![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাদের দেশে কি এমনই একটি সরকার গঠনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে যে,জনগন যাকেই পছন্দ করুক না কেন, বা জনগন যাকেই ভোট দিক না কেন, সরকার গঠন করবে দেশের বাইরের কোন রাষ্ট্রের পছন্দের কোন দল ? না হলে রাজনৈতিক সংকট মূলত আমাদের প্রধান দুই রাজনৈতিকদলের দুই প্রধানের জীবনের হয়ত শেষবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ হাতছাড়া না করার দ্বন্ধকে কেন্দ্র করে, কিন্ত দেখা যাচ্ছে যে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকট নিরসনের জন্য বড় বড় দেশের কূটনৈতিক,উপমন্ত্রীগন বার বার শুধু দিল্লী দৌড়ঝাপ করছেন !তাহলে কি যে কারোর মনেই প্রশ্ন জাগতে পারে না যে, আমাদের রাজনৈতিক সংকটের উৎপত্তিস্থল কি দেশের বাইরের কোন রাষ্ট্রে ? মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তো প্রকাশ্যেই তার দেশের কূটনৈতিকদের দিল্লীর সাথে যোগাযোগ বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে বুঝিয়ে-শুনিয়ে দিল্লীকে রাজি করানো যায়, বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকটের একটি শান্তিপূর্ন সমাধানের জন্য এবং বাংলাদেশে একটি সকল দলের অংশ গ্রহনমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য । তাছাড়া, চীন,জাপান,অষ্ট্রেলিয়া, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নসহ অন্যান্য আমাদের বন্ধুপ্রতিম দেশগুলিকেও আমাদের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বেশ উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা যাচ্ছে, যদিও আমাদের সরকার প্রধানকে আমাদের এই রাজনৈতিক পরিস্থিতিতেও বেশ নির্ভার মনে হচ্ছে । এই প্রসংগে আমার প্রশ্ন হলো, রাজনৈতিক সমস্যা বাংলাদেশের একান্তই আভ্যন্তরিন ব্যাপার কিন্ত দিল্লী থেকে এর কি সমাধান দেবে ? বাংলাদেশের জনগনকে কি দিল্লী বলবে যে, ওহে বাংলার জনগন, তোমরা অমুক দলকে ভোট দাও, আর অমনি বাংলার জনগন তাদের কথামত সবভোট তাদের পছন্দের ঐ দলকে দিয়ে দিবে,নাকি জনগন যাকেই ভোট দিক না কেন, নির্বাচিত হবে তাদেরই পছন্দের কোন দল ? আর তার জন্যই নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য, বহু অর্থবিনষ্টকারী,রক্তক্ষয়ী,নাগরিক বিরম্বনা সৃষ্টিকারী কর্মসূচীর মাধ্যমে অর্জিত, আমাদের মন্দের ভালো “নির্দলীয নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থার” অধীনে একটি সুষ্ঠু ও সকলের কাছে গ্রহনযোগ্য নির্বাচন পদ্ধতি বাতিলের আয়োজন করা হইয়াছে ? আমরা এইদেশের জনগন অনেক সহজ,সরল ও শান্তিপ্রিয় বটে কিন্ত এতোটা বোকা নই যে, রাজনীতির এই সহজ অংকটা বুঝবনা ! শুধু রাষ্ট্টীয় ক্ষমতার লোভে যারা এইদেশের জনগনের উপর আস্থা হারিয়ে লক্ষ লক্ষ শহীদের ও নারীর সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার মর্যাদাকে বিসর্জন দিয়ে বিদেশীদের উপর নির্ভর করে, তাদের মনোবাসনা পূরন তো দূরের কথা, এইদেশের জনগনের মনে তাদের জন্য যতটুকু ভালবাসা ও শ্রদ্ধাবোধ এখনও অটুট আাছে, তাও তারা চিরদিনের জন্য হারাবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস । আর আমাদের যেই সকল রাজনীতিবিদেরা এই দিবালোকের মতো সত্যটা জেনেও জায়গামতো প্রয়োজনানুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহন না করে, শুধু জনগনকে কষ্ট দিয়ে ফায়দা লুটতে চায়, তাদের শেষ পরিনতিটাও খুব সুখকর হবে না বলেই আমি মনে করি । কারন, প্যারাসিটামল দিয়ে শুধু বিজ্ঞাপনেই সকল রোগের চিকিৎসায় ব্যবস্থাপত্র দেওয়া যায় কিন্ত রাজনীতিতে সকল সমস্যার সমাধান শুধু জনগনকে জিম্মি করে করা যায় না । রাজনীতিতে প্রতিপক্ষকে পরাস্ত করতে হলে সবচেয়ে বেশী কার্যকর পন্থা হলো ত্যাগ,বুদ্ধি, বিবেক,সহনশীল আচরন আর কৌশলের সমন্বয়ে সময়োপযুগী সিদ্ধান্ত গ্রহনের সক্ষমতা ।
২| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২৪
নীলআকাশ৩১৭ বলেছেন: শেখ হাসিনার জন্যেই আজকে দেশের এই অবস্হা, কারন দেশের সর্বময় পাউয়ার নিজের কাছে রেখে, যদি
এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেয় যে, বিরুধী দলের কাছে মনে হয়, উনি কারচুপি করবে, তবে দেশে আজ যা হচ্ছে তাই স্বাভাবিক।
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: রাজনৈতিক সমস্যা বাংলাদেশের একান্তই আভ্যন্তরিন ব্যাপার কিন্ত দিল্লী থেকে এর কি সমাধান দেবে ? বাংলাদেশের জনগনকে কি দিল্লী বলবে যে, ওহে বাংলার জনগন, তোমরা অমুক দলকে ভোট দাও, আর অমনি বাংলার জনগন তাদের কথামত সবভোট তাদের পছন্দের ঐ দলকে দিয়ে দিবে,নাকি জনগন যাকেই ভোট দিক না কেন, নির্বাচিত হবে তাদেরই পছন্দের কোন দল ? আর তার জন্যই নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য, বহু অর্থবিনষ্টকারী,রক্তক্ষয়ী,নাগরিক বিরম্বনা সৃষ্টিকারী কর্মসূচীর মাধ্যমে অর্জিত, আমাদের মন্দের ভালো “নির্দলীয নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থার” অধীনে একটি সুষ্ঠু ও সকলের কাছে গ্রহনযোগ্য নির্বাচন পদ্ধতি বাতিলের আয়োজন করা হইয়াছে ? আমরা এইদেশের জনগন অনেক সহজ,সরল ও শান্তিপ্রিয় বটে কিন্ত এতোটা বোকা নই যে, রাজনীতির এই সহজ অংকটা বুঝবনা ! শুধু রাষ্ট্টীয় ক্ষমতার লোভে যারা এইদেশের জনগনের উপর আস্থা হারিয়ে লক্ষ লক্ষ শহীদের ও নারীর সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার মর্যাদাকে বিসর্জন দিয়ে বিদেশীদের উপর নির্ভর করে, তাদের মনোবাসনা পূরন তো দূরের কথা, এইদেশের জনগনের মনে তাদের জন্য যতটুকু ভালবাসা ও শ্রদ্ধাবোধ এখনও অটুট আাছে, তাও তারা চিরদিনের জন্য হারাবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস
+++++++++++++++