নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বীকৃতি প্রসাদ বড়ুয়া\nআমি ভালোবাসি মানুষকে। তুমি ভালোবাসো আমাকে।

স্বীকৃতি প্রসাদ বড়ুয়া

আমি ভালোবাসি মানুষকে, তুমি ভালোবাস আমাকে

স্বীকৃতি প্রসাদ বড়ুয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

অহং ডট কম

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫০

অনুগল্প : অহং ডট কম
স্বীকৃতি প্রসাদ বড়ুয়া

পৃথিবীতে আত্মপ্রেমের মত কোন প্রেম আছে বলে অন্তত আমার জানা নেই। কৃষ্ণকলি নামটি কী সুন্দর। কিন্তু আদতে মেয়েটি তত সুন্দরী নন। তবুও মা বাবা আদর করে নাম রেখেছে রবী বাবুর চরিত্রের সঙ্গে মিল রেখে কৃষ্ণকলি। রূপ না হয় কিছুটা কম কিন্তু গুণ অফুরাণ। কি নেই কৃষ্ণকলির প্রতিভায়, একেবারে প্রতিভার বরপুত্রি যাকে বলে। নাচ, গান, অভিনয়, লেখালেখি, বক্তৃতা, আড্ডাবাজি, বেড়ানো সবকিছুতেই সেরা সে। শুধু রূপটা একটু নেই এই যা। রূপে কি যায় আসে, যদি থাকে মানুষের গুণ। এই গুণকেই কৃষ্ণকলি বড় মনে করে। এই গুণেই সে সব কিছুতে সেরা প্রমাণ করে। সব কিছুতে সেরা হলেও বিয়ের বাজারে আবার এ ধরণের পাত্রির চাহিদা একটু কম আমাদের দেশে। এখানে গুণের চাইতে বাবার পকেটের নুনের দাম বেশী। বাবার কি কি সহায় সম্পত্তি আছে সেটাই বিবেচনায় আসে পাত্রি দেখতে এলে প্রথমে। তো কৃষ্ণকলির বাবার অঢেল টাকা পয়সা, বাড়ি গাড়ির অভাব নেই। কিন্তু মেয়ে একটু কালো বর্ণের বলে পাত্ররা তেমন পাত্তা দেয় না। যদিও এই সময়ে কালো কোন ব্যাপার না। তবুও এ দিনে কৃষ্ণকলির মা বাবার চোখে ঘুম নেই। এদিকে কৃষ্ণকলি গোঁ ধরেছে কাউকে যৌতুক দিয়ে যদি কৃষ্ণকলিকে বিয়ে করতে হয় তাহলে সে এ জীবনে আর বিয়েই করবে না। কারণ যৌতুক নিয়ে যারা বিয়ে করে তারা আর যাই হোক মানুষ হিসেবে খুবই গৌণ মানুষ, কৃষ্ণকলির তাই মনে হয়। সে প্রতিজ্ঞা করেছে বাবার অজস্র টাকা পয়সা আছে, আর নিজেও সবকিছু জানে, শিক্ষায় দীক্ষায় সে অনেকের চাইতে ভালো। তার বিয়ে না করলেই বা কি? পৃথিবীতে অনেক বিখ্যাত মানুষ আছেন যারা বিয়ে না করেও খ্যাতি প্রতিপত্তির শিখরে উঠেছেন। তো আপাতত কৃষ্ণকলি বিয়েকে বাতিলের খাতায় রেখে দিয়েছে। সে এখন মন দিয়েছে আমাদের সমাজের যারা হতদরিদ্র ছেলে মেয়ে আছে, যারা পড়াশুনা করার টাকা পায়না, খেতে পায় না, এই ধরণের কিছু ছেলে মেয়েকে মানুষ করার একটা উদ্যোগ নিয়েছে। নিজেদের বাড়ির একটি সুন্দর রুমকে বানিয়েছে অফিস। সেখানে সে এইসব ছেলেমেয়েদের পড়ালেখা শেখায়, আর্ট করা শেখায়, গান বাজনা শেখায়। এতে ছেলেমেয়েরাও খুশী কৃষ্ণকলিও খুশী। পৃথিবীতে আনন্দ পাওয়া ও আনন্দ বিলানোর চাইতে কোন মহৎ কিছু আছে বলে কৃষ্ণকলি মনে করেনা। সুতরা সে যে আনন্দ নিয়ে আছে সেটা নিয়েই থাকতে চায়। সে মনে করে একদিন এই সব ছেলেমেয়েরাই তার মুখ উজ্জ্বল করবে বিশ্বসভায়।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.