![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
৫ই জানুয়ারীর নির্বাচনই সবচেয়ে বড় প্রমান- শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের গনবিচ্ছিন্নতা প্রমানের জন্য । তবে আমরা আবাল জনগন ৫ই জানুয়ারীর নির্বাচনের মাধ্যমে মহাজোটীয় সরকারের জনবিচ্ছিন্নতার প্রমান পেলেও ,মহাজোটের নেত্রী শেখ হাসিনা কিন্ত বহু আগেই বুঝতে পেরেছিলেন, তার জোটের জনবিচ্ছিন্নতার খবর । তাই তিনি নূতন নির্বাচনের আসার অনেক আগেই কৌশলে আদালতের দোহাই দিয়ে সংবিধান থেকে নির্দলীয়, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের নিয়ম বাতিল করে, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করার বিধান সংবিধানে অর্ন্তভূক্ত করেছিলেন । তারপরও নির্বাচনে যাতে প্রধান বিরোধীদল বিএনপি না আসতে পারে, তার জন্য যত রকম কলা-কৌশল অবলম্বন করার প্রয়োজন, তার সবই তিনি করেছেন এবং অবশেষে সফলও হয়েছেন । এর কারন- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার নিজের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনেও বিএনপির কাছে পরাজিত হওয়ার ভয় থেকে নিজেকে আশ্বস্থ করতে পারেন নাই । নির্বাচনে বিএনপি না থাকার পরেও, জাতীয় পার্টির সাথেও সমঝোতা ছাড়া প্রতিদ্বন্ধিতা করার সাহস টুকুও তিনি দেখাতে পারেন নাই, পাছে জাতীয় পার্টির কাছেও হেরে যায় কি না । যা হোক, অবশেষে ৫ই জানুয়ারীর নির্বাচনের মাধ্যমে, প্রধানমন্ত্রীর ধারনার চেয়েও বেশী, তাঁর জোটের জনসমর্থন হারানোর প্রমান তিনি পেয়ে গেছেন এবং সেই সাথে জনগনসহ বিরোধীদল গুলির কাছেও তাদের জনসমর্থন হারানোর পরিস্কার ধারনা তৈরী হয়েছে । এখন এই অবস্থায় যদি মহাজোট- সরকার গঠন করে, তবে সেই সরকারকে টিকে থাকতে হলে, বিরোধীদলের উপর দমন-পীড়নের জন্য পুলিশি রাষ্ট্র কায়েমই হতে পারে একমাত্র পন্থা । কারন জনগনের পক্ষ থেকে কোন সমর্থন পাওয়ার মতো নৈতিক অবস্থা ৫ই জানুয়ারীর নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সরকারের থাকবে না ।
সুতরাং বিরোধীদল যদি হরতাল-অবরোধের মাধ্যমে জনগনকে জিম্মি করে, তাদের আন্দোলন সংগ্রামকে চালিয়ে নিতে চায়, তবে তাতে সরকার মোটেও বিচলিত হবে না, উল্টো বিরোধীদলের উপর জনগন চরম বিরক্ত হবে, কারন- হরতাল-অবরোধে জনগনের ভোগান্তি ও অর্থনৈতিক ক্ষতির কোন অন্ত থাকে না, যা সরকারকে বিরোধীদলের উপর দমন-পীড়ন চালাতে উৎসাহীত করবে বলেই আমার ধারনা । যেহেতু নতুন গঠিত সরকারের উপর জনসমর্থন থাকবে না, তাই জনগনের ব্যাপক সমাগমই হবে, নূতন সরকারের কাছে সবচেয়ে ভয়ে কারন অর্থ্যাৎ নূতন গঠিত সরকারের সবচেয়ে বড় রোগের নাম হবে "জনাতন্ক" । তাই বিরোধীদলের উচিত হবে- ব্যাপক লোক সমাগম করে বা লোক সমাগমের ভয় দেখিয়ে-"জনাতন্ক" সৃষ্টির মাধ্যমে সরকারের উপর চাপ সৃষ্টির কৌশল অবলম্বন করা । বর্তমান সরকারীদলের, জনগনকে ভয় পাওয়ার সবচেয়ে বাস্তব উদাহরন হলো- ২৯শে ডিসেম্বরের বিরোধীদলের "মার্চ ফর ডেমোক্রেসী" কর্মসূচী । ব্যাপক লোক সমাগমের ভয়ে সরকারীদলই কার্যত ঢাকার সাথে সারা বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছিল, যা জনমনে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছিল । সুতরাং অনুরুপ কর্মসূচীকে দীর্ঘায়িত করার মাধ্যমে সরকারকে, বিরোধীদলের নির্দলীয়, নিরপেক্ষ সরকার গঠনের মাধ্যমে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য বাধ্য করা সহজতর হবে বলে, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি । আবার এই ধরনের কর্মসূচীর ফলে, বিরোধীদলের কর্মি-সমর্থকদের কষ্ট কম হবে,মিথ্যা মামলা খাওয়ার হার কমে যাবে এবং সহিংসতার মাত্রাও অনেক কমে যাবে, যা সকল জনগনের একান্ত কাম্য । সবচেয়ে বড় লাভ যেটা, সেটা হলো- বিরোধীদলের ন্যায্য শান্তিপূর্ন গনতান্ত্রিক অধিকারকে বাধাগ্রস্ত করতে গিয়ে, সরকার নিজেই জনজীবনকে সরকারীদলের হরতালের মাধ্যমে বিপর্যস্ত করে তুলবে । ফলে সরকারের প্রতি জনগন আরো বেশী ক্ষিপ্ত হয়ে উঠবে এবং সরকার অবশেষে বিরোধীদলের দাবী মেনে নিতে বাধ্য হবে । জোর করে, জনগনকে কষ্ট দিয়ে, দাবী আদায়ের চেয়ে, কৌশলে সরকারকে বেকায়দায় ফেলে, দাবী আদায় অনেক সময় সহজতর হয় । সুতরাং বিরোধীদলের উচিত- এমনভাবে আন্দোলন করা, যাতে করে জনগনেরও কষ্ট না হয়, আবার বিরোধীদলের দাবীও আদায় হয় অর্থ্যাৎ "সাপও মরে, লাঠিও না ভাংগে" ।
২| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৩২
পাঠক১৯৭১ বলেছেন: খালেদা বেগম আর বিরোধী দলের কেহ নন; উনার বিচার শুরু হবে শীঘ্রই।
৩| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৪৬
রাবার বলেছেন: :-&
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:২৮
গ্রাম্যবালক বলেছেন: খালেদা জিয়ার সরকারকে কোণ প্রকার ছাড় দেয়াই ভুল হবে । ব্যাপক হরতাল ও অবরোধের মাধ্যমে প্রশসনকে আতঙ্কিত করার মধ্য দিয়ে বিপ্লব সংঘঠিত করে সরকারের পতন ত্বরান্বিত করতে হবে।।