![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কিঞ্চিত কাব্য রচনা করি
1.
অপেক্ষা করা উপভোগ্য নয়। কিন্তু
ইশা উপভোগ করে। প্রতিদিনই
আরণ্যকের জন্য ইশার
অপেক্ষা করতে হয়।পার্কের
বেঞ্চে কিংবা রেস্টুরেন্টে
কিংবা ভার্সিটির বড় গাছটার
নিচে বসে ইশা আরণ্যকের জন্য
অপেক্ষা করে। অপেক্ষা করার
পুরোটা সময়
ইশা ভাবতে থাকে যে আজকে এসে
আরণ্যক কি করবে। প্রতিদিনই কিছু
না কিছু অদ্ভুত কাণ্ড করে আরণ্যক। কপট
অভিমান করে মুখ ঘুরিয়ে রাখলেও
হেসে ফেলে ইশা। ছেলেটার
মাথায় এতসব
অদ্ভুতুড়ে আইডিয়া কোথায়
যে লুকিয়ে থাকে! নাহ্ আজ বড্ড
বেশি দেরী করে ফেলছে।
আরণ্যককে কল দিল ইশা। নাহ্ ধরছে না।
নিশ্চিত বকা খাওয়ার ভয়ে ফোন
ধরছে না। আসতে তো হবেই মজা টের
পাবে তখন। ইশা আবার কল দিল। এবার
ফোন ধরেছে।
-হ্যালো, এই
তুমি কি শোধরাবে না আমি দেড়
ঘণ্টা ধরে তোমার জন্য
ভার্সিটিতে বসে আছি।ক্লাসেও
যেতে পারছিনা। তুমি কি এমনই
থাকবে নাকি সবসময়.....
-ইশা...আমি রুদ্র।
-ও রুদ্র ভাইয়া। স্যরি ভাইয়া। ও আবার
মোবাইলটা বাসায় রেখে আসছে?
দেখলেন কাণ্ডটা কোন খেয়ালই
নাই। সবসময়ই খামখেয়ালী।
মোবাইলটাও
সাথে রাখতে পারে না।আমি কতক্ষণ
ধরে অপেক্ষা করে আছি...
-আর অপেক্ষা করা লাগবে না।
-কেন?
-তুমি সোহরাওয়ার্দী মেডিকেলে
চলে এসো।
-কি হয়েছে?
-আরণ্যক এক্সিডেন্ট করেছে।
লাইনটা কেটে উদভ্রান্তের মত ছুটল
ইশা।
2.
কেবিনে শুয়ে আছে আরণ্যক।জ্ঞান
ফিরেছে।
কীভাবে বেঁচে আছে বলা মুশকিল।
কারের
সাথে ধাক্কা খেয়ে কীভাবে এত
কম আঘাত পেল সেটাও বলা মুশকিল।
বাম পা-টা ভেঙ্গে গিয়েছিল
প্লাস্টার করা হয়েছে।একটু
খুঁড়িয়ে হলেও
হাঁটতে অসুবিধা হবে না।
ইশা গিয়ে আরণ্যকের হাতটা ধরল।
আরণ্যকের মুখে চিরচেনা হাসি।
-ভয় পাইছিলা?
-হুমমম তবে বেঁচে গেছ। দেড়
ঘণ্টা বসে ছিলাম ভার্সিটির
গাছটার নিচে।
অনেকগুলা বকা পাওনা ছিল।
দেখে রাস্তা পার হতে পার না?
-তোমার জন্য সাদা গোলাপ নেব
না লাল গোলাপ নেব
সেটা নিয়ে ভাবছিলাম আর
গাড়িটা ধাক্কা দিল।
ইশা খিলখিল করে হেসে ফেলল।
আরণ্যক সত্য
বলছে কিনা তা নিয়ে অবশ্য ইশার
সন্দেহ আছে।
[বিঃদ্রঃ এই ক্ষেত্রে আমার লেখার
হাত দূর্বল না অতিমাত্রায় দূর্বল।
বিরক্তি উদ্রেকের জন্য ক্ষমাপ্রার্থী]
Date-11.04.14
-তাহমিদ উল্লাস
©somewhere in net ltd.