নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানবধর্ম

অ‌প্রিয় সত্য

ধর্ষনের রাজ্যে পৃথিবী পশুময়, তনু, মনু, সাবিত্রী, পূর্ণিমারা যেন রক্তাক্ত মানচিত্র..ধর্ম ও পশু মুক্ত সমাজ চাই । নারী বান্ধব রাষ্ট্র্র চাই।

অ‌প্রিয় সত্য › বিস্তারিত পোস্টঃ

কোরানিক Big gun---06

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:৫০


বিশ্বের সমগ্র ইহুদী নাসারা কোরান রিসার্চ করে একেক
জন বড় বড় বিজ্ঞানী হয়ে যাচ্ছে, কিন্তু মুসলিম জাতি
কোরান রিসার্চ না করার দরুন বিজ্ঞান থেকে পিছিয়ে
কেবলই জাকির নায়েকের প্রতি নির্ভরশীল হয়ে যাচ্ছে।
কাজেই, আসুন, জানুন এবং রিসার্চ করে নিত্য নতুন
আবিষ্কারে বিশ্ব বাসীকে তাক লাগিয়ে দিন।

সূরাঃ ৯১: ০২
শপথ চন্দ্রের, যখন তা আসে সূর্যের পেছনে পেছন।
প্রশ্ন হল, চন্দ্র কিভাবে সূর্যের পেছন পেছন আসে?

ভূগোলের এ সামান্য জ্ঞান মনে হয় অষ্টম শ্রেনীর
ছাত্র ছাত্রীদের মাঝেও রয়েছে যে, পৃথিবী ও চন্দ্রের
প্রদক্ষিনের রহস্য। কে জানে না, সূর্যকে কেন্দ্র করে
পৃথিবী প্রদক্ষিন করছে এবং পৃথিবী একই সাথে নিজের
অক্ষেও ঘুরে চলেছে। চাঁদ পৃথিবীর একটা ক্ষুদ্রতম
উপগ্রহ মাত্র, যা পৃথিবীকে কেন্দ্র করে প্রদক্ষিন করে
চলেছে। কিন্তু বিজ্ঞান ময় কোরানে আল্লাহ শপথ
করে বলছে, চন্দ্র চলে সূর্যের পেছনে পেছনে। আমি
জানি না, জাকির বাবাজী বিষয়টাকে ঠিক কিভাবে
বিজ্ঞানের সাথে মিল করেছে জানি না, তবে
বিজ্ঞানের প্রমানিত সত্য যা বলে, তা প্রকাশ করছি।

লক্ষ্য করুন আয়াতের প্রতি। কোন কিছু, কোন কিছুর
পেছন পেছন চলা মানে, দুইটা গতিশীল বস্তুর একটা
সামনে এবং আরেকটা পেছনে গতিশীল বুঝায়। সূর্য এবং
সূর্যকে কেন্দ্র করে চলা প্রতিটি গ্রহ অবশ্যই
গতিশীল। আবার গ্রহকে কেন্দ্র করে প্রদক্ষিনরত
উপগ্রহ গুলোও সূর্যকে কেন্দ্র করে গতিশীল। মোট
কথার, গ্রহ প্রদক্ষিন করছে সূর্যকে, কিন্তু উপগ্রহ
গ্রহকে প্রদক্ষিনের সাথে সাথে সূর্যকেও প্রদক্ষিন করে
চলেছে প্রতিনিয়ত। উক্ত প্রদক্ষিনের কারনে, সূর্য
যেদিকে গতিশীল রয়েছে, পৃথিবী এবং চাঁদ যদি তার
বিপরীত দিতে অবস্থান করে, তাহলে না হয় কিছুক্ষনের
জন্য মেনেই নিলাম যে, পৃথিবীসহ চাঁদ যেহেতু গতিশীল
সূর্যের পেছনে অবস্থান করছে, সেহেতু পৃথিবী ও চাঁদ
সূর্যের পেছনে পেছনেই চলছে। কিন্তু পৃথিবী এবং চাঁদের
গতিশীলতার জন্য উভয়ই তো আর এমন বিপরীত
অবস্থানে থেমে থাকবে না। একটা সময় পরে পৃথিবী এবং
চাঁদ সূর্যের যদি ডানপাশে চলে আসবে এবং বামপাশেও
চলে আসবে। তখন কিন্তু বলা যাবে, চাঁদ চলে সূর্যের
সাথে সাথে। আবার একটা সময় পরে পৃথিবী ও চাঁদ
সূর্যের সামনে চলে আসবে, তখন কিন্তু বলতে হবে চাঁদ
চলে সূর্যের সামনে সামনে।

এখনে ধার্মিকদের মনে করিয়ে দেই যে, তাহারা কোরানের
সাথে মিল করনের প্রচেষ্টায় যুক্তির ত্যানা পেঁচাতেই
পারে। সেজন্যই বলছি, কোরান বলছে, চাঁদ আসে সূর্যের
পেছন পেছন। কোথাও কিন্তু বলা নাই যে, চাঁদ পাশে এবং
সামনে চলে। তাছাড়াও গতিশীল চাঁদকে এক মুহুর্ত্বের
জন্যও বলা ঠিক হবে না যে, চাঁদ কারো পেছনে পেছনে
আসছে। কেননা, প্রতি সেকেন্ড তো দূর, প্রতি মাইক্রো
সেকেন্ডে তার অবস্থান পরিবর্তন করে চলেছে
গতিশীলতার জন্য।

তাহলে কেন কোরানে এমন বলা হয়েছে? উত্তর সিম্পল।
তখন কার যুগে খালি চোখে যা দেখা যায়, তার উপর
ভিত্তি করেই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল। এছাড়া উপায়ও
ছিল না, কারন তখন প্রযুক্তির এতো উন্নতি ছিল না
বলেই মনে হয়। কেননা, বর্তমান যুগে আমরা লক্ষ্য
করছি যে, আধুনিক বিজ্ঞান যা কিছুই আবিষ্কার করুক
না কেন, সেটাই ধার্মিকগন খুঁজে পাচ্ছে কোরানে। কিন্তু
আবিষ্কারের পূর্বে খুঁজে পাচ্ছে না। তখন যদি চাঁদের
গতি প্রকৃতির সঠিক প্রমান পাওয়া যেত, তবে নিশ্চয়
মুহাম্মদ এতো বড় ভুল করত না। কেননা, সূর্য যেদিক
থেকে উদয় হয় এবং অস্ত যায়, (যদিও সূর্যের উদয়
অস্ত বলে কিছু নেই, আমরা সূর্যকে প্রদক্ষিনরত
অবস্থায় আছি বলেই সূর্যকে গতিশীল মনে হয়, যেমন
গাড়িতে উঠে বাহিরে তাকালে মনে হয় গাছ গতিশীল
রয়েছে।) তার গতি প্রকৃতি এবং চাঁদের গতিপ্রকৃতি
দেখেই তা অনুমান করা হয়েছে যে, চাঁদ আসে সূর্যের
পেছন পেছন।

যেহেতু আল্লাহ ভুল করতে পারে না, সেহেতু ভুলটা যে
মুহাম্মদ করেছে তার অনুমান লব্দ জ্ঞানের জন্য, তা
আর প্রমানের অপেক্ষা রাখে না। আসুন... কোরানিক
বিগ্যান রিসার্চ করি এবং নিজেকে বিগ্যানী হিসাবে গড়ে
তুলি।
আমিন...

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.