নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অরণ্যের রোদন

বাস্তবতা নিয়ে কথা বলতে চাই।

অরণ্যের রোদন

লিখতে চাই অন্যায়ের বিরুদ্ধে।

অরণ্যের রোদন › বিস্তারিত পোস্টঃ

কলকাতার ফোর্ট উইলিয়াম দুর্গ। যেখান থেকে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সূচনা অতঃপর . . . . . . . .

২৬ শে আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১২:৪১

এই উপমহাদেশে ব্রিটিশ শক্তির সবচেয়ে বড় নিদর্শন কলকাতার ফোর্ট উইলিয়াম দুর্গ। হুগলি নদীর তীরে এ দুর্গের অবস্থান। ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় উইলিয়ামের নামানুসারে এর নামকরণ করা হয়। বাস্তবে দুটি ফোর্ট উইলিয়াম দুর্গের ইতিহাস জানা যায়। একটি পুরনো অন্যটি নতুন। পুরনো দুর্গটি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সূচনাকালের। ১৬৯৬ সালে বাংলার নবাবদের অনুমতি নিয়ে নির্মাণ করে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। দুর্গ প্রাচীরের দক্ষিণ-পূর্বাংশ এবং তৎসংলগ্ন দেয়াল নির্মাণের কাজ শুরু করেন স্যার চার্লস আইয়ার। তার উত্তরসূরি জন বিয়ার্ড ১৭০১ সালে উত্তর-পূর্বাংশের দুর্গ প্রাচীর সংযোজন করেন। ১৭০২ সালে তিনি দুর্গের মধ্যভাগে 'ফ্যাক্টরি' (বাণিজ্যকুঠি) বা 'গভর্নমেন্ট হাউস' তৈরি করেন।



১৭০২ সালের ৬ অক্টোবর প্রথমবারের মতো ব্রিটিশ পতাকা উত্তোলন করা হয় ফোর্ট উইলিয়াম দুর্গে। এর মাধ্যমে সূচিত হয় ব্রিটিশ রাজের প্রাক-প্রস্তুতি, যা ধীরে ধীরে গ্রাস করেছে বাংলা থেকে শুরু করে ভারতবর্ষকে। ১৭০৬ সালে এর নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়। অতঃপর তৎকালীন ব্রিটিশ রাজার সম্মানে দুর্গটির নামকরণ করা হয় ফোর্ট উইলিয়াম। দুর্গ নির্মাণের উদ্দেশ্য ছিল কোম্পানির ব্যবসাকে পাকাপোক্ত করা। তাদের মূল বাণিজ্যকেন্দ্র ছিল এই দুর্গ। নিরাপত্তা বিধানে দুর্গটি নির্মিত হলেও এর কাঠামো ছিল ত্রুটিপূর্ণ। ১৭১৩ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কোর্ট অব ডাইরেক্টর্স এ মন্তব্য করেন_ 'ভবনগুলোর সুউচ্চ শৃঙ্গের কারণে নদীতীর থেকে দুর্গটিকে জমকালো দেখালেও মূলত এটি শক্তিশালী নয়। ১৭৫৬ সালে ফোর্ট উইলিয়ামের গভর্নর রজার ড্রেক যখন নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে কলকাতা আক্রমণে প্ররোচিত করেন, তখনই দুর্গের কার্যকারিতার পরীক্ষা হয়ে যায়। নবাব কলকাতা দখল করে দুর্গে প্রবেশ করেন এবং ১৭৫৬ সালের ১৯ জুন গভর্নর ড্রেক এবং তার সৈন্যদের দুর্গ ত্যাগে বাধ্য করেন। সেই থেকেই পুরনো ফোর্টের ধ্বংসের শুরু। পলাশী-উত্তর যুগে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলার রাজনীতিতে ভাগ্য নিয়ন্তায় আবিভর্ূত হয়। পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে কোম্পানি তাদের ক্রমবর্ধমান শক্তি প্রকাশে এমন একটি দুর্গের প্রয়োজন অনুভব করে। প্রথমদিকে পুরনো দুর্গটিকে নতুন করে নির্মাণ ও এর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদারের কথা ভাবে কোম্পানি। এর ইঞ্জিনিয়ার জেনারেল বেঞ্জামিন রবিন্স এবং তার মৃত্যুর পর কর্নেল ফেডারিক স্কট এ নবায়ন প্রক্রিয়ায় জড়িত ছিলেন। কিন্তু পলাশী বিপ্লব সবকিছু পাল্টে দেয়। ইংরেজদের বণিকসুলভ ভিক্ষাবৃত্তির দিন তখন নেই। লর্ড ক্লাইভের সুপারিশে বর্তমান অবস্থানে নতুন একটি দুর্গ নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়। তদনুযায়ী ফোর্ট সেন্ট ডেভিডের প্রকৌশলী জন ব্রহিয়ের নির্মাণকাজ তদারকি করতে কলকাতায় আসেন। ১৭৫৮ সালের সেপ্টেম্বরে কোম্পানির বাংলা কর্তৃপক্ষ ব্রহিয়েরকে সম্ভাব্য ব্যয়ের হিসাব দাখিল করতে বলেন। ব্রহিয়ের হিসাব করে দেখেন, দুর্গ নির্মাণে ব্যয় হবে ২১ থেকে ২২ লাখ টাকা। ১৭৮০ সাল নাগাদ দুর্গের অধিকাংশ কাজ শেষ হয়। ওয়ারেন হেস্টিংসের সময় দুর্গটি ব্যবহার উপযোগী হয়। পরে অবশ্য যুগোপযোগী করতে আরও অনেক কাজে হাত দিতে হয়। বাকী টুকু পড়ুন এখানে।









তথ্যসূত্র : বাংলাদের প্রতিদিন/২০১২-০৮-২৬





মন্তব্য ৮ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১:৩৩

মিলটন বলেছেন: ভাবতেই অবাক লাগে ইংরেজ আমাদের শোষন করে গেছে ১৯০ বছর। আর আমরা বাঙ্গালী!!!

২৭ শে আগস্ট, ২০১২ সকাল ১১:০৭

অরণ্যের রোদন বলেছেন: ঘসেটি বেগমের মতো এখনও আমাদের দেশের রাজনীতিতে কুট চাল চালছে আমাদের রাজনীতিবিদরা।


একথা ভাবতেও এখন অবাক লাগে!

২| ২৬ শে আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৫:৫৩

আবু সালেহ বলেছেন: এরাই শোষন করে গেছে আমাদের.....

২৭ শে আগস্ট, ২০১২ সকাল ১১:০৮

অরণ্যের রোদন বলেছেন: ঘসেটি বেগমরা আছে বলেই এরা শোষন করে গেছে আমাদের।

৩| ২৬ শে আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:০৭

আরজু পনি বলেছেন:

এই ইস্ট ইন্ডিয়ার ব্যবসাই আমাদের দাসে পরিণত করেছে!
শেয়ার করার জন্যে ধন্যবাদ।

২৭ শে আগস্ট, ২০১২ সকাল ১১:০৯

অরণ্যের রোদন বলেছেন: একদম ঠিক কথা।

৪| ২৭ শে আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৪:০৭

আজনবী বলেছেন: যদি ১৬৯০ সালে জব চার্নকের কাছে কলিকাতা, সূতানুটি ও গোবিন্দপুর নামক তিনটি গ্রাম নামমাত্র মূল্যে বিক্রি করা না হতো, যদি ইংরেজদের ফোর্ট উইলিয়াম তৈরির অনুমতি দেয়া না হতো, যদি মীর জাফর আলী খাঁ এবং তার সহযোগীরা নবাব সিরাজদৌলার সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা না করতো, তবে আজ আমরা কেমন থাকতাম?

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:১৩

অরণ্যের রোদন বলেছেন: নিষ্চয় খুবই ভাল থাকতাম। এ বিষয়ে সন্দেহের অবকাশ নেই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.