নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বীকৃতি প্রসাদ বড়ুয়া\nআমি ভালোবাসি মানুষকে। তুমি ভালোবাসো আমাকে।

স্বীকৃতি প্রসাদ বড়ুয়া

আমি ভালোবাসি মানুষকে, তুমি ভালোবাস আমাকে

স্বীকৃতি প্রসাদ বড়ুয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

অণুগল্প

২৪ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:০২

অণুগল্প
গল্পটি বাসের
স্বীকৃতি প্রসাদ বড়ুয়া

প্রতিদিনের মতো আজও বাসে যাচ্ছি ভাতকপাল ঘরে মানে চাকরিস্থলে। ভিআইপি বাসের শেষের সিট এ দুজন ষাটোর্ধ্ব নারী পুরুষ দম্পতি। বেশভুষায় মনে হয় নিম্নমধ্যবিত্ত। ওই শেষসিটে আর কেউ নেই। আমি তাদের মুখমণ্ডল নিরক্ষণ করি কিছুক্ষণ, একটা সরল সরল মুখ, একটু দুখি দুখি ভাব আছে দুজনের চেহারায়। কিছুক্ষণ পরে দেখলাম একটা পোটলা থেকে পরটা ভাজি বের করে দুজন একটি পরটা ভাগ করে খাচ্ছেন। আহা শান্তিতে মন ভরে গেল। কাজের ভিড়ে হয়তো অবসর পাননি এই দম্পতি। আবার হোটেলে বসে যে খাবে সেই সময়টুকুও হয়তো তাঁদের নেই। হয়তো দুজনে কাজের খোঁজে যাচ্ছেন, অথবা তাদের ছেলেমেয়েরা কাছে নেই, অথবা এমনও হতে পারে তাদের ছেলেরা মধ্যপ্রাচ্যে আছেন, তাঁদের কাছে কেউ নেই। এরপর দেখি অন্য দৃশ্য একটি পনেরো থেকে ষোল বয়সের একটি ছেলে। একটু অন্যরকম ব্যক্তিত্বের এজন্য বললাম ছেলেটা ভালোমতে কথা বলতে পারে না, মুখ বেঁকে যাচ্ছে, আবার হাঁটতেও কষ্ট হচ্ছে। সে বিক্রী করছে একটি পেনসিল প্যাকেজ। তিনটি পেন্সিল, একটি কাটার ও একটি রাবার মোট ২০ টাকা। এই পাঁচটি জিনিস যে কোন দোকান থেকে কিনলে হয়তো ত্রিশ টাকার মতো লাগবে। কিন্তু অন্যরকম ছেলেটা বিক্রি করছে ২০টাকা। অনেকের মতো আমিও কিনলাম। যদিও আমার এগুলোর তেমন দরকার নেই। কিনলাম এই যুক্তিতে, এই একই ছেলেটি কোন কিছু বিক্রি না করেও টাকা চাইতে পারতো, বা ভিক্ষা করতে পারতো, কিন্তু জীবিকার জন্য সে এই হকার জীবন বেছে নিয়েছে। এটাকে একটা ক্ষুদ্র ব্যবসা মনে করে আমিও এর অংশীদার হলাম। হয়তো আমাদের সবার একটি একটি প্যাকেজ কেনার টাকা থেকে সে কিছু লাভ করবে, সংসার চলবে, মা বাবাকে নিয়ে সুখে থাকবে। কত বড়লোকই তো অন্যায়ভাবে, ধাপ্পা দিয়ে কত টাকা বাগিয়ে নিচ্ছে, অথচ আমরা তাই মেনে নিই, কিন্তু এই অন্যরকম ছেলেটির কাছ থেকে এক প্যাকেট পণ্য কিনতে অনেকের বাধে। এই দৃশ্য গুলো দেখে মনে হলো ‘আগে মানুষ মানুষকে ভালো বাসতো, কিংবা মানুষ মানুষের জন্য.......। জীবন কি তাহলে ভাসমান শ্যাওলার মতোন!!!

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:২২

মহসিন ৩১ বলেছেন: শহরের ভিড়ের মধ্যে হারিয়ে যেতে যেতে অন্যদেরকে দেখতে গেলে অনেক অসঙ্গতি তখন বোধগম্য হয়। পিছন ফিরে তাকানো সম্ভবত মানুষের অজান্তেই জিন বইশিস্ট থেকে হারায়ে যাচ্ছে বা বদল হচ্ছে।

২৪ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৮

স্বীকৃতি প্রসাদ বড়ুয়া বলেছেন: মহসিন ৩১। ভাই আপনার মন্তব্য ভালো লেগেছে। আমাদের চোখ সামনে বলে শুধু সামনে তাকাতে হবে এমন কোন কথা নেই। পেছনে তাকাতে হবে বেশি। জীবনের আসল উত্তাপ পেছনের মানুষের মধ্যেই বেশী লক্ষ্য করা যায়। ভালো থাকবেন। আরো মন্তব্য করবেন আশা রাখি।

২| ২৪ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:০১

রাজীব নুর বলেছেন: জীবন কি? আসলে তো জীবন কি? যুগ যুগ ধরে মানুষ জানতে পারলো না জীবন কি? অসংখ্য মানুষ ঘর থেকে বের হয়ে গেছে- জীবন কি জানার জন্য।

২৪ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:৪০

স্বীকৃতি প্রসাদ বড়ুয়া বলেছেন: রাজীব নূর ভাই। অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার মধ্যেও অনুরণন হচ্ছে জীবন কি? আসলেই জীবন কী? জীবন মানে আর কিছু নয় জীবন মানে বাঁচা, জীবন মানে যুদ্ধ, জীবন মানে মানুষের মতো মানুষ হয়ে বাঁচা। কিন্তু সেই মনের মানুষ, আসল মানুষ কই?

৩| ২৪ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৭

কাইকর বলেছেন: ভাল লিখেছেন

২৪ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:৪১

স্বীকৃতি প্রসাদ বড়ুয়া বলেছেন: কাইকর। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আমার লেখা পড়ে মন্তব্য করার জন্য। প্রতিদিন যে সময় বের করে কষ্ট করে আপনারা পড়েন এ জন্য আমার মতো লেখক লেখার সাহস পায়। ভালো থাকবেন।

৪| ২৪ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:


"জীবন মানে যুদ্ধ, যদি তুমি লড়তে পারো। জীবন মানে সংগ্রাম, যদি তুমি করতে পারো। জীবন মানে খেলা, যদি তুমি খেলতে পারো। জীবন মানে স্বপ্ন, যদি তুমি গড়তে পারো। জীবন মানে কষ্ট, যদি তুমি সইতে না পারো। জীবন মানে স্তব্ধতা, যদি তুমি বলতে না পারো।

জীবন মানে হারিয়ে যাওয়া, যদি তুমি ধরে রাখতে না পারো। জীবন মানে ভালোবাসা, যদি তুমি বাসতে পারো। জীবন মানে জীবন, যদি তুমি বুঝতে পারো।"" তবুও প্রশ্ন থেকেই যায়-- জীবন মানে কি?

তবে কি জীবনের কোন সংজ্ঞা নেই ? জীবনটা মানে কি সংজ্ঞা বিহীন ? নাকি সময়ের সাথে সাথে জীবনের সংজ্ঞা পাল্টে যায় ? ভাবতে ভাবতে একটা দীর্ঘশ্বাঃস ফেলি কে জানে হয়ত এই ফেলে দেয়া দীর্ঘশ্বাসটাই জীবন !

২৪ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:৪২

স্বীকৃতি প্রসাদ বড়ুয়া বলেছেন: কাওসার চৌধুরী। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। গল্পটি পড়ে গল্পের সমান মন্তব্যের জন্য। আরো বেশী মন্তব্য করবেন আশা রাখি।

৫| ২৪ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:৩২

বাকপ্রবাস বলেছেন: লেখাটা ভাল লেগেছে। কিছু কথা বলতে চাচ্ছি অণুগল্প প্রসঙ্গে। অণুগল্প আর ছোট গল্পের মধ্যে তফাত আছে। আপনার এখানে দুইটা বয়ান। একটার সাথে অন্যটার সরাসরি কোন মিল নেই। মিল বলতে যেটা আছে সেটা পরোক্ষভাবে নিম্ন মধ্যবিত্তের দুইটা চিত্র। এই চিত্র বয়ানটা ছোট গল্প হিসেবে ভাবতে গেলেও কিছুটা অপূর্ণতা রয়ে যাচ্ছে। দুইটা সুন্দর চিত্র তুলে ধরা হয়েছে কিন্তু ছোট বা অণুগল্প হিসেবে পড়তে গেলে কিছুটা ঘাটতি আছে মনে হয়। বিশেষ করে অণুগল্প এর ধাচটা একটু ভিন্ন।

২৪ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৪

স্বীকৃতি প্রসাদ বড়ুয়া বলেছেন: বাকপ্রবাস। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। অণুগল্পের সংজ্ঞা দিয়ে যদি অণুগল্প পড়েন তাহলে বিশ্বসাহিত্যের অনেক গল্পকেই গল্পও মনে হবে না, বা অণুগল্পও মনে হবে না। সবার উপরে হলো লেখক অণুগল্পও গল্পের মধ্যে গল্প আছে কি না সেটাই। তো ভবিষ্যতে আরো ভালো লেখার চেষ্টা করবো। ধন্যবাদ।

৬| ২৪ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৮

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: আসলে মানুষের প্রতি আপনার অসীম মমতা। এইরকম যারা নিজের শারীরিক অক্ষমতা সত্ত্বেও ভিক্ষা না করে সম্ভব কোন একটা জীবিকা বেছে নেয় তাঁদেরকে আমি অনেক সম্মান করি। যাত্রাবাড়ীতে একবার দেখেছিলাম, একটি ছেলে ঠিকমত দাঁড়াতেই পারে না, পুরো শরীর বাঁকা হয়ে যায়, হাত-পা একেবারেই নিয়ন্ত্রণে নেই, মুখও বাঁকা হয়ে যায়-সেই ছেলে পেপার বিক্রি করছে। আমার যে কি পরিমাণ মমতা অনুভূত হয়েছিলো ! অনেক মানুষই তাঁর কাছ থেকে পেপার কিনছিল। আমি কিনতে পারিনি, কিন্তু মনে মনে তাঁর জন্য অনেক প্রার্থনা করেছিলাম।

২৪ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৮

স্বীকৃতি প্রসাদ বড়ুয়া বলেছেন: চঞ্চল হরিণী। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। এমন সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।

৭| ২৪ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:০০

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: চলমান জীবনের খন্ডচিত্র...

২৫ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:৩৫

স্বীকৃতি প্রসাদ বড়ুয়া বলেছেন: বিচার মানি তালগাছ আমার, ভাই আপনার মন্তব্য ভালো লেগেছে। ভালো থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.