![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঘুমাতে অত্যন্ত ভালোবাসি। আর ভালোবাসি পড়তে। স্বপ্ন দেখি একটি স্বপ্নীল পৃথিবীর। সত্যকে ভালোবাসি, হোক তা নিজের মতের বিপরীত।
তখন বোধ হয় ক্লাস ফাইভের বার্ষিক পরীক্ষা দিয়েছি। বৃত্তি পরীক্ষা দিয়ে দেশের বাড়ি বেড়াতে গিয়েছি। পড়ার মত কিছুই না পেয়ে চাচাত বোনের বইপত্র ঘাঁটছি। হুট করেই একটা বাঙলা সহপাঠ পেলাম, নাম- পথের পাঁচালী। (যদি ভুল না করি তখন এটি নাইন-টেনের বাঙলা সহপাঠ হিসেবে পড়ানো হোত)। কঠিন সাধু ভাষায় লেখা ওটা পড়বো কি পড়বো না এই করতে করতে কখন যে পড়া শুরু করে দিয়েছি টের ও পাই নি। এরপর তো আর কী? পরের দু”দিনে নাওয়া-খাওয়া ভুলে গোগ্রাসে গিলে ফেললাম। কী করবো? অপুর মাঝে যে বারবার নিজেকেই দেখতে পাচ্ছিলাম!
যাই হোক, বাঙলা ভাষাভাষী যাঁরা বাঙলা সাহিত্যের অল্প-স্বল্প খোঁজখবর রাখেন তাঁদের কাছে পথের পাঁচালী নিয়ে কথা বলা ধৃষ্টতার নামান্তর। অমর কথাশিল্পী বিভূতিভুষন তাঁর প্রতিটি পাঠকের হৃদয়ে পথের পাঁচালী (১৯২৯) গেয়ে এমনই এক অলঙ্ঘনীয় স্বপ্নভূবন তৈরী করে দিয়ে গিয়েছেন যে অন্য কারো সাধ্য নেই সেখানে পৌঁছে! "অপু"-সকল বাঙালীর সরল শৈশবের এতটাই নিঁখুত চিত্রণ- কার সাধ্য আছে তাকে ছুঁয়ে দেখে! প্রয়াত ভাষাবিদ হুমায়ুন আজাদের ভাষায়, "বিভূতিভুষন পথের পাঁচালীতে একবার ও চিরকালের জন্য একটি কাজ করে গেছেন; তিনি পল্লীর অমল সরল কল্পনামথিত রোম্যান্টিক কোন বালককে নিকে উপন্যাস লেখার সমস্ত পথ বন্ধ করে গেছেন। অপু একবারই সৃষ্টি হতে পারে, তাকে আমরা ফিরে ফিরে পেতে পারি না।" তারপরও বুকে সাহস নিয়ে দুটি কথা লেখার চেষ্টা করছি।
যে বয়সে পথের পাঁচালী প্রথম পড়েছি তখনো পর্যন্ত দুধের দাঁত পড়েনি, আক্কেল দাঁত ওঠে নি (অর্থাৎ কীনা সবকিছু বোঝার বয়স হয় নি)। তাই, ইন্টারমিডিয়েটে পরাকালীন সময়ে আবার পড়লাম। জানলাম, আমি আগের বারে আসলে উপন্যাসের মাঝের অংশ (আম-আঁটির ভেঁপু) পড়েছিলাম। মূল উপন্যাসটা তিন ভাগ- বল্লালী-বালাই, আম-আঁটির ভেঁপু, অক্রুর সংবাদ। আরো জানা গেলো, এ উপন্যাসের ঘটনা পরম্পরা পরবর্তীতে "অপরাজিত" এবং "অপুর সংসার" নামে আরো দুইটি পূর্নাঙ্গ উপন্যাসে বিস্তৃত হয়েছে। ফলাফল হিসেবে বাঙলা সাহিত্য (একই সঙ্গে বাংলা চলচ্চিত্রি) পেয়েছে এক অবিস্মরণীয় ত্রয়ী (Apu Trilogy)।
সন্দেহাতীত ভাবেই, উপন্যাসের নায়ক "অপু"। নায়িকা নেই। কিংবা বলা যায়, অপুর জন্মস্থান যে নিশ্চিন্দিপুর গ্রাম- সেই অপুর নায়িকা। নিশ্চিন্দিপুরে জন্মে এখানেই বেড়ে উঠেছে সে। নিশ্চিন্দিপুরের আলো-হাওয়া-জল, ঝোপঝাড়-জঙ্গল, ইছামতী নদী তার শিশু মনের বিকাশ ঘটিয়েছে। মা সর্ব্বজয়া, পিতা হরিহর, বোন দূর্গা কিংবা ইন্দির ঠাকুরণ সকলের কাজ যেন একটাই, অপুকে আগলে রাখা, তার চরিত্রকে বিকশিত করা। তারপরেও যেন দূর্গা একটু আলাদা হয়ে ফুটে আছে । দূর্গার মৃত্যুতে একটুক্ষণের জন্য থমকে যায় নি এমন পাঠক বিরল।
উপন্যাস পথের পাঁচালী নিয়ে কথা বলতে গেলে চলচ্চিত্র পথের পাঁচালীও সামনে চলে আসে। ১৯৫০ সালে বিভূতিভূষন লোকান্তরিত হলে আর সত্যজিত রায় চলচ্চিত্র (জীবনের প্রথম চলচ্চিত্র) বানালেন ১৯৫৫ এ। এই এক চলচ্চিত্রই সত্যজিতকে এনে দিল আন্তর্জাতিক খ্যাতিও সম্মান আর পথের পাঁচালী পেরিয়ে গেলো ভারতবর্ষের ছোট্ট গন্ডি; পেল সর্বকালের অন্যতম সেরা চলচ্চিত্রের স্বীকৃতি। সে বছরেই কান চলচ্চিত্র উৎসবে এটি নির্বাচিত হলো "মানবতার শ্রেষ্ঠ দলিল" (Best Human Document) হিসেবে। ("The first movie from independent India to attract major international critical attention, Pather Panchali won "Best Human Document" at the 1956 Cannes Film Festival, establishing Satyajit Ray as a major international filmmaker. Pather Panchali is today considered one of the greatest films of all time")
এখানে আমি একটা কথা বলতে চাই। পথের পাঁচালীর স্রষ্টা বিভূতিভূষণ, অথচ সত্যজিত রায় যতটা পরিচিত বিভূতি ততটা নন। এছাড়া, পথের পাঁচালীর সরলতা-মানবিকতা-প্রকৃতি প্রেমের অনেক কিছুই উঠে আসে নি চলচ্চিত্রে। সত্যজিত নিজেও সেটা স্বীকার করেছেন। কিন্তু, এটাও সত্য যে, যতটুকু উঠে এসেছে তা কেবল সত্যজিত বলেই সম্ভব হয়েছে। অন্য কেউ এর ধারে কাছেও যেতে পারতেন বলে আমার মনে হয় না!
যাই হোক, দুঃখ-দারিদ্র, অপমান-অনাদর-মৃত্যু বারেবারে হানা দিয়েছে অপুর জীবনে। তবু কেমন করে যেন ছেলেটা সহজ সরলই থেকে যায়, পাঠককে ডেকে বলে,"আমার মত হও।" কিন্তু আমরা জানি, অপুর মত হওয়া সহজ নয়। তাইতো অপুকে এত ভালো লাগে, আপনা বলে মনে হয়! পৃথিবীর পথ যাকে আপন করেছে, তার আর পথ হারাবার ভয় কী?
সবশেষে, পথের পাঁচালীর শেষ ক'টা কথা দিয়েই শেষ করছি।
"পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন " মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে, ঠাঙাড়ে বীরু রায়ের বটতলায় কি ধলচিতের খেয়াঘাটের সীমানায়? তোমাদের সোনাডাঙা মাঠ ছাড়িয়ে, ইছামতী পার হয়ে, পদ্মফুলে ভরা মধুখালি বিলের পাশ কাটিয়ে, বেত্রবতীর খেয়ায় পাড়ি দিয়ে, পথ আমার চলে গেল সামনে, সামনে, শুধুই সামনে… দেশ ছেড়ে বিদেশের দিকে, সুর্যোদয় ছেড়ে সূর্যাস্তের দিকে, জানার গন্ডি এড়িয়ে অপরিচয়ের উদ্দেশ্যে...।
দিনরাত্রি পার হয়ে, জন্ম মরণ পার হয়ে, মাস, বর্ষ, মনন্তর, মহাযুগ পার হয়ে চলে যায়.... তোমাদের মর্মর জীবন-স্বপ্ন শেওলা-ছাতার দলে ভরে আসে, পথ আমার তখনো ফুরোয় না... চলে... চলে... চলে... এগিয়েই চলে....
অনির্বাণ তার বীণা শোনে শুধু অনন্ত কাল আর অনন্ত আকাশ....
সে পথের বিচিত্র আনন্দ-যাত্রার অদৃশ্য তিলক তোমার ললাটে পরিয়েই তো তোমাকে ঘরছাড়া করে এনেছি!...
চল এগিয়ে যাই।"
যাঁরা পড়েন নি, পড়ে ফেলুন! আর যাঁরা দেখেন নি দেখে ফেলুন আজই!
আগের দু'টি লেখা।
সঞ্জীবের লোটাকম্বল
ভিক্টর হুগোর লা মিজারেবল
০৪ ঠা জুন, ২০০৯ দুপুর ২:২৯
তায়েফ আহমাদ বলেছেন: হ্যাঁ, ওদের সংগ্রহ দূর্দান্ত!
২| ০৪ ঠা জুন, ২০০৯ দুপুর ২:২২
ভাঙ্গন বলেছেন: পথের পাঁচালী উপন্যাসটা পড়ছি।
মাগার ছবিটা দু:খজনকভাবে এখনো দেখা হইলোনা।
০৪ ঠা জুন, ২০০৯ দুপুর ২:৫১
তায়েফ আহমাদ বলেছেন: তাড়াতাড়ি দেখে ফেলুন!
অনেক কিছু মিস করছেন!
৩| ০৪ ঠা জুন, ২০০৯ দুপুর ২:২২
আহমেদ রাকিব বলেছেন: এটাই সবচেয়ে ভালো হয়েছে। তবে বিভূতি সত্যজিতের মত ততটা পরিচিতি নন ব্যাপারটা ঠিক এমন মনে হয় না। সত্যজিতের গন্ডিটা বাংলা ছাড়িয়ে গিয়েছিল শুধু মাত্র সেটা চলচিত্র বলে। ইংরেজী সাবটাইটেল দিয়ে কিন্তু কোনো ভাবেই বিভূতির অনুভূতি তার মতন করে প্রকাশ করা সম্ভব নয়। তাই মাস্টারপিস চলচিত্র দেখার আগে অবশ্যি বইটা পড়া উচিত। বর্ণনা শৈলীর অনুপম প্রর্দশনী। সত্যজিতের একটা কথা পড়েছিলাম কোনো এক সাক্ষাৎকারে। চলচিত্র বানানো অনেক কঠিন। তাই তিনি যখন সিদ্ধান্ত নিলেন চলচিত্র বানাবেন তখন পথের পাচালী কে বেছে নেয়ার কারন ছিল একটাই। এটা একটা আপাদ মস্তক স্ক্রিপ্ট ছিল। যেটা দিয়ে চলচিত্র বানানো অনেক সহজ ছিল। তায়েফকে ধন্যবাদ। জয়তু বিভূতি, জয়তু সত্যজিত।
০৪ ঠা জুন, ২০০৯ বিকাল ৫:৫৫
তায়েফ আহমাদ বলেছেন: চলচ্চিত্র বানানো অনেক কঠিন।- পথের পাঁচালী দেখলেই বোঝা যায়।
৪| ০৪ ঠা জুন, ২০০৯ দুপুর ২:২৭
ভেবে ভেবে বলি বলেছেন: আমার অসম্ভব প্রিয় একটি সাহিত্যকর্ম। ক্লাস নাইনে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র স্কুল কর্মসূচীতে পড়েছিলাম। অদ্ভুত সুন্দর। বিশেষ করে দূর্গার মৃত্যুর পর অপু যখন গ্রাম ছেড়ে চলে যাওয়ার সময় ট্রেনে বসে দিদির কথা মনে করে কাঁদে, পড়ে চোখের পানি ধরে রাখতে পারিনি।
০৪ ঠা জুন, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:০২
তায়েফ আহমাদ বলেছেন: সত্যিই সে সময় চোখে পানি ধরে রাখা মুশকিল।
৫| ০৪ ঠা জুন, ২০০৯ দুপুর ২:৩৬
সৌম্য বলেছেন: ছোটবেলায় ৩ গোয়েন্দার নেশা কাটাতে আমার বাবা বিভুতীভুষানের চাদের পাহাড় কিনে দিলেন। জোড় করে পরাবেন। চাঁদের পাহাড় বিরস মনে পড়া শূরু করে মাথা খারাপ হয়ে গেল। আরে একি? এত দুর্দান্ত। মাউন্টেনিয়ারিং এর স্বপ্ন হলো শুরু। এর পরে বিভুতীভুষনের পরের বই পড়লাম আরন্যক। আবার হোচট খেলাম। একি? বইয়ে এত গুলো মানুষ। বইয়ের নায়ক কি না একটা জঙ্গল। একটা জড় পদার্থ কিভাবে জীবিতদের চেয়েও জীবন্ত। এরপরে আস্তে আস্তে ইছামতি, দৃষ্টি-প্রদীপ। সব মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখলো।
পথের পাঁচালী বিভুতীভুষনের সবচেয়ে ওভার রেটেড উপন্যাস। তার সেরা কাজ মনে হয় চাদের পাহাড়। এরপরে আরন্যক।
০৪ ঠা জুন, ২০০৯ বিকাল ৩:১৫
তায়েফ আহমাদ বলেছেন: আসলেই বিভূতি অন্যরকম।
আরণ্যক ভালো।
তবে, পথের পাঁচালী বেশী ভালো লেগেছে। কম বয়সের ভালো লাগা তো! সব কিছুকে ছাপিয়ে যেতে চায়।
৬| ০৪ ঠা জুন, ২০০৯ দুপুর ২:৩৮
ওস্তাসাঁই বলেছেন:
আমার পড়া ভাল ঊপন্যাস গুলোর একটি।
০৪ ঠা জুন, ২০০৯ বিকাল ৩:১১
তায়েফ আহমাদ বলেছেন: শুধু ভালো?
এ যে খুব ভালো উপন্যাস, মশাই!
৭| ০৪ ঠা জুন, ২০০৯ দুপুর ২:৪৯
বিলাশ বিডি বলেছেন: আমার পড়া সেরা বাংলা উপন্যাস।
আমার বিশ্বাস হয়না একজন লেখক এতো চমৎকার করে কিভাবে লেখেন!
ধন্যবাদ আপনার পোস্টের জন্য!
০৪ ঠা জুন, ২০০৯ বিকাল ৫:৫২
তায়েফ আহমাদ বলেছেন: আপনাকে ও ধন্যবাদ, পড়ার জন্য।
৮| ০৪ ঠা জুন, ২০০৯ দুপুর ২:৫১
কুয়াশা ভোর বলেছেন: পথের পাঁচালী .......... বারবার পড়েও পুরনো হয় না !!
বিভূতিভূষণ এখনো সবচাইতে প্রিয় !!!!!
ভারতে গিয়ে তাঁর স্মৃতিবিজড়িত জন্মস্হান (গোপালনগর) দেখতে ভুল করিনি .................
০৪ ঠা জুন, ২০০৯ বিকাল ৩:০২
তায়েফ আহমাদ বলেছেন: গোপালনগর?
ঐটা তো মনে হয় বিহারে।
পথের পাঁচালী .......... বারবার পড়েও পুরনো হয় না !!
-সহমত।
৯| ০৪ ঠা জুন, ২০০৯ বিকাল ৩:১১
মধুমিতা বলেছেন: আরন্যক -খুবই ভালো লেগেছে
০৪ ঠা জুন, ২০০৯ বিকাল ৫:৩৬
তায়েফ আহমাদ বলেছেন: ফিল্মটা দেখেছিলেন?
১০| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১:২৫
পোলাপান বলেছেন: "পথের পাঁচালী .......... বারবার পড়েও পুরনো হয় না"
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ দুপুর ২:০২
তায়েফ আহমাদ বলেছেন: সেটাই।
১১| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:১৫
রিমি (স. ম.) বলেছেন: বিভূতিভূষণ...অসাধারণ একজন লেখনীস্রষ্টা। প্রকৃতি আর মানুষের বর্ণনা এত সুন্দরভাবে দেন তিনি! আপনার লেখাটা পড়ে ভাল লাগল। 'অশনি সংকেত' আর 'অপরাজিত' আমার খুব পছন্দের।
আপনি 'অপরাজিত' তে একটা আ-কার দিয়ে ফেলেছেন।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:০৪
তায়েফ আহমাদ বলেছেন: হায়! হায়!
এমন ভুল!
আমি গাধা নইলে এতদিন দেখি নি, অন্য কারো চোখেও পড়লো না!
ঠিক করে দিয়েছি। আপনাকে ডবল ধন্যবাদ।
১২| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১০:৩২
সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন:
পথের পাঁচালী বইটা এত ছোটবেলায় পড়েছিলাম.......অনুভূতি বলতে ভাইবোনের অদ্ভুত টানটা মনে আসে.........
ছবিটা প্রথম যখন দেখি ,মুগ্ধ হয়েবসেছিলাম.........
এখনো সেই মুগ্ধতা রয়েই গেছে.........
শুভাকামনা তায়েফ।
বইপড়া কেমন চলছে?
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:১০
তায়েফ আহমাদ বলেছেন: শুভকামনার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আর বই পড়া!
অফিস-ব্লগিং-মুভী করে করে পড়ার টাইম কৈ?
অঃটঃ আমাকে কবিতা লেখা শেখালেন না!
১৩| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:১০
তারিক মাহমুদ (তারিক) বলেছেন:
অনেক দিন আগে, যখন এই উপন্যাসটা পাড়ি, তখন কেন যেন একটানে পড়তে ইচ্ছে করছিল না। আমি বইটা হাতে নিতাম, দুই/চার পৃষ্ঠা পড়তাম, তারপর রেখে দিতাম। ক্যমন যেন লাগতো। তারপর প্রথমবার পড়া শেষে পর-পর দুইবার টানা পড়েছি। এরপর অনেক দিন, এখনো- মাথার ভেতরে অপু-র্দূগার কথা ঘুরতো।
আর ছবিটা, বহু কষ্ট করে, নিজেকে চেপে ধরে কোন রকমে দূর্গার মৃত্যু পর্যন্ত দেখতে পেরেছিলাম। এরপর আর সম্ভব হয় নাই। আবার চেষ্টা করে দেখবো।
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৩:৪৫
তায়েফ আহমাদ বলেছেন: আপনার অনুভূতি এবং আবেগের প্রতি শ্রদ্ধা।
এমনি এমনি তো আর এটাকে "মানবতার শ্রেষ্ঠ দলিল" (Best Human Document) বলা হয় নি!
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা জুন, ২০০৯ দুপুর ২:১৮
হাসান বায়েজীদ বলেছেন: বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রে বই পড়া কার্যক্রমে পুরষ্কার পেয়েছিলাম "আম আটির ভেঁপু".....দূর্দান্ত সব বই পত্র পড়তে দিতো ওখানে।