নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানবধর্ম

অ‌প্রিয় সত্য

ধর্ষনের রাজ্যে পৃথিবী পশুময়, তনু, মনু, সাবিত্রী, পূর্ণিমারা যেন রক্তাক্ত মানচিত্র..ধর্ম ও পশু মুক্ত সমাজ চাই । নারী বান্ধব রাষ্ট্র্র চাই।

অ‌প্রিয় সত্য › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রাণ গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা মেজর আমজাদ আহমদ খান চৌধুরী একা একাত্তরে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর হয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা একজন আর্মি মেজর ছিলেন

০৯ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৫

প্রাণ গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা মেজর আমজাদ আহমদ খান চৌধুরী একা একাত্তরে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর হয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা একজন আর্মি মেজর ছিলেন । অবাক বিষয় হচ্ছে, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে রাজাকার বাহিনী যতটা গুরুত্ব পেয়েছে ততটা পাকিস্তানী বাহিনীর হয়ে যুদ্ধ করা বাঙালী অফিসাররা গুরুত্ব পায়নি। সম্ভবত সেটা বাংলাদেশ সেনা বাহিনী চায়নি বলেই। অথচ গোলাম আজম পাকিস্তানী পসপোর্ট নিয়ে ৭৫ পরবর্তী বাংলাদেশে শুধু একাই আসেনি, এসেছে এরকম আরো বহু পাকিস্তানী বীর! যেমন সাবেক বিএনপি নেতা, বর্তমানে বিকল্পধারার মহাসচিব মেজর আবদুল মান্নান! এই মান্নানও প্রাণ গ্রুপের মতই বিশাল শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিক হয়েছেন স্বাধীন বাংলাদেশে। বাংলালায়ন, কোমল পাণীয় সানক্রেস্ট সহ বহু শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিক তিনি। অথচ বাংলাদেশে তার আগমন ৭৫ পরবর্তী সময়ে। ১৯৭১ সালে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে ৩ নং কমান্ডো ব্যাটালিয়নে তিনি নিয়োজিত ছিলেন। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে তিনি ১৬ ডিসেম্বর নিয়াজীর সঙ্গে রেসকোর্সে আত্মসমর্পন করেন। ১৯৫ জন পাকিস্তানী সেনার বিনিময়ে পাকিস্তানের আটকে থাকা সাড়ে ৪ লাখ বাঙালীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের চুক্তিতে মেজর মান্নানও পাকিস্তানে চলে যান। সেখানে একজন পাকিস্তানী হিসেবে ১৯৭৩ সালে অবসরে যান। প্রাণ গ্রুপের মেজর আমজাদ যেমন রংপুরে হিন্দুদের বাড়ি-ঘর লুটপাট করেন, মেজর মান্নানও তার বাইরে নন। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর যে নতুন পাকিস্তানের সূচনা হয়, তাতে যোগ দিতে মেজর মান্নানও বাংলাদেশে ফেরত আসেন। এসেই পুরষ্কৃত হন। টিসিবির চেয়ারম্যান করা হয় তাকে!
জানা গেছে ৮০ জন উচ্চপদস্ত বাঙালী আর্মি অফিসার মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তান বাহিনীর হয়ে কাঁধে কাঁধ রেখে বীরবিক্রমে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন। বাঙালী পাকিস্তানী অফিসারদের নিয়ে বেশ কিছুদিন আগে জাফর ওয়াজেদ ঢাকা টাইমস ২৪ ডট কম নিউজ সাইটে লিখেছিলেন। এই “বীর পাকিস্তানী” আর্মি অফিসাররা কোনদিন ৭১ সালের তাদের ভূমিকার জন্য ক্ষমা চাননি। রাজাকার, আল বদরদের মত নিজেদের অবস্থানের জন্য বিন্দু পরিমাণ অনুশোচনা দূরে থাক, ৭১ সালে তাদের সিদ্ধান্ত ভুল ছিল- এরকম কোন আত্মসমালোচনাও করেনি। প্রকৃত পক্ষে তারা যে ভুল করেনি সেটা তো বাংলাদেশই প্রমাণ করে দিয়েছে। স্বাধীন বাংলাদেশ তাদেরকে সামাজিক সম্মান, প্রতিপত্তি দিয়ে যোগ্য মর্যাদা দিয়েছে। তাদের কারুর কারুর মৃত্যুতে “মুক্তিযুদ্ধের সোল এজেন্ট” মুজিব কন্যাও শোক প্রকাশ করেন। মেজর মান্নানের মত পাকি বীরকেও জানাবেন হয়ত ভবিষ্যতে। একজন মুক্তিযোদ্ধা এদেশে গলাধাক্কা খেয়ে আত্মহত্যা খুবই স্বাভাবিক একটি সামাজিক বাস্তবতা। বরং আমাদের ভন্ডামীটা একজন মৃত মুক্তিযোদ্ধার লাশকে সামরিক মর্যাদায় গার্ড অব অনার করার ঢং করার মধ্যেই প্রকাশ পায়। পাকিস্তানীরা আমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধটাকে ইসলাম ও মুসলমানের বিরুদ্ধে ভারতের ষড়যন্ত্র বলে ঘোষণা করেছিল। পাকিস্তানের পরাজয়কে তারা মুসলমানের পরজয় হিসেবেই দেখেছিল। সেই পরাজয়ের চিহৃ আঁকা ছিল রেসকোর্সের মাঠে। কোন মুসলমানের পরাজয়ের চিহৃ কোন মুসলমান রাখতে পারে না। আমাদের কপাল ভাল “মুসলমানের পরাজয়ের জায়গায়” শিশুপার্ক করা হয়েছে, পাবলিক টয়লেট করা হয়নি!

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৫:২৯

অেসন বলেছেন: কিছু নুতন তথ্য জানা হল। অনেক ধন্যবাদ।

২৫ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:৪১

অ‌প্রিয় সত্য বলেছেন: অাপনা‌কেও ধন্যবাদ

২| ০৯ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৫:৫২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: গুরুতর অভিযোগ। সংশ্লিষ্ট ওয়েব সাইটে জাফর ওয়াজেদ সাহেবের লেখা ছাড়াও আরও সূত্র উল্লেখ করা প্রয়োজন ছিল। ওয়াজেদ সাহেবের পরিচয় জানালে ভালো হতো।

ধন্যবাদ অপ্রিয় সত্য।

৩| ০৯ ই জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২১

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: বাংলাদেশের ইতিহাস বড়ই জটিল। এ কারণে জাতিও বিভক্ত। তবে ইতিহাস চর্চা হওয়া ভালো।

৪| ১০ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১:৪৩

নিনজা টার্টল বলেছেন: ইতিহাস নির্ভূল না,ইতিহাসের ফাকফোকর দিয়ে অনেক কিছুই বের হয়ে যায়। আমাদের দায়িত্ব হলো সেই ফাক ফোকর গুলা বন্ধ করে ইতিহাসকে নির্ভুল যায়গায় নিয়ে যাওয়ার চেস্টা করা,যার যার জায়গা তার অবস্থান অনুযায়ী বুঝিয়ে দেয়া।
সেটা পারলে আফসোস কমবে।
এইটার চেয়েও বেশি জরূরি আমাদের মুক্তিযুদ্ধাদের সর্বোচ্চ সম্মান দিয়ে তাদের অন্তত মৌলিক অধিকার গুলো নিশ্চিত করা।

৫| ১০ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১২:০০

অ‌প্রিয় সত্য বলেছেন: অাপনা‌কেও ধন্যবাদ

৬| ১০ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১২:০৪

অ‌প্রিয় সত্য বলেছেন: গুগল ১৯৫ ~পাকিঅিা‌র্মি লি‌খে সার্চ করুন, অথবা মেজর র‌ফিকুল ইসলাম এর যুদ্ধ ও বিজয় বইটা‌তে ও অ‌নেক তথ্য পা‌বেন,অার ও‌য়েবসাই‌টেও বিস্তা‌রিত পা‌বেন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.