নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষের জীবন প্রতিদিন তার বেঁচে থাকার লাইসেন্স নবায়ন করে ।প্রকৃতি এটা নিয়ন্ত্রন করে,যেদিন নবায়ন হবেনা,সেদিন মৃত্যু অনিবার্য ।

স্বপ্নের শঙ্খচিল

আমার মনের মাঝে শঙ্খচিল ডানা মেলে প্রতিদিন,ভুলতে পারিনি সেই অভিমান আবার ফিরে আসা তোমার কাছে !

স্বপ্নের শঙ্খচিল › বিস্তারিত পোস্টঃ

জাতির মেধার বিকাশে পুষ্টির কোন বিকল্প নেই,

৩০ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:০৩

জাতির মেধার বিকাশে পুষ্টির কোন বিকল্প নেই, এজন্য চাই খাঁটি ও মানসম্মত দুধের নিশ্চয়তা ।


এই আবহ নিয়ে সারাদিন কাটল (২৯/১০/২০২০) দুগ্ধভবনে ৪০তম বার্ষিক সাধারন সভা - ২০২০ সভায় ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন : গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্হানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের
দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত মাননীয় মন্ত্রী জনাব মো: তাজুল ইসলাম, এমপি।


বিশেষ অতিথি : গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্হানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত
মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জনাব স্বপন ভট্টার্চায্য , এমপি।আরও উপস্হিত ছিলেন উক্ত মন্ত্রণালয়ের সচিববৃন্দ এবং সমবায়
অধিদপ্তরের নিবন্ধক ও মহাপরিচালক জনাব মো: আমিনুল ইসলাম ।
অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করেন সম্মানিত চেয়ারম্যান,বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় ইউনিয়ন লি : ( মিল্ক ইউনিয়ন )।


৪০তম বার্ষিক সাধারন সভায় সমগ্র বাংলাদেশ থেকে স্বাস্হ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে সকল অন্চলের দুগ্ধখামার থেকে ৩০০ প্রতিনিধিবৃন্দ যোগদান করেন ।



৪০তম বার্ষিক সাধারন সভা - ২০২০ সভায় উপ্হাপিত প্রতিবেদন অনুসারে মিল্ক ইউনিয়ন এর তথ্য চিত্র নিম্ন রুপ :-

১। বিগত ৩০শে জুন২০২০ পর্যন্ত ৬৫.৮১ কোটি টাকা বাণিজ্যিক বাংকে এফডিআর আকারে স্হিতি আছে ।
২। বিভিন্ন প্রকার অপচয়,মেরামত,ক্রয় ও পরিবহন খাতে আধুনিক নীতিমালা প্রয়োগের ফলে প্রতিমাসে আর্থিক সাশ্রয় হচ্ছে ।
৩। মিল্ক ইউনিয়ন পরিচালিত গো-খাদ্য উৎপাদন কারখানা থেকে সুষম দানাদার খাবার খামারীদের দ্বারে দ্বারে সরবরাহ করা হচ্ছে ।
৪। ফেসবুক ও অনলাইনের মাধ্যমে পাস্তরিত দুধ ও দুগ্ধজাত অন্যান্য পণ্যসামগ্রী ভোক্তা সাধারণের নিকট পৌছাঁনো হচ্ছে ।
৫। করোনায় ত্রান কাজে মিল্ক ইউনিয়ন এগি য়ে আসে এবং সরকারী সহায়তায় গুড়োদুধ ত্রানকাজে বিক্রয় করা হয় এবং
গ্রামেগন্জে মিল্কভিটা প্রচুর জনপ্রিয়তা লাভ করে । মিল্ক ইউনিয়ন করোনা কালীন ১৫ কোটি টাকার গুড়োদুধ বিক্রি করে ফলে
প্রান্তিক পর্যায়ের খামারীরা আর্থিক লাভবান থাকায় ব্যাপক উৎসাহ দেখা যায় ।
৬। সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে মিল্কভিটা গুড়োদুধ নিয়মিত সরবরাহ শুরু হয়েছে যা প্রতিদিনই চাহিদা বাড়ছে ।
৭। কভিড-২০১৯ এর কারনে সরকার ঘোষিত প্রনোদনার আওতায় খামারীদের মাঝে ১০ কোটি টাকা বিতরনের ব্যবন্হা
নিয়েছে সেই লক্ষ্যে বিগত ২২শে অক্টােবর রুপালী ব্যাংক এর সাথে সমঝোতা স্মারক সম্পন্ হয়েছে ।
৮। পরপর তিনবার আর্ন্তজাতিক বানিজ্য মেলায় মিল্কভিটা প্রথম স্হান লাভ করে শুধুমাত্র গুনগত মান ও অধিক সেবা দানের জন্য ।



এবছর ৪০তম বার্ষিক সাধারন সভা - ২০২০ সভায় খামারীদের মূল দাবী ছিলো,

** তাদের সরবারহকৃত দুধের ন্যায্য দাম নির্ধারন করতে হবে, সেজন্য বাজারে নিম্ন মানের দুধ আমদানী বন্ধ করতে হবে,
৫বৎসর এর উপর থেকে ভোক্তা পর্যায়ে আমদানীকৃত গুড়োদুধ এর ট্যাক্স বাড়ায়ে ২৫% করতে হবে ।
** দুধের দাম সঠিক ও গুনগত মান বজায় স্বার্থে প্রয়োজনে একটি ডেইরী বোর্ড করে ফ্যাট ও লেক্টোর ভিত্তিতে সকলে
একই নীতিমালা মেনে চলবে ।
** ঢাকা শহরে অন্তত ২৫টি স্হানে বিল বোর্ড স্হাপনে সহযোগিতা প্রদান ।
** দুগ্ধ খামারীরা কৃষিজ উৎপাদন খাতে আওতায় পড়ে, সেক্ষেত্রে সরকারি ঘোষনা অনুসারে , বিদুৎ রেয়াত পাবার কথা
অথচ বিদুৎ কর্তৃপক্ষ বানিজ্যিক ভাবে বিল আদায় করে ফলে এই শিল্পে উৎড়াদন খরচ বেড়ে যায় এবং অনেক খামারী
বিভিন্ন খরচ বেড়ে যাওয়ায় উৎসাহ হারাচ্ছে । সে জন্য উক্ত রেয়াত সুবিধা চালুর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা গ্রহন ।




৪০তম বার্ষিক সাধারন সভায় ২০১৯-২০২০ আর্থিক বৎসরের শ্রেষ্ঠ সমবায়ী ও সমিতির মধ্যে পুরস্কার বিতরন :

** শ্রেষ্ঠ সমিতি : ১) দুগ্ধ এলাকা > সাতক্ষীরা, সমিতি > তালা , দুধ সরবরাহ : ১৪৬৬৬২২ লিটার , (প্রথম)
২) দুগ্ধ এলাকা > বাঘাবাড়ীঘাট, সমিতি > ধলাই , দুধ সরবরাহ : ১৩৩৩২৪৮ লিটার , (দ্বিতীয় )
৩) দুগ্ধ এলাকা > খুলনা, সমিতি > শাহাপুর , দুধ সরবরাহ : ৮০৮৫৪৩ লিটার , (তৃতীয়)

** শ্রেষ্ঠ সমবায়ী : ১) দুগ্ধ এলাকা > খুলনা,সমিতি >শাহাপুর,সমবায়ী: সুধীর কুমার ঘোষ,দুধ সরবরাহ :৬০৯৭৫৩২ লিটার,(প্রথম)
২) দুগ্ধ এলাকা > খুলনা, সমিতি >শাহাপুর, সমবায়ী: কৃষ্নপদ ঘোষ,দুধ সরবরাহ : ৯৮৩৬২ লিটার , (দ্বিতীয় )
৩) দুগ্ধ এলাকা > টুঙ্গীপাড়া,সমিতি > টুঙ্গীপাড়া,সমবায়ী:মুন্সি রফিকুল ইসলাম,দুধ সরবরাহ: ২১০১৯ লিটার,(তৃতীয়)



৪০তম বার্ষিক সাধারন সভায় প্রকাশিত তথ্য মতে মিল্ক ইউনিয়ন এখন ২১টি আইটেম উৎপাদন করছে ।
সকল স্হানীয় ও আর্ন্তজাতিক ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে ভোক্তা সাধারণ উৎসাহ আর আগ্রহ নিয়ে প্রতিদিনই নির্দিষ্ট সেন্টার
থেকে পণ্য ক্রয় করছে এবং সকল আইটেম যথাসময়ে পাচ্ছেনা বলেও অভিযোগ জানাচ্ছে ।
তার মধ্যে বিশেষ ভাবে উল্লেখ যোগ্যর নাম প্রদান করা হলো :-
১) তরল পাস্তরিত দুধ
২) ফুলক্রীম গুড়োদুধ
৩) ননীবিহীন গুড়োদুধ
৪) মাখন
৫) ঘি
৬) মিষ্টি দই
৭) টক দই
৮) রস মালাই
৯) মাঠা
১০) টোন্ড মিল্ক ইত্যাদি


চলতি অর্থ বৎসরে প্রতিটি পণ্যের বাজার সম্প্রসারন ও বিক্রয় উন্নয়ন পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে, সেই লক্ষ্যে
৪৫০ কোটি ২৮ লক্ষ টাকার বিক্রয় লক্ষ্য মাত্রা স্হির করা হয়েছে ।বিক্রয় লক্ষ্য মাত্রা টার্গেট হিসাবে সরকারী বিভিন্ন
প্রতিষ্ঠান এগিয়ে আসছে । ইতিমধ্যে সকল কারাগার, বিমান বহরে, পুলিস লাইনে, স্কুল মাদ্রাসায় সরবরাহের কার্যক্রম এগিয়ে চলছে ।
বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান নিজস্ব ভবনে বিক্রয় সেন্টার বসানোর অনুরোধ জানাচ্ছে ।
বিগত ৪ বৎসর পূর্বে যে প্রতিষ্ঠানটি নানা বাহানা আর ষড়যন্ত্রর কারনে পাটকলে র মতো নিলামে তোলার প্রস্তুতি চলছিল
তা আজ দুর্দান্ত ভাবে ঘুরে দাড়াঁয়াছে, সমবায় খামারীদের একমাত্র লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিনত হয়েছে । বিভিন্ন
দূর্নীতির কারনে ১৫৭ জন চাকুরীচ্যুত হয়েছে ।
পরিকল্পনা মত সঠিক ভাবে চলতে পারলে আগামী ৩ বৎসরের মধ্যে সরকারী রাজস্ব আয় ও জনসাধারণের পুষ্টি
যোগানের অন্যতম সমবায় প্রতিষ্ঠান হিসাবে অবদান রাখবে ।

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:৪৩

ঢুকিচেপা বলেছেন: আমরা ভেজালমুক্ত দুধ খেতে চাই।

৩১ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১:০৩

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: আমরা ভেজালমুক্ত দুধ খেতে চাই।
............................................................
প্রথম আসা আর আগ্রহটা অত্যন্ত ভালো লাগল ।
ভেজালমুক্ত দুধ সাধারনের কাছে অত্যন্ত প্রানের দাবী ,
এক কথায় আমরা এখন অনেক স্বাস্হ্য সম্মত চিন্তা করি ।
এর আলোচনায় বলতে গেলে অনেক গভীরে যেতে হবে,
এর উপর আমার কিছু লেখা আছে তা পড়তে পারেন ।

...............................................................................
বলা চলে মিল্ক ভিটার দুধ সম্পূর্ণ ভেজাল মুক্ত , তবে মাঝে মাঝে
বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের শিকার হতে হয়, আর্ন্তজাতিক চাপ সহ্য করে
এই প্রতিষ্ঠানটি চলছে, মিল্কভিটার সকল কার্যক্রম বাস্তবায়িত হলে
দেশী ও বিদেশী কিছু ব্যবসায়ীর কোটি কোটি টাকার লাভজনক ব্যবসা লাটে উঠবে ।

২| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:৪৭

আমি সাজিদ বলেছেন: টোন্ড মিল্ক কি? ভালো পোস্ট। এই ভি আই পি মানুষগুলো একটু গ্যাপ দিয়ে দিয়ে দাঁড়াতে পারেন নি?

৩১ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১:০৭

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: আমি সাজিদ বলেছেন: টোন্ড মিল্ক কি?
.....................................................................
মিল্ক ভিটার এটি একটি আধুনিক আইটেম ।
যারা সরাসরি দুধের অতিরিক্ত ফ্যাট/ লেক্টো সহ্য করতে পারেন না
তারা অত্যন্ত আগ্রহের সাথে এর ভক্ত হয়ে পড়েছেন ।
আমি নিজে ও মিল্কভিটার টোন্ড মিল্কের ভক্ত, দামেও সস্তা ।

৩| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১:০৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



মিল্ক ভিটার নিজস্ব ফার্ম আছে, নাকি সাপ্লায়ার আছে?

৩১ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১:৩৬

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: মিল্ক ভিটার নিজস্ব ফার্ম আছে, নাকি সাপ্লায়ার আছে?
................................................................................
বাংলাদেশে একমাত্র মিল্ক ভিটার নিজস্ব খামারী আছে,
নিজ ব্যবস্হাপনায় সকল কার্যক্রম চলে ।
অন্যান্য কিছু প্রতিষ্ঠান বিদেশী গুড়োদুধ মিশায়ে কিছু তরল দুধ নিয়ে বাজার জাত করে ।
এটি সমবায়ীদের বৃহৎ ও লাভজনক একটি প্রতিষ্ঠান ।
প্রতিষ্ঠানটি সরকার ও সমবায়ীদের যৌথ ব্যবস্হাপনায় পরিচালিত হয় ।
...............................................................................................................
বাংলাদেশ ভূ-খন্ডে কারখানাভিত্তিক দুগ্ধ শিল্প গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় ১৯৪৬ সালে। পাবনা-সিরাজগঞ্জ জেলায় নামমাত্র মূল্যে দুধ বিক্রয় হতো, সেহেতু দুগ্ধ ব্যবসায়ীরা কোলকাতা-কে মার্কেট হিসাবে চিহ্নিত করে “ন্যাশনাল নিউট্রিশন কোম্পানীর” নামে একটি সর্বভারতীয় প্রতিষ্ঠান গড়ার অভিপ্রায়ে সিরাজগঞ্জ জেলার লাহিড়ী মোহনপুর এলাকায় দুগ্ধ কারখানা স্থাপন করার জন্য মেশিনারীজ নিয়ে আসে। কারখানার স্থাপনা কার্যক্রম শুরু হলেও দেশ বিভক্তির কারণে ১৯৪৭ সালে এ উদ্যোগ বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে ১৯৪৮ সালে জনাব মুখলেছুর রহমান তাঁর নিজস্ব সম্পদ বিনিময় সূত্রে কারখানাটির মালিকানা গ্রহণ করেন। কারখানাটির নাম পরিবর্তন করে “ইষ্টার্ন মিল্ক প্রডাক্টস” দেয়া হয় এবং স্থাপনা কাজ ১৯৫২ সালে সমাপ্ত করা হয়। কারখানা হতে তখন দুধ, ঘি, মাখন ইত্যাদি দুগ্ধজাত পণ্য সামগ্রী উৎপাদন করে কলকাতা শহরে স্বল্প পরিসরে কিছু দিন মিল্ক ভিটা নামে বাজারজাত করা হতো ।

১৯৬৬ সালে প্রতিষ্ঠানটি সমবায় ব্যবস্থাপনায় এনে সমবায় ভিত্তিক প্রাথমিক দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমিতি গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় এবং পুরানো নাম সংশোধন করে প্রতিষ্ঠানটির নাম রাখা হয় “ইষ্টার্ন মিল্ক প্রডিউসার্স কো-অপারেটিভ ইউনিয়ন লি” প্রাথমিকভাবে সমবায় ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি ফলপ্রসূ না হওয়ায় ১৯৬৮ সালে সমবায় মার্কেটিং সোসাইটি কর্তৃক উক্ত কারখানাটির দায়িত্বভার গ্রহণ করা হয়। একই সময়ে আর্থিকভাবে দেউলিয়াত্বের কারণে ঢাকার তেজগাঁতে “অষ্টো ডেয়রী” নামে বোতলজাত দুগ্ধ উৎপাদন ও বিপণনের আরেকটি প্রতিষ্ঠান সমবায় মার্কেটিং সোসাইটি কর্তৃক দায়িত্বভার গ্রহণ করা হয়। সমবায় মার্কেটিং সোসাইটিও প্রতিষ্ঠান দু'টোর আর্থিক অবস্থার উন্নতি অর্জনে চরমভাবে ব্যর্থ হয়। প্রতিষ্ঠান দু’টি সীমিতভাবে কিছুদিন উৎপাদন ও বিপণন কর্মকান্ড পরিচালনা হলেও সঠিক ব্যবস্থাপনা ও আর্থিক সহযোগিতার অভাবে ১৯৭০ সালের প্রথমদিকে কারখানা দু’টোর উৎপাদন ও বিপণন কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
স্বাধীনতার মহান স্থপতি, কৃষক-শ্রমিকের অকৃত্রিম বন্ধু, মেহনতি জনতার কণ্ঠস্বর, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার অব্যবহিত পরেই মেহনতি মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন, কৃষকের উৎপাদিত দুধের ন্যায্য মূল্য এবং শহরের ভোক্তা শ্রেণীর মধ্যে নিরপদ ও স্বাস্থ্য সম্মত দুগ্ধ সরবরাহের নিমিত্ত নিজস্ব উৎপাদন ক্ষেত্র দিয়ে দুগ্ধ চাহিদা মেটানোর লক্ষ্যে ভারতর “আমূল” পদ্ধতি অনুসরণ পূর্বক দুগ্ধ শিল্প গড়ে তোলার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন। তারই ফলশ্রুতিতে দেশের জনগণের পুষ্টি চাহিদা পুরণে দুগ্ধ সংকট নিরসনের পদ্ধতি নিরূপনের জন্য ১৯৭৩ সালে জাতিসংঘ উন্নয়ন সংস্থা (ইউএনডিপি) ও ডেনমার্ক এর আন্তর্জাতিক উন্নয়ন এজেন্সী ড্যানিডা এর সহায়তায় দুই পরামর্শক যথাক্রমে মিঃ ক্যাসট্রপ ও মিঃ নেলসন কর্তৃক এ দেশের দুগ্ধ শিল্প নিয়ে স্টাডি করা হয়। বাংলাদেশ সরকার স্টাডি দুটির সুপারিশ বিবেচনা করে পূর্বতন কারখানা দুটির দায়-দেনা পরিশোধ করে নতুন এলাকায় সমবায় দুগ্ধ প্রকল্প নামে ১৯৭৩ সালে একটি দুগ্ধ শিল্প উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। দুগ্ধ উৎপাদনকারী কৃষকদের স্বার্থ সংরক্ষণ করে দুগ্ধ উৎপাদন বৃদ্ধির নিমিত্তে সরকারের ১৩.১২ কোটি টাকা ঋণ সহায়তায় দেশের পাঁচটি দুগ্ধ এলাকায় নিম্নোক্ত দুটি মৌলিক আদর্শ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কারখানা স্থাপন করা হয়। পরবর্তীতে নাম পরিবর্তন করে ১৯৭৭ সালে “বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় ইউনিয়ন লিমিটেড” নামকরণ করা হয়।
................................................................................................................................................................
মিল্কভিটায় বর্তমানে প্রাথমিক সমিতির সংখ্যা : ৩০৮৪ এবং সমিতির সদস্য : ১৩৪৭২৮ জন প্রতিদিন যাদের খামারের
পরিচর্চা , দুধ সংগ্রহ, গরুর লালন পালন নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হয় । তিনটি উৎপাদন কারখানায় প্রতিদিন ২৯২০০০.০০ লক্ষ
দুধ উৎপাদন করে থাকে ।

৪| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ২:৪২

মা.হাসান বলেছেন: তিন নম্বর মন্তব্যের যে উত্তর দিয়েছেন তা আংশিক। ১৯৭৭এর পরের অবস্থা লিখেন নি। আশির দশকে মিল্ক ভিটা চরম দূর্দশার মধ্য দিয়ে এগিয়েছে। বাংলাদেশে দুগ্ধ শিল্পের বিকাশের কথা বলতে গেলে মার্শাল শাহ আলমের নাম বাদ দিয়ে বলা যায় না। উনি রাজনীতি করতেন, পার্টির নাম ছিলো দেশপ্রেম পার্টি। ভোট কয়েকশত পেতেন, হাজার মনে হয় কখনো পান নি। ওনার বিপ্লব ছিলো দুগ্ধ বিপ্লব (উনি বলতেন -শ্বেত বিপ্লব)। বিদেশ থেকে বস্তায় করে আনা গুড়া দুধ না খাইয়ে গরুর দুধ খাওয়াতে হবে। অমৃত্যু উনি এই আন্দোলন করে গেছেন।

মূলত ৯০এর দশক থেকে দেশে ক্রমাগত ভাবে তরল দুধের সরবরাহ বাড়তে থাকে। তবে এখনও যে অবস্থা খুব ভালো এমন না।


যেখানে ডেনমার্কের মতো দেশে লোকে জন প্রতি বছরে দুধ খায় তিনশত লিটারের মতো (এর চেয়ে বেশি খায় এমন দেশ ও আছে), বাংলাদশে এটা মাত্র ২০ লিটার। পাকিস্তান, ভারত, শ্রীলংকা, নেপাল এমনকি আফগানিস্তান(!) থেকেও আমরা অনেক পিছনে।

৩১ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৩:০৩

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: আপনার মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ,মার্শাল শাহ আলমের বিষয়টি আমারও কিছু জানা ছিল
তথ্যভিত্তিক ডাটা নাই, তা ছাড়া এখানে শুধু মিল্কভিটার ইতিহাস, পণ্য ও বর্তমান
অবস্হান বর্ননা করা হয়েছে ।

.................................................................................................................
ঢাকার আশে পাশে অনেক ছোট খাটো দুগ্ধ খামার গড়ে উঠেছে , কিন্ত বিশেষজ্ঞর মতে
ঐ সব স্বাস্হ্যবিধি মোতাবেক নয় ।

৫| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২০ ভোর ৪:১৯

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: দুধে যদি বিশুদ্ধ পানি দেয় তাতে কি দুধ নষ্ট হবে। এখানে দুধ পাওয়া,০১%,১%,২%,৩%এর অর্থ কি।কোন দুধ খাওয়া ভাল।

৩১ শে অক্টোবর, ২০২০ ভোর ৪:৪২

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: মিল্কভিটার খামারীরা সাধারনত দুধে পানি দেয় না,
কারন দুধ সংগ্রহ সেন্টারে দুধের ঘনত্ব, ফ্যাট, লেক্টাে মাপা হয়,
এতে পানি দিলে মূল্য কম পাবে এবং ধরা পড়লে তৎক্ষনাত
সকল দুধ ড্রেনে ফেলে দেয়া হয় ।

.........................................................................................
কিছু কিছু ক্ষেত্রে অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশ করে করা হতো,
যা ধরা পড়ার পর এপর্যন্ত ১৫৭ জনের চাকুরী থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে ।
তবে অন্য প্রতিষ্ঠানে এরকম ব্যবস্হা আছে কিনা জানা নাই ।
এছাড়াও মিল্কভিটায় দুধ প্রাথমিকভাবে পরীক্ষার পর ছাঁকা হয় , অতপর
উচ্চ মাত্রায় ফুটানোর সাথে সাথে খুবই দ্রুততার সাথে হিমান্কের নীচে ঠান্ডা করা হয়,
একারনে গরম ও ঠান্ডার কোন ভাইরাস জীবিত থাকে না। মানুষের হাতের স্পর্শ ছাড়াই প্যাকেট জাত করা
হয়, যাকে পাস্তরিত দুধ বলে, এই দুধ আপনি জাল না দিয়ে খেতে পারেন ।
তবে ঢাকার আশেপাশে যে সকল খামারী সরাসরি ভোক্তার নিকট দুধ বিক্রি করেন তাদের এই সুবিধা নেই
সেজন্য এই সব দুধ অনেক্ষন উচ্চ তাপে জ্বাল দেয়া উচিৎ ।

...........................................................................................................................................
আপনি কোন দুধ খেতে পারবেন তা ডাক্তারের পরামর্শ অনুসারে গ্রহন করবেন ।
অতিরিক্ত ফ্যাট যুক্ত দুধ সবার সহ্য হয়না, তাই ৪০ বৎসর পর মিল্কভিটার টোন্ড মিল্ক খাওয়া উত্তম ।

৬| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২০ ভোর ৪:৩৬

চাঁদগাজী বলেছেন:




আপনি লিখেছেন (আমার মন্তব্যের উত্তরে ) , "তিনটি উৎপাদন কারখানায় প্রতিদিন ২৯২০০০.০০ লক্ষ
দুধ উৎপাদন করে থাকে । "

২৯২০০০.০০ লক্ষ, এটা কিসের পরিমাণ?

৩১ শে অক্টোবর, ২০২০ ভোর ৪:৪৮

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: "তিনটি উৎপাদন কারখানায় প্রতিদিন ২৯২০০০.০০ লক্ষ লিটার তরল
দুধ উৎপাদন করে থাকে । "

.............................................................................................
অন্য একটি মেশিনে প্রতি ঘন্টায় ১৫ টন গুড়োদুধ উৎপাদন করতে পারে ।
একই সময়ে অন্য স্হানে ঘি,দই, লাবাং, মাঠা,রসমালাই, রসগোল্লার উৎপাদন
ব্যবস্হা আছে ।

৭| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২০ ভোর ৬:০৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

আমি শুনেছি যারা মিল্ক ভিটায় চাকরি করেন তারা এই দুধ খান না।
কথাটি কি সঠিক?

সঠিক হলেও তো ভয়ের কথা।

৩১ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:৪৮

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: অত্যন্ত বাজে কথা,
বর্তমানে এই তরল দুধ, ঘি, মাখন পুলিশ লাইনে , সকল কারাগারে, মন্ত্রণালয়ে সরবরাহ
হচ্ছে । সরকারী বিশেষ অনুষ্ঠানে ৭ দিন পূর্বে অর্ডার দিতে হয় ।

.............................................................................................................
বাণিজ্যিকভাবে মীনাবাজার, ইউনিমার্ট বা ফখরুদ্দীনে প্রতিদিন সরবরাহ হচ্ছে ।
ঢাকার বাহিরে আউটলেটে প্রচুর বিক্রি হচ্ছে । এবার আমি গোপালগন্জের লাজর্ফামাতে
দেখে এলাম মিল্কভিটার সামগ্রী বিক্রয় হচ্ছে ।
দেশের বিভিন্ন জেলায় ডিসিদের অনুষ্ঠানে প্রচুর দুধ, ঘি, লাবাং, দইর অর্ডার হচ্ছে।

.............................................................................................................
আপনাকে যে এই কথা বলেছে তাকে আমার কাছে পাঠায়ে দেন, দেখি উনার
ক্ষোভটা কোথায় ? মনে রাখবেন , সকল প্রতিষ্ঠানে কিছু দুষ্ট লোক থাকে,
দুষ্ট ও অসৎ দুর্নীতিগ্রস্হ লোক ১৫৭ জন বরখাস্হ করা হয়েছে । আরও খুঁজে বের করা হচ্ছে ।

৮| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: ঢাকার মিল্কভিটার অফিসে গিয়েছি।
মনে হলো এরা সবাই জমিদার।

৩১ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:৫৩

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: কতদিন আগে গিয়ে ছিলেন ?
.........................................................
এখনতো অন লাইনে অর্ডার নেয়া হচ্ছে বা
আপনার নিকটবর্তী যে কোন আউটলেটে
পণ্য সামগ্রী পাবেন ।

..........................................................
করোনার কারনে বিগত মার্চ থেকে অনুমতি ছাড়া
প্রবেশ নিষেধ করা হয়েছে ।

৯| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

আপনি কি এই দুগ্ধ পান করেন?।
দেশের নিজস্ব পণ্য সবার ব্যবহার করা উচিত।

০১ লা নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:০৪

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: অবশ্যই,দুধ,দই,লাবাং,ঘি নিয়ে খাচ্ছি
.....................................................................
আমার জানামতে, সচিবালয়ের একটি মিল্কভিটার বিক্রয় কেন্দ্র
আছে , যেখান থেকে সচিবালয়ের সকল কর্মকর্তা এবং সচিব রাও
মিল্কভিটার পণ্য কিনে খাচ্ছেন ।

১০| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৩০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ঘুরে দাঁড়ানোর কৃতিত্ব কার? এই বছর কত টাকা নেট লাভ করেছে? প্রতিষ্ঠানটির ইকুইটি কি পজিটিভ না কি নেগেটিভ?

০১ লা নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:১১

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: ঘুরে দাড়াঁনোর কৃতিত্ব বর্তমান চেয়ারম্যান মহোদয়ের ।
..................................................................................
আপনি বোধহয় পুরোটা পড়েননি, ৬৫.৮১ কোটি টাকা বাণিজ্যিক বাংকে এফডিআর আকারে স্হিতি আছে ।
মানে যেখানে প্রতিষ্ঠানটির জমি বিক্রয় করে কর্মচারী বেতন প্রদানের প্রস্তাব ছিলো,
সেখানে এই অর্থ বৎসরে উৎসব ভাতা বোনস পেয়েছে ।

১১| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৩৯

কলাবাগান১ বলেছেন: মিল্ক ভিটাতে কি A1 A2 টাইপ দুধ নিয়ে কোন চিন্তা আছে?? না হলে আমার পোস্ট টা দেখুন....
A2 milk health effects
Health conscious people are increasingly using A2 type milk

০১ লা নভেম্বর, ২০২০ রাত ১:৪৯

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: আপনার এই প্রশ্নের যথাযথ উত্তর আমার জানা নেই,
মিল্কভিটায় অনেক ডিগ্রীধারী ডক্টর আছে,
তাদের সহিত আলোচনা করে সঠিক উত্তর দিতে পারব ।

..........................................................................................
তবে বর্তমানে নুতন যে দুধ বাজারে টোন্ড মিল্ক নামে বিক্রয় হচ্ছে
তা অত্যন্ত স্বাস্হ্য সম্মত।

১২| ০১ লা নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:০৪

নীল আকাশ বলেছেন: হঠাত মিল্কভিটা নিয়ে পোস্ট দিলেন কেন?

০১ লা নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৫২

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: দেশ এখন ভয়াবহ প্রতারনা, হানাহানি নৈতিক অবক্ষয়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে,
.........................................................................................................
কি সত্য, কি হচ্ছে আমার বা আপনার যদি জানার সুযোগ থাকে
তবে জনসাধারনকে সত্যটা তুলে ধরা সবার কর্তব্য ।
তাছাড়া আমি একজন দীর্ঘ দিনের সমবায়ী, সুতরাং অগ্রগতি ও পুষ্টির বিষয়টি
স্বাস্হ্যর জন্য দরকার, আর এই মিথ্যাচার যুগে আমরা বিভ্রান্ত , তাই বাস্তবতা কি
আমদের জানা উচিৎ ।

১৩| ০১ লা নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৪৬

নীল আকাশ বলেছেন: ও আচ্ছা। কেমন আছেন আপনি? অনেকদিন হলো কোন যোগাযোগ নেই আপনার সাথে!

০১ লা নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৫৪

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: বেশ কিছুদিন অসুস্হ ছিলাম
কিন্ত পরীক্ষা করে করোনা নেগেটিভ পেলাম
অতপর কমপ্লিট রেষ্ট ।

...........................................................................
এছাড়াও ব্যবসায়িক কাজের কারনে ঢাকার বাহিরে থাকলে
সামুতে আসা হয়না । আরও ২/৩টি লেখা ড্রাফটে রেখে সমাপ্ত
করা যায় নাই, শাররীক সুস্হতা প্রথম শর্ত , যেকোন কাজে
অংশগ্রহনের জন্য ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.