নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একশত সিপাহী ঢাল-তলোয়ার লইয়া যে ক্ষমতা না রাখে, অনুতাপের হাত তাহার চেয়ে অধিক ক্ষমতা রাখে।
এ ঘটনা আমি নিজেও স্বীকার করি, কোন ভদ্রলোক প্রবাসে আসে না। নিজ দেশে অতিরিক্ত পাপের ফলাফল হইলো প্রবাস জীবন! কিন্তু একটা জিনিস জানেন, এই অতিরিক্ত খারাপ ছেলে গুলো তার পরিবারের জন্য করতে পারে না এমন কিছু নাই! কসম খোদার, কিচ্ছু নাই!
এই আপনারা যখন ঈদের দিন নামাজ পড়ে এসে প্রবাসীদের পয়সায় কিংবা প্রবাস থেকে পাঠানো ফোনের ক্যামেরায় যে ছবি তুলেছেন, আপনার সেই প্রবাসী আত্মীয়টি তখন চুপচাপ নামাজ পড়ে এসে দরোজা আটকে বালিশে মুখ গুঁজে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদেছে!
দুনিয়ার সবচাইতে বড় দু:খের নাম প্রবাস! হাজারো আজনবীর লুকিয়ে ফেলা চোখের পানিতে ভেজা এই প্রবাসের মাটি। আপনি জানেন কি? প্রবাসে থাকা আপনার আত্মীয়টির বুকে এক গালফ উপসাগর পরিমাণ কষ্ট! যে প্রবাসের অর্থ কারো ভাই কে, কারো বোন কে আপনাদের সমাজে উপস্থাপনে সহায়ক হচ্ছে, বাবা/মায়ের চিকিতসার অর্থের যোগান দিচ্ছে, সেই প্রবাসী দিনের মাঝে কতবার নিজেকে ভেংগে যাওয়া থেকে দাড়ঁ করাচ্ছে, আপনি জানেন?
আমাদের সমাজে ছেলে প্রবাসী শুনলেই বাকাঁ চোখে দেখা হয়! আপনি জানেন কি, এই প্রবাসীরা রেমিটেন্স বন্ধ করে দিলে উন্নয়নের মহাসড়কে আপনাদের চাকা পাংচার হয়ে উন্নয়ন এর বাস দাঁড়ায় যাবে! এইসব অশিক্ষিত ছেলেদের, এইসব শ্রমিক দের, মা লাগে না, বাবা লাগে না, ভাই লাগে না, বোন লাগে না!
এমন কি এদের প্রেমিকা লাগে না! লাখ লাখ টাকা খরচ করে প্রবাসে থিতু হতে কিছুটা টাইম লাগে। এরি মাঝেই এদের প্রেমিকাদের ঝটপট বিয়ে হয়ে যায়। এরা মেনে নেয়, এদের মেনে নিতে জানতে হয়। অকল্পনিয় গরম আর মাত্রাত্ক্তি ঠান্ডায় কাজ করে বোনেদের বিয়ে দেয়, তাদের শশুর বাড়ির আবদার মেটায়, পরবর্তী বোনের জন্য আবার টাকা জমানো শুরু করে! বোনের বাচ্চা হয়, সেই বাচ্চা যখন প্রাইমারী পাশ করে তখনো তাদের বাড়ি যাওয়া হয়ে ওঠে না, বাপের জমি বেচেঁ আসছে, সুদে টাকা ধার নিয়ে আসছে, সেই টাকা শোধ করতেই মেঘে মেঘে অনেক বেলা হয়ে যায়।
এদের বউ লাগে না, এদের বাচ্চা লাগে না। এদের কখনো আফসোস করতে দেখবেন না! মুখে হাসি অবিরাম! এদের কারু বাবা/মা মারা গেলেও দেশে যেয়ে শেষবারের মত দেখাটা হয়ে ওঠে না, উপায় নাই, টাকা কোথথেকে আসবে?
তবুও এরা বেচেঁ থাকে, দেশ কে ভালোবাসে, পরিবার কে ভালোবাসে, ভোর চারটেয় কাজের জন্য ঘুম থেকে উঠে জীবনের উদ্দেশ্যে একদলা থুতু ফেলে বলে, কতখানি কষ্ট তুমি দিতে পারো জীবন, আমি দেখব, আমিও হারতে আসিনি!
ভালোবাসা সকল প্রবাসী শ্রমিক কে!
১০ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:৫১
দুঃখ হীন পৃথিবী বলেছেন: প্রায় এক যুগ হতে চল্ল আমিও একজন ফুলটাইম প্রবাসী, জানিনা কবে এই জীবনের ইতি টেনে ফিরতে পারব।
আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভাল আছি এই প্রবাস নামক জীবনের সাথে।
২| ২২ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৮
ফেল কড়ি মাখ তেল বলেছেন: ওমেরা আপু এখানে আপনার মত বিলাসী জীবন যাপন কড়ে, সেই প্রবাসীর কথা বলা হয় নাই, কর্মজীবি প্রবাসী শ্রমিকের নিয়ে মশকরা বন্ধ করবেন দয়াকড়ে।।ওনারা মাথার ঘাম, পায়ে ফেলে বিদেশ থেকে টাকা পাঠায় দেশে। এদের কাড়ো আপনার মত বিদেশি পাসপোর্ট নাই?
১০ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:৫৩
দুঃখ হীন পৃথিবী বলেছেন: ভাই সব প্রবাসীই সমান কষ্টের ভাগিদার, লাল নীল যে পাসপোর্টই হোল্ড করুক না কেন।
সব প্রবাসীকে হাজার সালাম এবং ভালবাসা
৩| ২২ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:৪০
চাঁদগাজী বলেছেন:
"আপনি জানেন কি, এই প্রবাসীরা রেমিটেন্স বন্ধ করে দিলে উন্নয়নের মহাসড়কে আপনাদের চাকা পাংচার হয়ে উন্নয়ন এর বাস দাঁড়ায় যাবে! "
-সমস্যা হলো, প্রভাসীরা টাকা পাঠানো বন্ধ করতে পারবে না; ওরা পারিবারিকভাবে এমনভাবে জড়িত যে, টাকা পাঠানো বন্ধ করতে পারবে না।
দেশের সরকারেরা এসব লোকদের থেকে লাভবান হচ্ছে
৪| ২২ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৬
ফেল কড়ি মাখ তেল বলেছেন: চাঁদগাজী ভাইয়ার সাথে সহমত এই ব্যপারে। প্রবাসি থাকা অনেকের পরিবার চলে তাদের পাঠানো টাকায়, তারা চাইলে ও টাকা পাঠানো বন্ধ করতে পারবে নাহ। বিদেশ থাকা আসা ডলার, রাজনীতিতে থাকা রাগব বয়ালেরা হাত গরিয়ে যায় সুইস ব্যংক এ আর নাহ হয় মালেশিয়াতে বাড়ি কিনতে।
৫| ২২ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:১২
এম আর তালুকদার বলেছেন: প্রবাসিরা আমাদের দেশ মাতার শ্রেষ্ঠ সন্তান।
৬| ২২ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:১৫
তপোবণ বলেছেন: পড়ে চোখ ভিঁজে যাবার উপক্রম হলো। ইদানিং প্রবাসে আত্নহত্যার ঘটনা খুব বাড়ছে। একজনের কথা জানলাম ছুটিতে যাবার জন্য সব কিছু রেডি, যেদিন তার ফ্লাইট সেদিনই সে ফাঁসিতে ঝুলেছে। (ঘটনা- সৌদি আরবের দাম্মাম পোর্ট)
৭| ২২ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:২৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
@তপোবণ ,
অশিক্ষিত, কম শিক্ষিত মানুষ যখন বিদেশে থাকে, তার পরিবার সমস্যায় থাকে; আত্ম হত্যার অনেক কারণের মাঝে এটি বড় কারন।
৮| ২২ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:০১
শামছুল ইসলাম বলেছেন: সশ্রদ্ধ সালাম আর কৃতজ্ঞতা সেই প্রবাসী শ্রমিক ভাইদের !!!
৯| ২২ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:১০
আহমেদ মারুফ বলেছেন: আমি ও একজন প্রবাসী। মাত্র ১৭ বছর বয়সে পাড়ি জমাই প্রবাসে।স্টুডেন্ট ভিসাই পাড়ি জমাই প্রথমে মালয়েশিয়ায়। সেখানে থাকি ৪ বছর। তখন আমার ছোট মামা থাকেন দুবাই। উনি আমাকে বল্লেন যে ভিজিট ভিসা দিয়ে তুমি চলে আস দুবাই মামা । সেখানেই আমার জীবনের উদঘাটন। ১ বছরের কষ্টের বিনিময় পাইলাম ইন্টারন্যাশনাল ড্রাইভিং লাইসেন্স। তখন আমার বয়স ২৩ বছর। আমার যে মেযেটির সাথে প্রেম ছিল । তার বিয়ে হয়ে ৩ বছরের একটা ফুটফুটে বাচ্চা্ আছে। আর আমি রয়ে গেলাম একনো একা। মা-বাবার ইচ্চে ও ভাই বোনের আবদার মিটাতে হলে নিজের কথা চিন্তা করা লাগেনা। আমি ২০১০ সালের পর ২০১৭ সালের জুলাই মাসের ১২ তারিখে আসি বাংলাদেশ। পরের আবেগটা কতখানি যে নিজে লিখে বুঝাতে পারব না।
১০| ২২ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:৫৬
ফ্রিটক বলেছেন: ভাল লাগা রইল।পোষ্টটি সময়োপযোগী বটে
১১| ২৩ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ২:২১
অরন্য সামির বলেছেন: দারুণ লিখেছেন স্যার...
১২| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:৪৯
মাহবুবুল আজাদ বলেছেন: অনেক দিন ধরে বেশ নিরব আপনি
১৩| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:২৩
ভিটামিন সি বলেছেন: "কতখানি কষ্ট তুমি দিতে পারো জীবন, আমি দেখব, আমিও হারতে আসিনি!" - অসাধারণ বলেছেন সুমন ভাই। প্রবাসীদের জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ উক্তি।
আপনার লেখাটা মন ছুয়েঁ গেল এ কারণে যে, আমিও মে-২০০৮ থেকে জানুয়ারী-২০১৬ পর্যন্ত প্রবাসী ছিলাম। আপনার ছবির মতো পোষাক আমাকেও পরতে হয়েছে, এভাবেই দুপুরে ঘুমাতে হয়েছে কিছুদিন। পরে অবশ্য অফিশিয়াল ডেস্কে বসেছি। কিন্তু আমি নিজে থেকে দেখেছি প্রবাসীর কষ্টকর কাজের ক্ষেত্র, কাজ গুলো, জীবন যাপন। প্রবাসীদের আরেকটা জীবন থাকে দেশে স্বজনদের কাছে। আমি সেই জীবন থেকে ফিরে এসেছি।
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:১৯
ওমেরা বলেছেন: আমি ও তাদের একজন , ভালবাসার জন্য আপনার প্রতি ও রইল ভালবাসা । ধন্যবাদ ।