![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছেলেটা ক্লাস এইটে পড়ে। আমি তার সঙ্গে গল্পগুজব করি। একধরনের সখ্য তৈরি হয়। তাকে আমি বলি, ‘তুমি ড্রাগস নিয়েছ কখনো?’
ইংরেজি মাধ্যমে পড়া চমৎকার ছেলেটার মুখে এখনো শৈশবের আভা, বলে, ‘একবার-দুবার। বেশি নিই না।’
‘কী নিয়েছ?’
গাঁজা নিয়েছে সে। কী উপায়ে নিয়েছে, তা সে আমাকে বর্ণনা করে। আমি ব্যাপারটা ঠিক ধরতে পারি না। গাঁজা পুড়িয়ে পানীয়র সঙ্গে মিশিয়ে কীভাবে খায়, আমার ঠিক জানা নেই।
সে বলে, ‘আমাদের ক্লাসের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে তিন ভাগের এক ভাগ নিয়মিত নেশা করে। তিন ভাগের এক ভাগ মাঝে-মধ্যে নেয়। আর তিন ভাগের এক ভাগ আনস্মার্ট, ওরা কখনো নেয় না। ভালো ছাত্র। আমরা ওদের পাত্তা দিই না।’
‘তুমি ওই ভালোর দলে থাকলা না কেন?’
‘আমি কীভাবে থাকব। আমি তো অলরেডি স্পয়েল্ড।
কয়েকদিন আগে প্রিয় লেখক আনিসুল হকের এই লেখাটি প্রকাশিত হয়েছে প্রথম আলোতে Click This Link
প্রতিদিনই ড্রাগস নিয়ে লেখা লেখি হচ্ছে ব্লগে ও অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, বিশেষ করে ঐশীর ঘটনার পর, এমন কি পুলিশ যে সমস্ত অন্যান্য অপরাধে আসামি ধরছে সেখানে আসামি ধরার পর দেখা যাচ্ছে মুলত সে নেশাখোর।
ইয়াবা নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নাই কেননা আমরা সাধারন মানুষ থেকে শুরু করে প্রশাসনের বড় সাহেব পর্যন্ত সবার জানা আছে ইয়াবা কি।কিন্তু পার্থক্য এটুকু যে আমাদের থেকে প্রশাসন বেশী জানে ইয়াবা কোথা থেকে আসে, কি ভাবে এদেশে আসে,কেমন করে তা টিন এজ ছেলে মেয়েদের হাতের নাগালে চলে আসে।
জানার পরও প্রশাসন চোখ বুজে থাকে কেননা এর আড়ালে চলে কোটি টাকার বাণিজ্য, এবং তা সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ থেকে শুরু করে বড় সাহেবের হাত হয়ে এম পি এমন কি মিনিস্টার পর্যন্ত বিস্তৃত।
সবার এই নীরবতার কারন যে শুধু টাকা তা নয় এর সাথে জড়িত রাজনৈতিক প্রভাব।
সমাজ কল্যাণ মন্ত্রানালায় নামে একটা মন্ত্রানালায় আছে বা মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর নামে কোন অথোরিটি তাদের কোন মাথা ঘামানোর কিছু আছে বলে মনে হয়না।
কিন্তু অন্তত এই একটি ইস্যুতে আমাদের বিচক্ষণ রাজনীতিবিদদের এক হওয়া উচিৎ যদি তারা সত্যিকারে দেশের এবং দেশের মানুষের মঙ্গল কামনা করেন, যে অপরাধী যেই হোক পুলিশ থেকে শুরু করে রাজনৈতিক নেতা কাউকে ছাড় না দিলে তা হলে যেমনটা আশা করা হয় দুর্নীতি একটা সহনীয় পর্যায়ে নেমে আসবে সে রকম একটা ফলাফল পাওয়া জেতে পারে।
আর তা না হলে ঐশীর মতো এমন ঘটনা একের পর এক ঘটতেই থাকবে,
তাই আর দেরি না করে এখনিই সময়ই ওদেরকে থামান, স্টপ দেম।
২| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৭:০৯
ধৈঞ্চা বলেছেন: ঘটনাটি এমন, মনে করেন আপনি কাউকে ২০ তলার ছাদ থেকে ধাক্কা দিয়ে কাউকে ফেলে দিয়েছেন, আপনি দেখছেন সে পড়ছে আর মনে মনে প্রত্যাশা করছেন সে যেন মারা না যায়। এটাকি সম্ভব?
ঐশীর মতো এমন ঘটনা বার বার ঘটলে সমাজের দুইটা লাভ, একটা হলো সমাজ থেকে দুর্ণীতিবাজ লোকের সংখ্যা কমতে থাকবে (সে পুলিশ কর্মকর্তা নাকি তার মেয়েকে মাসে ৫০ হাজার থেকে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত হাত খরচ দিত, আচ্ছা পুলিশ কর্মকর্তার বেতন কত?), আরেকটা লাভ হলো সমাজের সুশীল বাবা-মাদের সন্তানকে ইংলিশ মিডিয়াম তথা ওভার স্মার্ট হওয়ার আগ্রহে ভাটা পড়বে।
ঐশী ঘটনা ভারতীয় এই সব বস্তাপচা টিভি সিরিয়ালের কু-প্রভাব বলে অনেক টিভি মিডিয়ায় প্রচারনা চালানো হচ্ছে। ব্যাপারগুলো আরো জোড়ালো হওয়া দরকার।
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৬:১৭
খেয়া ঘাট বলেছেন: আর তা না হলে ঐশীর মতো এমন ঘটনা একের পর এক ঘটতেই থাকবে,
তাই আর দেরি না করে এখনিই সময়ই ওদেরকে থামান, স্টপ দেম।