক্ষার্থীদের বিশ্বমানের জ্ঞান, প্রযুক্তি ও কর্মদক্ষতা অর্জন করতে হবে। সে জন্য আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিকল্প নেই। বাংলাদেশে বসে এখন আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা পাওয়া যায়। ইউনিভার্সিটি অব কেমব্রিজ ও এডেক্সেল—এই দুটি বোর্ডের অধীনে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলগুলোর পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

দেশে উচ্চমানের শিক্ষা ব্যবস্হা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তিনি নিজ প্রতিষ্ঠানকে তিল তিল করে সাজাঁয়ে তুলে ছিলেন,
যে কারনে ব্যক্তিগত জীবনে আরও অনেক সুযোগ থাকা সত্বেও তিনি মনে করতেন :-
অন্য কর্মক্ষেত্রে এত ভালোবাসা ও সম্মান পেতাম কি না, সন্দেহ। নিখাদ ভালোবাসা পাই শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে। এখন তো আমার স্কুলে দ্বিতীয় প্রজন্ম আসছে। প্রথম দিকে যারা আমার ছাত্র ছিল, তাদের ছেলেমেয়েরা এখন আসছে।
কিন্তু বাবা–মায়েদের সঙ্গে তাদের সন্তানদের একটি বড় পার্থক্য খুঁজে পাই। এখনকার প্রজন্ম আগের চেয়ে
অনেকটাই এগিয়ে। তাদের দৃষ্টিভঙ্গি, চাহিদা ও প্রয়োজন অনেক বদলে গেছে। গত সাড়ে চার দশকে আমার দায়িত্ব
অনেকটাই বেড়েছে। একজন পরিচালকের লক্ষ্য ও আদর্শ হবে স্পষ্ট। প্রয়োজনবোধে তাকে সাহসী হতে হবে, বদলাতে হবে এবং বদলে দিতে হবে।


সর্বপ্রথম জনতা ব্যাংক ১০ হাজার টাকা ঋণ দেয়। এ টাকা দিয়ে তিনি ১০টি ডেস্ক ও বেঞ্চ কেনেন। সেগুলো রাঙানো হয়েছিল লাল রঙে, যেটি সমৃদ্ধির রং। ১৯৭৪ সালের ১৫ জানুয়ারি সকাল ৮টায় নিলুফার মঞ্জুর ব্ল্যাকবোর্ডে লেখেন ‘সানবিমস’ (সূর্যকিরণ), প্রথম ঘণ্টা বাজান তাঁর বিদ্যালয়ের।

১৯৯৬ সালে সানবিমস জিসিই অর্ডিনারি লেভেল কোর্সগুলো চালু করে। তাদের প্রথম ‘ও’ লেভেল ব্যাচ পাস করে ১৯৯৮ সালে। ২০০৭ সালে সানবিমস উত্তরায় নিজেদের ক্যাম্পাসে যায়, যার আয়তন ২ একর। ২০০৮ সালে তাদের
প্রথম ব্যাচ ‘এ’ লেভেল সম্পন্ন করে। এখন সানবিমসের দুটি ক্যাম্পাস, একটি ধানমন্ডি ও অন্যটি উত্তরায়।
ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সানবিমসের শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১ হাজার ১১৩ জনের বেশি।
শিক্ষকের সংখ্যা ১৬১ জন এবং ৮১ জন সহকারী।




বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ নিলুফার মঞ্জুর মঙ্গলবার ভোর তিনটার দিকে সবাইকে ছেড়ে চিরবিদায় নেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন ছিলেন।
তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর।

আমি তার আত্নার মাগফেরাত কামনা করি এবং শিক্ষা খাতে উনার
এই দীর্ঘ ৪৭ বৎসরের অবদান চির স্মরনীয় হয়ে থাকবে বলে বিশ্বাস করি ।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: উনার মিততুর খবর আমি ফেসবুকে পাই। খুব খারাপ লেগেছে আমার।

২৮ শে মে, ২০২০ রাত ৮:০১

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: আমি উনার সর্ম্পকে অল্প জানতাম, এরপর জানতে গিয়ে শ্রদ্ধায়
মাথানত করি, এরপর দু:খ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে এই লেখা ।

২| ২৮ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৬

সাইন বোর্ড বলেছেন: করোনা মহামারি বিশ্বে আমরা কিছু ভাল মানুষকেও হারাতে শুরু করেছি, তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করছি ।

২৮ শে মে, ২০২০ রাত ৮:০৮

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: বাস্তবতা বড়ই কঠিন,
মুক্তিযুদ্ধেও আমরা অনেক জ্ঞানী, চিকিৎসক ও শিক্ষাবিদকে হারায়ে ছিলাম

.......................................................................................
এখনো চিকিৎসক,শিক্ষাবিদ, প্রফেসর,প্রকৌশলী সহ অনেক
গুরুত্বপূর্ণ অভিবাবক হারাচ্ছি ।

৩| ২৮ শে মে, ২০২০ রাত ৮:২০

ইসিয়াক বলেছেন: বিনম্র শ্রদ্ধা রইলো উনার প্রতি।

২৮ শে মে, ২০২০ রাত ৮:৪১

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: জাতির উন্নয়নে, বাংলা ভাষার পাশাপাশি বিশ্ব মানের ইংরেজী জ্ঞান আবশ্যক।
উনি সে কাজটি নিরবে নিরলস ভাবে করছিলেন ।

.....................................................................................................
আমাদের দেশে মূলত তিনটি ভাষার র্চচা হয়ে থাকে ।
আরবী,বাংলা ও ইংরেজী ।এই ৪৭ বৎসরে তিনি বহুদুর হেঁটেছেন ,
দ্বিতীয় প্রজন্মর ছেলেমেয়েরা এখন বিদ্যালয়ে পাঠ নিচ্ছেন
অনেক গুনগ্রাহী আছেন ।

....................................................................................................
আমার আবেগ, ভালবাসাও শ্রদ্ধা আবারও জানাই

৪| ২৮ শে মে, ২০২০ রাত ১০:১৫

নেওয়াজ আলি বলেছেন: শ্রদ্ধা রইল উনার প্রতি।

২৮ শে মে, ২০২০ রাত ১১:৪০

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: আর্ন্তজাতিক অঙ্গনে উনার বাচ্চারা ( বিদ্যালয়ের সকল ছাত্র ছাত্রীকে বাচ্চা বলেই ডাকতেন )
সাফল্য অর্জন করে উনার স্মৃতি অম্লান করে রাখবেন ।

৫| ২৯ শে মে, ২০২০ দুপুর ১:৩৭

রাকু হাসান বলেছেন:


শ্রদ্ধাঞ্জলি রইলো । আমরা আরেকজন গুণী ব্যক্তিত্ব কে হারালাম । সত্যিই তিনি বাংলাদেশের শিক্ষা ক্ষেত্রে দিয়েছেন কিছু। উনার মত প্রভাবশালীদের সেবার মানসিকতায় শিক্ষাক্ষেত্রে েএগিয়ে আসা উচিত। ধন্যবাদ পোস্টের জন্য ।

২৯ শে মে, ২০২০ বিকাল ৩:০৫

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: উনার নিজ প্রতিষ্ঠানে নিজের ছেলেমেয়েরা পড়াশুনা করেছেন
এবং সবাই সুপ্রতিষ্ঠিত ।

................................................................................
অনেক দিন পর আমার ব্লগে আগমন । শুভেচ্ছা থাকল ।

৬| ২৯ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:৩৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: যারা শিক্ষার আলো ছড়িয়ে সহস্র প্রাণকে আলোকিত করেন, তাঁরা শ্রদ্ধাষ্পদ। মৃত্যু তাদের আলোকোজ্জ্বল অবদানকে ম্লান করে দিতে পারে না।
শ্রদ্ধাষ্পদেষু শিক্ষাবিদ নীলুফার মঞ্জুর এর রূহের মাগফিরাত কামনা করছি। তাঁর ছাত্র ছাত্রীরা দেশ ও সমাজের জন্য গৌরবোজ্জ্বল অবদান রাখবেন, এটাই প্রত্যাশা, এবং এটাই হবে তাঁর অসামান্য অবদানের যথাযথ সম্মান ও স্বীকৃ্তি।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৩৫

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: শ্রদ্ধাষ্পদেষু শিক্ষাবিদ নীলুফার মঞ্জুর এর রূহের মাগফিরাত কামনা করছি।
.........................................................................................................
উনার মৃত্যু আমাকে অনেক কষ্ট দিয়েছে,

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.