নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তাহমিদ২০১২

তাহমিদ২০১২ › বিস্তারিত পোস্টঃ

টাইম ডিলেশন, টাইম ট্রাভেলিং, ব্লাকহোল, বিজ্ঞানের ব্যার্থতা ও ইসলাম

০২ রা জুন, ২০২০ রাত ৯:১৪

টাইম ডিলেশন, টাইম ট্রাভেলিং, ব্লাকহোল, বিজ্ঞানের ব্যার্থতা ও ইসলাম[/sb

আধুনিক বিজ্ঞানের সবচেয়ে আলোচিত এবং লোভনীয় থিওরি হচ্ছে টাইম ট্রাভেলিং এবং টাইম ডিলেশন। যেই ধারণা আইনেস্টাইন এর থিওরি অফ রিলেটিভিটি থেকে এসেছে। লোভনীয় বলার কারণ হচ্ছে, বিজ্ঞানীদের ধারনা তারা এর মাধ্যমে লক্ষ বছর বেঁচে থাকবে।

একটু ব্যাখ্যা করে বললে, গতিশীল বস্তু তার গতির কারণে স্থিতিশীল বস্তুর তুলনায় কম সময় অতিবাহিত করে। সহজ করে বলতে গেলে, কোন বস্তু যদি গতি সম্পন্ন হয়ে মহাকাশ বা মহাশূণে বিচরণ করে তাহলে পৃথিবীর অন্যান্য স্থিতিশীল বস্তুর তুলনায় তাদের সময় ধীর গতিতে চলবে।

মনে করি, ইংকু-টিংকু দুই বন্ধু। আরো ধরে নেয়া যাক যে, আলোর গতি সম্পন্ন মহাকাশযান আবিষ্কার হয়েছে। ইংকু এবং টিংকু দুজনেরই বয়স ২০ বছর। ইংকু আলোর গতি সম্পন্ন একটি মহাকাশযানে করে মহাকাশ ভ্রমণে বের হলো এবং তার ঘড়ি বা ক্যালেন্ডারের হিসাব অনুযায়ী ৩ বছর ভ্রমণ করে ফিরে এলো। অর্থাৎ পৃথিবীতে পুনারায় ল্যান্ড করার সময় তার বয়স হচ্ছে ২০+৩=২৩ বছর। কিন্তু পৃথিবীতে সে এসে দেখলো যে, তার বন্ধুকে সে চিনতেই পারছে না। কারণ তার বন্ধু টিংকুর বয়স ৭০ বছর। এটার কারণ হচ্ছে, ইংকু গতিসম্পন্ন থাকার কারণে তার সময় স্লো মোশনে ছিল। অর্থাৎ আলোর গতির ৩ বছর=পৃথিবীর ৫০ বছর। এটাই হচ্ছে টাইম ডিলেশন।
এর মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা লক্ষ বছর বেঁচে থাকার ইচ্ছা পোষণ করে। কিন্তু বিপত্তিটা অন্য জায়গায়। আইনস্টাইনের সূত্র অনুযায়ী আলোর গতিতে ছুটে চলা কোন ধরনের পদার্থ হওয়া সম্ভব নয়। কেননা, আলোর গতি পেতে হলে তাকে আলোর মত ভর শূন্য হতে হবে। অথচ ভর শূণ্য কোন কিছুতে কোন পদার্থ বহন হওয়া সম্ভব নয়। তাই বিজ্ঞানের আশা অনেকটাই নিরাশায় নিমজ্জিত। অর্থাৎ বিজ্ঞান এখানে আজও ব্যার্থ।

কিছুটা আশার আলো দেখিয়েছিল নিউট্রিনো কণা। যাকে বিজ্ঞান মহলে Ghost Particles বা ভূতুড়ে কণা হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। ১৯৩১- বিজ্ঞানী উলফগ্যাং পাউলি সর্বপ্রথম নিউট্রিনো কণার অস্তিত্ব সম্পর্কে ধারণা করেন ও ভবিষ্যদ্বাণী করেন। ইলেকট্রনের ভর, শক্তি, ভরবেগ ইত্যাদির হিসাব মিলাতে গিয়ে তিনি এটি লক্ষ করেন।
এই নিউট্রিনো আলোর গতিতে চলে। আলো এবং নিউট্রিনোর মধ্যে অনেক অনেক পার্থক্য। একটা পার্থক্য হচ্ছে, আলো চলমান অবস্থায় যখন বাঁধাপ্রাপ্ত হয় অর্থাৎ কোন পদার্থ তার গতিকে রোধ করে তখন সে আর সামনে চলতে পারে না। পদার্থটি স্বচ্ছ হলে প্রতিফলিত হয়, নয়তো সেখানেই থেমে যায়। কিন্তু নিউট্রিনো কণার চলার সময় কোন কিছুর দ্বারা বাঁধাপ্রাপ্ত হলে সে তার মধ্য দিয়েই অনায়েসে চলে যায়। এমনকি প্রতিনিয়ত মহাজাগতিক নিউট্রিনো কণা আমাদের পৃথিবীকেও ভেদ করে চলে যায়। আমাদের মধ্যে দিয়েও প্রতিনিয়ত চলে যাচ্ছে কিন্তু আমরা বুঝতেও পারছি না। আর সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে এই নিউট্রিনোর ভর রয়েছে, আর আলোর কণার কোন ভর নেই।


এখানে আইনস্টাইনের একটা ব্যাপার ভুল প্রমাণ হলেও বিজ্ঞানীদের আশায় গুড়েবালি সেই আগের মতই। কেননা, এই নিউট্রিনো কণা দ্বারা কোন বাহন বানানো সম্ভব নয়। কারণ এটা কোন মৌলিক কণা নয়। এমনকি এই কণা এখনও ধরাছোয়ার বাইরে রয়েছে। তাকে ধরার জন্য কোন মেশিন বানালে সে সেই মেশিনের মধ্যে দিয়েও চলে যাবে অনবরত। এটার অন্যতম কারণ হচ্ছে, ১. নিউট্রিনো কণার কোন চার্জ নেই, যার জন্য কোন চৌম্বকীয় আকর্ষণ তাকে রোধ করতে পারে না। ২. এই কণা কোন কিছুর সাথে বিক্রিয়া করে না। যার জন্য এটা এখনও ধরাছোয়ার বাইরে। এছাড়াও আরো জটিল জটিল সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে এটা নিয়ে গবেষণার সময়। হাজারো প্রশ্নের সমাধান এখনও বিজ্ঞানীদের হাতে নেই। একটার সমাধান হয় তো আরো ১০ টা প্রশ্ন সামনে চলে আসে। তাই এখন পর্যন্ত অর্থাৎ ৯০ বছরে এখনও এর কোন সঠিক সমাধানে বিজ্ঞান পৌছাতে পারেনি। আর এই কণার বহুমুখী আচরণ, যা বিজ্ঞানকে সর্বদাই বুড়ো আঙ্গুল দেখাচ্ছে, সকল বিজ্ঞানকে নাকানি চুাবানি দিয়ে বেড়াচ্ছে সব সময়। যার জন্যই তাকে ভূতুড়ে কণা হিসেবে আখ্যায়িত করা হচ্ছে। এখানেও বিজ্ঞান ব্যার্থ।

টাইম ডিলেশন করে পৃথিবীর লক্ষ বছর বেঁচে থাকার যে স্বপ্ন তা আজও স্বপ্নই রয়ে গেছে এবং আইনস্টাইনের তত্ত্ব অনুযায়ী তা কখনোই সম্ভব নয়।

টাইম ট্রাভেলিং

টাইম ট্রাভেলিং সম্পর্কে কথা বললেই আমার মত অনেকেই হাসাহাসি করেন। আমরা হাসাহাসি করলেও বিজ্ঞান মহলের অনেক বড় একটা অংশ আশাবদী যে টাইম ট্রালেলিং করা সম্ভব। কিভাবে সম্ভব? হ্যা সেখানেও রয়েছে গতির বিষয়টি।

২০১৫ সালে ফ্রান্সের একদল বিজ্ঞানী দাবী করেন যে, নিউট্রিনো কণার গতি আলোর চেয়েও বেশী। যা রীতিমত বিজ্ঞান মহলে হৈচৈ ফেলে দিয়েছিল। কিন্তু তা আবার পরে ভুল প্রমাণ হয় যে, নিউট্রিনো আলোর সমান গতিতেই চলে।

বিজ্ঞানের ধারণা আলোর গতিতে বা তার চেয়ে বেশী গতিতে চলতে পারলেই টাইম ট্রাভেলিং সম্ভব। আবার নিউট্রিনো কণা যেহেতু যেকোন বস্তুর মধ্য দিয়েই অনায়েসে চলে যেতে পারে, সেহেতু সহজেই কোন ধরনের বাধা ব্যাতীতই চলা সম্ভব। কিন্তু এখানেও সমস্যার সম্মুখীন।

১. নিউট্রিনো দিয়ে যান তৈরী করা সম্ভব নয়।
২. নিউট্রিনো এবং আলোর গতিতে কোন বাহন এখনও তৈরী হয়নি এবং আইনস্টাইনের মতে তা হবেও না।
৩. টাইম ট্রাভেলিং সম্ভব হলেও সেটা অতীতে যাওয়া সম্ভব নয় তবে ভবিষ্যতে যাওয়া সম্ভব।
উপরে ইংকু-টিংকুর উদাহরণ দিয়েছি। ইংকু পৃথিবীতে ফিরে এসে তার বন্ধু টিংকুকে ৭০ বছরের বৃদ্ধ হিসেবে পেল কিন্তু ইংকুর বয়স ২৩ বছর। সুতরাং এটাই হচ্ছে ইংকুর জন্য টাইম ট্রাভেলিং বা ইংকু ভবিষ্যতে চলে এসেছে। যেখানে তার বয়স ২৩ কিন্তু তার সমবয়সী বন্ধুর বয়স ৭০। এটাই ভবিষ্যতে যাওয়া। কিন্তু সে তার অতীতে আর ফিরে যেতে পারবে না।
অনেকে হলিউডের বিভিন্ন মুভি এবং সিরিয়াল দেখে টাইম ট্রাভেলিং সম্পর্কে জগাখিচুড়ী পাকিয়ে ফেলেছে। মূলত সেটা নিতান্তই অবাস্তব এবং অবান্তর। উপরের ‍উদাহরণটাও এখনও অপরিক্ষীত, যা কেবল ধারণার মধ্যেই সীমাবদ্ধ। যদি কখনো নিউট্রিনো বা আলোর গতির বাহন আবিষ্কার করা সম্ভব হয়। তখনই কেবল এটা করা সম্ভব, তবে অতীতে যাওয়া কখনোই সম্ভব নয়।

তবে সর্বপরি কথা হচ্ছে, এখনও টাইম ট্রাভেলিং এ বিজ্ঞান ব্যার্থ। বিগত ১০০ বছরেও তারা এটার সমাধান করতে পারেনি। অদৌ কোনদিন পারবে কিনা সন্দেহ।

ব্লাকহোল

ব্লাকহোল কে গ্যালাক্সির সবচেয়ে আশ্চার্যজনক এবং রহস্যময় গহব্বর বললে ভুল হবে না। প্রতিদিন হাজার হাজার থিওরি এবং গবেষণাপত্র জমা হচ্ছে ব্লাকহোল নিয়ে। ব্লাকহোল নিয়ে বিজ্ঞানের ধারণা এখনও তেমন যথেষ্ট নেই বললেই চলে। যতটুকু রয়েছে তার অধিকাংশই ধারনা করা।

ব্লাকহোল এর বাংলা অর্থ হচ্ছে কৃষ্ণ গহব্বর। ছোট পরিসরে যদি ব্লাকহোল কি এটা সম্বন্ধে ধারণা দিতে হয় তাহলে ছোট্ট একটা উদাহরণ দেয়া যাক।

বড় বাধ, নালা, খাল বা রাস্তার মধ্য দিয়ে পানি একপাশ থেকে আরেক পাশে প্রবাহিত করার জন্য বড় আকৃতির পাইপ বা নালা ব্যাবহার করা হয়। যখন একপাশে পানির পরিমাণ বেশী হয় তখন দেখবেন পাইপের যে পার্শ্বে পানি বেশী সে পার্শ্বে কুন্ডলী পাকিয়ে পানি প্রবেশ করছে এবং অপর পাশে বের হচ্ছে। আর এই কুন্ডলীর আশেপাশে যদি ভাসমান যত ময়লা বা পাতা বা ইত্যাদী কিছু থাকে তাহলে তা সেখানে গিয়ে ঘুরতে থাকে। আস্তে আস্তে ‍কুন্ডলীর মধ্যে যেটা পড়ে যায় সেটা সেখান থেকে অন্য পাশে চলে যায়।

উদাহরণটা যদি ব্লাক হলের দিকে চিন্তা করি তাহলে ঠিক এমনি। কিন্তু এটা ধারনা। প্রতিটা গ্যালাক্সিতে একটি ব্লাকহোল থাকে। তাকে ঘিরেই লক্ষ লক্ষ সৌর জগত, নেবুলা, তারকাপুঞ্জ ইত্যাদী আবর্তন করে। আর ব্লাকহোলের মধ্যে যে গ্রহ বা নক্ষত্র পতিত হয় সেটা ধ্বংস হয়ে যায়। একারণে বিজ্ঞানীরা এমনটা ধারনা করেন যে, এটা একটা কুন্ডলীর মত। কিন্তু মূল রহস্য এখন অধরা। কেননা, এই গহব্বরটা এত কালো যে, এর মধ্যে আলোও রিফ্লেকশন হয় না। কোন আলো প্রবেশ করলেও আর ফিরে আসে না। আর এর আকর্ষণ শক্তি এত প্রখর যে, সূর্যের চেয়েও হাজার হাজার গুণ বড় বড় নক্ষত্র তার মধ্যে পতিত হয়ে ধ্বংস প্রাপ্ত হয় অথবা হারিয়ে যায়। যার কোন হদীস নেই। প্রতিনিয়তই এমন হাজারো গ্রহ ধ্বংস হচ্ছে বা হারিয়ে যাচ্ছে।

একারণেই বিজ্ঞান ধারনা করে যে, যদি এটা কুন্ডলীর মত হয় তাহলে হয়তো অন্য কোথাও বা অন্য কোন গ্যালাক্সির সাথে এর কানেকশন রয়েছে। এর মধ্য দিয়ে সহজেই অন্য কোন গ্যালাক্সিতে যাওয়া যায়। এরসাথে আরেকটি ধারণা করে যে, এর মধ্য দিয়ে টাইম ট্রালেভিং করা সম্ভব।


কিন্তু সমস্যা অন্য যায়গায়। যদি বিজ্ঞানের এই ধারণা সঠিকও হয় তাহলেও কখনই মানুষ ব্লাকহোলে গিয়ে টাইম ট্রাভেল করতে পারবেনা। ১. ব্লাকহোলে কোন কিছু গিয়ে তা আর ফেরত আসেনা। ২. আসলেও সে তথ্য জানা নাই। ৩. ব্লাকহোল পর্যন্ত যাওয়ার জন্য কোন ধরনের মহাকাশ যান আবিষ্কার হয়নি। ৪. ব্লাকহোলে যাওয়ার জন্য মহাকাশ যান আবিষ্কার হলেও মানুষ কখনোই সেখানে যেতে পারবে না।
প্রথম ৩টি কারণ আমরা জানি কিন্তু ৪র্থ কারণটি নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন করবেন যে, মহাকাশ যান আবিষ্কার হলেও কেন সেখানে যেতে পারবে না?

আমাদের এই জগতে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ গতি হচ্ছে আলোর এবং নিউট্রিনো কণার। যা দিয়ে কোন যান বানানো সম্ভব নয় তা পূর্বে আলোচনা হয়েছে। আর যান হলেও সেই গতিতে ভর সম্পন্ন কোন কিছুর ভ্রমণ করা সম্ভব নয়। যেটা আইনস্টাইন ব্যাখ্যা করে গেছেন।

তারপরেও আমরা ধরে নিলাম যে, মহাকাশ যান আবিষ্কার হয়েছে এবং তাতে মানুষ ভ্রমণ করার উপযোগী। তাহলেও কোনদিনও আমাদের গ্যালাক্সি ব্লাকহোলে যাওয়া সম্ভব নয়। অন্য গ্যালাক্সিতে তো দূরে থাক। কেননা, আমাদের মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির ব্যাস হচ্ছে ১ লক্ষ আলোক বর্ষ। !!! জ্বি ভুল শোনেননি। ১ লক্ষ আলোক বর্ষ। অর্থাৎ আলো ১ লক্ষ বছরে যে পরিমাণ দুরত্ব অতিক্রম করে, তার সমান।

অথচ আমাদের মানুষের হায়াত দুনিয়ার ৫০ থেকে সর্বোচ্চ ১৮০ বছর বা নবীদের হায়াতের হিসাব করলে ১ হাজার বছর। যদি ধরেও নেই যে, আমরা আমাদের গ্যালাক্সির মাঝামাঝি রয়েছি তাহলেও কমপক্ষে ২৫ হাজার আলোক বর্ষ লাগবে। যেটা কোন মানুষের পক্ষে কোনদিনও সম্ভব নয়।

যেখানে নিজের গ্যালাক্সি পার হতে বা তার কেন্দ্রে যেতেই যদি এত সমসয় লাগে, তাহলে অন্য গ্যালাক্সিতে যাওয়ার কথাতো কল্পনাকেও হার মানাবে। আর ব্লাকহোলের আকর্ষণ ভেদ করা কোন গ্রহের পক্ষেই সম্ভব হয় না। সেখানে মহাকাশ যানের পক্ষে কোনদিনও সম্ভব হবে না।

আর বিজ্ঞানের তথ্য অনুযায়ী আমাদের এই Universe বা বিশ্ব ব্রহ্মান্ডে ১০০ কোটিরও বেশী গ্যালাক্সি রয়েছে। আমাদের গ্যালাক্সির সবচেয়ে কাছের গ্যালাক্সির নাম এন্ড্রোমিডা গ্যালাক্সি। যেটা আমাদের গ্যালাক্সি চেয়েও ৪ গুন বড়। এখানেই শেষ নয়, এরকম কোটি কোটি Universe নিয়ে গঠিত হয়েছে একটি Multiverse। কোটি কোটি Multiverse নিয়ে গঠিত হয়েছে Super Multiverse যা আমাদের ধারণার অনেক অনেক বাহিরে। এবার শুধু ভাবুন।

সুতরাং মোট কথা বলতে গেলে এখানেও বিজ্ঞান চরমভাবে ব্যার্থ। অনেকেই বলতে পারেন তাহলে বিজ্ঞান কেন এটা নিয়ে পড়ে রয়েছে? আমি বলবো সেটা প্রথমেই বলেছি যে, এটা একটা লোভনীয় ব্যাপার। কিন্তু এটা অদৌ সম্ভব হবে কিনা, সেটা ভবিষ্যত ই বলে দিবে।

ইসলামের সার্থকতা

চলুন এবার তাহলে একটু আমাদের পবিত্র ধর্ম ইসলাম নিয়ে একটু আলোচনা করা যাক। প্রথমেই বলে রাখি পবিত্র কুরআন এমন একটা গ্রন্থ যার মধ্যে সংক্ষিপ্ত বাক্যে অনেক কিছু বলা হয়। আর এটা কোন বিজ্ঞান গ্রন্থ নয়। এটা ধর্ম গ্রন্থ, কিন্তু পবিত্র কুরআনে বিজ্ঞানের অনেক কিছুর সমাধান পাওয়া যায়, যা বিজ্ঞান স্বীকার করে নিয়েছে এবং কুরআনের কোন আয়াত আজও কেউ ভুল প্রমাণ করতে পারেনি। আর আমরা বিশ্বাস করি, এই মহাবিশ্ব যিনি সৃষ্টি করেছেন তার কাছেই রয়েছে সব কিছুর সঠিক সমাধান।

টাইম ডিলেশন এখনও বিজ্ঞান জগতে থিওরি হিসেবেই রয়েছে। উপরে টাইম ডিলেশনের যে ব্যাপারটা দেখানো হয়েছে, সেটা টাইম ডিলেশনের একটা ব্যাখ্যা। অর্থাৎ ৩ আলোক বর্ষ=পৃথিবীর ৫০ বছর। এবার দেখা যাক পবিত্র কুরআনে এই সম্পর্কে কিছু রয়েছে কিনা।
মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনের সূরা আল-মা’আরিজ এর ৪ নং আয়াতে বলেন:
ফেরেশতা এবং রূহ আল্লাহর দিকে আরোহণ করে এমন এক দিনে, যার পরিমান (তোমাদের হিসাব মতে) পঞ্চাশ হাজার বছর।

অর্থাৎ ফিরিশতারা মহান রবের দরবারে এমন একটি দিনে উপস্থিত হয় বা হবে যেদিনের এক দিন সমান দুনিয়ার ৫০ হাজার বছরের সমান। জ্বি। ঠিক শুনেছেন। যে থিওরি পুরো পৃথিবীর বিজ্ঞান কে পরিবর্তন করে দিয়েছে। সেই থিওরি কিন্তু ১৪০০ বছর পূর্বেই মহান আল্লাহ তায়ালা তার হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর মাধ্যমে দিয়েছেন।

ফিরিশতারা নূরের বা আলোর তৈরী, তাদের জগৎও আলোর। সুতরাং বিজ্ঞানীদের টাইম ডিলেশনের সাথে পুরোপুরিই মিলে যাচ্ছে। টাইম ডিলেশনের আরো চমকপ্রদ কিছু নিয়ম রয়েছে। গতিশীল বস্তুর গতির আধিক্যতার কারণে অনেক ক্ষেত্রে সময়েরও পূর্বে কাজ হয়ে যায়। সহজভাবে বললে, মনে করুন একজন মানুষের চেয়ে মেশিন কাজ করার দিক দিয়ে বেশী গতিশীল। মানুষ যে কাজ ১০ ঘন্টায় করে মেশিন সেটা এক ঘন্টায় করে। অর্থাৎ গতিশীলতার কাছে কাজের সময় কমে যায়।

এমন যদি হয় একটি বস্তুর গতি এতটাই বেশী যে, দুনিয়ার মুহুর্ত যাওয়ার পূর্বেই সে বহু বছরের কাজ করে ফেলে। লক্ষ বছরের রাস্তা ঘুরে আসে। হ্যা ! বিজ্ঞানের পরিভাষায় এটাও অসম্ভব নয়। সম্ভব। কিন্তু এটা করতে হলে আলোর চেয়েও কোটি কোটি গুন বেশী গতিসম্পন্ন যানের প্রয়োজন, যেটা বিজ্ঞান মহলে কোনদিনও সম্ভব নয়।

কিন্তু এই কাজটিই করেছেন আমাদের প্রিয় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। তিনি সকল সৃষ্টি জগত ঘুরে এসেছেন মূহুর্তের মধ্যেই। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন যে, তিনি যাত্রা করার পূর্বে যেখানে অজু করেছেন, ফিরে েএসে দেখেন যে, সেখানের পানি এখনও গড়িয়ে পড়তেছে।

এর মানে হচ্ছে তার বাহনের গতি এতটাই বেশী যে, দুনিয়ার সময় এক মুহুর্ত পার হওয়ার পূর্বেই লক্ষ লক্ষ বছরের রাস্তা পারি দিয়ে এসেছে। তার বাহনে গতি কেমন ছিল? েএই সম্পর্কে বুখারী, মুসলিম, মুসনাদে আহমাদ সহ অসংখ্য কিতাবে এসেছে যে,

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন যে, আমার কাছে বোরাক আনা হল। এটি ছিল একটি সাদা লম্বা গাঁধার চেয়ে বড় এবং খচ্চর অপেক্ষা ছোট চতুষ্পদ জন্তু। এর পা আপন দৃষ্টিসীমায় পতিত হত।

অর্থাৎ বোরাকের গতি এতটাই বেশী ছিল যে, সে যেখানে তাকাত সেখানে চলে যেত। তার দৃষ্টি শক্তি কতটা প্রখর ছিল তা আল্লাহ তায়ালাই ভালো জানেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম টাইম ডিলেশনের মাধ্যমে টাইম ট্রাভেল করে এসেছেন। তার বাহনের গতি এতটাই বেশী ছিল যা মুহুর্তেই সব কিছু করতে সক্ষম হয়েছে।

বোরাক অর্থ বিদ্যুৎ। যখন মানুষ বিদ্যুৎ এর সাথে পরিচিতই হয়নি তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিদ্যুৎ তথা আলোর বাহনের থিওরি দিয়ে গেছেন। আজকের বিজ্ঞান আলোর বাহন অথবা নিউট্রিনোর বাহন বানানোর জন্য অবিরাম চেষ্টা চালাচ্ছে। অথচ সেটা ১৪০০ বছর পূর্বেই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রাকটিক্যালি ব্যাবহার করেছেন।
এখন একটু ভিন্ন আঙ্গিকের কথা বলি। আল্লাহ চাইলে কোন বাহনের দরকার হয় না। মানুষেরই এমন গতি ছিল যারা টাইম ট্রাভেল করতে সক্ষম ছিল।

“সুলায়মান আরো বললেন, হে আমার পরিষদবর্গ! তার (সাবার রানী, বিলকিস) আত্মসমর্পণ করে আমার নিকট চলে আসার পূর্বে তোমাদের মধ্যে কে তার সিংহাসন আমার নিকট নিয়ে আসবে? এক শক্তিশালী জ্বিন বলল, আপনি আপনার স্থান হতে উঠার পূর্বে আমি উক্ত সিংহাসন এনে দিব এবং এ ব্যাপারে আমি ক্ষমতাবান বিশ্বস্ত। কিতাবের জ্ঞান যার ছিল (আসিফ বিন বরখিয়া) সে বলল, আপনি চক্ষুর পলক ফেলার পূর্বেিই আমি তা এন দিব। হযরত সুলায়মান আ. যখন তা সম্মুখে রক্ষিত অবস্থায় দেখলেন, তখন বললেন, েএটা আমার প্রতিপালকের অনুগ্রহ, যদ্বারা তিনি আমাকে পরীক্ষা করতে পারেন আমি কৃতজ্ঞ না অকৃতজ্ঞ। (সূরা নামল, আয়াত: ৩৮,৩৯,৪০)”

হযরত সুলাইমান আ. এর দরবার থেকে সাবার রানীর দরবার ছিল ২৪০০ কি.মি.। যেতে আসতে মোট ৪৮০০ কি.মি.। একটা চোখের পলক ফেলতে সময় লাগে ০.০৭৮ সেকেন্ড। অর্থাৎ একজন মানুষ তিনি ০.০৭৮ সেকেন্ডে ৪৮০০ কি.মি. পথ পাড়ি দিয়ে সিংহাসন নিয়ে এসেছেন। তাহলে তিনি ১ সেকেন্ডে পাড়ি দিতে পারতেন ৬১৫৩৮ কি.মি.।

অথচ এই পর্যন্ত বিজ্ঞানের আবিষ্কৃত সর্বোচ্চ গতি সম্পন্ন মহাকাশ যানের গতি ১ সেকেন্ডে মাত্র ১৬০০ কি.মি.। পার্থক্যটা আমার করে দেয়া লাগবে না। যদি সাবা রাণীর সিংহাসন আরো দূরেও থাকতো তাহলেও সে চোখের পলকেই তা নিয়ে আসতে পারতো।

বিজ্ঞান যেখানে চরমভাবে ব্যার্থ সেখানে ইসলামের পাতায় পাতায় তার ভূড়ি ভুড়ি উদাহরণ বিদ্যমান। একারণেই মূলত অবিশ্বাসীরা বিশ্বাস করতে পারে না যে, এটা কিভাবে সম্ভব। আসলে যিনি টাইমেরও সৃষ্টি কর্তা তার কাছে সবই সম্ভব।
বিগত ২০০ বছর পূর্বে সর্ব প্রথম ব্লাক হোলের ধারনা পাওয়া যায়। ব্লাকহোলের ছবি তুলতে সক্ষম হয়েছে গত বছর। অর্থাৎ বিজ্ঞানের কাছে এত বছর পর্যন্ত এটা ছিল বিস্ময়ের নাম। কিন্তু এই ব্লাকহোল সম্পর্কে পবিত্র কুরআন ১৪০০ বছর পূর্বেই ধারণা দিয়েছে।
আল কুরআনের সুরা ওয়াকিআহ এর ৭৫-৭৬ নং আয়াতে আল্লাহ বলেন-
শপথ সে পতন স্থানের, যেখানে নক্ষত্রসমূহ ধ্বংসপ্রপ্ত হয়। যদি তোমরা জানিতে, উহা অবশ্যই এক মহা গুরুত্বপূর্ণ শপথ।
কিন্তু প্রচলিত অর্থে এর অনুবাদ (অথবা মর্ম অর্থ ধরে নেওয়া হয়েছে) করা হয়েছে- শপথ নক্ষত্রসমূহের অস্তগমন স্থানের। যদি তোমরা জানিতে, উহা অবশ্যই এক মহা গুরুত্বপূর্ণ শপথ।
এখানে অস্তগমন এর আরবি শব্দ হল মাওয়াকিয়ি। অর্থাr মাওয়াকিয়ি এর অর্থ অস্তাচল বা অস্ত যাওয়া বলে ধরে নেয়া হয়েছে। মাওয়াকিয়ি মূল শব্দ ওয়াকায়া, যার অর্থ হল- ধ্বংস হওয়া, ধ্বংসের টানে পতিত হওয়া, বিস্ফোরিত হওয়া ইত্যাদি। এটি একটি ক্রিয়াপদ, আর ক্রিয়াপদের পূর্বে যবরযুক্ত মিম সংযুক্ত হলে তা ক্রিয়াপদের স্থান বা কালকে প্রতিভাত করে। ওয়াকায়া অর্থ অস্তগমন, অস্তাচল বা অস্ত যাওয়া অভিধানের কোথাও নেই। তাহলে উক্ত আয়াতের সঠিক অর্থ হচ্ছে-
শপথ সে পতন স্থানের (ব্ল্যাক হোল), যেখানে নক্ষত্রসমূহ ধ্বংসপ্রপ্ত হয়। যদি তোমরা জানিতে, উহা অবশ্যই এক মহা গুরুত্বপূর্ণ শপথ।
কুরআনের কথার সাথে আধুনিক বিজ্ঞানের সকল থিওরি মিলে যায়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই লক্ষ লক্ষ ব্লাকহোলের আকর্ষণ ভেদ করে সহজেই টাইম ট্রাভেল করে এসেছেন। যেখানে বিজ্ঞানের মতে এত আকর্ষণ বলের ব্লাকহোল ভেদ করা অসম্ভব প্রায়।

সুতরাং পরিশেষে একটা কথাই বলতে চাই, বিজ্ঞান যেখানে কোন ধারনাই পায় না, সেখানে ইসলাম তার প্রাকটিক্যাল করেছেন, বিজ্ঞান যেখানে চরম ব্যার্থ ইসলামে সেটার ভুড়ি ভুড়ি প্রমাণ রয়েছে। সুতরাং আসুন অবিশ্বাসী না হয়ে মহান আল্লাহর প্রতি ঈমান আনি। মা’আস সালাম

ফেইসবুকে আমি: তাহমিদ হাসান

মন্তব্য ৩২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩২) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জুন, ২০২০ রাত ১০:০৭

সত্যপীরবাবা বলেছেন: আনেকেই আপনাকে প্রশ্ন করবে, পাশ্চাত্যের বিজ্ঞানীদের আগেই কেন মুসলিম বিজ্ঞানীরা কোরান থেকে theory of relativity বের করতে পারলনা?
আমি এই প্রশ্ন করবো না।
আমার প্রশ্ন হইলো, স্থির বস্তু কে গতিশীল করতে হইলে, বিজ্ঞানের ভাষায় শক্তি প্রয়োগ করতে হয়, সোজা বাংলায় ধাক্কা মারতে হয়। তা বোরাকের যাত্রা শুরু হইসিলো কিসের ধাক্কা খাইয়া?

০২ রা জুন, ২০২০ রাত ১০:৩১

তাহমিদ২০১২ বলেছেন: বিজ্ঞজনের বিজ্ঞ প্রশ্ন :) যদিও ধাক্কা ব্যাতীতও শক্তি প্রয়োগের অনেক মাধ্যম রয়েছে। আর তাছাড়া শক্তির পাওয়ার হাউজের তেমন ধাক্কারও প্রয়োজন হয়না। যেমন আমাদের ভূমিকম্প। বিজ্ঞান যদিও বলে সেখানে শক্তি সঞ্চিত হয় নিম্নমুখী চাপের কারণে। অর্থাৎ বিজ্ঞানের পরিভাষায় নিজস্ব সঞ্চিত শক্তির কারণেই তা বিশাল ভূখন্ডকে মূহুর্তেই আন্দোলিত করতে সক্ষম। বোরাকে হয়তো তার চেয়ে বেশি শক্তি সঞ্চিত ছিল। :)

২| ০২ রা জুন, ২০২০ রাত ১০:১০

রাজীব নুর বলেছেন: বিজ্ঞানের ব্যার্থতার কারনেই মোবাইল ইন্টারনেট কম্পিউটার পেয়েছি।

০২ রা জুন, ২০২০ রাত ১০:২৬

তাহমিদ২০১২ বলেছেন: ব্যার্থতার মাধ্যমেই সফলতার পথ উন্মোচিত হয়। যদিও মোবাইলের আবিষ্কারের সাথে আমার পোস্টের কোন রিলেশন নাই। তবুও বলতেই হয়, এক্সরে, বৈদ্যুতিক লাইট ইত্যাদী গবেষণার ভুলেই প্রথমে দৃষ্টিগোচর হয়েছিল এবং পরবর্তীতে সফল প্রজেক্ট। আমিও আশা করি ভবিষ্যতে এমন কোন কিছুই হয়তো বিজ্ঞানীদের দ্রুত গতিসম্পন্ন বাহনের সন্ধান দিবে :)

৩| ০২ রা জুন, ২০২০ রাত ১০:৪০

সত্যপীরবাবা বলেছেন: বিজ্ঞান যদিও বলে সেখানে শক্তি সঞ্চিত হয় নিম্নমুখী চাপের কারণে
লিংক দেন ভাই। জ্ঞান বাড়াই।
ইংরেজী ভাল পারি না, তাই উপরের বাক্য অনুবাদ করে গুগলে চালাইতে পারলাম না।

০২ রা জুন, ২০২০ রাত ১০:৫৪

তাহমিদ২০১২ বলেছেন: Click This Link

৪| ০২ রা জুন, ২০২০ রাত ১০:৪১

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আল্লাহ মানুষকে অনেক জ্ঞান দিয়েছেন ব্যর্থ হওয়ার সম্ভবনা নাই

০২ রা জুন, ২০২০ রাত ১০:৫৪

তাহমিদ২০১২ বলেছেন: আমিও সেটাই মনে করি :)

৫| ০২ রা জুন, ২০২০ রাত ১০:৫৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


লিলিপুটের রূপকথা?

০২ রা জুন, ২০২০ রাত ১০:৫৫

তাহমিদ২০১২ বলেছেন: হতে পারে তেমনই কিছু :)

৬| ০২ রা জুন, ২০২০ রাত ১১:১২

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ১) পোস্টে প্রথম ভুল: আলোর গতি পেতে হলে আলোর মতো ভরশূন্য হতে হবে।

রিলেটিভিটির সুত্রানুসারে বস্তু আলোর গতি প্রাপ্ত হলে তার ভর হয় অসীম তাই ভরযুক্ত বস্তু কখনো আলোর গতি প্রাপ্ত হবে না।

২) নিউট্রিশনে কারো সাথে বিক্রিয়া করে না এটা আরেকটা ভুল। একচুয়ালী এখানে দুটো ভুল হইছে।

নিউট্রিনো কোনো ক্যামিকেল নয় যে এটা বিক্রিয়া করবে। সাবএটমিক পার্টিক্যাল বিভিন্ন কনিকা বা বলের সাথে মিথস্ত্রিয়া ঘড়িতে স্থায়ী কনিকায় পরিনত হয়। আর পার্টিক্যাল ফিজিক্স বা কোয়ান্টাম ফিজিক্সকে যেভাবে কনিকা বলছে এগুলো আসলে কনিকা না। হাই এমপ্লিচুড এনার্জিব্যান্ডের ওয়েভ পিক যার আচরন পয়েন্ট লাইক পার্টিক্যালের মতো। এরপরের ভুল দুর্বল মিথস্ক্রিয়া (রেডিয়েশন একটা উদাহরন হতে পারে) এর দ্বারা ডিটেক্ট করা যায়। সেক্ষেত্রে এটা স্টেরাইল বলে একে ক্যাডমিয়াম নিউক্লি দ্বারা করা যায় অথবা ক্লোরিন ভর্তি ট্যাংকের টেট্রাক্লোরোইথিলিন মিশিয়ে তা যদি কোনো রিএক্টর বা স্ট্রাটোস্ফিয়ারে নেয়া যায় বা মাটির তলে তাহলে সেটাও করা যাবে। এন্টার্কটিকার আনিতার হিলিয়াম বেলুন ভর্তি করেও কিছু দিন টাউ নিউট্রিনো ডিটেক্ট করা গেছে।

আর পরার আগ্রহ হলো না। একে তো সময় নস্ট আরেকটা ব্যাপার নবী মোহাম্মদ উম্মে হানীর সাথে অভিসারে রাত কাটাতে তা থেকে বাঁচার জন্য এই গল্প ফেদেছিলো এবং বেশ কিছু মিথ্যা কথা বলে সবার সাথে প্রতারনা করেছিলেন।

দেশের শিক্ষা ব্যাবস্থা এত খারাপ জানা ছিলো না

০২ রা জুন, ২০২০ রাত ১১:৩৫

তাহমিদ২০১২ বলেছেন: এ কারণেই বিশ্বাসীরা সর্বদাই বলে থাকে যে, বিজ্ঞান হচ্ছে ভুলে ভরা একটা জগৎ। নিত্যনতুন তত্ব আবিষ্কারের মাধ্যমে সে টিকে থাকার চেষ্টা করে। আজ একদল গবেষক একটা তত্ত্ব বের করে তো কালকে আরেকজন তার তত্বের খন্ডন করে। কিন্তু দেখুন, বিশ্বাসিদের বিশ্বাস আজও পর্যন্তও একটুও নড়বড়ে হয়নি। কেননা সেটা ধ্রুব। বিজ্ঞানের মত নড়বড়ে নয় ;)

৭| ০২ রা জুন, ২০২০ রাত ১১:৩৩

সত্যপীরবাবা বলেছেন: @লেখক, এইটা কি লিংক দিলেন?

৮| ০২ রা জুন, ২০২০ রাত ১১:৪৯

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: লেখা পড়লাম, মন্তব্যও পড়লাম। মন্তব্য করতে যথার্থ জ্ঞান দরকার, তাই...

৯| ০৩ রা জুন, ২০২০ রাত ১:২১

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে যা মনে হয়, কোরান লেখা হয়ে গেছে আর বিজ্ঞান লেখা চলমান।পৃথীবি যতদিন থাকবে বিজ্ঞান থাকবে চলমান।আবিস্কার শেষ হয়ে যায়নি।ভূতুরে কনা আর ঈশ্বর কনা কি এক?
কোরানে কয়েক বারই বলা হয়েছে,আমি তোমাদের জন্য তোমাদে ভষায় সহজ করে লিখেছি,কোন কিছুই বক্রকরি নাই।কিন্ত আমরা আমাদের সুবিধার জন্য বলি বক্র করে লেখা।আসলে যে যার সুবিধা মতো ব্যাখ্যা করে।যেমন,ঢোলের শব্দ মৌলভী শুনে,জাহান্নামে যায়েঙ্গে,হাম জায়েঙ্গে তুম জায়েঙ্গে, জাহান্নামে জায়েঙ্গে।কোরানে বার বার বলা হয়েছে,আমি তোমাদের মধ্য হতে তোমাদেরই মতো একজনকে নবী করে পাঠিয়েছি যাতে তোমরা ভুল না বুঝ।আর আমাদের বুঝানো হয় নবী নূরের তৈরি।আমরা যখন আরবি বুঝতাম না তখন মৌমভীরা কত ধুনফুন যে বলতো,এখন বলে কোরান পরে বুঝা যা না,যেটা বুঝাই যায় না সেটার দরকার কি।

১০| ০৩ রা জুন, ২০২০ বিকাল ৫:০৩

নতুন বলেছেন: ধমীয় কাহিনি গুলি কল্পনা হবার সম্ভবনা বেশি।

সৃস্টিকতার সাথে মানব ইতিহাসে ২ জনের সাথে দেখা হবার কথা আছে। মুসা আ: আর রাসুল সা:

তাও তারা দুইজন নিজের চোখে সৃস্টিকতাকে দেখেন নাই।

বাকিরা গায়েবী আওয়াজ, স্বপ্নে নিদেশ` পেয়েছিলো।

তাই ধমীয় কাহিনি গুলির পছনে প্রমানের মতন জিনিস খুবই কম।

মেরাজের কাহিনি রাসুল সা: স্বপ্ন হিসেবে নিলে কোন সমস্যা নাই। কিন্তু যখন সব বাস্তবে ঘটছে বলে মানাতে চাইবেন তখন অনেক অলৌকিক ঘটনা ঐ দিন ঘটতে হবে সব বাস্তবে মেনে নিতে হলে।

মেরাজের সময় আল আকসা মসজিদে রাসুল সা: আগের দিনের নবীদের সাথে নামাজ পড়েছিলেন। নবীরা সবাই মৃত তারা ঐখানে স্বশরীরে উপস্থিত ছিলো?

তারা কবর থেকে উঠে এসেছিলেন?
তারা কবর থেকে জেরুজালেম গিয়েছিলেন?
তারা কিভাবে গমন করেছিলেন?
নামাজ শেষে কবরে ফিরে গিয়েছিলেন?

আরো অনেক প্রশ্ন আছে যেটাতে সমস্যা আরো বাড়ে কমে না :)

০৩ রা জুন, ২০২০ রাত ১১:১১

তাহমিদ২০১২ বলেছেন: আরেব বাহ। বুখারী শরীফের হাদীস পবিত্র কুরআনের আয়াতের বিরুদ্ধেতো ভালই যুক্তি দিলেন।

১১| ০৪ ঠা জুন, ২০২০ রাত ১:০৩

নতুন বলেছেন: আশরাফ আলী থানভী এর বইতে রাসুল সা:
Click This Link

এখানে হাসিদের কাহিনি বলা হয়েছে যে রাসুল নামাজে ইমামতি করেছিলেন । তার পেছনে সকল নবী রাসুল রা নামাজ পড়েছিলেন।

কয়েকজন রাসুল বক্তৃতা দিয়েছিলেন।

* তাহলে আপনার মনে কি প্রশ্ন আসে না?

সকল নবী রাসুল ( ঈসা আ: বাদে) মৃত, তাহলে তারা কিভাবে আসলেন?
তাদের কি জীবিত করা হয়েছিলো?
তাদের কবর বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে।
সেখান থেকে তারা কবর থেকে বের হয়েছিলো?
তারা কবরে ফিরে গিয়েছিলো?
তাদের জন্য কতগুলি বোরাক লেগেছিলো?
ঐ বোরাক গুলি কোথায় বাধা ছিলো ( রাসুল সা: তার বোরাক বেধে রেখেছিলেন )
রাসুল সা: আল আকসা তে নামাজ পরেছিলেন, বক্তৃতা শুনেছিলেন, বক্তৃতা দিয়েছিলেন। তাই ঐ সময়টা দুনিয়ার সময়। তিনি ফিরে এসে যদি তিনি তার অজুর পানি বইতে দেখেছিলেন তবে আকসা মসজিদের কাটানো সময়ের কি হলো? তখন তো মক্কাতে সময় দাড়িয়ে ছিলো না। দুই স্থানের দুরত্ব ১২০০ মাইলের মতন।

সমস্যা হইলো এই সব কাহিনি শুধুই বিশ্বাস করতে হয়। যখন যুক্তিদিয়ে চিন্তা করবেন তখনই ঘাপলা বাড়বে...

০৪ ঠা জুন, ২০২০ ভোর ৪:১১

তাহমিদ২০১২ বলেছেন: শেষমেষ থানভী সাহেবের বই। বড়ই রসিক লোক আপনি ;) জালালুদ্দীন সুয়ুতী, ইমাম গাজ্জালী সহ চার মাযহাবের ইমাম, বিভিন্ন যুগের ইমামদের বই হলেও মেনে নেয়া যেত যে, আপনি সঠিক কিছু বলছেন। কিন্তু এমন একজনের বই দিলেন যাকে পাক ভারত ছাড়া অন্য দেশের লোক চিনেই না। কেয়া বাত হে ভাই, কেয়া বাত।

১২| ০৪ ঠা জুন, ২০২০ রাত ২:০০

সুপারডুপার বলেছেন:



নতুন ভাইয়ের প্রশ্নগুলো যুক্তিক প্রশ্ন। আরো একটি যুক্তি খুঁজে পেলাম।


নবী মুহাম্মদকে (সঃ ) আল্লাহ মিরাজ এর রাত্রে মক্কা থেকে এই জেরুজালেম ঘুরিয়ে দেখিয়ে এনেছিলেন। মুহাম্মদ (সঃ ) যখন জেরুজালেম ভ্রমণের কাহিনী প্রকাশ করলেন , তখন তাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিলো বাইতুল মোকাদ্দেশকে তিনি কেমন দেখলেন। ইসলামি সোর্স বলে নবী মুহাম্মদ (সঃ ) বাইতুল মোকাদ্দেশের প্রতিটি দরজা জানালাসহ হুবহু বর্ণনা করে শুনান এবং উপস্থিত বহুলোক দাবী করেন তারা এমনটাই কিছুদিন আগে জেরুজালেম ভ্রমণ করে দেখে এসেছেন।

এই গল্প একদমই ধাপ্পা! কারণ সেসময় জেরুজালেমে কোন ভবণই অবশিষ্ঠ ছিলো না। বাইতুল মোকাদ্দেশ খ্রিস্টপূর্ব ৫৮৬ সালে প্রথম ব্যাবলীয়নরা হামলা করে ধ্বংস করে ফেলে। ৫১৬ খ্রিস্টপূর্বাব্দে এটি ফের নতুন করে নির্মাণ করা হয়। ৭০ খ্রিস্টাব্দে এটি রোমানরা আবার ধ্বংস করে ফেলে। তারপর থেকে এটি সেভাবেই পড়ে থাকে। কোন রকম দালানকোঠা সেখানে তোলা হয়নি। মুহাম্মদ(সঃ ) মেরাজ যাবার দাবী করেন ৬২১-২২ খ্রিস্টাব্দে। পৃথিবীতে যত তথ্যপ্রমাণ আছে সব জড়ো করেও সেসময় জেরুজালেমে বাইতুল মোকাদ্দেস বা সলোমনের মন্দিরের এতটুকু চিহৃ অবশিষ্ঠ ছিলো না কেবল কিছুমাত্র পোড়া দেয়াল ছাড়া। অথচ ইসলামী সোর্সগুলি বলছে মুহাম্মদ বাইতুল মোকাদ্দেসের প্রতিটি দরজা জানালার বর্ণনা দিয়েছিলেন সঠিক নির্ভুলভাবে!

পরবর্তীতে ৬২১-২২ খ্রিস্টাব্দে জেরুজালেমে কোন মন্দির বা মসজিদের অস্তিত্ব না থাকার ইতিহাস জানার পর ইসলামিস্টরা মহা ফাঁপড়ে পড়ে যায়। তারপর থেকে তারা বলতে থাকে মসজিদ মানে নামাজের স্থান। মসজিদ বলতে সব সময় ইটকাঠ পাথরের দালাণ ইসলামে বুঝানো হয় না। তাই বাইতুল মোকাদ্দেসে তখন কোন কিছু না থাকলেও সোলাইমান (আ )র মসজিদের (আসলে সেটি মন্দির ছিলো ইহুদীদের ভাষ্যে) স্থানেই নবীজি নামাজ পড়েছিলেন। আর মসজিদের দরজা জানালার গোণার বিষয়ে তাদের বক্তব্য যেহেতু বাইতুল মোকাদ্দেস বলতে একটি স্থান ছিলো এবং সেখানে প্রবেশের পথ ছিলো তাই সেই পথে ঢুকার নিশ্চয় কোন দরজা ছিলো। নবীজি সেই দরজার কথাই বলেছেন। এরকম দুর্বল যুক্তি দেয়া হয় বিশ্বাসী মুসলমানদের জন্য। এটুকু তাদের না দিলেও চলে কারণ তারা ভ্রান্ত বিশ্বাসের শিকলে বন্দি।

আমি মেডিটেশন করেছি। আমি জানি কল্পনায় কিভাবে নিজের ইচ্ছামত জায়গায় ঘুরে আসা যায়। মুহাম্মদ (সঃ )-এর মিরাজ হয় কল্পনা অথবা স্বপ্ন ছিল।

আল্লাহ সুবহানাতায়ালা আপনাদের সকলের মঙ্গল করুন।

০৪ ঠা জুন, ২০২০ ভোর ৪:১৫

তাহমিদ২০১২ বলেছেন: েইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনের একটা বই আছে বাইতুল মুকাদ্দাসের ইতিহাস। সেটা পড়বেন। কয়েকদিন আগে আব্দুল্‌লাহ ইবনে আহমাদের “ইহুদী জাতির ইতিহাস” নামের একটা বই বের হয়েছে। সেখানে, গ্রীক পুরানের ইতিহাস, হিব্রুদের ইতিহাস, পুরাতন অনেক নথির রেফারেন্সে বাইতুল মুকাদ্দাসের ইতিহাস খুব সুন্দরভাবে লিখা রয়েছে। এই বই দুটি পড়বেন সম্ভব হলে। নিজেকে এত পন্ডিত মনে করতেছেন যেন, বিজ্ঞানের কচ্ছপের গতির মুড়ির টিন নিয়ে অতীতে টাইম ট্রাভেলিং করে এসেছেন। বড়ই মজার মানুষ আপনারা। ;)

১৩| ০৫ ই জুন, ২০২০ সকাল ৭:৩১

সুপারডুপার বলেছেন:



এই পোস্টেও মন্তব্য ডিলিট করেছেন। আপনি আসলেই হুজুর মোমিন বান্দা। ভিন্নমত সহ্য করতে না পারলে আপনার ব্লগিং করতে আসা উচিত না। কাপুরুষচিতভাবে মন্তব্য ডিলিট করবেন আশা করিনি।

০৫ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১২

তাহমিদ২০১২ বলেছেন: আমি চাইনা আমার মাধ্যমে ইসলামের প্রতি কোনরূপ সন্দেহ মূলক কিছু মানুষের নিকট পৌছে যাক। ব্যক্তিগতভাবে ফিলোসপি, নাস্তিক্যবাদ, বিজ্ঞান নিয়ে প্রচুর বই পড়ার চেষ্টা করি এবং সংগ্রহে অনেক বইও রয়েছে। ব্যক্তিগতভাবে আপনি ম্যাসেজ দিন আপনার প্রতি অনেক কৃতজ্ঞতা জানাবো। কেননা, আপনার দ্বারা কিছুটা হলেও জ্ঞানের দিক থেকে উপকৃত হয়েছি। বাংলাদেশের খুব কম লেখকই আমার লিস্টে রয়েছে যাদের বই এখনও পড়িনি। তাসলিমা নাসরিন সহ হুমায়ন আজাদ, আসিফ মহিউদ্দিন সবার মন্তব্যগুলো পড়ার চেষ্টা করি। কিন্তু সেটা প্রচার করতে আমার আপত্তি। আমার পোস্টে অনেকেই বিপরীত মন্তব্য করেছেন কারোটাই ডিলেট করিনি। আপনারটা ডিলেট করার কারণ হচ্ছে, কিছু লিংক দিয়েছেন, যেখান থেকে হয়তো কোন মানুষের মনে সন্দেহের বীজ বপণ হতে পারে। আমি চাইনা আমি এগুলো প্রচারের মাধ্যম হই। ভালো থাকবেন। আশা করি বুঝতে পারবেন। কষ্ট পেয়ে থাকলে ক্ষমাপ্রার্থী

১৪| ০৬ ই জুন, ২০২০ রাত ২:৫৭

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: শেষমেষ থানভী সাহেবের বই। বড়ই রসিক লোক আপনি ;) জালালুদ্দীন সুয়ুতী, ইমাম গাজ্জালী সহ চার মাযহাবের ইমাম, বিভিন্ন যুগের ইমামদের বই হলেও মেনে নেয়া যেত যে, আপনি সঠিক কিছু বলছেন। কিন্তু এমন একজনের বই দিলেন যাকে পাক ভারত ছাড়া অন্য দেশের লোক চিনেই না। কেয়া বাত হে ভাই, কেয়া বাত।

ঠিক আছে আপনি বলুন আপনার বিশ্বাস থেকে।
রাসুল সা: আল আকসা মসজিদে নামাজে ইমামতি করেছিলেন কিনা। এবং যদি করে থাকেন তাকে কারা অংশ নিয়েছিলো?

০৬ ই জুন, ২০২০ ভোর ৪:১৮

তাহমিদ২০১২ বলেছেন: পড়াশুনা করুন ভাই, শুধু একটা মিমাংসীত বিষয়ের ব্যাপারে প্রশ্ন না করি। সৃষ্টিকর্তাকে বিশ্বাস করলে এটাও বিশ্বাস করতে হবে যে, তার পক্ষে সব কিছুই করা সম্ভব। আর আপনি যেই যুক্তি দিয়েছেন এগুলোই সব কিছুই মিমাংসীত বিষয়। নবীগণ এভাবে আসতে পারেন এর বহু দলীল রয়েছে। শুধু একজন লেখকের বই পড়েই সেটার উপর বিশ্বাসকে ছেড়ে দেয়া বোকামি। বেশি বেশি পড়াশুনা করুন। মিমাংসীত বিষয়ে কথা বলার বা উত্তর দেয়ার সময় এবং ইচ্ছা কোনটিই নেই আমার। ধন্যবাদ

১৫| ০৬ ই জুন, ২০২০ দুপুর ২:২৪

নতুন বলেছেন: ভাই আপনি বিজ্ঞান নিয়ে আলোচনা করছেন তো তাই ভাবলাম আপনি প্রমান এবং বাস্তবতা নিয়ে একটু চিন্তা ভাবনা করবেন।

এখন বলবেন যে নবী রাসুল যারা মৃত তারা ঐ দিন রাতে সশরীরে ঐ রাতে নামাজে উপস্থিত ছিলো?

এখন সেটা মেনে নিলাম। তবে দুইখান কথা আছে

একজন নবী সশরীরে কি কবরে জীবিত আছেন?
নবী রাসুল রা কি কবর ভেঙ্গে ঐ রাতে বের হয়েছিলেন?
তাহলে তারা কিভাবে বিশ্বের বিভিন্ন স্থান থেকে আল আকসা মসজিদে গিয়েছিলেন?
তারা কবরে ফিরে এসেছিলেন?
তাদের কবর অলৌকিক ভাবেই মেরামত হয়ে গিয়েছিলো?
ঐ রাতে সকল নবী রাসুল যারা কবর থেকে বের হয়েছিলেন এবং ফিরে এসেছিলেন তাদের ব্যপারে ১ জন মানুষও দেখে নাই?

ভাই আপনি যখন নিজে বেড়াতে যান তখন কত গুলি বিষয় যুক্ত থাকে একটু ভেবে দেখেছেন?????????????

দুনিয়ার একটা নিয়মে চলে। তার কোন ব্যতিক্রম হয় না।

সৃস্টিকতা দুনিয়া সৃস্টি করলেও তারপরে তিনি কোন হস্তক্ষেপ করেন না।

কারন দুনিয়ার একটা জিনিস আরেকটা জিনিসের উপরে নিভ`র করে।

আপনি একটা জিনিস পাল্টে দিলে অনেক কিছুই পাল্টে যাবে....

বিশ্বাস করেন সেটাই ভালো। এখন টাইম ডিলেশন থিউরির কথা বলে আবার বলবেন মৃত মানুষ করব থেকে সশরীরে আবার কবরে ফিরে গেছেন বলে বিশ্বাস করতে হবে???

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম টাইম ডিলেশনের মাধ্যমে টাইম ট্রাভেল করে এসেছেন।

ধমের চশমা খুলে যদি একটু যুক্তি দিয়ে ভেবে দেখেন তবেই এই কাহিনি গুলি পরিস্কার বুঝতে পারবেন।

একটা জিনিস ভেবে দেখুন যে ''' সৃস্টিকতা হয়তো এই মহাবিশ্ব সৃস্টিকরেছেন কিন্তু তার পরে বাকি সবই তার দেওয়া নিয়মে চললে এবং তাতে তিনি কোন হস্থক্ষেপ করেন না'''

এই কারনেই দুনিয়ার সব নিয়মের একটা ধারা দেখতে পারা যায় এবং সেটা মানুষ ব্যক্ষা করতে পারছে আস্তে আস্তে। এখানে অলৌকিকতার কোন স্থান নেই।

০৭ ই জুন, ২০২০ রাত ১:৫৮

তাহমিদ২০১২ বলেছেন: অজ্ঞতা যখন জ্ঞানের আবরণ কে ঢেকে ফেলে তখন অনেক কিছু নিয়ে গোড়ামী করাটা স্বভাবে পরিণত হয়। আপনি পূর্বের যুগের স্কলারদের কিতাব পড়ুন যদি আরবী জানা থাকে। তাহলে এই গোড়ামীটা কিছুটা হলেও হালকা হতে পারে। ধন্যবাদ

১৬| ০৬ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৪:১৪

সুপারডুপার বলেছেন:



@নতুন ভাই,

কোরআন বলে , তিনি যখন কোন কিছু করতে ইচ্ছা করেন, তখন তাকে কেবল বলে দেন, কুন্ / ‘হও’ তখনই তা হয়ে যায় (৩৬:৮২)। অর্থাৎ কোনো ধাপ্পাবাজি ঘটানোর জন্যও যদি আল্লাহ বলেন কুন্, তাহলেই ঐ ধাপ্পাবাজি ঘটনাও ঘটে যাবে। কাজেই , আপনার সব গুলো প্রশ্নের উত্তর হচ্ছে 'কুন্' । যুক্তি দিয়ে তর্ক -বিতর্ক করলে আপনার ঈমানের ক্ষতি হতে পারে (দ্রঃ আমার পোস্ট 'ভ্রান্ত বিশ্বাসে মানুষকে বন্দী করে শাসন করার একটি শক্তিশালী হাতিয়ারের নাম ' ভয় ';)

@লেখক,

আপনি এগিয়ে যান, ধর্মীয় মিথ শিক্ষিত কোনো মানুষ-ই আর বিশ্বাস করে না, যদিও তারা মুখে মিথ্যা বলে 'বিশ্বাস করি '। উন্নত দেশেগুলোতে যদি মিথ প্রচলিত থাকে, মোসলমানদের দেশে মিথ চলতে সমস্যা কী। আর যেকোন ধর্মেই মিথে ভরা। এটা না থাকলে ধর্ম তার মূল বৈশিষ্ট্য থেকে বিচ্যুত হবে।

মিথ মানুষকে ক্ষতি করছে না। ব্লগে অনেকেই মিথ লেখে যেতে পারলে, আপনিও সুন্দর সুন্দর ধর্মীয় মিথ লিখে যাবেন। তবে প্লিজ মিথের সাথে বিজ্ঞানকে মেশাবেন না। নবী -রসূল সাহাবীরাও মিথের সাথে বিজ্ঞান জুড়িয়ে দিয়ে জগাখিচুরী পাকান নি।

হয়তোবা আগামীদিনের বাচ্চারা এই সব মিথ শুনে ঘুমোতে যাবে ...

০৭ ই জুন, ২০২০ রাত ১:৫৬

তাহমিদ২০১২ বলেছেন: পৃথিবীতে বিরোধীতা করার জন্য অনেক বিষয় রয়েছে। আপনি উপরে সৃষ্টিকর্তার ব্যাপারে যে মন্তব্যটি করেছেন। সেটা খুবই দুঃখজনক। আপনার পূর্বের কমেন্ট পড়ে মনে হয়েছিল খুব নীতিবান লোক। কিন্তু আপনিও যে, নাস্তিক নামের ইসলাম বিদ্বেষী সেটা মাত্র ক্লিয়ার হলাম। ধন্যবাদ নিজের পরিচয় টা উপস্থাপনের জন্য

১৭| ০৭ ই জুন, ২০২০ রাত ২:০৭

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আপনি একটা অযৌক্তিক ঐতিহাসিক ভুল (নেবুচাদজার নবীর পয়দা হবার আগেই মসজিদ ভেঙ্গে দিছিলো যা নবী মরার কয়েকশ বছর পর গড়ে তোলা হয়, উনি যে মসজিদে নামাজ পড়ছেন বলছেন সেটা আসলে ধ্বংসস্তুপ ছিলো তার মানে নবী ডাহা মিথ্যা বলছে উম্মে হানির সাথে সহবাস লুকানোর জন্য) ঘটনা কে বিজ্ঞান দ্বারা প্রমান করতে চাইলেন

সেখানে সেই বিজ্ঞান দিয়েই আপনার লেখার মিথ্যা ও ত্রুটিপূর্ন তথ্যের ভুল তুলে ধরলে আপনি বিজ্ঞানটাকেই খারিজ দিলেন। অথচ আপনি আপনার মিথ্যা ধর্ম সেই বিজ্ঞান দিয়েই সত্য প্রমান করতে চাইছেন

আসলে অল্প বিদ্যা ভয়ংকরী আর তাই আপনি এটাও বললেন যে বিজ্ঞান পরিবর্তনশীল। বিজ্ঞান পরিবর্তনশীল হাইপোথিসিসের ক্ষেত্রে আর তাই সেটা হাইপোথিসিস। এই পর্যন্ত কোনো মেজর তত্ব ভুল প্রমানিত হইছে তার কোনো প্রমান নেই। আপনি যদি গলার জোরে দাবী করেন সেটা হবে আপনার শঠতা।

এখন নতুন সাহেব যখন ইতিহাস ও যুক্তি দিয়ে ঘটনার অযৌক্তিকতা তুলে ধরলেন তখন বললেন যে বিশ্বাস কখনো যুক্তি দিয়ে প্রমান করা যায় না। আর আমার কথাটাই যখন নতুন সাহেব বললেন যে বিজ্ঞান ও যুক্তি দিয়ে মিথ্যা রূপকথার গল্পের গোঁজামিল দিতে চাচ্ছেন সেখানে আপনি তাকে ইসলামবিদ্বেষী ও নাস্তিক ট্যাগ দিয়ে ভরকাচ্ছেন এবং ব্যাক্তিআক্রমন করছেন।

আপনারা যুক্তি দিয়ে আলোচনা করতে গেলে যখন পেরে উঠেন না তখন ট্যাগিং এবং ক্ষেত্রে বিশেষে রিপোর্ট বা অন্যান্য হুমকি দিয়ে ইসলামের কতটুকু উপকার করছেন এবং নিজেদের কে কি হিসেবে উপস্থাপন করতে চান সেটা বুঝতে পারি না।

আপনি আপনার ফেসবুকে নিজেকে ইউআই ইউএক্স ডিজাইনার দাবী করছেন। ধরে নিলাম আপনি জাভাস্ক্রিপ্ট ও তার ফ্রেমওয়ার্ক সম্পর্কে ভালো রাখেন কিন্তু এই জ্ঞান ও যৌক্তিক চিন্তাভাবনা থাকা সত্বেও এভাবে ট্যাগিং ও ব্যাক্তিআত্রমন এটাই কি প্রমান করে না যে আপনার শিক্ষা আপনাকে সুশিক্ষিত করে গড়ে তুলতে পারেনি?

আশা করি আপনি নিজেকে নিয়ে একবার ভাবুন এবং রুপকথাকে বিজ্ঞান দিয়ে প্রমান করার আগে এসব তত্ত্বগুলো সম্পর্কে গভীর ধারনা রাখুন।

আমার বযাক্তিগত মতামত জাফর স্যারের লেখা রিলেটিভিটির সহজ পাঠ একটা বই আছে। এই বই পড়লে ক্লাস সিক্স সেভেনের ছেলে পেলেও বুঝতে পারবে।

নিজেকে ঋদ্ধ করুন। আমি বুঝি ধর্ম আপনার কাছে কি, কিন্তু এসব মিথ্যা কথা ও হাস্যকর যুক্তি দিয়ে আপনি নিজেকেই নিজে হাস্যকর প্রমান করছেন

০৭ ই জুন, ২০২০ ভোর ৪:০৩

তাহমিদ২০১২ বলেছেন: আপনার কিছু বলে লাভ নেই। আপনারা যখন আমার প্রাণের চেযেও অধিক ভালবাসার মানুষটিকে নিয়ে ভিতিহীন ও রেফারেন্সহীন কথা বলেন তখন সেটা কিছুই হয় না। তার জবাব লিখলেই হয়ে যায় ব্যক্তিগত আক্রমন???? আপনিও দেখছি খুবই মজার মানুষ। আসলে আপনার জ্বলতে দেখলে খুব ভালো লাগে। আর আমার মত অল্প জ্ঞানীর পোস্টে আপনাদের মত পৃথিবী বিখ্যাত মহা মহা জ্ঞানী এসে যে কমেন্ট করছেন, সেটার কারণেই তো আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়ি। বলি কি, জাফর সাহেবের বই আপনি আরেকটু পড়ুন এবং আমার পোস্টটি আবার পড়ুন। এখানে রিলেটিভিটি নিয়ে কথা হয়নি। হয়েছে টাইম ট্রাভেল, ডিলেশন আর ব্লাকহোল নিয়ে। যেহেতু এগুলোর অস্তিত্বকে রিলেটিভিটি দিয়ে প্রতিষ্ঠা করা হয়, তাই কিছুটা সেটার কথা আনা।

আসলে আপনাদের কিছু বলে লাভ নেই শুধু সময় নষ্ট। তবে আপনার জ্বলতে দেখে কিন্তু ভালই লাগছে। আর ইতিহাস??? উপরে দুইট বইয়ের কথা বলেছি সেগুলো পড়েন। পেয়ে যাবেন কোনটা সত্যি আর কোনটা মিথ্যা। আর আরবী বইয়ের রেফারেন্স লাগলে বলবেন, কয়েক ডজন ইতিহাসের রেফারেন্স দিতে পারবো। ও হ্যা, আরেকটি কথা, পরবর্তীতে আরো পোস্ট আসছে। সে পর্যন্ত একটু ধৈর্য ধরুন ;)

আর ধর্মতো সেই ১৪০০ বছর পূর্বেই প্রমাণিত, নতুন করে প্রমাণ করার কিছুই নেই। সর্বশেষ যেটা বলবো, তেলাপোকাও একটা পাখি আর নাস্তিকরাও বিজ্ঞানী। তফাৎ টা কিন্তু অনেক। ;)

১৮| ০৭ ই জুন, ২০২০ ভোর ৪:০৭

তাহমিদ২০১২ বলেছেন: বাই দ্যা ওয়ে কোন নাস্তিক কমেন্ট করলে আর উত্তর দেয়া হবে না। কমেন্টে যদি মহান আল্লাহ তায়ালা এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর প্রতি সম্মান রেখে কমেন্ট করতে পারে তাহলেই হয়তো উত্তর দিব। এছাড়া আর সময় অপচয় করতে রাজি নই। যার যা বলার বলে যেতে পারেন ;)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.