নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানবধর্ম

অ‌প্রিয় সত্য

ধর্ষনের রাজ্যে পৃথিবী পশুময়, তনু, মনু, সাবিত্রী, পূর্ণিমারা যেন রক্তাক্ত মানচিত্র..ধর্ম ও পশু মুক্ত সমাজ চাই । নারী বান্ধব রাষ্ট্র্র চাই।

অ‌প্রিয় সত্য › বিস্তারিত পোস্টঃ

চীন সরকার সেদেশের মুসলিমদের রোজা পালন নিষিদ্ধ করেছে- এই নিউজটি বাংলাদেশী মিডিয়াতে বিকৃত করে এসেছে বলেই ধারণা করি।

০৮ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ২:৫৫

চীন সরকার সেদেশের মুসলিমদের রোজা পালন নিষিদ্ধ করেছে- এই নিউজটি বাংলাদেশী মিডিয়াতে বিকৃত করে এসেছে বলেই ধারণা করি। আমার ফেইসবুক বন্ধু তানভির ভাইয়ের পোস্টেই জেনেছি তার মুসলিম চাইনিজ বন্ধুটি রোজা ছিল পরিবার সমেত। আসল ঘটনা হচ্ছে চীন সরকার সেদেশের মুসলিমদের রমজান উপলক্ষ্য মামার বাড়ির আবদারগুলোকেই নিষিদ্ধ করেছে। যেমন কাজে ফাঁকি দেয়ার মতলব (কর্মঘন্টা পরিবর্তন করা, কমিয়ে দেয়া), প্রকাশ্যে দোকান পাটে খাবার দাবার বিক্রি হলে অনুভূতিতে আঘাত লাগার অজুহাতে বন্ধ রাখা, মুসলিম অধ্যুষিত জায়গায় স্বউদ্যোগে মুসলিম ব্যবসায়ীরাই এই দোকানপাট বন্ধ রাখে যা স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে ব্যহত করে। আমাদের দেশেই অমুসলিম নাগরিকরা অফিস-আদালতে দুপুরের খাবারের জন্য কি পরিমাণ নাকাল হন তা নিজের চোখে দেখেছি। যারা রোজা রাখেন না তেমন মুসলিম, নাস্তিকরাও প্রায় ফাও রোজা রাখতে বাধ্য হন! চীন সরকার মুসলিমদের এইসব অসভ্যতা বরদাস্ত করেনি ব্যস্ এটুকুই।কিন্ত আমাদের রমজান অনুভূতিতে আক্রান্ত মুসলিম মিডিয়াতে নিউজটি এসেছে ইসলাম বিদ্বেষী কভার হিসেবেই।
চাইনিজরা সাংঘাতিক জাতীয়তাবাদী। ইসলাম নিজে আরব জাতীয়তাবাদের উপনিবেশ চালায়। ইসলাম ধর্মকে আমরা অন্যসব ধর্মের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলি। এই গুলিয়ে ফেলার কারণে ধর্মের যে সাধারণ বৈশিষ্ঠ সে হিসেবে ইসলামকে বিবেচনা করে আমাদের সিদ্ধান্ত ভুল হয়ে যায়। ইসলাম কেবল নামাজ-রোজা করার কোন ধর্ম না। হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, ইহুদী কতগুলো ধর্মীয় রীতিতেই যেখানে শেষ ইসলাম সেখানে দাবী করে, “ইসলামী সংস্কৃতি” “ইসলামী অর্থনীতি” “মুসলিম জাতীয়তাবাদ” “ইসলামী আইন” “ইসলামী রাষ্ট্র” “ইসলামী উম্মাহ” ইত্যাদি বহুধায় বিভিক্ত মুসলিম পরিচয় যা নাকি অলঙ্ঘনিয়! যেমন একজন সাঁওতাল, চাকমা, মারমা কিংবা চাইনিজ যদি ইসলাম গ্রহণ করে মুসলিম হয় তাহলে ইসলাম তাকে “ইসলামী সংস্কৃতি” ভিন্ন অন্যসব সংস্কৃতি ত্যাগ করতে বলবে যা তার ইসলামী তথাকথিত সংস্তৃতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক। যেমন সাওতাল বা চাকমাদের ছেলেমেয়েদের হাত ধরে নাচা, বিভিন্ন উৎসব যেখানে নারী পুরুষ মিলিতভাবে বন্ধুর মত মেশে ইসলাম সেখানে হস্তক্ষেপ করবে। আদীবাসীদের মধ্যে খ্রিস্টধর্মের অনুসারী প্রায় ৯৯ ভাগ, খ্রিস্টান ধর্ম কিন্তু তাদের কালচারের উপর কোন নাক গলাতে আসেনি। বাঙালী মুসলমানদের উদার বলে একটা প্রচার ছিল সেই তারাই নিজেদের নববর্ষ পালনকে হারাম বলে পরিত্যাগ করার দিকে মারাত্মকভাবে ঝুঁকে পড়ছে, নিজেদের সংস্কৃতিকে ইসলাম বিরোধী বলে ত্যাগ করছে। চাইনিজ মুসলিম অধ্যুষিত অঞ্চলগুলোর মসজিদের ইমামদের মুসলিম কমিউনিটিদের ‘চাইনিজ সভ্যতার’ বিরুদ্ধে আরবী কালচারকে উসকে দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। আর এসব কতখানি সত্য আর বাস্তব তা আমাদের চেয়ে আর কে বেশি জানবে? আমরা তো আরবী ভাষা ও সংস্কৃতির উপনিবেশন দেখছি বাঙালীর নিজস্ব সংস্কৃতি ও ভাষার উপর। খুব বেশিদিন আগের কথা নয়, যখন বাঙালী মুসলমান ধনীরা উর্দু ভাষা ব্যবহার করত। পাকিস্তান আমলে অহেতুক আরবী, ফার্সি, উর্দু শব্দের ব্যাপক আমদানি ঘটানো হয়েছিল বাংলা ভাষাতে। কাজেই চাইনিজ সরকার সঠিক সময়েই লাগাম টেনে ধরছে। এটিকে “রোজা রাখতে বাধা দেয়া হচ্ছে” বলে জোর প্রচার চালানো হবে মুসলিম বিশ্বে। কিন্তু চাইনিজ সরকার তো “মদিনা সনদে” দেশ চালায় না যে ছল্লু-বল্লুরা কি বলল আর না বলল তাকে কান দিবে। চীনে কোন মুসলিমকেই রোজা ও নামাজ পড়তে বাধা দেওয়া হয় না। তবে এসবের নাম করে কেউকে ফাঁকি দিতে বা নিজের নাক কেটে অন্যের যাত্রা ভঙ্গ করতে দেওয়া হবে না। তারাবি নামাজের মত দীর্ঘ সময়ের অপচয় একমাত্র দুম্মা চালানো আরবদের পক্ষেই সম্ভব ছিল। আজকের উৎপাদনশীল বিশ্বে, চীনের মত পরিশ্রমি ও কাজ পাগল জাতির জন্য এইসব তারবিফারবি আত্মহত্যার সামিল। এসবকে চাইনিজ সরকার যে অগ্রাহ্য করে দমন করছে তার জন্য তাদের প্রশংসা না করে পারছি না।
#সুষপ্ত পাঠক

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:০২

সজীব মোহন্ত বলেছেন: সব ধরণের চাইনিজ পণ্য বর্জনের ডাক দেওয়া হোক!

২| ০৮ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:১০

বৈশাখের আমরণ নিদাঘ বলেছেন: চীন একটা নাস্তিক রাস্ট্র। ওরা ধর্মীয় পরিচয়ের কাউকেই সরকারী পদে স্বীকার করতে চায়না। মাও এসে যতগুলো মসজিদ ভেঙ্গেছিলো, তারচেয়ে বেশি প্যাগোডা, চার্চ ভেঙ্গেছিলো। এমনকি সন্তানদেরও ধর্মীয় শিক্ষা দেয়া বা প্রভাবিত করা নিষিদ্ধ করে রেহেছিল। এখন কিছুটা উদার হয়েছে, তবে আচরণ অনেকাংশেই এক রয়ে গেছে। আমি চীনে বেশ অনেকদিন থেকেছি, ওরা ঐতিহ্যবাহী সবকিছুই পালন করে, ধরে রেখেছে। কিন্তু নতুন প্রজন্ম ধর্মে প্রায় বিশ্বাসই করে না। সেটা অনেক বুড়োবুড়িদের ব্যাপার হয়ে গেছে। জাতিগত উইঘুরদের অবস্থা আলাদা, ওদের দমনপীড়নেও তেমন লাভ হয়নি, আর সেটা চীনকে ভালোই ভোগাচ্ছে।

৩| ০৮ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:২১

ফেরদাউস আল আমিন বলেছেন: সংবাদটি বাংলাদেশ মিডিয়া বিকৃত করেছে কি না, সেটাই অনুসন্ধানের বিষয়। আপনি সংবাদের উৎস টি দিতে পারলে ভাল হোত।

৪| ০৮ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:৪১

অ‌প্রিয় সত্য বলেছেন: তাই‌লে তো মুু‌মিন বান্দা‌দের মোবাইল সব ফে‌লে দি‌তে হ‌বে

৫| ০৮ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৪

বিপরীত বাক বলেছেন: বৈশাখের আমরণ নিদাঘ বলেছেন:.....................................। আমি চীনে বেশ অনেকদিন থেকেছি, ওরা ঐতিহ্যবাহী সবকিছুই পালন করে, ধরে রেখেছে। কিন্তু নতুন প্রজন্ম ধর্মে প্রায় বিশ্বাসই করে না।

এজন্যেই তো তরতর করে অপ্রতিরোধ্য গতিতে উন্নতি করছে। অর্থনীতিতে প্রায় একনম্বর হয় হয় ভাব।

৬| ০৮ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:৫০

বৈশাখের আমরণ নিদাঘ বলেছেন: বিপরীত বাক ভায়া, ওরা রোবটও হইয়া গেছে। ওরা ধর্মের গড বাদ দিয়া আরেকটা জিনিসরে গড বানাইয়া ফেলছে। সেইটা হইলো টাকা। টাকার জন্য ওরা যা খুশী করতে পারে। বিশ্বে মাথাপিছু আয়ে সিঙ্গাপুর এক নম্বর, কিন্তু জরিপ বলে ওরা বিশ্বের সবচেয়ে যান্ত্রিক। হ্যাপীনেস ইনডেক্সে অনেক পরে। এমন উন্নতি দিয়া আমরা কি করবো যা আমাদের সুখীই করতে পারবে না?

৭| ০৮ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:০০

ইয়াশফিশামসইকবাল বলেছেন: অ‌প্রিয় সত্য....কানের নিচে একটা দিমু যখন টের পাবা। পর ধর্মে সম্মান দেখাও...

৮| ০৮ ই জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০১

মহসিন ৩১ বলেছেন: মানবধর্মই সবচাইতে উন্নত, টাকা ছাপে টাকশাল নয় মানুষেরাই ; ...আমি এটাই বুঝি।মানুষের শক্তি আর প্রজ্ঞার অপূর্ব সমন্বয়। কাজ ............

৯| ০৮ ই জুন, ২০১৬ রাত ৮:৪৭

হাবিবুর রাহমান বাদল বলেছেন: রামছাগলের বাচ্চা, তোমার তো দেখছি ইসলাম, মুসলিম এসব বিষয়ে ব্যাপক চুলকানি আছে। অপরের ধর্মের প্রতি সংযত আচরন কর। উল্টা পাল্টা পোষ্ট দিয়া সাম্প্রদায়িকতা সৃস্টি করিওনা। আর সামুর প্রতি অনুরোধ রইল পবিত্র রমজানে এসব ছাগলামি পোস্ট আাপনারা সহ্য করবেন না।

১০| ০৯ ই জুন, ২০১৬ রাত ৩:২৬

মোস্তফা ভাই বলেছেন: চীনা পণ্য বর্জন করো, আজ থেকে ইরাকী মোবাইল সেট ব্যবহার করব।

১১| ০৯ ই জুন, ২০১৬ সকাল ১০:০৫

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: এসব খাঁজখুড়ি খবর প্রকাশ আপনি কার থেকে শিখছেন আমি জানি না।
নেশার ঘোর একটু বেশী হলে বলবেন, ব্যবস্থা আছে।

১২| ০৯ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ২:৫১

রোষানল বলেছেন: মুসলিমদের এইসব অসভ্যতা বরদাস্ত করেনি

প্লিজ মাইন্ড ইওর ল্যাঙ্গুয়েজ

১৩| ১০ ই জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৪

মহসিন ৩১ বলেছেন: এটা একটা সফট পোস্ট , যে বা যারা দেখে তাদের দোষই বড় ; চিনা সরকার তো তাই কিছুই দেখে না, তাই সরকারকে দেখাতেই হয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.