নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দুঃখ হীন পৃথিবী

দুঃখ হীন পৃথিবী

একশত সিপাহী ঢাল-তলোয়ার লইয়া যে ক্ষমতা না রাখে, অনুতাপের হাত তাহার চেয়ে অধিক ক্ষমতা রাখে।

দুঃখ হীন পৃথিবী › বিস্তারিত পোস্টঃ

তাজউদ্দিন আহমেদের জীবনের তিনটি ঘটনা;

২৪ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৯





১। ১৯৭০ সালে নভেম্বর মাসে ঘূর্ণিঝড়ের সময় (ডিসেম্বরে ছিল নির্বাচন) অনেক মানুষ তাজউদ্দিন আহমেদের বাসায় আশ্রয় গ্রহণ করেন । এমন সময় তাঁর বাড়ির জানালায় ঘূর্ণিঝড়ের কারণে একটা বুলবুলি পাখির মৃত্যু হয় । অন্ধকারে লুকিয়ে ক্রন্দনরত তাজউদ্দিন আহমেদকে তাঁর মেয়ে দেখে ফেলেন। ইহাহিয়ার বিরুদ্ধে সারাদিন আন্দোলনরত তাজউদ্দিন মেয়েকে কান্নাভেজা কন্ঠে বলেন, "আমার বাসায় এত মানুষের জায়গা হল, অথচ এই ছোট্ট বুলবুলি পাখিটার জায়গা হল না..."



২। ১৯৭১ সালে যখন ভারতে বসে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এবং দেশের শাসনকার্য নিয়ে ব্যস্ত, তখনকার ঘটনা । On Time অফিসে আসা তাজউদ্দিন সাহেব এসে দেখলেন, তাঁর পিয়ন তখনো আসেনি । তিনি থিয়েটার রোডের পিয়নের সেই বাসায় চলে গেলেন । তাঁর অন্য এক কর্মচারী অফিসে এসে, তাঁকে না পেয়ে সেই পিয়নের বাসায় গেলেন । গিয়ে দেখেন, বাসায় আর কেউ নেই, শুধু প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন সাহেব জ্বরে আক্রান্ত পিয়নের মাথায় বদনা দিয়ে পানি ঢালছেন । (আজকের দিনে আমরা আমাদের প্রধানমন্ত্রীদের কাছে এর সামান্য সহানুভূতিও কি আশা করতে পারি না ?)



৩। ১৯৭১ সালে যখন ভারতে বসে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এবং দেশের শাসনকার্য নিয়ে ব্যস্ত, তখনকার ঘটনা । ডঃ আনিসুজ্জামান (আমরা অনেকেই তার লেখা বাংলা বই Inter-e পড়েছি) একদিন তাজউদ্দিন আহমেদের কাছে যান । তিনি গিয়ে দেখলেন, তাঁর চুল উস্কখুস্ক, চোখ লাল । বললেন, "আপনার শরীর খারাপ নাকি ?" তাজউদ্দিন সাহেব জবাব দিলেন, "গতরাতে শুতে যাওয়ার পর, হঠাত ঝড়ে আমার ঘরের জানালার একটা অংশ খুলে গেল, তখন মনে হল, এই ঝড়ে আমার ছেলেরা না খেয়ে না ঘুমিয়ে যদ্ধ করছে, আর আমি ঘুমাচ্ছি ? আমি রাতে আর ঘুমাতে পারি নাই..."



নি:সন্দেহে। বাংলাদেশের ইতিহাস অন্যভাবে লেখা হতে পারতো যদি তাজউদ্দিন আহমেদকে তাঁর ইচ্ছেমতো কাজ করতে দেয়ার সুযোগ দেয়া হতো।



জন্মদিনে মহান এই মানুষটির প্রতি অসীম শ্রদ্ধা ।।

মন্তব্য ২৩ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (২৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১০

চাকমা বলেছেন: +

২৪ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩০

দুঃখ হীন পৃথিবী বলেছেন: বাংলার তাজ কেবন উনার মাথায় শুভা পাই

২| ২৪ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১১

মুরশীদ বলেছেন: সত্যিকারের একজন মহান নেতা এই তাজউদ্দিন আহমেদ। উনি বেচে থাকলে হয়তো বাংলাদেশের ইতিহাস অন্যরকম করে লিখা হতো। অবশ্য নাও হতে পারতো। আমাদের নষ্ট রাজনীতিতে প্রকৃত দেশ প্রেমিকের স্থান নেই।
++++++

২৪ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩২

দুঃখ হীন পৃথিবী বলেছেন: সত্যিকারের একজন মহান নেতা এই তাজউদ্দিন আহমেদ

৩| ২৪ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৫

লিঙ্কনহুসাইন বলেছেন: হুম পড়লাম এবং জানলাম । শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ । +++্

২৪ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৪

দুঃখ হীন পৃথিবী বলেছেন: পড়ার জন্য আপনাকেও ধনবাদ

৪| ২৪ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২১

রোজেল০০৭ বলেছেন: বিন্ম্র শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।

২৪ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৬

দুঃখ হীন পৃথিবী বলেছেন: সত্যিকারের একজন মহান নেতা এই তাজউদ্দিন আহমেদ

৫| ২৪ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩১

ল্যাটিচুড বলেছেন: নি:সন্দেহে। বাংলাদেশের ইতিহাস অন্যভাবে লেখা হতে পারতো যদি তাজউদ্দিন আহমেদকে তাঁর ইচ্ছেমতো কাজ করতে দেয়ার সুযোগ দেয়া হতো

আমাদের নষ্ট রাজনীতিতে প্রকৃত দেশ প্রেমিকের স্থান নেই।

২৪ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৬

দুঃখ হীন পৃথিবী বলেছেন: সত্যিকারের একজন মহান নেতা এই তাজউদ্দিন আহমেদ

৬| ২৪ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৫

তোমোদাচি বলেছেন: এই মানুষটাকে আমরা জেল খানার মধ্যে বন্ধি অবস্থায় নির্মম ভাবে হত্যা করেছি।
বিশ্বের সবচেয়ে অকৃতজ্ঞ জাতি মনে হয় বাংলাদেশীরা!!

২৫ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:১৯

দুঃখ হীন পৃথিবী বলেছেন: শুধু মুজিবের ভুলের ফসল দিয়ে গেল আমাদের এই মহান নেতা।

৭| ২৪ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৮

শামীম 776 বলেছেন: এই কথা গুলো এতদিন কোথায় লুকায় ছিল। এই লিখার জন্য ধন্যবাদ।

২৫ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:১৯

দুঃখ হীন পৃথিবী বলেছেন: আমিও অন্য যায়গা থেকে কপি করেছি

৮| ২৪ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৯

রায়হান মাহবুব বলেছেন: ৭১ এর উত্তাল মার্চ এ তাজউদ্দীন যখন অজানার উদ্দেশ্যে ঘর ছাড়ছিলেন প্রিয়তমা স্ত্রী কে বলেছিলেন কোথায় যাচ্ছি জানিনা, তোমরা সাত কোটি জনতার মাঝে মিশে যেও। দুঃসময়ে অনেক দিনের চেনা প্রতিবেশী এক সরকারী অফিসার এর বাসায় আশ্রয় এর জন্য গিয়েছিলেন তাজউদ্দীন এর স্ত্রী, মুখের উপর দরজা বন্ধ করে দিয়েছিলেন ঐ অফিসার। অকুল পাথারে ভেসে গেলেন তিনি ছোট ছোট ছেলে মেয়ে নিয়ে।

স্বাধীন দেশে তাজউদ্দীন মন্ত্রী হলেন। ঘটনা চক্রে ঐ অফিসার এর প্রমোশনের ফাইল তাজউদ্দীনের টেবিলে। সেক্রেটারি বললেন স্যার, এই ফাইল সেই কর্মকর্তার। তাজউদ্দীন কিছুক্ষন ভাবলেন। বললেন, আমার ব্যাক্তিগত অসন্তোষ কোন কর্মকর্তার প্রমোশনের বাধা হতে পারেনা। ফাইলা সাইন হয়ে গেলো।
Click This Link

২৫ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:২১

দুঃখ হীন পৃথিবী বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন

৯| ২৪ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: ++++

২৫ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:২১

দুঃখ হীন পৃথিবী বলেছেন: আপনাকেও প্লাস

১০| ২৪ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:১৬

আম্মানসুরা বলেছেন: আসলেই তিনি বাংলার তাজ ছিলেন।
প্লাস

১১| ২৪ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৫৪

sohagamin বলেছেন: একজন রাস্ট্রবিজ্ঞানের ছাত্র হিসাবে আমার অনুভূতি, শেখ মুজিব জাতির জন্য যা করেছেন তাজউদ্দীন আহমেদ জাতিকে অনেক বেশি দিয়েছেন। প্রতিদানে তিনি ছিলেন উপক্ষিত। তিনি যা করতে চেয়েছিলেন তা করতে পারলে আমরা অনেকদুর এগিয়ে যেতাম। এক জায়গাতে আমার মনে হয়েছিল শেখ মুজিব তাজউদ্দীন আহমেদ কে ভয় পেতেন .... কিন্তু তার সম্মান আমরা তাকে দিতে পারিনি...........

২৫ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৭

দুঃখ হীন পৃথিবী বলেছেন: তাজউদ্দীনের সততা সাহসিকতা দৃড়চেতা মনুভাব মুজিবকে ভয় পায়ে দিয়েছিল

১২| ২৪ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:০৫

অণুজীব বলেছেন: +++++++

২৫ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:৫০

দুঃখ হীন পৃথিবী বলেছেন: আপনাকেও প্লাস

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.