নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষের জীবন প্রতিদিন তার বেঁচে থাকার লাইসেন্স নবায়ন করে ।প্রকৃতি এটা নিয়ন্ত্রন করে,যেদিন নবায়ন হবেনা,সেদিন মৃত্যু অনিবার্য ।

স্বপ্নের শঙ্খচিল

আমার মনের মাঝে শঙ্খচিল ডানা মেলে প্রতিদিন,ভুলতে পারিনি সেই অভিমান আবার ফিরে আসা তোমার কাছে !

স্বপ্নের শঙ্খচিল › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার : দু-মিনিটের বেশী কথা বলা যাবে না !!!

০৫ ই নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:১৭



সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার : দু-মিনিটের বেশী কথা বলা যাবে না !!!

Poet Glick

২০২০ সালের সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন ,ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি সাহিত্যের অধ্যাপক এবং
রাইটার-ইন-রেসিডেন্স গ্লিক ।
কিন্ত মজার ব্যাপার হলো যে , তিনি কয়েকজন মাত্র পাঠকের মধ্যেই থাকতে চেয়েছেন । আধুনিক আমেরিকান সাহিত্যের
অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি লুইজ় গ্লিক (জন্ম- ১৯৪৩) প্রচারের আলোয় গিয়ে বহুপঠিত হতে চাননা।

নোবেল পুরস্কার পাওয়ার পর সুইডিশ অ্যাকাডেমির পক্ষ থেকে তাদের রীতি অনুযায়ী যখন ফোনে যোগাযোগ করে তাঁর প্রতিক্রিয়া চাওয়া হল, তখন শোনা গেল, কবি যথেষ্ট বিরক্ত— তাঁর ফোন বেজে চলেছে, তিনি তাঁর সকালের কফি সেবন করতে পারছেন না এবং বেশ রুক্ষ স্বরেই বললেন, দু’মিনিটের বেশি তিনি কথা বলতে পারবেন না।
নির্দিষ্ট সময় অতিক্রান্ত হয়ে যাওয়ায় ফোন রেখে দিলেন এই বলে যে, দু’মিনিট হয়ে গেছে, তাই তিনি কথা বলতে অপারগ!

এবারের ২০২০ সালের সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার এর পূর্বে প্রথম টোনি মরিসন, নোবেল পেয়েছিলেন ১৯৯৩ সালে। এরপর গ্লিক-ই প্রথম মহিলা আমেরিকান সাহিত্য-ব্যক্তিত্ব, যিনি নোবেল পেলেন।
নোবেল কমিটির সাইটেশন জানাচ্ছে, লুইজ় গ্লিক-কে এই পুরস্কার দেওয়া হল
‘for her unmistakable poetic voice that with austere beauty makes individual existence universal.

তাঁর স্বীকৃতি সর্বদা যেন তাঁকে অনুসরন করেছে : তিনি পুলিটসার পেয়েছেন, ন্যাশনাল বুক অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন,
ন্যাশনাল বুক ক্রিটিক সার্কেল অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন,
২০০৩-২০০৪ সময়কালে ছিলেন ইউএসএ-র পোয়েট লরিয়েট।
ওবামা প্রশাসন গ্লিক-কে সম্মানিত করেছিল ন্যাশনাল হিউম্যানিটিজ় মেডল-এ।



সুখ
এক নারী ও এক পুরুষ শুয়ে আছে সাদা বিছানায়।
ভোরবেলা। আমি ভাবি
শিগগির জেগে উঠবে তারা।
বিছানার পাশের টেবিলে ফুলদানি
লিলি ফুলের; এক চিলতে সূর্যালোক চুইয়ে পড়েছে তাদের গলায়।
আমি তাকে মেয়েটির দিকে পাশ ফিরতে দেখি
যেন তার নাম ধরে ডাকবে এখনই
তবে তা নিঃশব্দে, মেয়েটির মুখের গভীরে
জানালার কার্নিশে তখন
পাখি ডাকে,
একবার, দুইবার।
এবং তখন সেই নারী কেঁপে ওঠে; তার দেহ
ভরে ওঠে লোকটার নিশ্বাসে।
আমি চোখ খুলি, আমাকে দেখছ তুমি।
এ ঘরের একটু ওপরে
গড়িয়ে যাচ্ছে সূর্য।
তোমার মুখের দিকে দেখো, তুমি বললে,
একটা আয়না বানাতে আমার মুখের কাছে
তুলে ধরে তোমার নিজের মুখ।
কতো শান্ত তুমি। আর এক জ্বলন্ত চাকা
আমাদের ওপর দিয়ে আলতোভাবে গড়িয়ে চলেছে।
কবি : লুইজ এলিজাবেথ গ্লিক
.............................................................................................................................................................

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৪১

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংলায় লেখকের সংখ্যা অনেক।

০৬ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৩৫

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: বি ষয়টা সেরকম নয় ,
.................................................................
আমাদের দেশের কেউ নোবেল এর জন্য মনোনীত
হলে সারা দেশে বড় একটি ওয়েব প্রবাহিত হতো ।
সেখানে তিনি নোবেল কমিটিকে ২ মিনিটের বেশী সময় দেননি !!!

..............................................................................................
এবারের সাহিত্যে নোবেল প্রাপ্তি, নিশ্চয় কোন সংশয় নেই

২| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৫৮

সোহানী বলেছেন: ভালোলাগলো এমন শেয়ারিং এ। আমি এখনো উনার লিখা পড়িনি। কারন বই কেনা এখানে সম্ভব নয়। আর করোনার কারনে লাইব্রেরী বন্ধ। তাই নতুন কোন বই আনতে পারছি না। যদিও নিজের যা কালেকশানে আছে তাই এখনো শেষ করতে পারিনি.......

০৬ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪৯

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: সোহানী বলেছেন@: ভালোলাগলো এমন শেয়ারিং এ।
...................................................................................
শুনে অবশ্যই ভালো লাগল ।
আপনার জন্য আরকেটি কবিতা শেয়ার করলাম ।

ডুবে যাওয়া শিশুরা

দ্যাখো তুমি, ওদের কোনো বাছ-বিচার নেই
ওরা তো ডুববেই।
প্রথমে বরফের টানে ওরা নামবে­—
শেষমেষ ডুবে গেলে
মৃত্যু এসে ওদের নিশ্চুপ করে দেবে।
তারপর সমস্ত শীতকাল
উলের মাফলার ভেসে থাকবে পেছনে,
আর অন্ধকার হাতে পুকুর ওদের গুটিয়ে নেবে।
কিন্তু মরণ আসে অনেক ধারায়,
আগে থেকেই যেন ছিলো খুব কাছে।
যেহেতু সবসময় ওরা যুক্তির কাছে ঘেঁষেনি—থেকেছে নির্ভার।
তাই বাকিটা কেবল স্বপ্নের মতো­—
বাতি আর নরম সাদা কাপড়ে ঢাকা
পুরোটা টেবিল­—তাদের শরীর।
তবু এখনো তাদের নামগুলো শুনতে পায় তারা
যেন টোপগুলো পুকুরের ভেতরে পিছলে যাচ্ছে :
কীসের অপেক্ষায় আছো?
ঘরে ফেরো, ঘরে ফেরো,
সুস্থির এবং নীল জলের অতলে হারিয়ে যাও
অল হ্যালোজ
এমনকি এখন দৃশ্যগুলো মিলিয়ে যাচ্ছে
অন্ধকার নেমে পড়ছে পাহাড়ে,
ষাঁড়গুলো নুয়ে পড়ছে নীল জোয়ালে।
মাঠগুলো যেন গুছিয়ে রাখা।
নতুন দাঁতের মতো উঠছে চাঁদ
আর
চারপাশে ফুটেছে হলুদ সিঙ্কফয়েল—
তার ভেতর পথের সীমানায়
সারি সারি আটি গাদা করে বাঁধা।
ফসলের বিরানকাল আসে এভাবে,
যেনবা মড়ক লেগেছে।
মহিলারা জানালায় ঝুঁকে এসে বাড়াচ্ছে হাত
কিছু পাওয়ার আশায়—
আর শস্যের সোনালি রঙ ডাকছে তাদের
এদিকে এসো—এসো এদিকে
গাছ থেকে তারা বেরিয়ে আসে শিরশির করে।

৩| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: গত কয়েক বছর ধরে সাহিত্য নিয়ে নোবেল কমিটি ফাজলামো করছে।

০৬ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৩৭

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: তিনি নোবেল কমিটিকে ২ মিনিটের বেশী সময় দেননি !!!
..............................................................................................
এবারের সাহিত্যে নোবেল প্রাপ্তি, নিশ্চয় কোন সংশয় নেই !!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.