নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বীকৃতি প্রসাদ বড়ুয়া\nআমি ভালোবাসি মানুষকে। তুমি ভালোবাসো আমাকে।

স্বীকৃতি প্রসাদ বড়ুয়া

আমি ভালোবাসি মানুষকে, তুমি ভালোবাস আমাকে

স্বীকৃতি প্রসাদ বড়ুয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

অণুগল্প

১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৪

অণুগল্প
মেঘ ও তুষারের গল্প
স্বীকৃতি প্রসাদ বড়ুয়া

মেঘ ও তুষার এর বয়স প্রায় সমান। দুজনেই এখন ক্লাস সেভেনে পড়ে। বয়স সমান হলেও জীবন তাদের এক নয়। দুজনের জীবন দুদিকে বয়ে যাচ্ছে। দুজনের জীবনগল্প ও দুইমাত্রার। কিন্তু বাস্তবতা একই সূত্রে গাঁথা। প্রথমে মেঘ এর কথাই বলি। মেঘের মা বাবা দুজনেই ছিলেন দেশের টিভি মিডিয়ার নামকরা সেলিব্রেটি। তারা দুজনেই টিভিতে নাটকে অভিনয় করতো। একবার একটি ঈদ নাটকের শুটিং করার প্রয়োজনে দুজনেই যায় ভারতের দার্জিলিং এ। শুটিং শেষে দু’জনে ফিরে আসার সময় এক গাড়ি দূর্ঘটনায় মারা যান দুজনেই। মেঘ এর বয়স তখন দশ। পড়ে ক্লাস ফোরে। মা বাবার এই দুর্ঘটনা মেঘকে একেবারে এতিম করে দেয়। পৃথিবীর যেদিকে তাকায় মেঘ কালো রঙের মেঘ ছাড়া কিছুই দেখতে পায় না। রাতে একা একা বাবা মাকে মনে করে কাঁদে, খোঁজে কেউ তাকে তার বাবা মাকে ফিরিয়ে দিতে পারে না। শেষে সে তার নানু বাড়িতে নানা নানি ও খালাদের কাছে মানুষ হতে থাকে। মাঝে মাঝে মা বাবার ছবির সঙ্গে মেঘ আপন খেয়ালে কথা বলে। নানা কথা, স্বপ্নের কথা, বড় হয়ে কি কি করবে সেই সব এলোমেলো কথা। কিন্তু তার মা বাবা তো ছবি হয়ে গেছে। তারা তো আর কথা বলে না মেঘের সঙ্গে। একটু খানি মেঘ এখন মা বাবার এই ভালোবাসা ছাড়া পৃথিবীতে কি করে টিকে থাকবে। এবার তুষারের কথা। তুষারের বাবা ছিল পাখির মতো মানুষ। আকাশে উড়তে ভালোবাসতো। তিনি ছিলেন একজন পাইলট। মা ছিলেন স্কুল মাস্টার। তুষার ছোটবেলায় খুব আদরে বড় হয়েছে। কিন্তু এই মুহূর্তে তুষারের আপন বলতে কেউ নেই। ঘরভর্তি বাবার কিনে দেয়া সারারাজ্যের খেলনা, গাড়ি, স্পোর্টস সামগ্রী। কিন্তু তুষারের আর এগুলো ভালো লাগছে না। তার বাবা কিছুদিন আগে এক বিমান দূর্ঘটনায় না ফেরার দেশে পাখি হয়ে উড়ে চলে গেছে। বাবার দুঃখে মাও তাকে ছেড়ে না ফেরার দেশে চলে গেছে। তুষার এখন কি নিয়ে স্বপ্ন দেখবে, তুষার কি করে এতবড়ো পৃথিবীতে একা একা বেঁচে থাকবে। এই যে দুই বালক মেঘ ও তুষার। দুজনের দুটি স্বপ্নের মতো আকাশ ছিল। দুটি মায়াময় জগৎ ছিল। কি এক অপয়া ঘটনায় দুজনের জীবনেই নেমে এলো অন্ধকার। তবুও আলো জ্বলে, গুহার ভিতরেও। তবুও মানুষ বেঁচে থাকে হাজারও দুঃখ কষ্টকে সঙ্গী করে। কি দোষ ছিল অবোধ এই দুই বালকের, তাদের ওড়ার ডানা এভাবে ভেঙ্গে গেল। ঝড়ে উপড়ে গেল তাদের একমাত্র বটবৃক্ষের ছায়ার মতো ছায়াবৃক্ষ মা বাবা। দুটো এতিম বালক এখন কোন পৃথিবীর স্বপ্ন দেখবে???

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৯

রাজীব নুর বলেছেন: একটি খালি পকেট আপনাকে জীবন সম্পর্কে হাজারো বাস্তব শিক্ষা দেয়, কিন্তু টাকায় পরিপূর্ণ একটি পকেট আপনাকে খারাপ হওয়ার হাজারো রাস্তা বাতলে দেয়।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৫১

স্বীকৃতি প্রসাদ বড়ুয়া বলেছেন: রাজীব নুর। আপনার মন্তব্যটি আমার ভালো লেগেছে। আপনি আমার অণুগল্প গুলো পড়ে মন্তব্য করেন, ভালো লাগে। আরো ভালো পরামর্শ দেবেন আশাকরি। ভালো থাকবেন। ঈদ খুশীর হোক।

২| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৬

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: তবুও স্বপ্ন দেখবে।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৩

স্বীকৃতি প্রসাদ বড়ুয়া বলেছেন: সাহাদাত উদরাজী । তবুও স্বপ্ন দেখবে। এটাই বাস্তব। মানুষ পৃথিবীতে আসলেই একা। ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য। ভালো থাকবেন সবসময়। ঈদ খুশীর হোক।

৩| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪২

লায়নহার্ট বলেছেন: {মৃত্যু মানে বিচ্ছেদ, চূড়ান্ত বিচ্ছেদ। তবুও মানুষ স্বপ্ন দেখে এবং দেখবে}

১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৪

স্বীকৃতি প্রসাদ বড়ুয়া বলেছেন: লায়নহার্ট। আপনার মন্তব্যও লায়নের মতো হয়েছে। তবুও মানুষ স্বপ্ন দেখবে। ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন। ঈদ হোক খুশীর।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.