নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তারকা

মোহাম্মদ আনোয়ার

গনতন্ত্র নিপাত যাক, স্বৈরাচার মুক্তি পাক,

মোহাম্মদ আনোয়ার › বিস্তারিত পোস্টঃ

ব্যাটারী চালিত রিক্সা ও অটোরিক্সা, জনগণ ও ভবিষ্যৎ সরকারের জন্য এক বিপদ সংকেত:((:-/:-*:((

০৩ রা মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:০৩







বিজ্ঞানের কল্যাণে ও প্রয়োজনের তাগিদে মানুষ প্রতিনিয়ত নানান কিছু আবিস্কার করে চলেছে। দুই চাক্কার হাতে টানা গাড়ী, সাইকেল, মোটর সাইকেল, তিন চাক্কার রিক্সা, অটোরিক্সা, চার চাক্কার বাস, মিনি বাস, ট্যাক্সি ইত্যাদি ইত্যাদি। এক সময় এগুলোর মধ্যে কোন কোনটি পেট্রোল বা ডিজেল চালিত হলেও বায়ু দূষণ রোধে সেগুলোকে সি এন জি’ তে রূপান্তরিত করায় বায়ু দূষণ অনেকটাই রোধ হয়েছে। হালে ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সা এমনকি ব্যাটারী চালিত রিক্সাও দেখা যাচ্ছে। এই সমস্ত যানের ব্যাটারী চার্জ করতে প্রচুর পরিমান বিদ্যুত খরচ হচ্ছে। যেখানে বিদ্যুতের অভাবে মানুষ অতিষ্ট, বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে ঘন ঘন বিদ্যুতের দাম বাড়াতে হচ্ছে, এমনকি কুইক রেন্টালের মতো আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে, সেখানে যদি দেশের লক্ষ লক্ষ রিক্সা ও অটোরিক্সা গুলো ব্যাটারীতে চালিত হতে থাকে, তাহলে যে কি ভয়াবহ অবস্থা হবে, সেটি কল্পনাও করা যায়না !!!!!!!!!!!!


একটি বাস্তব অভিজ্ঞতা ঃ ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সা ও রিক্সা নিয়ে আমি মাঝে মাঝে চিন্তা করি। তো একদিন আমি এবং আমার স্ত্রী রিক্সায় চড়ে বাসায় ফিরছি। রিক্সায় উঠার পর খেয়াল করি রিক্সাটি ব্যাটারী চালিত। আমি আমার স্ত্রীকে বলি, সরকারের উচিৎ যত দ্রুত সম্ভব ব্যাটারী চালিত রিক্সা ও অটোরিক্সা বন্ধ করে দেয়া, নাহলে ভবিষ্যতে জনগন ও সরকারের কপালে খারাপই আছে। হঠাৎ রিক্সাওয়াল বলে উঠলো, সরকার বন্ধ করতে পারবে না। আমি জিজ্ঞাস করলাম, কেন ? তার উত্তর, প্রতি মাসে থানার লোককে টাকা দিতে হয় !!!!!!!!!!!!!। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, কত টাকা দিতে হয় ? সে উত্তর দিলো, রিক্সা প্রতি পাঁচশত টাকা। আমি বললাম, সরকার যদি আইন করে ? তার উত্তর, আইন করে লাভ নাই ? টাকায় সব কিছু হয়।


থানার লোক রিক্সা প্রতি পাঁচশত টাকা করে নেয় কি-না আমি জানিনা, তবে আমিও শঙ্কিত এই ভেবে যে, সরকার আইন করলেও কোন লাভ হবে কি-না !!!!!!!!!!!! কারণ আমাদের দেশে যতোই আইন তৈরী হয়, ততোই উৎকোচ বাণিজ্য রমরমা হয়ে উঠে। আইনের প্রয়োগতো দূরের কথা, উৎকোচের বিনিময়ে পরোক্ষভাবে আইন অমান্যকারীকেই আইন অমান্য করতে সহায়তা করা হয়। অন্যায় যেন বৈধতা পায়। তারপরও বলছি, সরকারের উচিৎ যত দ্রুত সম্ভব আইন করে এবং আইনের বাস্তব প্রয়োগ করে ব্যাটারী চালিত রিক্সা ও অটোরিক্সা বন্ধ করে সৌর বিদ্যুৎ চালিত রিক্সা ও অটোরিক্সা প্রযুক্তি ব্যবহারে চালকদেরকে সহায়তা করা এবং নতুন রিক্সা তৈরী ও পার্টস্ আমদানী বন্ধ করে নতুন নতুন কলকারখানা তৈরী করে রিক্সা চালকদেরকে সেখানে কাজে লাগানো, নইলে দেশের মানুষ ও সরকারের কপালে কঠিন দুঃখ আছে।

পাদটীকা - শীতকালেও কখনো কখনো লোডশেডিং হচ্ছে।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:১৪

বর্ষন হোমস বলেছেন:
হুম ব্যাপারটা চিন্তার।

২| ০৩ রা মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:২৬

ইউনিয়ন বলেছেন: :-B গাড়ির মডেল গুলো খুবই চমেৎকার, আমাদের মহামান্য রাষ্ট্রপতিদের কথা মাথায় রেখে করা হয়েছে।

৩| ০৩ রা মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:৩৬

গেম চেঞ্জার বলেছেন: আপনার সাথে একমত না। বিদ্যুৎ কি দুষ্প্রাপ্য জিনিস এই জামানায়! সরকারের লোকেরা যত খাবার কথা তার ১০ গুণ খাচ্ছে সমস্যা হচ্ছে সেই জায়গায়।

বিদ্যুৎ উৎপাদন না বাড়িয়ে এইসব ফালতু সল্যুশনের চিন্তা বন্ধ করেন।

৪| ০৩ রা মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:৩৬

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: ব্যাটারি চার্জ দিতেই বিদ্যুৎ লোডশেডিং ! আমিও আপনার মতামতকে স্বাগত জানাই। এগুলো বন্ধ হওয়া উচিৎ।

৫| ০৩ রা মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:৩৭

প্রামানিক বলেছেন: আইন করে ব্যাটারী চালিত রিক্সা বন্ধ হোক এটা সবার কাম্য কিন্তু অপ্রয়োজনে অনেক সময় অনেক ইলেক্ট্রনিক যন্ত্র ব্যবহার করা হয় সেগুলো বন্ধ করবেন কি করে? যেমন রাইস কুকার, কারি কুকার, ওভেন, পানি গরম করা গিজার, ঠান্ডা খাওয়ার এসি ইত্যাদি। সেদিন গ্রামে গিয়ে দেখি পর্যাপ্ত পরিমান লাকরি থাকতেও রাইস কুকারে ভাত আর ডিজিটাল চুলায় তরকারী বসিয়ে ঐ বাড়ির ভাবীসাহেবা বারান্দার চেয়ারে বসে আছেন। দুইটা চুলায় কমপক্ষে তিন হাজার থেকে চার হাজার ওয়াট বিদ্যুৎ খরচ হচ্ছে। যা দিয়ে কয়েকটা রিক্সা চার্জ দেয়া যায়। অথচ সারা বাংলাদেশে লক্ষ লক্ষ এরকম ডিজিটাল চুলা দৈনিক চলে।

আবার প্রায় অফিসেই দেখি বিনা প্রয়োজনে অফিসের এসিগুলো ঘণ্টার পর ঘন্টা চলতেছে। এসব একটা এসির বিদ্যুৎ দিয়ে দশটা রিক্সার ব্যাটারী চার্জ দেয়া যায়, অথচ সারা বাংলাদেশে লক্ষ লক্ষ এসি অপ্রয়োজনে চালিয়ে বিদ্যুৎ খরচ করা হচ্ছে। এসব বন্ধ করবেন কি করে?

বিদ্যুতের অপচয় বন্ধ করা দরকার বিদ্যুতের অপচয় বন্ধ হলে লোডসেডিং এমনিতেই কমে যাবে।

ব্যাটারী চালিত রিক্সাকে বাংলার সর্বনাশ ভাবলেও গরীবের জন্য সহায়কও বটে। যেমন একশত টাকার নিচে যেখানে সিএনজি চালিত অটো যাতায়াত করে না সেখানে ব্যাটারী চালিত রিক্সায় মাত্র পঞ্চাশ টাকায় যাওয়া যায়।

তবে ব্যাটারী চালিত রিক্সা বন্ধ না করে সোলার সিস্টেম চালু করা দরকার।

৬| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:১৬

কালীদাস বলেছেন: নাহ, একমত হতে পারলাম না। সভ্যতার অগ্রগতির সাথে সাথে বিদ্যুতের চাহিদা ক্রমাণ্বয়ে বাড়বেই। হ্যা, আপনি অপচয় কমানোর চেষ্টা করতে পারেন, কিন্তু সেটা একটা কাজে লাগা টেকনলজি বন্ধ করে না। ডেভেলপড দেশগুলোতে ইলেক্ট্রিক বা হাইব্রিড ভেহিকেল কেনা পছন্দ করে অনেকেই, কারণ এগুলো থেকে পরিবেশ দূষণ কম হয়।

@প্রামানিক: শহরে অনেকে বাধ্য হচ্ছে ইদানিং রাইস কুকার, মাইক্রোওয়েভে কিনতে। গ্যাসের প্রেশার থাকে না বললেই চলে দিনের উল্লেখযোগ্য সময়। লোকজন যাবে কই?

৭| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৬

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: লোড শেডিং এর কারণে একটিও রিকশা পাইনি। সব চার্জ না থাকায় অটো বন্ধ হয়েছিল। এমন হলেতো অসহনীয় অবস্থা। আবা এগুলো পরিবেশ বান্ধব নয়। তবে রিকশাওয়ালাদের কষ্ট কম হয় বা হয় না এটা বড় প্লাস পয়েন্ট।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.