নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বীকৃতি প্রসাদ বড়ুয়া\nআমি ভালোবাসি মানুষকে। তুমি ভালোবাসো আমাকে।

স্বীকৃতি প্রসাদ বড়ুয়া

আমি ভালোবাসি মানুষকে, তুমি ভালোবাস আমাকে

স্বীকৃতি প্রসাদ বড়ুয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

পন্ডিত চাণক্য : একই ব্যক্তি অনেক নাম

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১১

পণ্ডিত চাণক্য : একই ব্যক্তি অনেক নাম
স্বীকৃতি প্রসাদ বড়ুয়া

প্রাচীন ভারতের খ্যাতিমান পণ্ডিতদের মধ্যে চাণক্য ছিলেন অন্যতম। তিনি শুধু পণ্ডিতই ছিলেন না। ছিলেন একাধারে রাজনীতিবিদ, তার্কিক, যোদ্ধা, নীতিশাস্ত্র ও কামশাস্ত্রের প্রণেতাও। বহু গুণের আকর ছিলেন বলেই হয়ত তাঁর নামও ছিল বহু। চাণক্য ছিলেন বিখ্যাত তর্কবিদ। তাই তাঁর নাম পক্ষিল। রাজনীতিবিদ হওয়ার সুবাদে তিনি কৌটিল্য। জ্যোতির্বিদ্যার গ্রন্থে তাঁর পরিচয় বিষ্ণুগুপ্ত নামে। কামশাস্ত্রের গ্রন্থে তিনি বাৎস্যায়ন। নীতিশাস্ত্রের গ্রন্থে তিনি চাণক্য। যোদ্ধা হিসেবে তাঁর পরিচয় মল্লনাগ নামে। এছাড়াও বলবান বলে তিনি অঙ্গুল পাঠান্তরে অংশুল নামে এবং যুদ্ধে নেতৃত্বদানের জন্য দ্রাবিল বা দ্রামিল নামেও পরিচিত। আবার চাণক্য অসাধারণ কুটবুদ্ধিসম্পন্ন ছিলেন বলেই কৌটিল্য নামে খ্যাত-এমন ব্যাখ্যাও অনেকে দিয়েছেন।মুদ্রারাক্ষসে বলা হয়েছে কৌটিল্যঃ কুটিলমতিঃ স এষঃ। তবে কথাসরিৎ সাগর, পঞ্চতন্ত্র, বৃহৎকথা, স্কন্দপুরাণ প্রভৃতি গ্রন্থে তাঁর নাম চাণক্য বলেই উল্লেখ পাওয়া যায়। তবে চাণক্যের আসল নাম ছিল বিষ্ণুগুপ্ত।

এবার দু’একটি শ্লোক উদ্ধৃত করলাম।
১.
একমেবাক্ষরং যন্ত্ত গুরুঃ শিষ্যং প্রবোধয়েত্।
পৃথিব্যাং নাস্তি তদ্দ্রব্যং যদ্দত্ত্বা চানৃণী ভবেত্।

অনুবাদ : গুরু যদি শিষ্যকে একটি মাত্র অক্ষর শিখিয়ে থাকেন তবে পৃথিবীতে এমন কোনো দ্রব্য নেই যা দিয়ে শিষ্য গুরুর সেই ঋণ পরিশোধ করতে পারে।

২.
পাদপানাং ভয়ং বাতাত্ পদ্মানাং শিশিরাদ্ভয়ম্।
পর্বতানাং ভয়ং বজ্রাত্ সাধুতাং দুর্জনাদ্ভয়ম্।

অনুবাদ : গাছের ভয় বাতাসকে, শিশিরের ভয় পদ্মের, পর্বতের ভয় বজ্রে আর সাধুদের ভয় দুর্জনে।
ঝড় গাছকে উপড়ে ফেলে। গাছের মৃত্যু হয়। তাই গাছ ঝড়কে ভয় পায়। শীতকালের শিশিরপাত পদ্মফুল সহ্য করতে পারে না। তাই শিশিরকে পদ্মের ভয়। বজ্রপাতে পাহাড় বিদীর্ণ হয়। তাই বজ্রের থেকে পাহাড়ের ভয়। সেইরূপ সজ্জনদের ভয় দুর্জনকে। দুষ্ট লোক বিনা কারণে সৎলোকের অনিষ্ট করে। অন্যের ক্ষতিসাধনেই তাদের আনন্দ। সজ্জনের পক্ষে সম্ভব হয় না দুর্জনকে প্রতিহত করা। কারণ অন্যায়ের উপযুক্ত জবাব দিতে গেলে সজ্জনকে দুর্জনের কাছে অপমানিত হতে হয়। তাই সজ্জন ব্যক্তি সবসময় চেষ্টা করে দুষ্ট লোককে এড়িয়ে চলতে। দুর্জনের অত্যাচার হতে নিজেকে বাঁচাতে।

চলবে....

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৪:০০

লিট্রিমিসটিক বলেছেন: ভাল লাগল।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:২৬

স্বীকৃতি প্রসাদ বড়ুয়া বলেছেন: ভালো লাগার জন্য এবং পড়ার জন্য ধন্যবাদ। এবং আসল ধন্যবাদ কৌটিল্যকে।

২| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:৪২

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: যদিও বিভিন্ন সময়ে কয়েকটা নামই বিভিন্ন লেখায় পড়েছি, কিন্তু সবই যে চাণক্যের নাম জানতাম না। জেনে ভালো লাগলো।
শ্লোক দুটো ভালো লাগলো। বিশেষ করে প্রথম শ্লোকটা। দ্বিতীয় শ্লোকের ব্যাখ্যা খুব সুন্দর হয়েছে। সব মিলিয়ে আপনার এই ধারাবাহিকের প্রথম পর্ব বেশ ভালো লাগলো। শুভ কামনা রইলো।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:২৮

স্বীকৃতি প্রসাদ বড়ুয়া বলেছেন: বিদ্রোহী বাঙালি আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ। লেখাটি পড়ার জন্য।

৩| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:২৮

মনিরা সুলতানা বলেছেন: নতুন কিছু জানলাম।
সাথে আছি এই ধারাবাহিকের।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:২৯

স্বীকৃতি প্রসাদ বড়ুয়া বলেছেন: মনিরা সুলতানা। আপনাকে ধন্যবাদ এই লেখার সাথে থাকার জন্য। আগামীতে আরও সুন্দর সুন্দর শ্লোকগুলো দিয়ে দেব। ধন্যবাদ।

৪| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:৩৮

আরজু পনি বলেছেন:
তিনিতো সর্বগুণে গুণান্বিত !
এতো কিছু তো জানতাম না।
আপনার শেয়ারের জন্যে কৃতজ্ঞতা জানাই । পোস্টে প্লাস ।

আমি একটা পোস্ট দিয়েছিলাম...
♣"কৌটিলিয়ম অর্থশাস্ত্রম"♣

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:৩০

স্বীকৃতি প্রসাদ বড়ুয়া বলেছেন: আরজুপনি। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। এর আসল ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য ব্যক্তি হচ্ছেন মহামান্য কৌটিল্য। ধন্যবাদ।

৫| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:২২

এহসান সাবির বলেছেন: শ্লোক ভালো লেগেছে।


চলুক...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.