![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
"অনেকদিন যাবত দেখতেছি কোন নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটলেই কিছু নারী তাদের ভিডিও ম্যাসেজের মাধ্যমে অথবা কেউ কেউ তাদের লেখনীর মাধ্যমে প্রকাশ করছেন পুরো পুরুষ জাতির প্রতি বিষমাখা তীব্র ক্ষোভ কিন্তু এটা শুধু বিভেধ সৃষ্টি করা ছাড়া আর কিছুই না। তাদের আর একটু চিন্তা করার জন্য আমার এই লেখা"।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
প্রতিটি মানুষ হোক সে নারী বা পুরুষ সে সমাজের সদস্য হিসেবে জন্মগ্রহণ করে। এরপর তৈরি হয় এক একটা বিশেষ সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডল যেখানে নিয়ম-কানুন, মূল্যবোধ, বিশ্বাস ইত্যাদি গড়ে উঠে। বিভিন্নভাবে বলা হলেও সত্যি কথা হচ্ছে নারী হল তারা যাদের আল্লাহ তা‘আলা দুনিয়াতে পুরুষের অর্ধাঙ্গিনী হিসেবে সৃষ্টি করেছেন।কিন্তু এ কথা সবাই জানে যে প্রাচীন কালে নারী জাতির কোন মূল্য ও মূল্যায়ন বলতে কিছুই ছিল না। আজ এ সভ্য সভ্যতায় এসে অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে কিন্তু এখন নারী নির্যাতনের নামে যা হচ্ছে তার জন্য পুরো পুরুষ জাতি দায়ী নয়, দায়ী কিছু নোংরা ময়ালাযুক্ত মস্তিকওয়ালা কিছু অমানুষ যাদের হাতে শুধু নারী নয় নিরীহ পুরুষরাও তাদের থেকে নিরাপদ নয়। অনেক নারীর অভিযোগ পুরুষরা তাদের পৌরুষত্ব নিয়ত্নন করতে পারে না এজন্য তারা হামলে পড়ে নারীদের উপর কিন্তু তাদের এ অভিযোগের আগে জানতে হবে পুরুষত্ব থাকে পুরুষের হ্রদয়ে যে হ্রদয় শুধু ব্যক্তিত্ববান মানুষ তৈরী করে। আর যারা সুযোগ পেলে নারীদের উপর হামলে পড়ে তাদের থাকে পশুত্ব যা থাকে তার মস্তিকে।
আজ নারীর অধিকার, নারী ক্ষমতায়ন, নারী নির্যাতনের প্রতিবাদ আন্দোলনে যে কয়েকজন নারী অংশগ্রহণ করেন তার চেয়ে বেশী অংশগ্রহণ করে পুরুষ সমাজ। নারীদের আজকের এ অবস্থান শুধু নারীরা আদায় করতে পারেনি তাদের পাশে এসে দাড়িয়েছিল পুরুষ তাই তারা সফল হয়েছে।
প্রাচীন মানব ইতিহাসের আলোচনায় দেখা যায় সেখানে নারীকে শুধু সন্তান উৎপাদনের একটা যন্ত্র বা ভোগের পণ্য হিসেবে গণ্য করা হতো। এমনকি তৎকালীন সভ্য সমাজ নামে খ্যাত গ্রীক, রোমান ও খ্রিষ্ট সমাজে ও নারীর কোন সামাজিক মর্যাদা বা অধিকার ছিল না। ইসলামপূর্ব জাহিলিয়্যাতের যুগে নারী সত্তাটাকেই পরিবারের জন্য, সমাজের জন্য, বংশের জন্য কলঙ্ক, অপমান ও অভিশাপ মনে করা হত এবং নারী সন্তান জন্ম নিলে তাকে মাটির নীচে পুতে ফেলত। বর্বরতার এই চরম মুহূর্তে হযরত মুহাম্মদ (সা.) এসে কন্যা সন্তানকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করে সম্মান ও মর্যাদার উচ্চাসনে দান করলেন এবং বললেন: “তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তিই উত্তম যার প্রথম সন্তান কন্যা।” তিনি আরো বললেন: ‘যদি কারো কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করে এবং সে তাদের প্রতিপালন করে তাহলে তারা তার জন্য দোযখের প্রতিবন্ধক হবে।”
হিন্দু ধর্মমতে নারীর যে স্বতন্ত্র সত্তা স্বীকার করা হতো না, সতীদাহ প্রথাই তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ এবং খৃষ্টান ধর্মমতে একমাত্র নারীই মানবীয় পাপের জন্য দায়ী বলে ধরে নেওয়া হত কিন্তু সেসব অসভ্য যুগ থেকে আমরা এখন আলোর মুখ দেখতে পাচ্ছি কিন্তু এর পেছনে সমানভাবে পুরুষের সহযোগিতা আছে। এখন পৃথিবীতে এমন কোন তাত্ত্বিক মতাদর্শী নেই যিনি বলবেন, তিনি নারী মুক্তির পক্ষে নেই। নারীদের মাথা উচু করে বাঁচার এবং নারী অধিকার আদায়ের লড়াই আর কোনভাবেই শুধু নারীদের নিজেদের সমাধান করার বিষয় নয়। এ বৈষম্যটা সামাজিকভাবে তৈরি হয় এবং সেকারণে পুরুষদেরকেও সমাধানের অংশ হতে হবে। নারীরা উপকৃত হলে সমাজও উপকৃত হবে। কালে কালে নারী অধিকার আদায়ে অনেক মহান পুরুষের ভূমিকা কি আমরা ভুলে গেছি ?
রাজা রামমোহন রায় সতীদাহ প্রথার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে যেভাবে এই অমানবিক প্রথা দূর করেন এবং পন্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর হিন্দু বিধবাদের মর্যাদাকে উন্নতকরণ এবং পুনর্বিবাহকে উৎসাহদান, নারীশিক্ষাকে সমর্থন ও পুরুষের বহুবিবাহ নিরোধ করতে তাঁর জীবনকে উৎসর্গ করেন। কাজী নজরুল ইসলাম যেমন নিজ জীবনে র্ধম - বর্ণের উর্ধ্বে উঠে নারীর সমানাধিকারের প্রশ্নে ঘোষনা করেছেনঃ
বিশ্বের যা কিছু মহান সৃষ্টি চিরকল্যানকর
অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।
নারীকে তার মর্যাদার স্থান নিজেকেই নিশ্চিত করতে হবে, সমাজে সুবিধাবাদীদের ব্যাপারে সচেতন হতে হবে। সমাজে কিছু পশু ছিল, আছে এবং থাকবেই তাদের ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে। নারী এক পুরুষের অর্ধাঙ্গিনী সবার জন্য সর্বাঙ্গিনী নয়। অনেক নারী প্রগতিশীলতার অনেক উচু ধাপে উঠে গেছেন তাদের মতে ছেলেরা খালি গায়ে থাকলে মেয়েরা কেন পারবে না? তাদের বোঝা উচিত নারী পুরুষ এক জিনিস নয় অনেক ছেলে খালি গায় বের হতে পারবে হয়ত কিন্তু পুরুষরাই তাকে ফালতু বলবে কারন তাকে খালি গায়ের চেয়ে পোশাকেই সুন্দর লাগে। কোনটা সৌন্দর্য আর কোনটা সৌন্দর্য নয় বুঝতে হবে। বেহায়পানার করে নারী যে স্বাধীনতা ভোগ করতে চায় তা শুধু প্রতারণা ও কৃত্রিমতা ছাড়া কিছু নয়।
তাই নারী নির্যাতনে পুরো পুরুষ সমাজকে দোষারোপ করে বিভেধ সৃষ্টি না করে আসুন আমার ভাই আমার ছেলেকে শিক্ষা দিই কিভাবে মেয়েদের সম্মান করতে হয়। তাহলে সমাজে এক আমূল পরিবর্তন ঘটবে আর আমার বোন আমার মেয়েকেও শিক্ষা দেই কিভাবে শালীন সৌন্দর্য অর্জন করতে হয়। সবসময় নারীর সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক উন্নয়নে যেমন পুরুষ তার পাশে আছে এবং তাদের অসম্মানের প্রতিবাদে আছে পুরুষ এবং থাকবে পুরুষ।
"অনেকদিন যাবত দেখতেছি কোন নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটলেই কিছু নারী তাদের ভিডিও ম্যাসেজের মাধ্যমে অথবা কেউ কেউ তাদের লেখনীর মাধ্যমে প্রকাশ করছেন পুরো পুরুষ জাতির প্রতি বিষমাখা তীব্র ক্ষোভ কিন্তু এটা শুধু বিভেধ সৃষ্টি করা ছাড়া আর কিছুই না। তাদের আর একটু চিন্তা করার জন্য আমার এই লেখা"।
প্রতিটি মানুষ হোক সে নারী বা পুরুষ সে সমাজের সদস্য হিসেবে জন্মগ্রহণ করে। এরপর তৈরি হয় এক একটা বিশেষ সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডল যেখানে নিয়ম-কানুন, মূল্যবোধ, বিশ্বাস ইত্যাদি গড়ে উঠে। বিভিন্নভাবে বলা হলেও সত্যি কথা হচ্ছে নারী হল তারা যাদের আল্লাহ তা‘আলা দুনিয়াতে পুরুষের অর্ধাঙ্গিনী হিসেবে সৃষ্টি করেছেন।কিন্তু এ কথা সবাই জানে যে প্রাচীন কালে নারী জাতির কোন মূল্য ও মূল্যায়ন বলতে কিছুই ছিল না। আজ এ সভ্য সভ্যতায় এসে অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে কিন্তু এখন নারী নির্যাতনের নামে যা হচ্ছে তার জন্য পুরো পুরুষ জাতি দায়ী নয়, দায়ী কিছু নোংরা ময়ালাযুক্ত মস্তিকওয়ালা কিছু অমানুষ যাদের হাতে শুধু নারী নয় নিরীহ পুরুষরাও তাদের থেকে নিরাপদ নয়। অনেক নারীর অভিযোগ পুরুষরা তাদের পৌরুষত্ব নিয়ত্নন করতে পারে না এজন্য তারা হামলে পড়ে নারীদের উপর কিন্তু তাদের এ অভিযোগের আগে জানতে হবে পুরুষত্ব থাকে পুরুষের হ্রদয়ে যে হ্রদয় শুধু ব্যক্তিত্ববান মানুষ তৈরী করে। আর যারা সুযোগ পেলে নারীদের উপর হামলে পড়ে তাদের থাকে পশুত্ব যা থাকে তার মস্তিকে।
আজ নারীর অধিকার, নারী ক্ষমতায়ন, নারী নির্যাতনের প্রতিবাদ আন্দোলনে যে কয়েকজন নারী অংশগ্রহণ করেন তার চেয়ে বেশী অংশগ্রহণ করে পুরুষ সমাজ। নারীদের আজকের এ অবস্থান শুধু নারীরা আদায় করতে পারেনি তাদের পাশে এসে দাড়িয়েছিল পুরুষ তাই তারা সফল হয়েছে।
প্রাচীন মানব ইতিহাসের আলোচনায় দেখা যায় সেখানে নারীকে শুধু সন্তান উৎপাদনের একটা যন্ত্র বা ভোগের পণ্য হিসেবে গণ্য করা হতো। এমনকি তৎকালীন সভ্য সমাজ নামে খ্যাত গ্রীক, রোমান ও খ্রিষ্ট সমাজে ও নারীর কোন সামাজিক মর্যাদা বা অধিকার ছিল না। ইসলামপূর্ব জাহিলিয়্যাতের যুগে নারী সত্তাটাকেই পরিবারের জন্য, সমাজের জন্য, বংশের জন্য কলঙ্ক, অপমান ও অভিশাপ মনে করা হত এবং নারী সন্তান জন্ম নিলে তাকে মাটির নীচে পুতে ফেলত। বর্বরতার এই চরম মুহূর্তে হযরত মুহাম্মদ (সা.) এসে কন্যা সন্তানকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করে সম্মান ও মর্যাদার উচ্চাসনে দান করলেন এবং বললেন: “তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তিই উত্তম যার প্রথম সন্তান কন্যা।” তিনি আরো বললেন: ‘যদি কারো কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করে এবং সে তাদের প্রতিপালন করে তাহলে তারা তার জন্য দোযখের প্রতিবন্ধক হবে।”
হিন্দু ধর্মমতে নারীর যে স্বতন্ত্র সত্তা স্বীকার করা হতো না, সতীদাহ প্রথাই তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ এবং খৃষ্টান ধর্মমতে একমাত্র নারীই মানবীয় পাপের জন্য দায়ী বলে ধরে নেওয়া হত কিন্তু সেসব অসভ্য যুগ থেকে আমরা এখন আলোর মুখ দেখতে পাচ্ছি কিন্তু এর পেছনে সমানভাবে পুরুষের সহযোগিতা আছে। এখন পৃথিবীতে এমন কোন তাত্ত্বিক মতাদর্শী নেই যিনি বলবেন, তিনি নারী মুক্তির পক্ষে নেই। নারীদের মাথা উচু করে বাঁচার এবং নারী অধিকার আদায়ের লড়াই আর কোনভাবেই শুধু নারীদের নিজেদের সমাধান করার বিষয় নয়। এ বৈষম্যটা সামাজিকভাবে তৈরি হয় এবং সেকারণে পুরুষদেরকেও সমাধানের অংশ হতে হবে। নারীরা উপকৃত হলে সমাজও উপকৃত হবে। কালে কালে নারী অধিকার আদায়ে অনেক মহান পুরুষের ভূমিকা কি আমরা ভুলে গেছি ?
রাজা রামমোহন রায় সতীদাহ প্রথার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে যেভাবে এই অমানবিক প্রথা দূর করেন এবং পন্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর হিন্দু বিধবাদের মর্যাদাকে উন্নতকরণ এবং পুনর্বিবাহকে উৎসাহদান, নারীশিক্ষাকে সমর্থন ও পুরুষের বহুবিবাহ নিরোধ করতে তাঁর জীবনকে উৎসর্গ করেন। কাজী নজরুল ইসলাম যেমন নিজ জীবনে র্ধম - বর্ণের উর্ধ্বে উঠে নারীর সমানাধিকারের প্রশ্নে ঘোষনা করেছেনঃ
বিশ্বের যা কিছু মহান সৃষ্টি চিরকল্যানকর
অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।
নারীকে তার মর্যাদার স্থান নিজেকেই নিশ্চিত করতে হবে, সমাজে সুবিধাবাদীদের ব্যাপারে সচেতন হতে হবে। সমাজে কিছু পশু ছিল, আছে এবং থাকবেই তাদের ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে। নারী এক পুরুষের অর্ধাঙ্গিনী সবার জন্য সর্বাঙ্গিনী নয়। অনেক নারী প্রগতিশীলতার অনেক উচু ধাপে উঠে গেছেন তাদের মতে ছেলেরা খালি গায়ে থাকলে মেয়েরা কেন পারবে না? তাদের বোঝা উচিত নারী পুরুষ এক জিনিস নয় অনেক ছেলে খালি গায় বের হতে পারবে হয়ত কিন্তু পুরুষরাই তাকে ফালতু বলবে কারন তাকে খালি গায়ের চেয়ে পোশাকেই সুন্দর লাগে। কোনটা সৌন্দর্য আর কোনটা সৌন্দর্য নয় বুঝতে হবে। বেহায়পানার করে নারী যে স্বাধীনতা ভোগ করতে চায় তা শুধু প্রতারণা ও কৃত্রিমতা ছাড়া কিছু নয়।
তাই নারী নির্যাতনে পুরো পুরুষ সমাজকে দোষারোপ করে বিভেধ সৃষ্টি না করে আসুন আমার ভাই আমার ছেলেকে শিক্ষা দিই কিভাবে মেয়েদের সম্মান করতে হয়। তাহলে সমাজে এক আমূল পরিবর্তন ঘটবে আর আমার বোন আমার মেয়েকেও শিক্ষা দেই কিভাবে শালীন সৌন্দর্য অর্জন করতে হয়। সবসময় নারীর সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক উন্নয়নে যেমন পুরুষ তার পাশে আছে এবং তাদের অসম্মানের প্রতিবাদে আছে পুরুষ এবং থাকবে পুরুষ।
©somewhere in net ltd.