নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষের জীবন প্রতিদিন তার বেঁচে থাকার লাইসেন্স নবায়ন করে ।প্রকৃতি এটা নিয়ন্ত্রন করে,যেদিন নবায়ন হবেনা,সেদিন মৃত্যু অনিবার্য ।

স্বপ্নের শঙ্খচিল

আমার মনের মাঝে শঙ্খচিল ডানা মেলে প্রতিদিন,ভুলতে পারিনি সেই অভিমান আবার ফিরে আসা তোমার কাছে !

স্বপ্নের শঙ্খচিল › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভ্যাকসিন : করোনার প্রতিরোধ যুদ্ধ শুরু !

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৩:২৫

ভ্যাকসিন : করোনার প্রতিরোধ যুদ্ধ শুরু !



সর্বপ্রথম স্টাফ নার্স রুনু ভেরোনিকা কস্তা আজ টিকা গ্রহনের মাধ্যমে করোনা মহামারীর
সাথে সাথে বাংলাদেশের ইতিহাসেও ঢুকে পড়ল ।


প্রথম দিনে ৩২ জনকে টিকা দেওয়ার কথা থাকলেও বয়স ও শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় ছয়জনকে টিকা দেওয়া হয়নি।
২৬ জনকে করোনার টিকা দেওয়ার মাধ্যমে করোনা প্রতিরোধ যুদ্ধ শুরু হলো ।
ভ্যাকসিন নিয়ে প্রচুর বিতর্ক চলছে এবং করোনাকে প্রতিরোধ করার উপায় খুজঁছে ।
কিন্ত সারাবিশ্বে এখন পর্যন্ত কোন নির্ভরযোগ্য বিশেষজ্ঞ খুঁজে পাওয়া যায় নাই ।
অনুমান বিশ্লেষন আর টেষ্টের মাঝ দিয়ে আমরা অতিক্রম করছি যা আনুমানিক আরও দুই বৎসর পর্যন্ত বহন করতে হবে ।
ভ্যাকসিন / টিকা নিয়ে সারা বিশ্বে অর্থনীতি আর রাজনীতি কতদুর যাবে তা পর্যবেক্ষণ করার বিষয় বটে ।
মহামারীর এই দু:খজনক সময়ে ও আমরা বিভিন্ন প্রশ্নে বিভক্ত হয়ে পড়েছি, তারপরও
আসুন কিছু তথ্যমুলক বিষয় দিয়ে করোনা ও ভ্যাকসিনকে বুঝতে চেষ্টা করি ।
................................................................................................................................................................

স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্র বলছে ,৭ ফেব্রুয়ারি থেকে সারা দেশে একযোগে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হবে।
এই কার্যক্রমে যারা নিবন্ধন করতে পারবেন- বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ী সব সরকারি ও বেসরকারি স্বাস্থ্যকর্মী; বীরমুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনা; আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী; সামরিক ও আধা-সামরিক বাহিনীর সদস্য; রাষ্ট্র পরিচালনার নিমিত্ত অপরিহার্য কর্মকর্তা-কর্মচারী; গণমাধ্যমকর্মী; নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি; ধর্মীয় প্রতিনিধিগণ (সব ধর্মের); মরদেহ সৎকার কার্যে নিয়োজিত ব্যক্তি; জরুরি বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী; রেল, বিমান ও নৌ-বন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারী; ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারী; প্রবাসী অদক্ষ শ্রমিক; জাতীয় দলের খেলোয়াড়; ফাস্ট ট্র্যাকভুক্ত প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিক এবং ৫৫ বছর ও তদূর্ধ্ব সব নাগরিক অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের জন্য সুরক্ষা অ্যাপে (surokkha.gov.bd) অনলাইন নিবন্ধন করতে পারবেন।

কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন নিবন্ধনের অবস্থা জানুন :
ফরমে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ও জন্ম তারিখ (জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী) প্রদান করে
"যাচাই করুণ" বাটনে ক্লিক করলে নিবন্ধনের সময় প্রদানকৃত মোবাইল নম্বরে একটি OTP কোড SMS এর
মাধ্যমে পাঠানো হবে, তা পরবর্তী OTP কোড ঘরে প্রদান করে "''স্ট্যাটাস যাচাই" বাটনে ক্লিক করলে স্ট্যাটাস জানা যাবে।

কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন বিষয়ক সচরাচর জিজ্ঞাসা

নিবন্ধনের শেষ পর্যায়ে OTP পাই নাই করণীয় কি?

আপনি OTP পুনরায় পাঠাতে পারেন। ভুলবশত OTP প্রদানের স্ক্রিনটি বন্ধ করে দিলে পুনরায় নিবন্ধন প্রক্রিয়া করতে পারবেন।
কোভিড-১৯ করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের জন্য নিবন্ধন করতে ইচ্ছুক, কিভাবে অনলাইনে নিবন্ধন করব?
www.surokkha.gov.bd ওয়েব পোর্টালে প্রবেশ করে অথবা গুগল প্লে স্টোর থেকে “সুরক্ষা” অ্যাপটি ডাউনলোড করে নিবন্ধন করতে পারবেন। বিস্তারিত ওয়েব পোর্টালে "সহায়িকা" দেখুন।
আমি অনলাইনে ভ্যাকসিনের জন্য নিবন্ধন করেছি, এখন আমার পরবর্তী করনীয় কি?
www.surokkha.gov.bd ওয়েব পোর্টাল হতে ভ্যাকসিন কার্ড সংগ্রহ করুণ। পরবর্তীতে মোবাইল ফোনে SMS এর মাধ্যমে ভ্যাকসিনের তারিখ ও কেন্দ্র জানানো হবে।
কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের জন্য নিবন্ধন পরবর্তী অবস্থা অনলাইনে কিভাবে যাচাই করব?
www.surokkha.gov.bd ওয়েব পোর্টালে "নিবন্ধন স্ট্যাটাস" মেনু হতে জাতীয় পরিচয়পত্র ও মোবাইল নম্বর যাচাইপূর্বক নিবন্ধনের অবস্থা জানতে পারবেন।
কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন গ্রহণের জন্য ভ্যাকসিন কার্ড কিভাবে পেতে পারি?
www.surokkha.gov.bd ওয়েব পোর্টালে "টিকা কার্ড সংগ্রহ" মেনু হতে জাতীয় পরিচয়পত্র ও মোবাইল নম্বর যাচাইপূর্বক ভ্যাকসিন কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন।
ভ্যাকসিন গ্রহণের জন্য কেন্দ্র ও তারিখ সম্পর্কে কিভাবে জানবো?
সফলভাবে ভ্যাকসিনের জন্য নিবন্ধন সম্পন্ন হওয়ার পর পরবর্তী সময়ে মোবাইল ফোনে SMS এর মাধ্যমে ভ্যাকসিনের তারিখ ও কেন্দ্র জানানো হবে।
কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিনের কয়টি ডোজ গ্রহণ করতে হবে?
কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিনের দুইটি ডোজ গ্রহণ করতে হবে।
কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন সম্পন্ন হওয়ার পর ভ্যাকসিন সনদ কিভাবে পেতে পারি?
কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিনের দুইটি ডোজ সম্পন্ন হওয়ার পর http://www.surokkha.gov.bd ওয়েব পোর্টালে "টিকা সনদ সংগ্রহ" মেনু হতে জাতীয় পরিচয়পত্র ও মোবাইল নম্বর যাচাইপূর্বক ভ্যাকসিন সনদ সংগ্রহ করতে পারবেন।
কোভিড-১৯ টিকা কাদের দেওয়া হবে?
জাতীয় কোভিড-১৯ টিকাদান ও কর্ম পরিকল্পনা অনুসারে অগ্রাধিকার ভিত্তিক তালিকা অনুযায়ী সকলকে টিকা দেয়া হবে।
প্রশ্ন হলো যে, দাদার বয়স ৭০ বছর কিন্তু প্যারালাইজড বিছানা থেকে উঠতে পারেন না, কীভাবে আমার দাদা টিকা পাবে?
কোভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রমে সেবাদান কেন্দ্রভিত্তিক, তাই উদ্দিষ্ট ব্যক্তিকে টিকাদান কেন্দ্রে এসে টিকা গ্রহণ করতে হবে।
এই ক্যাম্পেইনে কাদের টিকা দেওয়া যাবে না?
রেজিস্ট্রেশনকৃত/লাইন লিস্টিং-এর অর্ন্তভুক্ত তালিকার উদ্দিষ্ট জনগোষ্ঠী ছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তিকে কোভিড টিকা দেয়া যাবে না। ১৮ বছরের নীচে, গর্ভবতী মা এবং দুগ্ধদানকারী মা, অসুস্থ ও হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ব্যক্তি। পরবর্তীতে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নির্ধারিত টিকাদান কেন্দ্র থেকে টিকা নিতে অনুরোধ করতে হবে। ব্যক্তির ইচ্ছার বিরুদ্ধে টিকা দেয়া যাবে না।
প্রশ্ন থাকল যে , গর্ভবর্তী মহিলা কি এই টিকা পাবে?
গর্ভবতী মহিলাদের আপাতত কোভিড-১৯ টিকা প্রদান করা হবে না।
এনআইডি কার্ড হারিয়ে গেছে কীভাবে রেজিস্ট্রেশন করব?
এনআইডি বা জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে অননাইন রেজিস্ট্রেশনে অর্ন্তভুক্ত করে এই কোভিড-১৯ টিকার আওতায় আনা হবে। কোভিড-১৯ টিকা পর্যায়ক্রমে সকলকেই দেয়া হবে। তাই পরবর্তীতে এনআইডি বা জাতীয় পরিচয়পত্রসহ আসুন।
টিকাদান কার্ড আনি নাই, মোবাইলে কোনো তথ্য দেখা যাচ্ছে না; এখন কী করব?
টিকাদানকর্মী তাঁকে কার্ডটি পুনরায় প্রিন্ট করে নিয়ে আসতে অনুরোধ করবেন
ইতোমধ্যে কোভিড-১৯ হয়েছিল। চিকিৎসার পর ভালো হয়েছে, কোভিড-১৯ টিকা পাব কি?
অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে তালিকাভুক্ত হলে কোভিড-১৯ টিকা প্রদান করা হবে।
২৮ বছর বয়সী ৫ মাসের গর্ভবতী। সে কোভিড হাসপাতালে চাকরি করে; কোভিড-১৯ টিকা পাবে কি?
গর্ভবতী মহিলাদের উপর কোভিড-১৯ টিকার প্রভাব নিশ্চিত না হওয়ায় গর্ভবতী মহিলাদের আপাতত কোভিড-১৯ টিকা প্রদান করা হবে না।
একজন ফ্রর্টলাইন ওয়ার্কার। উনি কাজ শেষে প্রতিদিন বাসায় যান। তাহলে বাসার সবাই কি এই টিকা পাবেন?
শুধু অগ্রাধিকারের তালিকার ভিত্তিতে টিকা প্রদান করা হবে।
টিকাদান চলাকালীন অন্য কেন্দ্রের/এলাকার কোনো ব্যক্তি যদি টিকা নিতে আসে, তবে তাকে টিকা দেওয়া যাবে কিনা?
সে যদি নির্দিষ্ট ঐ তারিখের টিকা প্রাপ্তির তালিকার অর্ন্তভুক্ত হন তবে টিকা দেয়া যাবে। টিকাদানকর্মী অবশ্যই অনলাইনে হালনাগাদ করবেন।
প্রতিদিন প্রেসারের ঔষধ খেতে হয়; টিকা দেওয়া যাবে কি?
অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে তালিকাভুক্ত হলে কোভিড-১৯ টিকা প্রদান করা হবে।
পনেরো দিন আগে হার্টের অপারেশন হয়েছে; টিকা দেওয়া যাবে কিনা?
সুস্থ হলে এবং অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে তালিকাভুক্ত হলে কোভিড-১৯ টিকা প্রদান করা হবে।
এই টিকার কি কোনো পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া রয়েছে?
অন্য সকল ঔষধ কিংবা টিকার মতো এই টিকারও কিছু পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়ার সম্ভাবনা আছে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সেগুলো খুবই মৃদু হয়ে থাকে যেমন - টিকার স্থানে ব্যথা, ফোলা, লালচে ভাব, মাংশপেশী ও অস্থিসন্ধিতে ব্যথা, দুর্বলতা, বমি বমি ভাব, জ্বর, ক্লান্তি ইত্যাদি। ক্লিনিকাল ট্রায়াল হতে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী এখনও পর্যন্ত মারাত্মক কোন পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জানা যায়নি। তবে আপনার যে কোন সমস্যা হলে অবশ্যই দ্রুত নিকটস্থ হাসপাতালে যান এবং চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহন করুন।

অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৭০ লক্ষ টিকার মজুদ এখন বাংলাদেশে আছে যা অনেক দেশও সংগ্রহ করতে পারে নাই। টিকার জন্য সরকার ১ হাজার কোটি টাকা আলাদা বরাদ্দ রেখেছিল। প্রধানমন্ত্রী সংসদে বলেন দেশের মানুষের সুরক্ষাটাই আমাদের লক্ষ্য। , প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ১ কোটি ৬৯ লাখ ৩৭ হাজার ৯৭৩ জনকে করোনার টিকা দেওয়া হবে। সেরাম ইনস্টিটিউট সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী আগামী ছয় মাসের মধ্যে সব টিকা পাওয়া যাবে। এর বাইরে প্রয়োজন অনুযায়ী আরও টিকা কেনার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। সরকার প্রধান জানান, বিভিন্ন দেশ, বহুপক্ষীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এমডিবি) ও জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা থেকে কভিড-১৯ মোকাবিলায় ১ হাজার ৮১৭ মিলিয়ন ডলারের প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ঋণ সুবিধা ১ হাজার ৬৪০ মিলিয়ন ডলার এবং অনুদান ১৭৭ দশমিক ৩৬ মিলিয়ন। এসব প্রতিশ্রুতির মধ্যে ১ হাজার ৫২০ দশমিক ৬৬ মিলিয়ন ডলার অর্থ ছাড় হয়েছে। কভিড-১৯ মোকাবিলায় আগামীতে বিশ্বব্যাংক, এডিবি ও ফ্রান্সের কাছ থেকে ১ হাজার ৯১৮ মিলিয়ন ডলার সহায়তা পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
মে-জুনের মধ্যে কোভ্যাক্সের ভ্যাকসিন চলে আসবে । টিকা গ্রহণ করে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা বলেন, ‘টিকা নিয়ে অনেকে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। তাদের ভুল প্রমাণ করতেই আমি টিকা নিয়েছি। টিকা নেওয়ার ১৫ মিনিট পরেই আমি এসে আপনাদের সঙ্গে কথা বলছি। টিকা নিয়ে অযথা আতঙ্কিত না হয়ে মানসিকভাবে উজ্জীবীত থাকতে হবে।’ টিকা গ্রহণ করেছেন মানসের প্রতিষ্ঠাতা মুক্তিযোদ্ধা ডা. অরূপ রতন চৌধুরী। তিনি বলেন, টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে অযথা চিন্তার কোনো কারণ নেই। আমি টিকা নিয়েছি আপনারাও নিন।’ টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া যাচাইয়ে আজ পাঁচটি হাসপাতালের ৪০০ থেকে ৫০০ জন স্বাস্থ্যকর্মীকে টিকা দেওয়া হবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে টিকা দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। তাদের টিকা দেওয়ার পর এক সপ্তাহ পর্যবেক্ষণ করা হবে। এরপর আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে শুরু হবে টিকাদান কমর্সূচি।

আজ সংসদে ভ্যাকসিন নিয়ে সরকারের পরিকল্পনাসমূহও তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন,
অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে ভ্যাকসিনপ্রাপ্তদের কোভিড-১৯ স্বাস্থ্যসেবায় সরাসরি সম্পৃক্ত সব সরকারি স্বাস্থ্যকর্মী ৪ লাখ ৫২ হাজার ২৭ জন টিকা পাবেন। একইসঙ্গে ভ্যাকসিন বিতরণের প্রথম পর্যায়ে দেশের জনসংখ্যার মোট ১ কোটি ৫০ লাখ (৮.৬৮ %) লোককে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে ২ ডোজ করে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।
পর্যায়ক্রমে যাদের ভ্যাকসিন দেয়া হবে তারা হলেন- কোভিড-১৯ স্বাস্থ্যসেবায় সরাসরি সম্পৃক্ত সব অনুমোদিত বেসরকারি ৬ লাখ স্বাস্থ্যকর্মী, দুই লাখ ১০ হাজার বীর মুক্তিযোদ্ধা, সম্মুখসারির আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাঁচ লাখ ৪৬ হাজার ৬২০ জন সদস্য, সামরিক ও বেসামরিক প্রতিরক্ষা বাহিনীর ৩ লাখ ৬০ হাজার ৯১৩ জন সদস্য, রাষ্ট্র পরিচালনায় অপরিহার্য কার্যালয়ে কর্মরত ৫০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী, সম্মুখসারির গণমাধ্যমকর্মী ৫০ হাজার, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ১ লাখ ৭৮ হাজার ২৯৮, সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার সম্মুখসারির কর্মচারী ১ লাখ ৫০ হাজার, ৫ লাখ ৪১ হাজার ধর্মীয় প্রতিনিধি। মৃতদেহ সৎকার কাজে নিয়োজিত ৭৫ হাজার ব্যক্তি, জরুরি পানি, গ্যাস, পয়ঃনিষ্কাশন, বিদ্যুৎ, ফায়ার সার্ভিস ও পরিবহন কর্মচারী ৪ লাখ, স্থল, নৌ ও বিমানবন্দর কর্মী ১ লাখ ৫০ হাজার, প্রবাসী অদক্ষ শ্রমিক ১ লাখ ২০ হাজার, জেলা ও উপজেলাসমূহে জরুরি জনসেবায় সম্পৃক্ত সরকারি কর্মচারী ৪ লাখ, ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারী ১ লাখ ৯৭ হাজার ৬২১, স্বল্প রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জনগোষ্ঠী (যক্ষ্মা, এইডস ও ক্যান্সার রোগী) ৬ লাখ ২৫ হাজার, ৬৪ থেকে ৭৯ বছর বয়স্ক জনগোষ্ঠী ১ কোটি ৩ লাখ ২৬ হাজার ৬৫৮, ৮০ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়স্ক জনগোষ্ঠী ১৩ লাখ ১২ হাজার ৯৭৩, জাতীয় দলের খেলোয়াড় (ফুটবল, ক্রিকেট, হকি ইত্যাদি) ২১ হাজার ৮৬৩, বাফার, ইমার্জেন্সি, আউটব্রেক ১ লাখ ৭০ হাজার জন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ডাব্লিওএইচও’র কোভাক্স সুবিধা থেকে তার জনসংখ্যার ২০ শতাংশ অর্থাৎ ৩.৪০ কোটি লোকের জন্য ৬.৮০ কোটি টিকা পাবে।
দেশের ৬৪টি জেলা ইপিআই স্টোর এবং ৪৮৩টি উপজেলা ইপিআই স্টোরে এ ভ্যাকসিন সংরক্ষণ করা হবে।
চুক্তি অনুযায়ী ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে প্রাপ্ত ৩ কোটি বা ততোধিক ডোজ ভ্যাকসিন ছয়টি ধাপে সরাসরি বাংলাদেশের নির্ধারিত জেলার ইপিআই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

উপরোক্ত তথ্য বিশ্লেষন করলে স্পষ্টত বুঝা যায় যে, টিকা নিয়ে জনমনে প্রচুর শন্কা ও বিভ্রান্তি আছে ।
এর কারন সমূহ কি কি হতে পারে ?
১) পুঁজিবাদী সমাজ ব্যবস্হার কারনে সারা বিশ্ব একক গ্রহনযোগ্য কোন ভ্যাকসিন জনসাধারনকে দিতে পারলনা ।
২) বাজারে এখন পর্যন্ত ৩/৪টি ভ্যাকসিন বিক্রয়ের লক্ষ্যে দৌড়ঝাঁপ করছে, কিন্ত কোন প্রতিষ্ঠানই পর্যাপ্ত পরীক্ষা
নীরিক্ষার সময় ব্যয় না করে, প্রয়োজনীয় মান রক্ষার চেষ্টা না করে বিভিন্ন দেশে বিক্রয় শুরু করা ।
৩) ফাইজার, মর্ডানা বা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার রক্ষনাবেক্ষন,প্রয়োগ ও ফলোআপ ভিন্ন ভিন্ন থাকায় বিভ্রান্তির
মধ্যদিয়ে আমরা সময় অতিক্রান্ত করছি ।
৪) সরকার যে ব্যবস্হাপনার মধ্যদিয়ে জনগনকে টিকা দিতে চাচ্ছেন , তার দক্ষতা ও ব্যবস্হাপনা কতটুকু নিখূঁত
আর ভারত থেকে আসা টিকার মান কতটুকু গ্রহনযোগ্য তা জানতে চায় ।
৫) তথ্য বলছে যে টিকা আমরা এখন গ্রহন করতে যাচ্ছি তার কোন ট্রায়াল বাংলাদেশে হয় নাই । দেশ ও জাতি
ভেদে , টিকা ওষুধ ভিন্ন ভিন্ন হয়, অথচ সরকার এই টিকার কোন ট্রায়াল ব্যবস্হা কেন করল না ?
৬) কোন কোন টিকার সংরক্ষন ব্যবস্হায় ১৭ ডিগ্রী মাইনাসে রাখতে হয়, অথচ বলা হচ্ছে এই টিকা ২ থেকে ৮
ডিগ্রী সেলসিয়াসে রাখা যাবে ।
৭) ভ্যাকসিন নেবার পরপরই ভারতে তিনজনের শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। শরীরের বিভিন্ন অংশে অ্যালার্জিও বের হয়।
এই ঘটনার পরই টিকাকরণ বন্ধ করে দেওয়া হয় দুর্গাপুরে ।
সে কারনে ভারত থেকে আসা টিকার প্রতি বাংলাদেশে আস্হা পাচ্ছেনা ।


বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কনক কান্তি বড়ুয়া করোনাভাইরাসের টিকা নিয়েছেন।

৮) জানুয়ারি মাসের ২৩ তারিখ পর্যন্ত বিশ্বের ছয় কোটি মানুষকে করোনা ভ্যাকসিনের একটি ডোজ দেয়া হয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন দেশে টিকাদান শুরু হলেও বেশ কিছু বিষয় এখনও অমীমাংসিত রয়ে গেছে।এখনও জানা যায়নি যে ভ্যাকসিন কত দিন পর্যন্ত কার্যকর থাকবে অথবা করোনার যেসব নতুন রূপ দেখা গেছে এসব ভ্যাকসিন দিয়ে আদৌ তাদের প্রতিহত করা যাবে কিনা। মানব ইতিহাসে সবচেয়ে বড় টিকাদান কর্মসূচি বিশ্বে চালু হলেও চারটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের জবাব এখনও পাওয়া যায়নি।

ক). ভ্যাকসিন কতদিন পর্যন্ত রোগ প্রতিরোধ করবে?
গত ক'মাস ধরেই অনেকের মনে একটাই ভাবনা: ভ্যাকসিন কীভাবে পাওয়া যাবে, আর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর
আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বা ইমিউনিটি কি বেড়েছে? মহামারি শুরু হওয়ার এক বছর পর মধ্যম এবং দীর্ঘ মেয়াদে ইমিউনিটির
ওপর প্রথম গবেষণার ফলাফল ইতিমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে।কিন্তু এসব গবেষণার একটা সীমাবদ্ধতা হচ্ছে ভ্যাকসিন তৈরিতে
অনেকটা সময় লেগে যাওয়ার কারণে মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব সম্পর্কে খুব একটা জানা যায় না।

তবে ক্যালিফোর্নিয়ার লা জোলা ইন্সটিটিউট অফ ইমিউনোলজির মতে, করোনার সংক্রমণ থেকে সেরে ওঠার পর অন্ত:ত প্রায় ছ'মাস
সময় পর্যন্ত রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা মানবদেহে থেকে যায়।

ইংল্যান্ডের জনস্বাস্থ্য বিভাগের গবেষণাতেও একই ফলাফল দেখা গেছে। তারা বলছে, কোভিড থেকে সেরে ওঠার বেশিরভাগ রোগী
অন্তত পাঁচ মাস আবার সংক্রমণের ঝুঁকি থেকে মুক্ত থাকবেন।তবে প্রথম সংক্রমণের ঘটনা যেহেতু পাঁচ মাসের খুব বেশি আগে
ঘটেনি, তাই কিছু বিজ্ঞানী মনে করছেন ইমিউনিটি থেকে যাবে বহুদিন, সম্ভবত কয়েক বছর।কিন্তু একথা ঠিক যে সব রোগীর
ক্ষেত্রে একই ব্যাপার ঘটবে না। কারণ প্রত্যেকের রোগ প্রতিরোধ শক্তি ভিন্ন এবং আবার সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা এর ওপর
অনেকাংশেই নির্ভর করে।একই ধরনের ব্যাপার ঘটবে ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে।

"ইমিউনিটি আসলে কতদিন থাকবে এটা বলা বেশ কঠিন," বলছেন ব্রিটেনের লেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরোলজিস্ট ড. জুলিয়ান
ট্যাং, "কারণ আমরা মাত্রই টিকা দিতে শুরু করেছি। তার তার ফল একেক রোগীর ওপর একেক ভাবে পড়বে। কী ধরনের
ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হচ্ছে সেটার ওপরও অনেক কিছু নির্ভর করছে। তবে ইমিউনিটি সম্ভবত ছ'মাস থেকে এক বছর পর্যন্ত
থাকতে পারে।"তবে যুক্তরাষ্ট্রের মেয়ো ক্লিনিকের অধ্যাপক ড. অ্যান্ড্রু ব্যাডলি আরও বেশি আশাবাদী। তিনি বলছেন,
"আমি নিশ্চিত যে ভ্যাকসিনের প্রভাব এবং ইমিউনিটি কয়েক বছর ধরে রয়ে যাবে।"ভ্যাকসিন প্রয়োগের পর রোগী কী অবস্থা হয়
এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার কী হয় তা বিশদভাবে পর্যালোচনা আরও দীর্ঘদিন চলবে ।"

খ). ভ্যাকসিন নেয়ার পরও কি করোনাভাইরাস হতে পারে?

উত্তরটা হলো হ্যাঁ, এটা হতে পারে, এবং তার পেছনে রয়েছে বেশ কয়েকটি কারণ।
প্রথম কারণটি হচ্ছে, আপনি যে ধরনের ভ্যাকসিনই নেন না কেন, বেশিরভাগ ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে প্রথম ডোজ নেয়ার
দুই থেকে তিন সপ্তাহ পর সেটি কাজ করতে শুরু করে।

"টিকা নেয়ার পরের দিন বা এক সপ্তাহ পর যদি ভাইরাস আপনার দেহে ঢোকে, তাহলেও আপনি সংক্রমণের ঝুঁকিতে পড়ে
যাবেন, এবং অন্যদের সংক্রমিত করবেন," বলেন ড. ট্যাং।
আবার, টিকার দুটি ডোজ নেয়ার কয়েক সপ্তাহ পরও কেউ করোনায় আক্রান্ত হতে পারে।

"আমাদের হাতে যেসব উপাত্ত আছে তা থেকে দেখা যাচ্ছে, কিছু মানুষ ভ্যাকসিন নেয়ার পরও সংক্রমিত হতে পারেন। তবে
যারা ভ্যাকসিন একেবারেই নেননি তাদের তুলনায় এরা কম অসুস্থ হবেন, এবং তাদের দেহে ভাইরাসের মাত্রাও থাকবে
অনেক কম," বলছিলেন ড. ব্যাডলি।"আমার ধারণা একই ভাবে ভ্যাকসিন নেয়ার পর এক দেহ থেকে অন্য দেহে ভাইরাস
ছড়ানোও বেশ কঠিন হয়ে পড়বে।"

"এটা খুবই এক ভিন্নধর্মী ভাইরাস এবং একে জনের দেহে এর প্রভাব একেক রকম," বলছেন স্পেনের মাদ্রিদ বিশ্ববিদ্যালয়ের
জৈব রসায়ন ও আণবিক জীববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক হোসে মানুয়েল বাওটিস্টা।

সুতরাং, দেখা যাচ্ছে করোনা ভ্যাকসিন উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষকে কার্যকর-ভাবে সুরক্ষা দিতে পারবে তা নিয়ে খুব একটা মতভেদ নেই। তবে সংক্রমণ প্রতিরোধ এবং জীবাণু বিস্তার ঠেকাতে ভ্যাকসিন কতখানি সক্ষম হবে তা এখনই জানা যাচ্ছে না।
"ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রেও একই ব্যাপার ঘটবে। কারও কারো দেহে জোরালো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দেখা দেবে যার ফলে তাদের দেহে ভাইরাসের বংশবৃদ্ধি ঘটবে না। কিন্তু অন্যদের ক্ষেত্রে সেটা ঘটবে দুর্বলভাবে, এবং কিছু বংশবৃদ্ধি আর সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার ঘটনা ঘটবে।"


গ). করোনা ভাইরাসের নতুন ধরন থেকে ভ্যাকসিন কি সুরক্ষা দেবে?

এটা নিয়ে একটা উদ্বেগ রয়েছে। ভাইরাস অনবরত তার রূপ পরিবর্তন করে। কখনও কখনও সেই পরিবর্তন এমনই হয় যে তা ভ্যাকসিনকে রোধ করার ক্ষমতা অর্জন করে। ফলে তাদের ঠেকাতে হলে ভ্যাকসিনেও পরিবর্তন আনতে হয়।
দক্ষিণ আফ্রিকা কিংবা ব্রিটেনে করোনার যে নতুন ধরন পাওয়া গিয়েছে সেগুলো ইতোমধ্যেই অন্য দেশে ছড়িয়ে পড়েছে।
এই দুটি নতুন ধরনের করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ক্ষমতাও অনেক বেশি বলে দেখা যাচ্ছে।

মডার্না গত সোমবার ঘোষণা করেছে যে তাদের তৈরি ভ্যাকসিন ব্রিটেন এবং দক্ষিণ আফ্রিকার ধরনের করোনার জীবাণুকে প্রতিরোধ করতে সক্ষম। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার ক্ষেত্রে একটি অতিরিক্ত ভ্যাকসিন তৈরি করতে হবে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়িয়ে দেবে।
ফাইজার/বায়োনটেকও দাবি করছে যে তাদের ভ্যাকসিন করোনার নতুন রূপকে ঠেকাতে পারে।

"একইভাবে বিবেচনায় নিতে হবে যে অনুমোদিত ভ্যাকসিনগুলো বেশ কার্যকর হলেও করোনার মূল জীবাণুর বিরুদ্ধে এটা ১০০% সুরক্ষা দিতে পারবে না, নতুন ধরনের করোনার বিরুদ্ধে তো নয়ই," বলছেন ড. ব্যাডলি।
ড. ট্যাং বলছেন, "ভ্যাকসিনের সুরক্ষা মূলত নির্ভর করবে নতুন ধরনের করোনা আসলটির চেয়ে কতোটা ভিন্ন তার ওপর।"

আসল কথা হলো, নতুন ধরনের করোনা তৈরি হচ্ছে কিনা তার ওপর বিভিন্ন দেশের সরকার ও স্বাস্থ্য বিভাগকে নজর রাখতে হবে,
এবং দেখতে হবে এদের ওপর ভ্যাকসিন ব্যবহারে আসলে কাজ হচ্ছে কিনা।


ঘ). ভ্যাকসিনের ক'টি ডোজ, কতদিন ধরে দিতে হবে?

ফাইজার, মডার্না এবং অক্সফোর্ড/অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকায় দিতে হবে দুটি ডোজ।
প্রথম দিকে যখন ভ্যাকসিনের ট্রায়াল চলছিল তখন বলা হয়েছিল, প্রথম ডোজের তিন থেকে চার সপ্তাহ পরে দ্বিতীয় ডোজটি নিতে হবে।
কিন্তু ২০২০ সালের শেষের দিকে ব্রিটেন ঘোষণা করে যে বেশিরভাগ লোককে প্রথম ডোজের টিকা দেয়ার স্বার্থে তারা তিন মাস পরে দ্বিতীয় ডোজটি দেবে।
এই ঘোষণার পর টিকা দেয়ার সর্বোত্তম উপায় নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে শুরু হয় বিতর্ক।
কিন্তু ফাইজার এবং অন্যান্য বিজ্ঞানীরা বলেন যে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে যেটা সবচেয়ে কার্যকর বলে দেখা গেছে তা হলো: আজ
যদি প্রথম ডোজ দেয়া হয়ে তাহলে দ্বিতীয় ডোজটি দিতে হবে ঠিক ২১ দিনের মাথায়।

এনিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও তাদের মতামত জানিয়েছে। তাদের পরামর্শ: ২১ থেকে ২৮ দিনের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ প্রয়োগ করতে হবে।
তবে তারা একথাও বলেছে যে ব্যতিক্রমী পরিস্থিতিতে এটা সর্বোচ্চ ছয় সপ্তাহ বাড়ানো যেতে পারে।সূত্র: বিবিসি বাংলা

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৯:১৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি ৫০০ টাকা দিলে, আপনার পোষ্ট পড়ে দেখতে পারি।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:২৯

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: হাঁ হাঁ হাঁ
.........................................................
ব্লগে কবে এটা চালু হলো, তাহলে এতদিন
আপনার ব্লগে যতবার পড়েছি ততবার ৫০০
করে অনেক টাকা পাঠায়ে দিন ! ( আনুমানিক ১,৫০,০০০.০০)
ও হ্যাঁ ওখান থেকে ৫০০ টাকা রেখে পড়তে থাকুন ।

২| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:৫৪

রাজীব নুর বলেছেন: কিছু লোকজন ভ্যাক্সিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে বড় চিন্তিত! শেষ অবধি, বাংলাদেশের বেশীর ভাগ মানুষের টিকা নেয়া হবে না, হয়তো। আমি ভ্যাক্সিন নিচ্ছিনা -এটা নিশ্চিত।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৩৩

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: ভ্যাকসিনের কার্যক্রম চলতে থাকুক,
এর অবস্হান ভালো হলে , একসময় দেখবেন জনগন
হামলে পড়বে ।

..................................................................................
সরকার তার দ্বায়িত্ব পালন করছে , আম-জনতার কাজ হলো
নিজ প্রয়োজনটাকি জেনে নেয়া, কখন তাকে টিকা নিতে হবে
সেটা নিজেই তা নির্ধারন করবেন ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.