নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি তাই বলি যা আমি বিশ্বাস করি

আমি তাই বলি যা আমি বিশ্বাস করি

তাজমুল আক্তার

আমি আসলে তেমন কোন গুরুত্বপূর্ণ বা জ্ঞানী ব্যাক্তি নই। কিন্তু আমি তাই বলি যাই বলি তা আমি বিশ্বাস করি।

তাজমুল আক্তার › বিস্তারিত পোস্টঃ

গনজাগরন না আপনারা নিজেরাই দায়ী

১৭ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:৩১

দেখা যাইতেছে সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে পরাজয়ের জন্য অনেক আওয়ামীলিগার আক্টিভিস্টই গণজাগরণকে কাঠগড়ায় দাড় করাইতেছে। তারা বলতেছে গনজাগরনের কারনেই হেফাজতের সৃষ্টি আর হেফাজতের কারনেই নাকি আওয়ামীলীগের পরাজয়। হেফাজত নাকি পাবলিককে গেলাইতে পারছে আওয়ামীলিগ ধর্মবিরোধী। এইসব দেখে আমার আগের কথা মনে পইরা গেলো, আমি আগেই বলছিলাম গণজাগরন শত্রু-মিত্র প্রকাশ্য করবে, আমাদের দেশের ক্ষত কত গভীর হয়েছে তা প্রমান হয়ে যাবে।

আপনারা বুঝাইতেছেন শাহাবাগের কতিপয় নাস্তিকের কারনে আজকে আওয়ামীলিগকে ধর্ম বিরোধী হিসেবে প্রমান করতে পেরেছে হেফাজত , বিএনপি, জামাত। আপনারা মনে হয় ভুইলা গেছেন যে, মুসলিম লীগ থেকে আলাদা হওয়ার পর থেকেই এই অপবাদ আওয়ামীলীগের পিছে পিছে ঘুরছে। ৫৪, ৭০ এর নির্বাচনে কিন্তু এই অপবাদ কাজে লাগে নাই কারন বঙ্গবন্ধু বাংলার মানুষকে স্বপ্ন দেখাতে সক্ষম হইছিলো। তৎকালীন আওয়ামী নেতাকর্মীরা মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে বোঝাতে সক্ষম হয়েছে যে তাদের লক্ষ্যের কথা, তারা এইসব অপবাদের জবাব দিতে সক্ষম হয়েছে। সদ্য স্বাধীন দেশের ৭৩ এর নির্বাচনে হয়তো এই ঝক্কি ঝামেলা পোহাইতে হয় নাই কিন্তু আপনারা কি ভূলে গেছেন ৯৬ এর নির্বাচনের কথা। ধর্ম ব্যাবসায়ীদের অপপ্রচারের কথা কি ভূলে গেছেন? সেইসব অপপ্রচার কোন কাজে আসে নাই কেন জানেন কারন ৯৬ এ আওয়ামী লীগের মাধ্যমে এই দেশের মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি এবং অসাম্প্রদায়ীক চেতনায় বিশ্বাসী লোকজন স্বপ্ন দেখেছিলো।



২০০৮ এও কি কম অপপ্রচার চালানো হয়েছিলো কিন্তু তাতে কি কোন কাজ হয়েছে? হয় নাই । তাই দুর্নীতি থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য, সাম্প্রদায়িক হামলা থেকে দেশকে মুক্ত করার জন্য, জঙ্গি দের ধ্বংস করার জন্য এবং সাধীনতা বিরোধীদের বিচারের জন্য জনগন আওয়ামীলীগকে ভোট দিয়েছিলো। এখন আপনারা বলেন, দেশে কি দুর্নীতি হয় নাই এই ৪ বছর? দেশের সংখ্যালঘু কি নিরাপদ ছিল এই ৪ বছর? কোন স্বাধীনতা বিরোধীর কি শাস্তি কার্যকর হয়েছে এখন পর্যন্ত? উত্তর হল না। আমি বলবো না আওয়ামীলীগ ভালো কিছুই করে নাই কিন্তু সাধারন মানুষের কাছে তাদের সফলতার কথা নিয়ে নেতা কর্মীরা কি গনসংযোগ করেছে? আজ রাস্তাঘাটে সব জায়গায় সরকারের বদনাম কিন্তু সেইটা প্রটেস্ট করার জন্য নেতা কর্মীদের তৈরি করতে হয় তা কি করতে পেরেছে আওয়ামী কেন্দ্রীয় নেতারা। দোষটা আওয়ামীলিগের, গনজাগরনের না।

যদি আওয়ামীলিগকে ভালোবাসেন, যদি বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসেন তবে শুইনা রাখেন গনজাগরনের কারনেই আজ দেশের প্রায় সকল ধর্ম ব্যাবসায়ীদের মুখোশ উন্মোচিত হয়েছে। পারলে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে ভন্ডদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করুন নতুবা চুপ থাকুন। নিজের দোষ অন্যের কান্ধে দেওয়া কাপুরুষের লক্ষন , কথাটা মাথায় রাইখেন।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৪

অদ্ভুতুরে বলেছেন: আওয়ামী লীগের হারারই কথা। বিপক্ষে অযোগ্য বিএনপি প্রার্থী থাক আর স্বতন্ত্র প্রার্থী থাক। গণজাগরণ মঞ্চরে এককালে নিজেগো স্বার্থে আওয়ামীকরণ করছে, অ্যাখন নিজেগো দোষ কারো উপর না দিতে না পাইরা মঞ্চের উপরে দেয়।

২| ১৭ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৪

জামান2021 বলেছেন: আওয়ামীলীগের সৃষ্টি গনজাগরনের। গনজাগরনের কারনেই হেফাজতের সৃষ্টি আর হেফাজতের কারনেই আওয়ামীলীগের চরম পরাজয়।

৩| ১৭ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১:৪০

মাইন রানা বলেছেন: সাধারণ তরুণ প্রজন্মের গণজাগরণ সৃষ্টি হয়েছে জামাতের সাথে আওয়ামীলীগের আঁতাতের ফলে।

সেই জাগরণ লুট করে সরকারের সহায়তায় "গনজাগরণ মঞ্চ" বানিয়েছে কিছু দালাল ও চাটুকার।

এই চাটুকাররা হটাৎ নেতা হয়ে প্রিয় দেশবাসী বলে বক্তব্য দিয়েছে। এদের কেউ কেউ ধর্মের বিরুদ্ধে নানান কর্মকান্ড করেছে (নাস্তিককে বীর ঘোষণা, ওজু ছাড়া, নারী পুরুষ, সব ধর্মের মানুষ মিলে, অপবিত্র জায়গায় জানাজার নামাজ বিকৃত করে) হেফাজতের মতো একটা বৃহৎ শক্তির উথানে সাহায্য করেছে।

সেই বৃহৎ শক্তিকে নিজেরা ঢাকায় নিয়ে এসে গুলি করে তাড়িয়েছে!!!

রাজনীতি বড়ই বৈচিত্র্যময়

৪| ১৭ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:৫৬

নিষ্‌কর্মা বলেছেন: যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাইতে গিয়ে একটা কমন প্লাটফর্মের দরকার ছিল আমাদের সবার, সেই ঐক্যটা গণজাগরণ মঞ্চ করে দিয়েছে। জামাতের দুর্ভাগ্য যে তাদের বর্তমান নেতারা যারা বিচারের মুখোমুখি, তারা সবাই রাজাকার ছিল। তারা সবাই মিলে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে স্বাধীনতা যুদ্ধে হানাদার পাকিস্তান বাহিনীকে সাহায্য করেছে। পাকিস্তানিদের সাথে মিলে যুদ্ধাপরাধও করেছে। যুদ্ধের পর তারা আত্মগোপন করেছিল, আর পালের গোদা গোআ তো মালেক সরকারের সাথে দেশ ছেড়েই পালিয়ে গিয়েছিল।

আজকে গণজাগরন আর হেফাজতিদের নিয়া আলোচনা করলে দেখা যাবে আমার দ্বেষ পত্রিকা জামাতের স্বার্থ রক্ষা করতে গিয়ে দেশকে ধর্মের ভিত্তিতে দুইভাগ করেছে। এই ধারনা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের এবং সংবিধানের মূল ধারনার বাইরের একটা ধারণা। কিন্তু আমার দ্বেষ আর তার সম্পাদক জামাতের টাকা খেয়ে, জামাতের জন্য এই অনৈতিক কাজগুলো করেছে।

গণজাগরন যেভাবে যুদ্ধাপরাধীদের ব্যাপারে জনমত তৈরী করেছিল, তার বিরুদ্ধে আমার দ্বেষ এবং জামাতের হেফাজতিদের টেনে আনা ছাড়া অন্য উপায় ছিল না।

এখন সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে বিম্পি থেকে সমর্থন পাওয়া মেয়র প্রার্থীরা জিতে যাওয়ায় জামাত-শিবির বলছে যে জামাত-হেফাজতি ভোটের জন্য বিম্পি জিতেছে। সেইটা আমার দ্বেষ গাধার মত ফলাও করেই ছাপিয়েছে!

বিম্পির নিজস্ব ভোট ব্যাংক আছে, এবং সেই ভোট বিজয়ীরা পেয়েছেন। সেই সাথে তিতি-বিরক্ত জনগণ যে আম্লিগের জায়গায় অন্য কাউকে চেয়েছে -- সে বিম্পি না অন্য দলের তা তাদের কাছে মুখ্য ছিল না -- সেই ভোটও যোগ হয়েছে।

যেমন ঢাকাতে তৃতীয় এবং ক্লিন ইমেজধারী কয়েকজন প্রার্থী হচ্ছেন বিম্পি-আম্লিগের বাইরে। ঢাকাতে যুব ইউনিয়নের কাফি রতন এবং নাগরিক ঐক্যের মান্না বিম্পি-আম্লীগের অনেক ভোট খেয়ে ফেলবেন। সচেতন মানুষ উনাদের মত প্রার্থীকেই চায়।

বিম্পি এখনও যদি আমার দ্বেষ-এর রিপোর্ট পড়ে আর ভাবে যে হেফাজতি-জামাত তাদের জিতিয়েছে, তাহলে তাদের বিরাট ভুল হবে। কেননা, বিম্পি প্রার্থীদের জয়ের পেছনে না হেফাজতিদের না জামাতিদের কোন অবদান আছে।

৫| ১৭ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:২৩

জগ বলেছেন: গন জাগরন মঞ্চ = হনু জাগরন মঞ্চ, বললে কথাটা আরো এপ্রোপ্রিয়েট হয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.