![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি আসলে তেমন কোন গুরুত্বপূর্ণ বা জ্ঞানী ব্যাক্তি নই। কিন্তু আমি তাই বলি যাই বলি তা আমি বিশ্বাস করি।
কাল যদি ১৪৪ ধারা ভেঙে সমাবেশ করা হত তাহলে একটা সংঘর্ষ হওয়ার সম্ভাবনা থাকতো এবং জান/মালের ক্ষতি হতো। এতে লাভবান কে হতো? পরিস্কার ভাবেই এতে লাভবান হতো জামাত- শিবির। অপরদিকে আমাদের,ওলামা-মাশায়েখ এবং দেশের শুধু ক্ষতিই হতো।
জামাত শিবির একটা স্বাধীনতা বিরোধী এবং ইসলামের জন্য ক্ষতিকর দল। তারা যুদ্ধাপরাধীর মুক্তির দাবি নিয়ে বাংলাদেশে আন্দোলনের নামে জান/মালের ক্ষতি সাধন করতেছে। তাদের প্রকৃত উদ্দ্যেশই হচ্ছে বাংলাদেশের ক্ষতি সাধন করা কারন তারা বাংলাদেশকে কখনো নিজের দেশ মনে করে না। তাদের প্রধান লক্ষ্যই হচ্ছে বাংলাদেশকে পঙ্গু করা। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে তারা এই লক্ষ্যেই বাংলাদেশের সূর্যসন্তানদের হত্যা করেছিলো।
আলেম ওলামারা জামাত/শিবিরকে ইসলামের জন্য ক্ষতিকর দল হিসেবে মনে করে।তারা চায় সকল যুদ্ধাপরাধীর সর্বচ্চো শাস্তি। আলেম ওলামারা চায়না জামাত/শিবিরের রাজনীতি বাংলাদেশে থাকুক। অপরদিকে আমরাও চাই স্বাধীনতাবিরোধী সংঘটন হিসেবে জামাত শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ হোক ।
যেহেতু আমরা আর আলেম-ওলামারা প্রায় একবিন্দুতে দাড়িয়ে তাহলে কেন আমরা লড়াই করবো। জামাত/শিবির আমাদের দুই পক্ষের কাউকেই সহ্য করতে পারে না। তাই ওরা চায় আমরা দুই পক্ষ একে অপরের বিরুদ্ধে লড়ি।
জামাতের প্রোপাগান্ডার কারনে যে ভুল বুঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে তা আমাদের আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে হবে এবং আমাদের দুই পক্ষ একসাথে হয়ে বাংলাদেশের বিষ জামাত/শিবিরকে এই দেশের মাটি থেকে উৎখাত করতে হবে।
যেই সব জামাত/শিবির আর তাদের দালালরা বলছে আমরা ভীত তাদের শুধু একটা কথাই বলবো আমরা আমাদের শত্রু সম্পর্কে অবগত এবং আমাদের লড়াই শুধু যুদ্ধাপরাধী ও তাদের দোসরদের সাথে। ইচ্ছা করলে আমরা এই মুহূর্তে স্বাধীনতাবিরোধী এবং তাদের দালালদের দেশ থেকে উৎখাত করতে পারি কিন্তু তাতে আমাদের বাংলাদেশের জান/মালের ক্ষতি হবে তাই আমরা নীরব আছি। দেশকে ভালবেসে অহিংস থাকাকে দুর্বলতা ভাবলে ভুল করবেন। মনে রাইখেন, "বাঘ চূড়ান্ত আঘাতের আগে এক পা পিছিয়ে যায়। এটা তার প্রস্তুতির একটা অংশ"।
©somewhere in net ltd.