নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দুঃখ হীন পৃথিবী

দুঃখ হীন পৃথিবী

একশত সিপাহী ঢাল-তলোয়ার লইয়া যে ক্ষমতা না রাখে, অনুতাপের হাত তাহার চেয়ে অধিক ক্ষমতা রাখে।

দুঃখ হীন পৃথিবী › বিস্তারিত পোস্টঃ

রিয়েল এস্টেট খাতের ১০ সমস্যার ৮ সমাধান

১৫ ই জুন, ২০১৩ সকাল ৭:২৬

মোহাম্মদ সরোয়ার আলম : পরিচালক, মোস্তফা হাকীম রিয়েল এস্টেট





বিপুল জনগোষ্ঠীর উন্নয়নশীল এদেশে রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ের ভূমিকা অপরিসীম। সম্ভাবনাময় এই শিল্প নানামুখী সমস্যার মধ্য দিয়েও এক যুগেরও অধিক কাল সময় ধরে নানাবিধ সমস্যা অতিক্রান্ত করে রিয়েল এস্টেট প্রতিষ্ঠানসমূহ ব্যবসায়িক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। বর্তমান সময়ে রিয়েল এস্টেট শিল্প নিম্নে উল্লিখিত সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।

নির্মাণসামগ্রীর ক্রমবর্ধমান ব্যয় বৃদ্ধি।

বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক অ্যাপার্টমেন্ট নির্মাণ ও ক্রয়ে ঋণ প্রদানের হার আশঙ্কাজনক হারে হ্রাসকরণ ও বিধিনিষেধ আরোপ।

গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগপ্রাপ্তিতে দীর্ঘসূত্রতা।

অর্থনৈতিক মন্দার কারণে আশঙ্কাজনক হারে ফ্যাট বিক্রির পরিমাণ কমে যাওয়া।

নাগরিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত জায়গায় জমির অপ্রতুলতা ও জমির অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি।

সরকার কর্তৃক ফ্যাট রেজিস্ট্রেশনের ওপর রেজিস্ট্রেশন ফি ও অন্যান্য করাদি বৃদ্ধীকরণ।

জাতীয় মুদ্রানীতিতে আবাসন খাতকে অনুৎপাদনশীল খাত হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। যার ফলে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো রিয়েল এস্টেট খাতে প্রকল্প বিনিয়োগ সম্পূর্ণ রূপে বন্ধ করে দিয়েছে। যার দরুন এ শিল্প খাতে বিরূপ প্রভাব সৃষ্টি হয়েছে।

প্রকল্পে সোলার প্যানেল বিদ্যুৎ বাধ্যতামূলক ও এলপি গ্যাস ব্যবহার বাধ্যতামূলক করায় প্রকল্পের ব্যয় বৃদ্ধির সাথে সাথে গ্রাহকদের জীবনযাত্রার মান ও ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে।

নির্মাণনকশা পাশের েেত্র অনুমোদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর দীর্ঘসূত্রতার কারণে রিয়েল এস্টেট শিল্প আর্থিক তি ও বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছে প্রতিনিয়ত।

সম্প্রতি সময়ে গুটিকয়েক রিয়েল এস্টেট প্রতিষ্ঠান নির্মাণের গুণগত মান রা না করা ও প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রকল্প হস্তানান্তরের েেত্র অহেতুক বিলম্ব করার ফলে গ্রাহকের মনেও বিরূপ পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে।

উত্তোরণের উপায়

এই শিল্প খাতে সরকার কর্তৃক বাস্তবসম্মত পদকে গ্রহণ করা অতীব জরুরি। যার ফলে রিয়েল এস্টেট শিল্প দেশের বেকারত্ব হ্রাস ও জিডিপি তে আরো বেশি অবদান রাখবে।

সমষ্টিগতভাবে এই শিল্পের অগ্রগতি ধরে রাখতে আরো উদ্যোগী হওয়া প্রয়োজন।

রিহ্যাব কর্তৃক বিল্ডিং নির্মাণ ও প্রকল্প হস্তানান্তরের সময়সীমা মনিটরিং করা।

সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কর্র্তৃক নির্মাণ নকশা অনুমোদনসহ পরিবেশবান্ধব সবুজ প্রকল্প গ্রহণে উৎসাহিত করা ও দ্রুত প্রকল্প পাস করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

ব্যাংকঋণ প্রাপ্তি সহজলভ্য করা।

দ্রুত গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানি সংযোগের ব্যবস্থা করা ।

ইলেট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া কর্তৃক উন্নয়নমূলক সংবাদ প্রকাশ করা।

ফ্যাট রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সহজীকরণ করা ।





http://www.dailynayadiganta.com/?p=3286

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.