নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তাহমিদ২০১২

তাহমিদ২০১২ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বহু বিবাহ ও ইসলাম :: ৪ টি বিবাহ করা সত্যিই কি ইসলামী আইনের অনুসরণ???

০৩ রা জুন, ২০২০ সকাল ১০:৩৩


বলা হয়ে থাকে যে, ইসলাম বহু বিবাহ বৈধ করেছে। আসলে ইসলাম বহু বিবাহের একটা সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছে, যে কেউ চারটির বেশি বিবাহ করতে পারবে না। কারণ সে যুগে এমনকি আজ থেকে এক দেড়শ বছর আগে এই ভারতেই অনেক মানুষ ৩০-৫০-৮০ এমনকি ১০০ আরো বেশি বিবাহ করত! বিশ্বাস না হলে ইশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগরের ‘বহু বিবাহ’ ও 'বাল্য বিবাহ’ বই দুটি পড়ে দেখতে পারেন। আপনি যদি রোম সাম্রাজ্যের, গ্রীক সাম্রাজ্যের অথবা পৃথিবীর যে কোনো ইতিহাস পড়েন তাহলে দেখবেন যে সে যুগে মানুষ অনেক স্ত্রী রাখত।

এখানেই শেষ নয় হিন্দুদের দেবতা কৃষ্ণার ১৬০০০ স্ত্রী, মহাদেব এর ১ লক্ষ ইত্যাদী এমন অনেক বর্ণনা রয়েছে বহু বিবাহের বা বহু স্ত্রী রাখার। ইসলাম শুধু পুরুষের এই জৈবিক বিষয়টিকে একটি নিয়মের মধ্যে আবদ্ধ করে দিয়েছে যে, কেউ ইচ্ছা করলে একসাথে সর্বোচ্চ ৪ টির বেশী বিবাহ করতে পারবে না।

৪ টি বিবাহের ব্যাপারেও কড়া নির্দেশনা যে, কেউ ইচ্ছা করলেই ১ টির বেশী করতে পারবে না। হ্যা ! যদি সে স্ত্রীদের মধ্যে সমতা রক্ষা করতে পারে তবেই সে ১ টির বেশী বিবাহ করতে পারবে।

পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন:
"বিবাহ কর নারীদের মধ্য হতে যাকে তোমাদের ভালো লাগে, দুই ,তিন আথবা চারটি। আর যদি আশঙ্কা কর যে (স্ত্রীদের মাঝে) সুবিচার করতে পারবে না, তাহলে (মাত্র) একটি (বিবাহ কর)…."
(সুরা নিসা ০৩:০৩)

এই আয়াতের মাধ্যমে স্পষ্টেই বুঝা যাচ্ছে যে কোনো মুসলমান ইচ্ছা করলে একের অধিক বিয়ে (চারের বেশি নয়) করতে পারে। কিন্তু তাতে শর্ত হলো তাকে তার স্ত্রীদের মাঝে সুবিচার অর্থাৎ একাই রকম ভালবাসা, খাদ্য, বস্ত্র দিতে হবে এবং তাদের একের উপর অপরকে প্রাধান্য দেওয়া চলবে না। আর যে একাধিক বিয়ে করতে ইচ্ছুক কিন্তু তার মনে হচ্ছে তার স্ত্রীদের মাঝে সুবিচার বা সমতা রাখতে পারবে না তাহলে তাকে একটি বিয়েতেই সন্তুষ্ট থাকতে বলা হয়েছে।
আর স্ত্রীদের মাঝে সুবিচার করা নিশ্চয় কঠিন কাজ। আল্লহ মানুষকে সাবধান করে বলেছেন,
"তোমরা যতই আগ্রহ রাখো না কেন, তোমাদের স্ত্রীদের প্রতি সমান ব্যবহার করতে কখনো সক্ষম হবে না……”
(সুরা নিসা ০৪:১২৭)
উপরের দুটি আয়াত থেকে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে যে ইসলামে চারটি বিবাহ করা বৈধ কিন্তু একটি বিবাহ করতে উপদেশ দেওয়া হয়েছে এবং বহু বিবাহে ভীতি প্রদর্শন করা হয়েছে।

বহু বিবাহ করার ব্যাপারে আল্লাহ তায়ালা আরো সতর্ক করে পবিত্র কুরআনে বলেছেন:

“তোমরা এক জনের প্রতি সম্পূর্ণরূপে ঝুঁকে পর না ও অপরকে (অপর স্ত্রীকে) ঝুলন্ত অবস্তায় রেখে দিও না …”
( সুরা নিসা ০৩:১২৭)

এখানেই শেষ নয়। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো কঠোরভাবে সতর্ক করেছেন ১ এর অধিক বিবাহ করার ব্যাপারে:

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,

"যে ব্যক্তির দুই জন স্ত্রী আছে, কিন্তু তার মধ্যে এক জনের দিকে ঝুঁকে যায়, এরূপ ব্যক্তি কিয়ামতের দিন অর্ধদেহ ধসা অবস্থায় উপস্থিত হবে।"
(আহমেদ ২/৩৪৭; আসবে সুনান; হাকিম ২/১৮৬) ইবনে হিব্বান ৪১৯)

উপরোক্ত দলীল থেকে এটা স্পষ্ট বুঝা যায় যে, বহু বিবাহ শর্ত সাপেক্ষে জায়েয কিন্তু প্রকৃতপক্ষে নিরুৎসাহিতই বেশী করা হয়েছে।
সে জন্যই ডেভেন্পর্ট বলেছেন যে, “মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বহু বিবাহকে সীমার বাধনে বেধে ছিলেন।”

সুতরাং ইসলাম কখনোই বহু বিবাহকে সমর্থন করেনি। বরং বহু বিবাহকে ৪ টির মধ্যে সীমাবদ্ধ করেছেন তাও বিশেষ শর্ত সাপেক্ষে।
আসুন আমরা ইসলামের এই সুমহান দিকনির্দেশনাকে মান্য করি এবং স্ত্রীর সাথে সর্বদা সদাচারণ করি।

ফেইসবুকে আমি::তাহমিদ হাসান

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা জুন, ২০২০ সকাল ১০:৫৮

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: ভাল পোষ্ট পড়ে ভাল লাগলো ।
কোন মানুষের পক্ষেই স্ত্রীদের মধ্যে সব কিছুতে সমতা রক্ষা করা সম্ভব নয় । তাই একের অধিক বিবাহ নিষিদ্ধ ।
যেহেতু , আল্লাহই বলে দিয়েছেন, স্ত্রীদের প্রতি সমান ব্যবহার করতে কখনো সক্ষম হবে না । জ্ঞানিদের জন্য রয়েছে নির্দেশন ।

০৩ রা জুন, ২০২০ সকাল ১১:৪০

তাহমিদ২০১২ বলেছেন: যথার্থ বলেছেন। তবে নিষিদ্ধ নয়। শর্ত সাপেক্ষে।

২| ০৩ রা জুন, ২০২০ সকাল ১১:০৩

কামরুননাহার কলি বলেছেন: আপনার ব্যাখ্যাও ভুলা আছে। অবশ্য আপনার একার নয়, সারা জাহানের মানুষের এই ব্যাখ্যাটি বুঝতে ভুল আছে। আবার বুঝলেও প্রচার করে মিথ্যা দিয়ে। কোরআনের আরবী শব্দটি মানুষ অনেকেই না বুঝে পড়ে।


আমি আপনাকে সঠিক একটি তথ্য দিচ্ছি পড়ে দেখে। আপনার ব্যাখ্যাও ভুলা আছে। অবশ্য আপনার একার নয়, সারা জাহানের মানুষের এই ব্যাখ্যাটি বুঝতে ভুল আছে। আবার বুঝলেও প্রচার করে মিথ্যা দিয়ে। কোরআনের আরবী শব্দটি মানুষ অনেকেই না বুঝে পড়ে।


আমি আপনাকে সঠিক একটি তথ্য দিচ্ছি পড়ে দেখে। বাংলা এবং আররী দুটোই পড়বেন।


এবার আমি ব্যাখ্যা দিচ্ছি। কোরআনের সূরা নিসা, অধ্যায়-৩, আয়ত-৩- “আর যদি ভয় হয় যে, মেয়ে এতিমদের প্রতি সুবিচার করতে পারবে না ; তবে বিয়ে করে নেও তাদের মধ্য থেকে দুই, তিন, অথবা চারজন করে তোমাদের পছন্দ মতো.....।
ছবিটি থেকে পড়ে নিবেন।


এবার বলি এখানে কোন সাধারণ পুরুষদের কথা বলা হয়নি যে চার বিয়ে করার কথা। আর এই যুগে ঘরে ঘরে কোন এডিম মেয়েরা নেই। যে তাদের প্রতি সুবিচার করতে হবে চার বিয়ে করে। আল্লাহ তায়ালা কিছু কিছু আয়াত সেই সময়কার মানুষদের জন্যও ব্যাখ্যা করেছেন। তবে হতে পারে কোন মেয়ের সাথে অন্যায় হচ্ছে সমাজে তখন যদি প্রথম বৌ অনুমতি দেয় তবে করা যাবে। তার আগে নয়। ইসলাম পুরুষ দের একটি বিয়ের কথাই বলা হয়েছে নো চারটি। যদি পরিস্থিতির কারণ খারাপ হয় তবে বিয়ে করা যায়। যেমন স্ত্রী মারা গেলে, স্ত্রী অসুস্থ থাকলে, বা স্ত্রী সংসার না করতে চাইলে। কিন্তু একজনের উপস্থিতিতে কখনো বিয়ে করা যাবে না।

ইসলাম কিন্তু শুধু পুরুষদের বিয়ের কথা বলেনি। নারীদেরকে বলেছে, যে স্বামী যদি অত্যাচারি হয়, স্বামী যদি, অসুস্থ থাকে, স্বামী যদি পরকিয়া করে তবে স্ত্রী তাদের তালাক দিয়ে বিয়ে করতে পারবে। আমি কোরআনে অনেক জায়গায় পড়েছি যেখানে নারীদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যাখ্যা বলা আছে। নারীদেরকে বলেছে, যে স্বামী যদি অত্যাচারি হয়, স্বামী যদি, অসুস্থ থাকে, স্বামী যদি পরকিয়া করে তবে স্ত্রী তাদের তালাক দিয়ে বিয়ে করতে পারবে। আমার এই লেখার ব্যাখ্যাটি যদি ও কোরআনে এই ভাবে দেওয়া নেই তবে কিছুটা এরকমই আমি পড়েছি। তবে কোন সূরা, কোন আয়াতে সেটা আমার মনে নেই। যদি পাই তবে আপনাকে জানাবো।

০৩ রা জুন, ২০২০ সকাল ১১:৩৮

তাহমিদ২০১২ বলেছেন: আমার এই লেখাটি ৪ বিয়ের বিরুদ্ধে। আপনি পোস্টটি আবার পড়ুন দয়া করে :) আর আপনি যেভাবে ব্যাখ্যা দিচ্ছেন তাফসীরে এই ব্যাখ্যা এভাবে করা হয়নি। ধন্যবাদ

৩| ০৩ রা জুন, ২০২০ দুপুর ১২:২২

নতুন বলেছেন: যাদের নারীর প্রতি লিপ্সা বেশি তারা এই সব আয়াত এবং হাদিস ব্যবহার করে বেশি বিয়ে করতে ব্যাক্ষা দেয়।

সমাজে যারা বিত্তশালী এবং জ্ঞানী তারা ১ বিয়েতেই সন্তুস্ত। কিন্তু দরিদ্রদের মাঝে অনেকেই বহুবিবাহ করতে দেখা যায়।

৪| ০৩ রা জুন, ২০২০ দুপুর ১২:৪৯

নেওয়াজ আলি বলেছেন: ইসলামে অনেক ভালো কিছু অনুসরণ করতে বলেছে তা কেউ করে না । চারটা বিয়ে কেন অনুসরণ করা এত দরকার

৫| ০৩ রা জুন, ২০২০ দুপুর ১:১০

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: বিবাহ সব সমাধান দেয় না!

৬| ০৩ রা জুন, ২০২০ দুপুর ১:৪৪

পদ্মপুকুর বলেছেন: ধন্যবাদ কামরুন্নাহার কলি, আপনি আগেই বিষয়টা উল্লেখ করেছেন। এর সাথে সুরা নিসার ২ নম্বর আয়াতটাও সংশ্লিষ্ট, যেটা প্রসঙ্গত কেউ উল্লেখ করেন না। ওই আয়াতে বলা হচ্ছে- এতিমদের ধন সম্পদ তাদের কাছে দিয়ে দাও, তাদের ভঅলো জিনিসের সাথে নিজেদের খারাপ জিনিসের বদল করো না, তাদের সম্পদসমূহ কখনো নিজেদের মালের সাথে মিলিয়ে হযম করে নিয়ো না, অবশ্যই তা একটা জঘন্য পাপ। এর পরেই পরবর্তী আয়াতে বলা হচ্ছে- আর যদি তোমাদের আশংকা থাকে যে তোমরা এতিম (মহিলা)দের মাঝে ন্যয়বিচার করতে পারবে না, তাহলে.......

সুতরং এই চার বিয়ের বিষয়টার সাথে এতিম মহিলা হওয়ার মত কিছু বিষয় জড়িত যা তৎকালীন সময়ের প্রেক্ষিতে প্রযোজ্য ছিলে। যদিও ব্লগলেখক বলছেন যে তাফসীরে এমনভাবে ব্যাখ্যা করা হয়নি। আর যদিও নিষিদ্ধ নয়, কিন্তু এই এতিম মহিলা এবং চারজনের মধ্যে সমতা বিধানের শর্ত দিয়ে প্রকৃতপক্ষে নিষিদ্ধই করা হয়েছে।


৭| ০৩ রা জুন, ২০২০ বিকাল ৩:১০

রাজীব নুর বলেছেন: এযুগে এসে তো লোকজন কোরআন হাদীস দিয়ে জীবন চালায় না। যার যেভাবে ইচ্ছা সেভাবেই চলছে।

৮| ০৩ রা জুন, ২০২০ বিকাল ৫:২২

সুপারডুপার বলেছেন:



একজন মুসলিম পুরুষের জন্যে চার পত্নি (Quran 4:3), দাসী (Quran 23:5-7, 70:29-30, 33:50), যুদ্ধ বন্দিনি (Sahih Muslim 8:3373, 8:3383, 8:3432, Sahih Bukhari 7:62:137) -দের সাথে যৌন সম্পর্ক করা বৈধ ।

যারা এইসব মানে, পাকিস্তানি আর্মি কর্তৃক বাঙালি নারী ধর্ষন তাদের কাছে খারাপ মনে হওয়ার কথা না। কারণ কোরআন এবং হাদিসেই তা বলা আছে।

কামরুননাহার কলি আপা, আপনি কী উপরের দাসী সম্পর্কিত কোরআনের আয়াতগুলোর ও যুদ্ধ বন্দিনি সম্পর্কিত হাদীসগুলোর তফসীর করবেন ! সময় নিয়ে করতে পারেন অথবা পোস্ট দিতে পারেন।

আল্লাহ সুবহানাতায়ালা আপনাদের সকলের মঙ্গল করুন।

৯| ০৩ রা জুন, ২০২০ বিকাল ৫:২৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
মুসলিম হলে অবশ্যই মানতে হবে।
অন্য ধর্মের হলে কোন কথা নেই।

১০| ০৩ রা জুন, ২০২০ রাত ১১:৪৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: রসূলের অনেক বড় বড় সাহাবী একাধিক বিয়ে করেছিলেন। আল্লাহতালা একটা বিয়ে করতে উৎসাহিত করে থাকলে ওনারা কখনই একটার বেশী বিয়ে করতেন না। তবে ওনারা সমতা বজায় রাখতেন। তবে এই সমতা বস্তুগত সামগ্রীর ক্ষেত্রে, ভালবাসার মাত্রার ক্ষেত্রে নয়। চারটা বিয়ের অনুমুতির ব্যাপারটাতে অধিকাংশ মুসলমান অন্য ধর্মের লোকদের কাছে হীনমন্যতায় ভোগে। তারা বলতে চায় আল্লাহ একটা বিয়ে করতে উৎসাহিত করেছেন। আসলে পুরুষরা কয়টা বিয়ে করবে সেটা আল্লাহ পুরুষদের উপর ছেড়ে দিয়েছেন তবে কিছু শর্ত সাপেক্ষে। আমাদের উপমহাদেশে বহুবিবাহ নিয়ে কেমন সামাজিক সংকোচ রয়েছে। আরব দেশে এটা স্বাভাবিক ব্যাপার। একটা লোক পরকীয়া করলে মানুষ হাসে না। কিন্তু দুইটা বিয়া করলে হাসে।

০৪ ঠা জুন, ২০২০ রাত ১২:৪৩

তাহমিদ২০১২ বলেছেন: যথার্থ বলেছেন। কিন্তু ভোগবাদী এই সমাজে এটা খারাপ কিন্তু পরকিয়া করাকে তারা বৈধ মনে করে। কি করবেন ভাই। উপরে অনেকেই কমেন্ট করেছে। অথচ অনেকেই পরকিয়ায় লিপ্ত সে ব্যাপারে তাদের ভূমিকা জিরো। ধন্যবাদ

১১| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২২ ভোর ৬:৪৫

Amimul বলেছেন: আসসালামু আলাইকুম। আহা করি কমেন্ট এপ্রুভ করবেন।
জানিনা পোস্টদাতা মেয়ে নাকি ছেলে কিন্তু কথাগুলো আর অপব্যাক্ষ্যাগুলো দেখে একদমই একজন মেয়ের মতো ই লাগছে।
❌আশলে কুরআন মাজীদ এর সাথে আশলেই যাদের সম্পর্ক থাকেনা তারা এমন ব্যাখ্যা দিয়ে থাকে,যেসব আয়াত দিলো সেসব এর একটার ও তাফসীর পড়েছে কিনা জীবনেও সেটা দেখে মনে হয়না কারন তাফসীর পড়লেত এমন ব্যাখ্যা দিতে পারতোনা।
প্রথমত হিন্দুরা কতো বিয়ে করেছে বা কাফেররা কতো বিয়ে করেছে বা ইসলামে ৪ বিয়ে পর্যন্ত সীমা দেয়ার আগ পর্যন্ত কে কয়টা বিয়ে করেছে এর সাথে ৪ বিয়ে করা যে জায়েজ এর সম্পর্ক কি? কোনো সম্পর্ক নেই।
আর একটা মাদ্রাসার বাচ্চাও জানে যে যদি সমতা ও সক্ষমতা থাকে অবশ্যই অবশ্যই ২/৩/৪ বিয়ে করতে পারবে।
এখানে স্ত্রীদের প্রথম অনুমতি নেয়া ইসলাম এর কোথাও নেই। যদি মুসলিম হন তাহলে মানবেন নাহলে যা খুশি মানেন কিন্তু এভাবে কুরআন বা হাদীস নিয়ে অবব্যাখ্যা করে তারা অবশ্যই আল্লাহ তায়ালার নামে মিথ্যাচার করে। (আস্তাগফিরুল্লাহ)
❏ মহান আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ বলুন, তোমরা কি ভেবে দেখেছ আল্লাহ তোমাদের যে জীবিকা দিয়েছেন তোমরা যে তার কিছু হালাল ও কিছু হারাম করেছ? বলুন, আল্লাহ কি তোমাদের এর অনুমতি দিয়েছেন, নাকি তোমরা আল্লাহর প্রতি মিথ্যারোপ করছ?’ (সুরা ইউনুস, আয়াত : ৫৯)

আর এখানে হাস্যকর বিষয় দেখুন যে উনি সূরা নিসার ১২৯ আয়াত কে যদিও ১২৭ লিখেছে তবুও অর্ধেক দিয়ে অপপ্রচার অপব্যাখ্যা দিচ্ছে। এখানে দেখুন পুরো আয়াতঃ

❏তোমরা যতই আগ্রহ পোষণ কর না কেন তোমরা কখনো স্ত্রীদের প্রতি সমান ব্যবহার করতে পারবে না। তবে তোমরা কোনো একজনের দিকে সম্পূর্ণরূপে ঝুঁকে পড় না ও অপরকে ঝুলন্ত অবস্থায় রেখ না। যদি তোমরা নিজেদেরকে সংশোধন কর ও সাবধান হও তবে আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু”। [সূরা আন-নিসা, আয়াত: ১২৯]

এখানে সস্পষ্টতই বলাই আছে সমতার কথা একজনের প্রতি ঝুকে পড়তে বারন করেছেন মহান আল্লাহ তায়ালা। এখানে কোথায় পেলেন যে বিয়ে করার দিকে অনুৎসাহিত করা হয়েছে? আর কীভাবে অপব্যাখ্যা দিচ্ছে ইমান থাকলে মনাহয়না কেও এভাবে অপব্যাখ্যা দিতে পারে (নাউযুবিল্লাহ)। আবার বলছে বহুবিবাহের প্রতি ভীতি দেখিয়েছে? আরকি এখানে মিথ্যাচার হচ্ছে কেমন দেখেন। আল্লাহ তায়ালাই বলেছেন ২?৩/৪ বিয়ে করো আবার আল্লাহ তায়ালাই কি আবার বলবে যে বহু বিবাহ করোনা? তাহলে কি আল্লাহ তায়ালা ঐ বহু বিবাহের কথা ভুল করে বলেছে? (নাউযুবিল্লাহ) মানুষ মুখের কথায়ও ইমান হারায়, মুসলিম থেকে খারিজ হয়ে যায়। আর আমি একমাত্র নারীদেরকেই দেখেছি আল্লাহ তায়ালার বিধানের সামনে তাদের উর্ধতন মাথা নত করবে না। (আউযুবিল্লাহ)। হয়তো এটাই কারন, যে মহানবী সাঃ বলেছেন বেশিরভাগ নারী জাহান্নামী।
সূরা নীসার ১২৯ নম্বর আয়াতে বুঝাই যাচ্ছে যে সমতা করার প্রতি সতর্ক করা হয়েছে যাতে সকল স্ত্রীর প্রতু ইনসাফ করা হয়। নিচের লিংকে তাফসীর পড়ে নাবেনঃ https://cutt.ly/yFaMgMkyFaMgMk

‼️পরে আরেকটি হাদীদ দিয়ে বলা হচ্ছে রাসুল (ﷺ) নাকি অধিক বিবাহ করার ব্যাপারে কঠোর সতর্ক করেছে (আস্তাগফিরুল্লাহ) এভাবে মুসলিম মিথ্যাচার করতে পারে?
চলুন হাদীসটা দেখিঃ

❏রাসূল (ﷺ) বলেন,
"যে ব্যক্তির দুই জন স্ত্রী আছে, কিন্তু তার মধ্যে এক জনের দিকে ঝুঁকে যায়, এরূপ ব্যক্তি কিয়ামতের দিন অর্ধদেহ ধসা অবস্থায় উপস্থিত হবে।"
(আহমেদ ২/৩৪৭; আসবে সুনান; হাকিম ২/১৮৬) ইবনে হিব্বান ৪১৯)

এই পোস্টকারীর মতো এমন কেও হতবুদ্ধি আছে যে এই হাদীস পড়ে বুঝেছে একাধীক বিয়ে কিরতে বারন বা তার বিরুদ্ধে এই হাদীস? এই হাদীসে বলাই আছে যার একাধীক স্ত্রী অলরেডি আছে কিন্তু একজনের প্রতি ঝুকে গিয়েছে অবশ্যই সে পুরুষ অন্যায় করেছে আর সে ইনসাফ করেনি। এখানে ইনসাফ করার কথা বলা হয়েছে এবং ইনসাফ না করার বিরুদ্ধে সতর্ক করা হয়েছে তাই অপব্যাখ্যার কোনো সুযোগ নেই। আশলে আল্লাহ তায়ালার এই বিধান নিয়ে নারীদের এতো সমস্যার মেইন কারনই হচ্ছে স্যাকুলার শিক্ষা ছোটো থেকে তাদের মাথায় প্রবেশ করে করে বড় আকার ধারন করে। তাছাড়াও যার আকীদাহ ও তাওহীদ ঠিক নেই তাদেরও ইসলাম নিয়ে, ইসলাম এর বিধান নিহে অনেক সমস্যা থাকে। একজন ব্যাক্তি যে মনে করে যে আল্লাগ তায়ালার বিধান অশান্তির কারন বা এমন কিছু তার মুলত আল্লাহ তায়ালার প্রতি বিস্বাস (তাওহীদ) এ সমস্যা আছে।


ইসলাম বহু বিবাহকে সমর্থন করে এবং সৌদির ফতুয়া বোর্ড থেকে ফতুয়াও আছে যে ব্যাক্তি ইনসাফ করতে পারবে এবং সে যেখানে থাকে সেখানে নারী সংখ্যা বেশি কিন্তু সে একাধিক বিয়ে করবেনা সে ব্যাক্তি পাপী বা পাপ হবে।

আরেকটা বিষয় সমতা কাকে বলে জানেন? এরও সুন্দর ব্যাখ্যা আমরা হাদীসে পাই। যেমন সাহাবাদের সময় এমনও নারী ছিলো যাদের দাবী ছিলো এমন একজন পুরুষ বা স্বামী যে কিনা তার এবং তার সন্তানদের ভরন পোষন করলেই তার জন্য ইনসাফ।
আশলে ইনসাফ ত হচ্ছে একজন নারীর উপর ডিপেন্ড করে। স্বামীর প্রতি সন্তুষ্ট ও কোনো দাবী না থাকা,যে নারীদের কোনো দাবী নেই স্বামীর প্রতি এটাই ইনসাফ।
‼️ কিন্তু ইসলাম সবসময় বলে একাধিক স্ত্রী থাকলে সমতা বজায় রাখতেই হবে, ব্যাভিচার এর উদ্দেশ্যে বিয়ে করা যাবেনা। একজন নারী পছন্দ হলো তাকে শুধু ভোগ করার জন্য বিয়ে করা তার পর তার আর কোনো খোজ খোবর নেই অন্য স্ত্রীর প্রতি ঠিকই খোজ খবর নিচ্ছে তাহলে সে ব্যাক্তি পাপী, সে সমতা ত করেইনাই বরং ব্যাভিচার এর উদ্দেশ্যে বিয়ে করেছে।

✅ শেষকথা হচ্ছে নিজের ইমান ঠিক করুন। নফসের পুজা বাদ দিন। কুরআন মাজীদ তাফসীর সহমারে পড়ুন যাতে স্পষ্ট ভাবে বুঝতে পারেন।
আর একটা কথা ভাবুন মহাম আল্লাহ তায়ালা ও মহানবী সাঃ যদি একাধিক বিয়ের বিরুদ্ধেই বলতো তাহলে মহানবী সাঃ একাধিক বিয়ে করে ভুল করেছে? (আস্তাগফিরুল্লাহ)।
মহানবী সাঃ জীবনে এমন একটাও কাজ করেনাই যেটা আল্লাহ তায়ালার অনুমতি নেই। আর মহানবী সাঃ নবুয়াত প্রাপ্ত হবার পরেও একাধিক বিয়ে করেছেন এবং একাধি স্ত্রী একসংগে রেখেছেন।
যদি এমনই হতো যে আল্লাহ তায়ালা একাধিক বিয়ের বিরুদ্ধে কিছু বলেছেন তাহলে মহানবী সাঃ ও একাধিক বিয়ে করতেন না।

কি বলেন বা বলবেন ভেবে চিন্তে বলবেন, আগেও বলেছি মুখের কথায়ও মানুষ ইমান হরায়। নফস এর পূজার বসেই মানুষ বেশি পাপ করে থাকে।
আশা করি বুঝেছেন। জাজাকাল্লাহ খাইরান।

১২| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২২ ভোর ৬:৫২

Amimul বলেছেন: আসসালামু আলাইকুম। আহা করি কমেন্ট এপ্রুভ করবেন।
জানিনা পোস্টদাতা মেয়ে নাকি ছেলে কিন্তু কথাগুলো আর অপব্যাক্ষ্যাগুলো দেখে একদমই একজন মেয়ের মতো ই লাগছে।
❌আশলে কুরআন মাজীদ এর সাথে আশলেই যাদের সম্পর্ক থাকেনা তারা এমন ব্যাখ্যা দিয়ে থাকে,যেসব আয়াত দিলো সেসব এর একটারও তাফসীর পড়েছে কিনা জীবনেও সেটা দেখে মনে হয়না কারন তাফসীর পড়লেত এমন ব্যাখ্যা দিতে পারতোনা।
প্রথমত হিন্দুরা কতো বিয়ে করেছে বা কাফেররা কতো বিয়ে করেছে বা ইসলামে ৪ বিয়ে পর্যন্ত সীমা দেয়ার আগ পর্যন্ত কে কয়টা বিয়ে করেছে এর সাথে ৪ বিয়ে করা যে জায়েজ এর সম্পর্ক কি? কোনো সম্পর্ক নেই।
আর একটা মাদ্রাসার বাচ্চাও জানে যে যদি সমতা ও সক্ষমতা ও ইনসাফ থাকলে অবশ্যই অবশ্যই ২/৩/৪ বিয়ে করতে পারবে।
এখানে স্ত্রীদের প্রথম অনুমতি নেয়া ইসলাম এর কোথাও নেই। যদি মুসলিম হন তাহলে মানবেন নাহলে যা খুশি মানেন কিন্তু এভাবে কুরআন বা হাদীস নিয়ে অবব্যাখ্যা করে তারা অবশ্যই আল্লাহ তায়ালার নামে মিথ্যাচার করে। (আস্তাগফিরুল্লাহ)
❏ মহান আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ বলুন, তোমরা কি ভেবে দেখেছ আল্লাহ তোমাদের যে জীবিকা দিয়েছেন তোমরা যে তার কিছু হালাল ও কিছু হারাম করেছ? বলুন, আল্লাহ কি তোমাদের এর অনুমতি দিয়েছেন, নাকি তোমরা আল্লাহর প্রতি মিথ্যারোপ করছ?’ (সুরা ইউনুস, আয়াত : ৫৯)

আর এখানে হাস্যকর বিষয় দেখুন যে উনি সূরা নিসার ১২৯ আয়াত কে যদিও ১২৭ লিখেছে তবুও অর্ধেক দিয়ে অপপ্রচার অপব্যাখ্যা দিচ্ছে। এখানে দেখুন পুরো আয়াতঃ

❏তোমরা যতই আগ্রহ পোষণ কর না কেন তোমরা কখনো স্ত্রীদের প্রতি সমান ব্যবহার করতে পারবে না। তবে তোমরা কোনো একজনের দিকে সম্পূর্ণরূপে ঝুঁকে পড় না ও অপরকে ঝুলন্ত অবস্থায় রেখ না। যদি তোমরা নিজেদেরকে সংশোধন কর ও সাবধান হও তবে আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু”। [সূরা আন-নিসা, আয়াত: ১২৯]

এখানে সস্পষ্টতই বলাই আছে সমতার কথা একজনের প্রতি ঝুকে পড়তে বারন করেছেন মহান আল্লাহ তায়ালা। এখানে কোথায় পেলেন যে বিয়ে করার দিকে অনুৎসাহিত করা হয়েছে? আর কীভাবে অপব্যাখ্যা দিচ্ছে ইমান থাকলে মনেহয়না কেও এভাবে অপব্যাখ্যা দিতে পারে (নাউযুবিল্লাহ)। আবার বলছে বহুবিবাহের প্রতি ভীতি দেখিয়েছে? আরকি এখানে মিথ্যাচার হচ্ছে কেমন দেখেন। আল্লাহ তায়ালাই বলেছেন ২/৩/৪ বিয়ে করো আবার আল্লাহ তায়ালাই কি আবার বলবে যে বহু বিবাহ করোনা? তাহলে কি আল্লাহ তায়ালা ঐ বহু বিবাহের কথা ভুল করে বলেছে? (নাউযুবিল্লাহ) মানুষ মুখের কথায়ও ইমান হারায়, মুসলিম থেকে খারিজ হয়ে যায়। আর আমি একমাত্র নারীদেরকেই দেখেছি আল্লাহ তায়ালার বিধানের সামনে তাদের উর্ধতন মাথা নত করবে না। (আউযুবিল্লাহ)। হয়তো এটাই কারন, যে মহানবী সাঃ বলেছেন বেশিরভাগ নারী জাহান্নামী।
সূরা নীসার ১২৯ নম্বর আয়াতে বুঝাই যাচ্ছে যে সমতা করার প্রতি সতর্ক করা হয়েছে যাতে সকল স্ত্রীর প্রতি ইনসাফ করা হয়। নিচের লিংকে তাফসীর পড়ে নাবেনঃ https://cutt.ly/yFaMgMkyFaMgMk

‼️পরে আরেকটি হাদীদ দিয়ে বলা হচ্ছে রাসুল (ﷺ) নাকি অধিক বিবাহ করার ব্যাপারে কঠোর সতর্ক করেছে (আস্তাগফিরুল্লাহ) এভাবে মুসলিম মিথ্যাচার করতে পারে?
চলুন হাদীসটা দেখিঃ

❏রাসূল (ﷺ) বলেন,
"যে ব্যক্তির দুই জন স্ত্রী আছে, কিন্তু তার মধ্যে এক জনের দিকে ঝুঁকে যায়, এরূপ ব্যক্তি কিয়ামতের দিন অর্ধদেহ ধসা অবস্থায় উপস্থিত হবে।"
(আহমেদ ২/৩৪৭; আসবে সুনান; হাকিম ২/১৮৬) ইবনে হিব্বান ৪১৯)

এই পোস্টকারীর মতো এমন কেও হতবুদ্ধি আছে যে এই হাদীস পড়ে বুঝেছে একাধীক বিয়ে করতে বারন বা তার বিরুদ্ধে এই হাদীস? এই হাদীসে বলাই আছে যার একাধীক স্ত্রী অলরেডি আছে কিন্তু একজনের প্রতি ঝুকে গিয়েছে অবশ্যই সে পুরুষ অন্যায় করেছে আর সে ইনসাফ করেনি। এখানে ইনসাফ করার কথা বলা হয়েছে এবং ইনসাফ না করার বিরুদ্ধে সতর্ক করা হয়েছে তাই অপব্যাখ্যার কোনো সুযোগ নেই। আশলে আল্লাহ তায়ালার এই বিধান নিয়ে নারীদের এতো সমস্যার মেইন কারনই হচ্ছে স্যাকুলার শিক্ষা ছোটো থেকে তাদের মাথায় প্রবেশ করে করে বড় আকার ধারন করে। তাছাড়াও যার আকীদাহ ও তাওহীদ ঠিক নেই তাদেরও ইসলাম নিয়ে, ইসলাম এর বিধান নিহে অনেক সমস্যা থাকে। একজন ব্যাক্তি যে মনে করে যে আল্লাগ তায়ালার বিধান অশান্তির কারন বা এমন কিছু তার মুলত আল্লাহ তায়ালার প্রতি বিস্বাস (তাওহীদ) এ সমস্যা আছে।


ইসলাম বহু বিবাহকে সমর্থন করে এবং সৌদির ফতুয়া বোর্ড থেকে ফতুয়াও আছে যে ব্যাক্তি ইনসাফ করতে পারবে এবং সে যেখানে থাকে সেখানে নারী সংখ্যা বেশি কিন্তু সে একাধিক বিয়ে করবেনা সে ব্যাক্তি পাপী বা পাপ হবে।

আরেকটা বিষয় সমতা কাকে বলে জানেন? এরও সুন্দর ব্যাখ্যা আমরা হাদীসে পাই। যেমন সাহাবাদের সময় এমনও নারী ছিলো যাদের দাবী ছিলো এমন একজন পুরুষ বা স্বামী যে কিনা তার এবং তার সন্তানদের ভরন পোষন করলেই তার জন্য ইনসাফ।
আশলে ইনসাফ ত হচ্ছে একজন নারীর উপর ডিপেন্ড করে। স্বামীর প্রতি সন্তুষ্ট ও কোনো দাবী না থাকা,যে নারীদের কোনো দাবী নেই স্বামীর প্রতি এটাই ইনসাফ।
‼️ কিন্তু ইসলাম সবসময় বলে একাধিক স্ত্রী থাকলে সমতা বজায় রাখতেই হবে, ব্যাভিচার এর উদ্দেশ্যে বিয়ে করা যাবেনা। একজন নারী পছন্দ হলো তাকে শুধু ভোগ করার জন্য বিয়ে করা তার পর তার আর কোনো খোজ খোবর নেই অন্য স্ত্রীর প্রতি ঠিকই খোজ খবর নিচ্ছে তাহলে সে ব্যাক্তি পাপী, সে সমতা ত করেইনাই বরং ব্যাভিচার এর উদ্দেশ্যে বিয়ে করেছে।

✅ শেষকথা হচ্ছে নিজের ইমান ঠিক করুন। নফসের পুজা বাদ দিন। কুরআন মাজীদ তাফসীর সহমারে পড়ুন যাতে স্পষ্ট ভাবে বুঝতে পারেন।
আর একটা কথা ভাবুন মহাম আল্লাহ তায়ালা ও মহানবী সাঃ যদি একাধিক বিয়ের বিরুদ্ধেই বলতো তাহলে মহানবী সাঃ একাধিক বিয়ে করে ভুল করেছে? (আস্তাগফিরুল্লাহ)।
মহানবী সাঃ জীবনে এমন একটাও কাজ করেনাই যেটা আল্লাহ তায়ালার অনুমতি নেই। আর মহানবী সাঃ নবুয়াত প্রাপ্ত হবার পরেও একাধিক বিয়ে করেছেন এবং একাধি স্ত্রী একসংগে রেখেছেন।
যদি এমনই হতো যে আল্লাহ তায়ালা একাধিক বিয়ের বিরুদ্ধে কিছু বলেছেন তাহলে মহানবী সাঃ ও একাধিক বিয়ে করতেন না।

কি বলেন বা বলবেন ভেবে চিন্তে বলবেন, আগেও বলেছি মুখের কথায়ও মানুষ ইমান হরায়। নফস এর পূজার বসেই মানুষ বেশি পাপ করে থাকে।
আশা করি বুঝেছেন। জাজাকাল্লাহ খাইরান।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.