নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্লগ লেখা বিষয়টায় আমি নিয়মিত নই । ব্লগারদের নিয়ে ঝামেলা হয় । আমি ঝামেলা থেকে দূরে থাকা মানুষ । তাই বলে সঠিক কথা বলতে পিছপা হই না অবশ্য হতে চাইও না ।

তাহমিদুর রহমান

কিঞ্চিত কাব্য রচনা করি

তাহমিদুর রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

"কোন এক রিহানের যুগলায়িত হওয়ার টুকরো গল্প"

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৮

১.

-দোস্ত দু'হাজার টাকা ধার দিতে পারবি?

-তোরে দিলে আমার কাছে পঞ্চাশ টাকা থাকবে শুধু।

-দে না।কালকে লাগবে।

-আমারও কালকে লাগবে।

-তুই কালকে কি করবি? তুই তো প্রেম-টেম করিস না।

রিহান আর কিছু বলল না।মানিব্যাগ থেকে দু'হাজার বের করে শামীমের হাতে দিয়ে দিল।সত্যিই তো আগামীকালের নিরর্থক ভালবাসা দিবসে রিহানের মত জোড়াবিহীন কপোতের চেয়ে শামীমের বেশি দরকার।শামীমের কপোতী আছে।তার নাম বিন্দু।সুন্দরী নয় রীতিমত মহাসুন্দরী।শামীমের মত কাকলাস বডি কীভাবে বিন্দুর মত মেয়েকে ম্যানেজ করল সেটাই একটা রহস্য।রিহান সেই রহস্যের জট খোলে নি।



২.

রিহানের ঘুম ভাঙল সাড়ে দশটায়।শামীম বের হয়ে গেছে।রিহান ভাবতে থাকে, প্রেম-টেম না করাটাও বোধহয় ভালই।টাকা খরচ নেই।কোথাও যাওয়ার তাড়া নেই।ঘুম থেকে আগে উঠারও তাগিদ নেই।মোবাইলের দিকে চোখ পড়ল।আলো জ্বলছে-নিভছে।তৃণা কল করেছে।তৃণা কেন ফোন দিল।তৃণার সাথে সম্পর্কটা নোট দেয়া-নেয়ার।নোট নেয় বলেই মাঝেমধ্যে তৃণাকে ক্যান্টিনে খাওয়ায় রিহান।তখনই যা কথা হয়।এটা-ওটা ভাবতে ভাবতেই লাইনটা কেটে গেল।আর এবারই আৎকে ওঠার পালা।ছাব্বিশটা মিসকল সবগুলোই তৃণার।আবার ফোন।সাথেসাথেই রিসিভ করল রিহান।

-উফ্ এই ছেলে তুমি ফোন ধর না কেন?

-ঘুমোচ্ছিলাম।

-এত বেলা করে কেউ ঘুমায় নাকি?

-কি জানি!

-উফ্ আচ্ছা।এক্ষুণি বাসা থেকে বের হও।

-কেন? আমার রুমে বোম-টোম আছে নাকি!

-না বোম নেই।আমি তোমার বাসার নিচে।

-সেকি তুমি আমার বাসা চিনলে কীভাবে?

-গাধা একটা।তোমার বাসার দু'প্লট সামনেই আমার বাসা।জীবনেতো আর আশেপাশে তাকায় দেখলা না।

-ও আচ্ছা, এখনি বের হব?

-হ্যা এখনি।

তৃণা লাইনটা কেটে দিল।







৩.

তৃণা আর রিহান রিক্সায় বসে আছে।একটা পার্কে যাচ্ছে।রিহানের চুলগুলো অগোছালো।তৃণার ধমকে তাড়াতাড়ি আসতে গিয়ে চুল আঁচড়ানোর কথা খেয়াল ছিল না।পার্কের সামনে এসে নেমে পড়ল ওরা।ভাড়াটা রিহানই দিল।এখন কেবল দশটাকা আছে পকেটে!রিহানের হাত ধরে নিয়ে একটা বেঞ্চে এসে বসল তৃণা।হাতব্যাগ থেকে একটা কার্ড বের করে রিহানের হাতে দিল তৃণা।

-এটা কার?

-তোমাকে দিয়েছি তাহলে তো তোমারই।

ভ্যালেন্টাইনস্ ডে এর কার্ড।কার্ডটা খুলে রিহান কিছুটা অবাক।তৃণা সেখানে আই লভ ইউ লিখে রেখেছে।তৃণার হাতের লেখাই।কিন্তু কীভাবে!তৃণার দিকে তাকাল রিহান।তৃণা হাতব্যাগ থেকে চিরুনি বের করল।রিহানের চুল আচড়ে দিচ্ছে তৃণা।

-তৃণা

-বল

-তুমি সত্যিই আমাকে ভালবাসো?

-হ্যা

-মানে আসলেই আমার মত ছেলেকে ভালবাসো?

-উফ্ হ্যা।এত অবাক হবার কি আছে?

রিহান চুপ হয়ে গেল।কি বলবে বুঝতে পারছে না।তৃণা রিহানের চুলগুলো পরিপাটি করে হেসে উঠল,"এই তো এখন সুবোধ বালকের মত লাগছে। হিহিহি.."

রিহানের মত অগোছালো আনমনা ছেলেগুলোর জন্যই বোধহয় তৃণার মত মেয়েগুলো থাকে, যারা এদের দেখেশুনে রাখে।

রিহান হাসি দিল।ভ্যাবাচ্যাকা খাওয়া হাসি।রিহান আসলে ঠিকভাবে এখনো ধাতস্থ হয়ে উঠতে পারেনি।



Date-14.02.14

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:২৯

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: শুরুতেই টাকা ধার !! আজকাল বন্ধুরা টাকা ধার দিতেই চায় না --------------আবার ধার নিলে শোধও করতে চায় না----------

ভাল লেগেছে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.