নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বীকৃতি প্রসাদ বড়ুয়া\nআমি ভালোবাসি মানুষকে। তুমি ভালোবাসো আমাকে।

স্বীকৃতি প্রসাদ বড়ুয়া

আমি ভালোবাসি মানুষকে, তুমি ভালোবাস আমাকে

স্বীকৃতি প্রসাদ বড়ুয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

বইমেলা ও হুমায়ূন আহমেদ

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫০

বইমেলা ও হুমায়ূন আহমেদ
স্বীকৃতি প্রসাদ বড়ুয়া

অনেকেই আমাদের দেশের তুমুল জনপ্রিয়তম ও প্রখ্যাত লেখক, সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদকে শুধুমাত্র জনপ্রিয় লেখক ও পোলাপানের লেখক হিসেবে দেখেন ও বলে থাকেন, বিশেষ করে আমাদের দেশের কিছু বোদ্ধা শ্রেণীর পাঠক ও লেখক আছেন যাঁরা আসলে নিজেদের কোন তরিকার লেখক হিসেবে দেখেন তা বলতে পারবেন না। কিন্তু তারা অন্য লেখকরা কে কেমন লেখেন সেটাই ভালো বলতে পারেন। আমার কথা হলো একেকজন লেখক একেক ভাবে জীবনকে দেখেন, মানুষকে দেখেন, প্রকৃতিকে দেখেন। এবং এই দেখাটিকেই বাস্তবায়ন করেন লেখায়।হুমায়ূন আহমেদ এর সাথে অন্যান্য লেখকের পার্থক্য হলো হুমায়ূন আহমেদ যা ভাবতেন, যা নিজের কাছে সঠিক মনে করতেন সেটাই করতেন, লিখতেন, তা আবার অন্যান্য লেখার মধ্যে বলতেনও। রবীন্দ্রনাথ বলেছেন ‘‘সহজ কথা বলতে আমায় কহ যে, সহজ কথা যায় না বলা সহজে’’। আসলে জীবনে নানা অভিজ্ঞতাকে সহজভাবে উপন্যাস ও গল্পে তুলে ধরা কঠিন, যাঁরা সহজভাবে একটি কঠিন বিষয়কে তুলে ধরতে পারেন আমি তাদেরকে সহজাত লেখক বলবো। শুধুমাত্র বিদেশী লেখকদের অনুকরণ অনুসরণ করার জন্য তাদের মতো লিখতে হবে, বিষয়বস্তু তুলে ধরতে হবে তা কিন্তু আমি সবসময় মনে করি না। আর হুমায়ূন আহমেদ তো বইমেলা ও জীবন থেকে বিদায় নিয়েছেন আজ প্রায় ৩ বছর হলো। এই তিনবছরে যাঁরা উনার সমালোচনা করতেন, উনাকে সহ্য করতে পারতেন না, উনার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হতেন কই তারাতো হুমায়ূন আহমেদ এর মতোও লিখতে পারছেন না। যদিও প্রতিবছর সাহিত্য পুরস্কারের বন্যা বয়েই যায়, কিন্তু সেভাবে লেখক, কবি ও সাহিত্যিক আমাদের দেশে তৈরী হচ্ছে না কেন?। আমার কাছে বইমেলা আসলেই হুমায়ূন আহমেদ এর কথা মনে পড়ে যায়। সময় প্রকাশন বা অন্যপ্রকাশের স্টলে বলে একটি লোক পাঠকদের অটোগ্রাফ দিয়ে যাচ্ছেন। লাইনের পর লাইন ধরে মানুষ দাঁড়িয়ে আছেন একটি বই কিনবে প্রিয় লেখকের এবং তাঁর অটোগ্রাফ নেবেন। এই যে একজন লেখকের প্রতি ভালোবাসা এই ভালোবাসা তো এখন আর বইমেলায় দেখা যায় না। এখন সবই কানেক্টিং পাঠক, সোর্স পাঠক। ভালোবেসে কেউ লেখকের কাছে যান না। সৈয়দ শামসুল হক, নির্মলেন্দু গুণ, মহাদেব সাহা, মুহম্মদ জাফর ইকবাল, হাসান আজিজুল হক এই গুটিকয় লেখক ছাড়া। তো যে যাই বলুক এখনও হুমায়ূন আহমেদ তুমুল জনপ্রিয় লেখক বইমেলায় এবং আরো অনেক বছর বইমেলাকে লিড দেবেন এই জীবনবাদী কথাশিল্পী। জয়তু হুমায়ূন্ আহমেদ।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৮

মোঃ মোশাররফ হোসাইন বলেছেন: সাদামাটা মনে হলেও হুমায়ূন আহমেদ এর গল্প বলে যাওয়ার অসাধারণ ক্ষমতা তাঁকে অনেক দিন পাঠকরা মনে রাখবে।

২| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২২

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: জনপ্রিয় কিন্তু ভাল সাহিত্যিক মোটেই না| ওর চেয়ে দশ গুন ভাল লেখক আমাদের এই ব্লগেই অনেক আছে

৩| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩১

শাহ আজিজ বলেছেন: পরশ্রীকাতরতায় বিভোর বাঙ্গালী লেখক(?) স্বার্থগত দলবদ্ধতা ভালবাসে। শামিম ওসমানের সিন্ডিকেট আছে , জামাতি সিন্ডিকেট আছে , মাদক সিন্ডিকেট আছে । তেমনি এদেশে ওদের থেকে নিকৃষ্ট লেখক সিন্ডিকেট আছে যাদের কাজ ভালো কাজে বাধা দেওয়া ও তাদের নমিনেটেড লেখক ছাড়া কেউ উপরে উঠতে পারেনা। এরা বাংলার কলঙ্ক। হুমায়ুনকে এরা থেকিয়ে রাখার ব্যার্থ চেষ্টা করেছে। কিন্তু হুমায়ুন কোন দলভুক্ত না হয়ে এগিয়ে গেছেন সামনে । হুমায়ুন কতবয়েসের মেয়ে বিয়ে করবে তাও তারা সিদ্ধান্ত নেবে অথচ কচি বেশ্যা না হলে তাদের চলে না। ধিক্কার !!

ভেঙ্গে দাও এ অচলায়তন ।।

৪| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৮

স্বীকৃতি প্রসাদ বড়ুয়া বলেছেন: আপনাদের মতামত সেটা হুমায়ূনের পক্ষে কিংবা বিপক্ষে তাতে কিন্তু হুমায়ূনের লেখার কোন পরিবর্তন হবে না। হুমায়ূন হুমায়ুনের মতো। ধন্যবাদ সবাইকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.