নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দুঃখ হীন পৃথিবী

দুঃখ হীন পৃথিবী

একশত সিপাহী ঢাল-তলোয়ার লইয়া যে ক্ষমতা না রাখে, অনুতাপের হাত তাহার চেয়ে অধিক ক্ষমতা রাখে।

দুঃখ হীন পৃথিবী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ব্যবসা: আলুর চিপস্ তৈরি এবং বাজারজাতকরণ!

১১ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৪

“সবজি ছাড়াও আলু দিয়ে নানা ধরনের সুস্বাদু খাবার তৈরি করা যায়। এর মধ্যে আলুর চিপস হল অন্যতম। ছোট বড় সবার কাছেই আলুর চিপস প্রিয় একটি খাদ্য। আলুর চিপস ছোটবড় সবার কাছেই খুব প্রিয় একটি খাবার। সব সময়ই এর চাহিদা থাকে। আলুর চিপস তৈরি করে বিক্রির জন্য বিভিন্ন খাবারের দোকান, কনফেকশনারিতে সরবরাহ করা যায়। এছাড়া আলুর চিপস তৈরি করে হাট- বাজার, বিভিন্ন মেলায় বিক্রি করে আয় করা সম্ভব। “



আলুর চিপস তৈরি ব্যবসা

আমাদের দেশে প্রতিবছর অনেক আলুর চাষ হয়। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আলু হচ্ছে প্রধান খাদ্য। আমাদের দেশেও আলু জনপ্রিয় সবজি। সবজি ছাড়াও আলু দিয়ে নানা ধরণের সুস্বাদু খাবার তৈরি করা যায়। এর মধ্যে আলুর চিপস হল অন্যতম। ছোট বড় সবার কাছেই আলুর চিপস প্রিয় একটি খাদ্য। যে কোন ব্যক্তি আলুর চিপস তৈরি ব্যবসা শুরু করে স্বাবলম্বী হতে পারেন।

১) বাজার সম্ভাবনা

২) মূলধন

৩) প্রয়োজনীয় উপকরণ, পরিমাণ, মূল্য ও প্রাপ্তিস্থান

৪) আলুর চিপস তৈরির নিয়ম

৫) আয় ও লাভের হিসাব

৬) সচরাচর জিজ্ঞাসা




বাজার সম্ভাবনা

আলুর চিপস ছোট বড় সবার কাছেই খুব প্রিয় একটি খাবার। সব সময়ই এর চাহিদা থাকে। আলুর চিপস তৈরি করে বিক্রয়ের জন্য বিভিন্ন খাবারের দোকান, কনফেকশনারীতে সরবরাহ করা যায়। এছাড়া আলুর চিপস তৈরি করে হাট- বাজার, বিভিন্ন মেলায় বিক্রয় করে আয় করা সম্ভব।



মূলধন

আলুর চিপস তৈরির জন্য স্থায়ী উপকরণ কিনতে আনুমানিক ৬১০ – ৬৭৫ টাকার প্রয়োজন হবে। আনুমানিক ৬৭৪-৭৪২ টাকা বিনিয়োগ করে ১০ কেজি আলুর চিপস তৈরি করার কাঁচামাল কেনা যাবে। যদি ব্যক্তিগত পূঁজি না থাকে তাহলে মূলধন সংগ্রহের জন্য নিকট আত্মীয়স্বজন, ঋণদানকারী ব্যাংক(সোনালী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক , রূপালী ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক) বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান (আশা, গ্রামীণ ব্যাংক, ব্রাক, প্রশিকা) -এর সাথে যোগাযোগ করা যেতে পারে। এসব সরকারি, বেসরকারি ব্যাংক ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান (এনজিও) শর্ত সাপেক্ষে ঋণ দিয়ে থাকে।



প্রয়োজনীয় উপকরণ, পরিমাণ, মূল্য ও প্রাপ্তিস্থান

স্থায়ী উপকরণ

উপকরণ পরিমাণ আনুমানিক মূল্য (টাকা) প্রাপ্তিস্থান

চুলা ১টি ১০০-১২০ বানিয়ে নেয়া সমভব

বড় পাত্র ১টি ১৫০-১৬০ তৈজসপত্রের দোকান

চামচ ১টি ৩০-৩৫ তৈজসপত্রের দোকান

ছুরি ১টি ৪০-৪৫ তৈজসপত্রের দোকান

কড়াই ১টি ১৫০-১৬০ তৈজসপত্রের দোকান

চালনি ১টি ৩০-৩৫ তৈজসপত্রের দোকান

বটি ১টি ৬০-৬৫ তৈজসপত্রের দোকান

পলি প্রোপাইল প্যাকেট ১০০ ৫০-৫৫ মুদি দোকান

মোট=৬১০-৬৭৫ টাকা



কাঁচামাল (১০ কেজি আলুর চিপস তৈরির জন্য)

উপকরণ পরিমাণ আনুমানিক মূল্য (টাকা) প্রাপ্তিস্থান

আলু (বড়) ২০কেজি ৪০০-৪৫০ টাকা সবজি দোকান

সয়াবিন তেল ৩ কেজি ২৪০-২৫০ টাকা মুদি দোকান

লবণ ৫০০ গ্রাম ১০-১২ টাকা মুদি দোকান

বিট লবণ ৫০০ গ্রাম ৮-১০ টাকা মুদি দোকান

গোলমরিচ ১০০ গ্রাম ৮-১০ টাকা মুদি দোকান

রঙ পরিমাণ মত ৮-১০ টাকা মুদি দোকান

মোট=৬৭৪-৭৪২ টাকা



আলুর চিপস তৈরি করার নিয়ম

১) প্রথমে খোসাসহ আলু পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে।

২) ধারালো ছুরি বা বটির সাহায্যে আলুর খোসা ছাড়িয়ে নিতে হবে।

৩) এরপর ধারলো ছুরি বা বটি দিয়ে আলুগুলো চাক চাক করে কেটে নিয়ে এক ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। তাহলে আলুর কষ বের হয়ে যাবে।

৪) আলুর চাকগুলো চালুনীতে রেখে পানি ঝরিয়ে নিতে হবে।

৫) এরপর চুলায় রাখা গরম পানিতে একটু লবণ ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে চাক চাক করে কাটা আলুগুলো আস্তে আস্তে ছেড়ে দিতে হবে।

৬) আলুগুলো সিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত পানিতে রাখতে হবে। সিদ্ধ হয়ে গেলে, আলুগুলো তুলে পানি ঝরিয়ে নিতে হবে।

৭) এরপর আলুগুলো পাটির উপর একটা একটা করে বিছিয়ে দিয়ে রোদে শুকাতে হবে।

৮) আলুগুলো ভালোভাবে শুকালে তা তুলে ফেলতে হবে।

৯) এরপর আলুগুলো চুলার উপর একটা কড়াইতে সয়াবিন তেলে ডুবিয়ে ভেজে নিতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত আলুগুলো বাদামী বা হলুদ রঙ ধারণ না করবে ততক্ষণ পর্যন্ত ভাজতে হবে।

১০) ভাজা হয়ে গেলে কড়াই থেকে নামিয়ে একটা চালুনীতে রেখে অতিরিক্ত তেল ঝরিয়ে নিতে হবে।

১১) চিপসগুলো সামান্য গরম থাকতেই তার উপর কিছু লবণ ও মরিচের গুঁড়া ছড়িয়ে প্যাকেট করতে হবে।



সাবধানতা

চিপস তৈরির সময় প্রয়োজনীয় উপকরণ ও রান্নার জায়গা অবশ্যই পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।



আয় ও লাভের হিসাব

মোট খরচ

খরচের ক্ষেত্র আনুমানিক মূল্য (টাকা)

১০ কেজি আলুর চিপস তৈরি করতে কাঁচামাল বাবদ খরচ ৬৭৪-৭৪২ টাকা

স্থায়ী উপকরণের অবচয় (ক্ষতি) বাবদ খরচ ১০-১৫ টাকা

যাতায়াত ও অন্যান্য খরচ ৫০-৬০ টাকা

মোট খরচ ৭৩৪-৮১৭ টাকা



আয় ও লাভ

১ কেজি আলুর চিপস এর দাম ৯০-১০০ টাকা হলে,

১০ কেজি আলুর চিপস এর বিক্রয় মূল্য ৯০০-১০০০ টাকা

১০ কেজি আলুর চিপস তৈরিতে খরচ ৭৩৪-৮১৭ টাকা

১০ কেজি আলুর চিপস বিক্রয় করে লাভ ১৬৬-১৮৩ টাকা

বিনিয়োগ ও বিক্রয়ের উপর ব্যবসার লাভ-ক্ষতি ও আয় নির্ভর করে। অনেক সময় জিনিসপত্রের দাম উঠা-নামা করে। তাই এই ক্ষেত্রে হিসাব শুধুমাত্র ধারণা দেওয়ার জন্য। সেক্ষেত্রে লাভের পরিমাণ কম বা বেশি হতে পারে।



স্থায়ী উপকরণগুলো একবার কিনলে অনেকদিন ধরে কাজ করা যাবে। ব্যবসার শুরুতেই এ খরচটি করতে পারলে পরবর্তীতে শুধু কাঁচামাল কিনে ব্যবসা চালিয়ে নেওয়া সম্ভব।

এখান থেকে কপিকরা

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩০

লেখোয়াড় বলেছেন:
আমার দ্বারা সম্ভব না।

তবে আপনার লেখাটি ভাল হয়েছে।

১১ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫২

দুঃখ হীন পৃথিবী বলেছেন: যে প্রথমেই বলে আমার দ্বারা সম্ভবনা, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সেই মানুষটির দ্বারা সবচেয়ে বেশি সম্ভব এই কাজটি।
একটু চেষ্টা করুন হয়ে যাবে।

২| ১১ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৩

শহিদুল বলেছেন: ভালো পোষ্ট

১২ ই আগস্ট, ২০১৪ ভোর ৬:০০

দুঃখ হীন পৃথিবী বলেছেন: ধন্যবাদ

৩| ১১ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: খুব উপযোগী পোস্ট।

ধন্যবাদ, দুঃখ হীন পৃথিবী।

১২ ই আগস্ট, ২০১৪ ভোর ৬:০৩

দুঃখ হীন পৃথিবী বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, যদি কারো কাজে লাগে এই জন্যই কপি করা আর কি।

৪| ১২ ই আগস্ট, ২০১৪ ভোর ৬:৩৬

রাজিব বলেছেন: লেখা ভাল লেগেছে। আমাদের দেশে শিক্ষিত মানুষের মধ্যে উদ্যোগ ও উদ্যমের বেশ অভাব।
চিপস তৈরির থেকে কষ্ট হল বাজার জাত করা। কারণ অনেক দোকানে ঘুরতে হয়। টাকা বাকি থাকা আরেকটা সমস্যা। তারপরও বেকারদের জন্য খুব লাভজনক পেশা হতে পারে। প্রথম দিকে লাভ কম হবে কিন্তু বছর খানেকের মধ্যে এ ব্যবসার অলি গলি চিনে ফেললে কষ্ট অনেক কমে যাবে এবং আয় অনেক বেড়ে যাবে। ঢাকা শহরেই অনেক পরিবার এভাবে সংসার চালাচ্ছে। অনেকে মাসে ৩০-৫০ হাজার টাকাও আয় করছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.