নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

‘আমি অন্ধকারে আলো খুঁজি, নিরাশায়;আশায় বুক বাঁধি, জেগে জেগে স্বপ্ন দেখি,স্বপ্ন বুনি, ……………সবার উলটো চলি!’

অনুজ্জ্বল_তারা

*******

অনুজ্জ্বল_তারা › বিস্তারিত পোস্টঃ

চারটি সুন্দর হাদীস

১৩ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১০:৩৩

অনুবাদঃ

________

হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত।তিনি বলেন,রাসূলুল্লাহ (স) বলেছেন,ভাল চিন্তা ও উত্তম ধারণা করাও উত্তম ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত।(আহমদ ও আবু দাউদ)

ব্যাখ্যামূলক অনুবাদঃ

________

মানুষের সকল কাজকর্ম দু’ভাগে বিভক্ত।পাপ কিংবা পুণ্য।কোনো কোনো ধারণা যেমন পাপ তেমনি কোনো কোনো ধারণা উত্তম ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত।মুহাদ্দিসীনে কেরাম অত্র হাদীসের দু’ধরণের ব্যাখ্যা প্রদান করেছেন।যেমন-

১ আল্লাহ তায়ালাকে কারীম,গাফফার ও সাত্তার ইত্যাদি গুণবাচক নামের সাথে সংশ্লিষ্ট গুণসম্পন্ন বলে সদা স্মরণ করা।তিনি যে উল্লিখিত গুণের অধিকারী সে ধারণা রাখাও ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত।কিন্তু গাফফার ও সাত্তার ধারণা করে তার ইবাদত করা থেকে বিরত থাকা গোমরাহী ও ধৃষ্টতা;বরং এ ধারণা রাখতে হবে যে,আমি পাপী তিনি গাফফার।সুতরাং আমি ক্ষমা চেয়ে তওবা করলে তিনি নিশ্চয় ক্ষমা করেন ।

২ কেউ কেউ বলেন,মুমিন বান্দা সম্পর্কে ভাল ধারণা পোষণ করাও ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত।যেমন কোন ব্যক্তিকে এক রাতে দেখা গেল যে,তিনি নফল নামায পড়ছেন।সুতরাং তার সম্পর্কে এ ধারণা রাখতে হবে যে,তিনি প্রত্যহ নফল নামায পড়ে থাকেন।



অনুবাদঃ

________

হযরত আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত।তিনি বলেন,রাসূলুল্লাহ (স) বলেছেন,দারিদ্র্যতা প্রায় কুফরীর কাছাকাছি পৌঁছে দেয় ।আর হিংসা বা উচ্চাশা যেন তাকদীরের উপর জয়লাভ করবে।(বায়হাকী)

ব্যাখ্যামূলক অনুবাদঃ

________

অভাব-অনটন মানুষকে হাতাশাগ্রস্ত করে তোলে।ঈমানদার ব্যক্তির জন্য তাই এটা কঠিন পরীক্ষা।অভাব-অনটন ও দারিদ্র্য মানুষকে এমন কাজেও লিপ্ত করে,যা সুস্পষ্ট হারাম।যেমন-হত্যা,লুটতরাজ ও চুরি-ডাকাতি ইত্যাদি।আবার এই দারিদ্র্যতা কখনো কখনো আল্লাহ তায়ালার ওপর প্রশ্ন ও অভিযোগ তোলার মানসিকতা সৃষ্টি করে,ফলে অভাব-অনটনে নিপতিত হয়ে যে কোনোভাবে কুফরীর সীমা পর্যন্ত পৌঁছে যায়।আর হিংসা মানুষকে উচ্চাভিলাষী করে ছাড়ে। ফলে সে আশার পিছনে এমনভাবে ছুটে বেড়ায় যে,ভাগ্যে সেটা আছে কি নেই,এটুকু চিন্তা করারও অবকাশও পায় না।অবশেষে তাকদীর তার আশা ও হিংসার কাছে পরাভূত হতে বাধ্য হয়।

অনুবাদঃ

________

হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ)হতে বর্ণিত।তিনি বলেন,রাসূলুল্লাহ(স) বলেছেন,মারইয়ামের পুত্র ঈসা (আ) এক ব্যক্তিকে চুরি করতে দেখলেন।হযরত ঈসা (আ) তাকে জিজ্ঞেস করলেন,তুমি চুরি করছ?সে বলল,কখনো না।ঐ সত্তার শপথ,তিনি ছাড়া কোন ইলাহ নেই।হযরত ঈসা (আ) বললেন,আমি আল্লাহ তায়ালার ওপর বিশ্বাস স্থাপন করলাম এবং নিজেকে মিথ্যাবাদী আখ্যায়িত করলাম।(মুসলিম)

ব্যাখ্যামূলক অনুবাদঃ

________

আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের নামে শপথের পর তাতে কোনো প্রশ্নের অবকাশ থাকে না। কেননা তাঁর নামে শপথ করে কোনো কথা বলার দ্বারা তার মধ্যে এমন দৃঢ়তা আসে,যা চোখে দেখা এবং কানে শোনা বিষয়কেও মিথ্যা প্রমাণিত করে।অত্র হাদীসে এ প্রসঙ্গে রাসূল(স) বলেন,একদা হযরত ঈসা (আ) এক ব্যক্তিকে কোনো কিছু চুরি করতে দেখে জিজ্ঞেস করলেন,তুমি কি চুরি করছ?সে আল্লাহ তায়ালার নামে শপথ করে অস্বীকার করল।তার কথা শুনে হযরত ঈসা (আ) বললেন,আল্লাহ তায়ালার নামে তোমার শপথ করাই সত্য।সুতরাং আমার চোখে দেখা ব্যাপারটি মিথ্যা।তাই আমি তোমাকে মিথ্যার অভিযোগ অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিলাম।

________

অনুবাদঃ

হযরত সাঈদ ইবনে যায়েদ (রাঃ) হতে বর্ণিত।তিনি নবী করীম (স) হতে বর্ণনা করেন,তিনি(রাসূলুল্লাহ স)ইরশাদ করেছেন,সবচেয়ে বড় সুদ হলো অন্যায়ভাবে কোনো মুসলমানের মানহানি করা।(আবু দাউদ,আর বায়হাকী শোয়াবুল ঈমান গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন)।

ব্যাখ্যামূলক অনুবাদঃ

________

মুসলমানের মান-সম্মান ও ইজ্জত অত্যন্ত মূল্যবান সম্পদ।অন্যায়ভাবে কারো মানহানি করা কবীরা গুনাহ এবং সুদ খাওয়া অপেক্ষা জঘন্যতম পাপ।আলোচ্য হাদীসে নবী করীম (স) এ ব্যাপারে বলেন,ইসলামী শরীয়তে সুদের লেনদেন যেমন কঠোরভাবে নিষিদ্ধ তথা হারাম,ঠিক তেমনি কোনো মুসলমানের মান-ইজ্জত হানি করাও হারাম।সুতরাং মুসলমান ভাইয়ের মান-সম্মানের ব্যাপারে তোমরা সতর্ক হও।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই জুন, ২০১৪ রাত ৮:১৪

খাটাস বলেছেন: সুন্দর পোস্ট। তবে ধর্মীয় ব্যাপারে একটু সতর্ক থাকা প্রয়োজন। হাদিসের সোর্স দিলে ভাল হত। ভাল থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.