![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
চারপাশের ঘটনা দেখি, বিশ্লেষণের চেষ্টা করি সেটি উচিত কি অনুচিত
Death Note to Bangladeshi Culture
"আমরা বাঙালি, আমরা শান্তিপ্রিয় জাতি" - এই পরিচয় টা খুব সম্ভবত আর স্থায়ী থাকছে না । ক্রমশ চোখের সামনে ঘটে যাওয়া বিষয়গুলো দেখলে এমনই এক আশংকা কাজ করে ।
Blogging - শব্দটার সাথে আমার ফ্রেন্ড লিস্টের বন্ধুদের ইম্প্রেশন কেমন তা জানি না । ২০১২ তে ব্লগিং জগতে যখন সর্বপ্রথম পদচারণ করি তখন "Somewhereinblog" ছিল বাংলাদেশের "চিন্তাশীল" মানুষদের প্রকাশক্ষেত্র । তথ্যনির্ভর লেখা, জ্ঞানী ব্যক্তিদের যুক্তির ঝংকার, আর লেখালেখির বহুমাত্রিকতা , এগুলো ছিল নেশা ধরানো
ব্যাপার । শুধু কি তাই ! সেখানকার গল্প গুলো পড়ে, মিডিয়া রিভিউ জাদুমন্ত্রের মত মোহিত করে রাখত ।
ভার্সিটির বড় ভাইদের কথায়, " চিন্তাটাকে ছড়িয়ে দে" এই নীতিতে মেনে ব্লগিং রাজ্যে আমিও প্রবেশ করি, ভিকারুন্নিসা স্কুলের একজন ছাত্রীর গাড়ি ভাংচুরে আহত হওয়া বিষয়ক পোস্ট নিয়ে প্রথম লেখাতেই বড় ভাইদের উৎসাহ পেয়ে সামু তে সময় দিতে থাকি ।
সে সময় কিছু ইন্টারেস্টিং ক্যারেক্টার সেখানে পাই । "ধর্মবিদ্বেষী ফ্যানাটিক" তবে এরা ছিল খুবই হাতে গোণা ।
এটেনশন সিকার ছাড়া তাদেরকে কিছুই মনে হয় নি । কিন্তু কেন যেন মনে হচ্ছিল এটা স্ব প্রণোদিত না, বরং ইশারায় চালিত
এডমিশন সংক্রান্ত ব্যস্ততা আর মেডিকেলে আসার পর প্রাথমিক ধাক্কা সামাল দিয়ে ফেরবো, এ সময় এলো এক আকস্মিক ব্যাপার ।
আনলাকি ২০১৩ তে "চিন্তাশীলদের অভয়ারণ্য" আস্তে আস্তে খরায় পড়লো । "নাস্তিক ব্লগার" উপাধি দিয়ে বাংলাদেশে অনলাইন এক্টিভিস্ট খুনের সূচনা হলো । ব্লগ কী, তা একটা শিক্ষিত জিনিসে সীমাবদ্ধ ছিল ।
অতঃপর সমগ্র দেশব্যাপী জনসাধারণের কাছে কৌশলে সেটা ছড়িয়ে দেওয়া হলো " নাস্তিকদের আখড়া " হিসেবে ।
ব্লগিং এর জায়গা দখল করলো ফেসবুক, উন্মেষ ঘটলো "ফেসবুক সেলিব্রিটি" নামক এক সম্প্রদায়ের । হয়তো সেটাই ছিল যুগের দাবি
Facebooking আর Blogging এর ভেতর কিছু পার্থক্য আছে । ফেসবুকে ব্যাক্তিই মুখ্য, বিষয়বস্তু গৌণ হয়ে যায় অনেক সময় । কিন্তু ব্লগিং এ তা নয় । সেখানেই লেখার মান আর বিষয়বস্তুই প্রধান ।
বর্তমানের যে ঘটনায় এই লেখাটা লিখতে বসলাম, সেটায় এখন আসি । বাংলাদেশী মানুষের কাছে যদি একটা উৎসব ছিল, যেটা ছিল সার্বজনীন, তা ছিল পহেলা বৈশাখ । সবাইকে "শুভ নববর্ষ" বলার মাঝে যে তৃপ্তি টা পাওয়া যায়, সেটার এক আলাদা স্থান আছে । তাই ধর্মীয় উৎসবের পাশাপাশি এই দিন টিকে কম গুরুত্ব দেওয়ার কোন অবকাশ ছিল না ।
এ দেশে কোন এক শক্তি অতি সক্রিয়, যারা আমাদের সংস্কৃতি কে পাল্টে দেওয়ার জন্য সদা তৎপর । নববর্ষে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ এ ঘটে যাওয়া ঘটনা তে এটার কিছু যোগসূত্র পাচ্ছি, আমি । এখন থেকে আগামীতে হয়ত পহেলা বৈশাখ বাংলাদেশী মানুষের জন্য " সার্বজনীন উৎসব" থাকবে না, বিশেষত নারী সমাজের কাছে তা হয়ে যাবে "আতঙ্কের দিন" ।
পহেলা বৈশাখ এ কলঙ্ক লেপন কোন বিচ্ছিন্ন গোষ্ঠীর সাময়িক উন্মত্ততা আমি মনে করি না , বরং "Its a part of a masterplan" . এটা সেই পরিকল্পনারই অংশ, যে পরিকল্পনার প্রথম Blow এসেছিল ২০১৩ সালে । যে পরিকল্পনায় "চিন্তাশীল মানুষদের মিলনমেলাকে" আখ্যায়িত করা হয়েছে "ইসলামের শত্রুদের আখড়া" হিসেবে ।
এটা কে আমি কোন রাজনৈতিক (ক্ষমতাসীন, বিরোধী, ৩য় শক্তি) দলের কর্ম ভাবতে চাই না । এ এমন রহস্যজনক শক্তি, যাদের গুপ্তচর প্রতিটি রাজনৈতিক দলেই মিশে আছে
মজার বিষয় কী , আমাদের মুসলিম সমাজে প্রচলিত কিছু "জাল হাদিসের" সন্ধান প্রথম পেয়েছিলাম ব্লগথেকেই । তাই বলবো, ব্লগ আমাকে "নাস্তিক" বানায় নি, বরং আমার ধর্মীয় জ্ঞান বৃদ্ধিই করেছে ।
Death Note (Anime Series) এর রেফারেন্স দিয়ে শেষ করছি । " If there is a Kira, there will be an L "
©somewhere in net ltd.