![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দিন কয়েক আগে সিরিয়ান এক বন্ধুর সাথে স্কাইপে কথা হচ্ছিল, ওকে বললাম রাশিয়া যেহেতু এবার সিরিয়ায় সরাসরি হস্তক্ষেপ করছে তাহলে অল্পদিনের মধ্যেই পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হবে কারন যেকোন এক দল পুরোপুরি পাওয়ারে থাকলে সে যদি সৈরশাষকও হয় তাহলে কিছু মানুষ নির্যাতিত হলেও দেশের অন্যান্য লোক ভাল থাকবে। ওর উত্তরটা ছিল কিছুটা নিস্প্রভ ওর ব্যাখ্যা হচ্ছে “এতে খুশি হওয়ার কিছু নেই কেউ হয়ত অস্র বিক্রির নতুন বাজার খুজছে আবার কেউ হয়ত তাদের অনুসারী হবে এমন দল খুজছে । মূল কথা আমরা আমাদের পাপে ভুগতেছি মধ্যপ্রাচ্যসহ সবাই ভুগবে হয়ত আগে আর পরে এই আর কি” ওর সোজা সাপ্টা উত্তর শুনে আমি আর যুক্তি তর্কে যাওয়ার সাহস করেনি।
ঐতিহাসিক ভাবে ধ্রুপদী সভ্যতার দেশ বলে বিবেচিত মধ্যপ্রাচ্যের কিছু দেশের এখন যে ক্রান্তিকাল যাচ্ছে স্পষ্টভাবে বলা যায় তা পুরো মধ্যপ্রাচ্যকে ভোগাবে।ইরাক, লেবানন, সিরিয়া একের পর এক দেশ অশান্ত হচ্ছে এটা কি শুধু গণত্নত্রায়নের জন্য? নাকি এর গভীরে আছে কোন দীর্ঘমেয়াদি ষড়যন্ত্র। বর্তমানে বেশির ভাগ দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, গণতন্ত্র চর্চা, গণতন্ত্রের উন্নয়ন কথাগুলো যতটা না কার্যকরী ভূমিকা রাখছে তার চাইতে এটা বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে ঢাল হিসাবে। বিরোধীদের দমন ক্ষমতাসীনদের ক্ষমতা বাড়ানোর উপায় হিসেবে এই শব্দ গুলো ব্যবহৃত হয়।আর এই নাটকই হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যে যার পরিচালক এবং প্রযোজক হচ্ছে প্রশ্চিমা বিশ্ব, আর আরব দেশগুলি এর শুটিং স্পটের সহয়তাকারী।আরব বিশ্বকে স্মরণ রাখতে হবে হঠাৎ করেসময় ও ইতিহাস দুইই বদলে যেতে পারে, হয়ত বা নিজেরাইআবারশুটিং স্পটে পরিনিত হয়ে যেতে পারে কারন তাদের তেলে যে কারো তৈলাক্ত হওয়ার স্বাদ থাকতে পারে। তাই সাম্যাজ্যবাদীদের সাথে উপসাগরীয় মুসলিম বিশ্বের তেলতেলে সম্পর্ক রুক্ষ হওয়ার ভয় দূর করা দরকার।
একুশ শতকের কল্যানকর বিশ্ব ব্যবস্থা যখন গড়ে উঠছে তখন অন্যপাশে ফুটফুটে আয়লানের নিথর দেহ সমুদ্র উপকূলে গড়াগড়ি খাচ্ছে, ইউরোপের সিমান্তে বাবা তার ছোট্ট বাচ্চাকে কাঁধে নিয়ে বাক্স পেট্রা হাতে পরিবার নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ের আশায় ছুটছে , সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর প্রতিরোধের মুখে শিশু বয়স্ক ও রোগাক্রান্ত মানুষরা একটু সাহায্যের আশায় ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে আছে সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর দিকে, সভ্য মানব সভ্যতায় এ দৃশ্য কোন ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।তারপরও আশা জাগিয়েছে জার্মান চ্যান্সেলরের শক্তিশালী ভূমিকা, পোপের আহবান এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের ১ লাখ ষাট হাজার শরনার্থী নেওয়ার ঘোষণা।
কিন্তু কোথায় উপসাগরীয় মুসলিম বিশ্ব? যেখানে তেল সমৃদ্ধ ৫ টি দেশ সৌদি আরব, কুয়েত, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার এবং বাহরাইন যাদের বাৎসরিক জিডিপি একত্রে প্রায় ২ ট্রিলিয়ন ডলার। শুধু কাতারের মাথাপিছু আয় ৯০,০০০ ডলার এবং তাদের লোকসংখ্যা একত্রে ৫৫ মিলিয়নের ও কম।আর যেখানে মুসলিম শরনার্থীরা নতুন আশ্রয়ের আশায় পংঙ্গপালের মত ছুটছে, আশ্রয়হীন দুর্দশাগ্রস্ত শরনার্থীদের কষ্ট সারা বিশ্বের মানুষের চোখের কোনা ভিজালেও তাদের চোখে পড়ছে না কেন?
আরব বিশ্বের দেশগুলোতে চলমান রাজনৈতিক অস্তিরতার পিছনে রয়েছে নানাবিধ কারন এর মধ্যে একনায়কতন্ত্র, সুশাসন ও বাক স্বাধীনতার অভাব এবং দূর্নীতিঅন্যতম কিন্তু যে দেশগুলি সমসাময়িক সময়ে একনায়কতন্ত্র থেকে বেরিয়ে এসেছে তারা যে খুব ভাল অবস্থায় আছে তা কেউ বলতে পারবে না। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার চেয়েও এসব দেশে প্রশ্চিমা বিশ্বের দরকার তাদের পছন্দ মত পুতুল সরকার । এই সুযোগ কাজে লাগিয়েই সামাজ্যবাদী শক্তিগুলোর তাদের স্বার্থ হাসিল করবে।
“নগর পুড়িলে দেবালয় কি এড়ায়” এই প্রবাদ বাক্যটির মত আরব বিশ্বের এই অস্তিরতা নিজেরা সমাধান করতে না পারলে তাদের গৃহেও যে আগুন লাগবে না তা বলা যায় না। ইতিহাস ঘাঁটলে সামাজ্যবাদী শক্তিগুলোর অজুহাতের খসড়া আমরা বিভিন্ন সময়ে দেখেছি। রাশিয়ার পতনের জন্য মার্কিন যুক্তরাস্ট্রের মদদে সৃষ্টি হয়েছিল আল কায়েদা আবার ১১ সেপ্টেম্বরের প্রেক্ষাপটে সেই আল কায়েদার সাথে আফগানিস্থানে যুদ্ধ শুরু করে মার্কিন যুক্তরাস্ট্র।১৯৮০ সালে মার্কিন সাহায্য ও উস্কানির ফলে সাদ্দাম হোসেন ইরান কে আক্রমন করে কিন্তু দুঃখের বিষয় শেষ পর্যন্ত এই মার্কিন ষড়যন্তই সাদ্দাম হোসেনকে ফাঁসির মঞ্চে নিয়ে যায়।
বিশেষ করে মুসলিম বিশ্বের কাছে সৌদি আরবের আবেদন একটু ভিন্নতর। মধ্যপ্রাচ্য ও মুসলিম শরনার্থী সঙ্কট নিয়ে তাদের এরুপ নিশ্চুপ আচরণ সকল মুসলিম দের পীড়া দিচ্ছে কারন ইসলামের যে মানবিক বানীমুসলিমরা লালন করে তার সাথে এরুপআচরণেরকোন মিল নেই।সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন আরববিশ্ব কে উদ্দেশ্য করে লিখেছে “তোমার ধর্ম তোমাকে এই শিক্ষা দিয়েছে যে প্রয়োজনে মুসলিম ভাইকে সাহায্য করবে না” আর একজন ক্ষোভের সঙ্গে উচ্চারন করেছে “পোপ এদের চাইতে বড় মুসলিম”। উপসাগরীয় মুসলিম বিশ্বের এখনও সময় আছে ওআইসি, আরবলীগ,জিসিসির মত সংগঠন গুলোকে আবার সক্রিয় করে মধ্যপ্রাচ্যের সমস্যা নিজেরাই সমাধান করা তানা হলে প্রশ্চিমা বিশ্বের ক্রীড়নক হতে তাদের বেশি সময় লাগবে না ।
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৫৩
সাইফুল কমিট বলেছেন: পাপের শাস্তি এরাও পাবে.।।।
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩১
বিদেশ পাগলা বলেছেন: অারে ভাই সৌদিআরবে নবী(সাঃ) জন্ম না নিলে ঐ পশ্চিমাদের দালাল সৌদিদের মুখে কুত্তা- শুকর ও প্রসাব করতো না...... ! ঐ শয়তানগুলি কে দিবেন মেয়ে আর মদ দেখবেন কত খুশি........ ! এটা কি ইসলামের শিক্ষা ? কিভাবে বিনা উস্কানিতে ইয়েমেনে অবৈধ যুদ্ধ করছে ঐ ইবলিশগুলি । এত পারলে ইসরাইল কে আক্রমন করুক.......! বেঈমানের বাচ্চারা বিশ্বে অস্ত্র রপ্তানীতে শীর্ষে ..... টাকার অপচয় করছে ! হাজিদের নিরাপত্তা দিতে পারে না আবার অবৈধ ভাবে দল-বল নিয়ে উল্টোপথে .নিয়ম ভঙ্গ করে........হাজিদের মারতে পারে.....! শ্রদ্ধেয় জনাব--- ’’মারকেল এঙ্গেল ’’যা করেছে মুসলমানদের জন্য এটা সেই নবী(সাঃ) এর আমলের ইথিওপিয়ার বাদশা নাজ্জাসির কথাই স্মরণ করিয়ে দেয় । আর কুত্তারা আছে বিলাসিতা যৌনকামে ব্যস্ত মাতাল হয়ে..... । শত...শত বিলিয়ন টাকা সুইস ব্যাংকে পড়ে আছে ও বিশাল ভূখন্ড ফাকা পড়ে আছে অথচ তাদের মুসলিম ভাইয়েরা লাথি-চড় খাবে অপমানিত হবে ......নবী(সাঃ) কি আরবদের ইকরামের(সাহায্য) এই হাদিস শিখিয়েছেন.............? এ সমস্যাগুলি মুলত আন্তর্জাতিক মহা সন্ত্রাসি তিন শয়তান যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স এর কারনে হচ্ছে । বিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য ভয়ন্কর হুমকি । আল্লাহর (সৃষ্টিকর্তার)গজব পড়বে ঐ হারামীদের উপর..............