নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি তাই বলি যা আমি বিশ্বাস করি

আমি তাই বলি যা আমি বিশ্বাস করি

তাজমুল আক্তার

আমি আসলে তেমন কোন গুরুত্বপূর্ণ বা জ্ঞানী ব্যাক্তি নই। কিন্তু আমি তাই বলি যাই বলি তা আমি বিশ্বাস করি।

তাজমুল আক্তার › বিস্তারিত পোস্টঃ

বর্তমান ও আশু ভবিশ্যত

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২৯

১০ম জাতীয় নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ইতিমধ্যেই ১৫৬ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেছে।এই নির্বাচন নিয়ে সবাই হায় হায় করতেছে। আমার নিজেরও যে খারাপ লাগছে না ব্যাপারটা তা না। আমি নিজেও সবসময়ই আশা করেছিলাম বিএনপি দেশ ও জনগণের বৃহত্তর স্বার্থের কথা চিন্তা করে শেষ মুহূর্তে হলেও নির্বাচনে অংশ নিবে। কিন্তু তাদের মনোভাবে দেখা গেলো নির্বাচনে যাওয়ার আগেই জয়লাভের নিশ্চয়তা না পাওয়া পর্যন্ত তারা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ব্যাপারে আগ্রহী নয়। এমনকি আওামীলীগের সকল নেতা সহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বক্ষণই বিএনপিকে নির্বাচনে তথা সমাধানের জন্য আহবান জানিয়েছে। ১০ম নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগ নিজেও সন্তুষ্ট নয় বলে মনে হচ্ছে। তাই তারা বিএনপিকে সমাধানের রাস্তায় এসে ১১তম নির্বাচনে অংশ নিতে বলছে। এছাড়া আওয়ামীলীগ আর কিই বা করতে পারে। ১০ম নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বার বার করা আহবান প্রত্যাখ্যান করে যখন বিএনপি তথা জামাতশিবির দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে দেশকে পঙ্গু করার পণ করে বসে আছে তখন যেকোন দেশপ্রেমিক তথা আওয়ামীলীগের তাদের জন্য অপেক্ষা করার মানে হয় না।



এখন ১০ম নির্বাচন না হলে দেশের সরকারে যে ভ্যাকুয়াম তৈরি হবে তা কে পূরন করবে? রাষ্ট্রের সর্বচ্চো স্থানে কখনোই শুন্যতা থাকতে পারে না। তাই দেশকে অচল অথবা ধ্বংস হওয়া থেকে রোধ করার জন্য আওয়ামী লীগের হাল ধরা ছিলো অবশ্য কর্তব্য। বলতে পারেন এই জন্য নির্বাচন দেওয়ার দরকার কি? নতুন সরকার ক্ষমতায় না আসা পর্যন্ত তো আগের সরকারই বহাল থাকে। কিন্তু এই চিন্তা কি কোনোভাবেই বাস্তবসম্মত হলো। যেই দেশে সংবিধানের সকল কিছু মেনে রাষ্ট্র পরিচালনার পরও কিছু কিছু জ্ঞানপাপী সরকারকে অবৈধ আখ্যা দেয় সেই দেশে এক নির্বাচনে ৫ বছরের অধিক মেয়াদে ক্ষমতায় থাকলে তো সবাই স্বৈরাচারী সরকার হিসেবে একে আখ্যা দিতো। আবার এমনো তো কোন নিশ্চয়তা নাই যে তারা আদৌ কবে নির্বাচনে অংশ নিতে রাজি হবে, সেই ক্ষেত্রে কেয়ামত পর্যন্ত তাদের জন্য অপেক্ষা না করে দেশের চলমান অগ্রগতিকে এগিয়ে নিয়ে চলার পক্ষেই আমাদের থাকা উচিৎ। আমাদের ভূলে যাওয়া উচিৎ না গত ৫ বছরে বাংলাদেশের অগ্রগতি অনেক উন্নত দেশের চোখে বিষের মত হয়েছে আবার তার সাথে চলছে কুখ্যাত মানবতাবিরোধীদের বিচার। মানতাবিরোধী অপরাধীরা মোটেই আর দশটা সাধারন অপরাধীর মতো নয়। তাদের পিছনে যেমন আছে বিপুল পরিমান অর্থ তেমনি বৈদেশিক সমর্থন। এমতাবস্থায় যারা বাংলাদেশের উন্নয়ন এবং যুদ্ধাপরাধীর বিচার চায় না তারা একজোট হয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষরযন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। এবং তাদের ষরযন্ত্রের মূল কলকাঠী হিসেবে আছে বিএনপি এবং জামাত শিবির। বিএনপির সাধারন নেতা কর্মী কিংবা সমর্থকরা এই ষড়যন্ত্র কোনোভাবেই আঁচ করতে পারতেছে না। তাদের প্রতি অনুরোধ তারা যেনো একটু ঠান্ডা মাথায় ভেবে দেখে কেনো বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না? কাদের চাপে তারা নির্বাচনের মাধ্যমে জনগনের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার বদলে সহিংসতায় লিপ্ত হচ্ছে? ঠান্ডা মাথায় ভেবে দেখলেই আশা করি তারা এর উত্তর পাবে এবং নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য বিএনপি নেত্রীকে চাপ দিতে পারবে।

প্রবল ঝড়ের আগে যেমন সবকিছু শান্ত হয়ে আসে তেমনি বিএনপির ২৯শে ডিসেম্বরের কর্মসূচীটা হচ্ছে ঠিক সেইরকম। যেই খালেদা জিয়া ১৫ই ফেব্রুয়ারীর প্রহসনের নির্বাচন দিয়েছে, ১ কোটি ৪০ লক্ষ ভুয়া ভোটার বানিয়েছে সেই খালেদা জিয়া নিজেও জানে ডেমোক্রেসীর বুলি তার মুখে শুধুই কথার কথা। মূলত বিএনপি এবং জামাত শিবির মার্চ ফর ডেমোক্রেসি নাম দিয়ে দেশী বিদেশী সন্ত্রাসীদের ঢাকায় ঢুকানোর পথ করে দিচ্ছে। তারা সহিংসতা চালানোর জন্য এবার ঢাকাকে টার্গেট করেছে। তার জন্য বাড়তি নিরাপত্তা চেয়ে তিনি এও বুঝিয়ে দিয়েছেন নাশকতার লাগাম তার হাতে থাকবে না এবং সহিংসতার আঁচ তার উপরে পড়ার আশংকাও তিনি ঝেড়ে ফেলছেন না। তবে সন্ত্রাসীদের প্রধান টার্গেট হবে শেখ হাসিনা।

এই ব্যাপারে একটু ভেবে দেখেন শামসুজ্জামান দুদুর করা সাম্প্রতিক মন্তব্য। তিনি বলেছিলেন //৫ ই জানুয়ারী নির্বাচন হলে শেখ হাসিনা নতুন বছরের সূর্য দেখবে না।//



এই অবস্থায় সাধারন মানুষকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। স্বাধীনতা বিরোধী এবং বিদেশী অসাধু চক্রদের কোনমতেই জাতীয় পতাকা দিয়ে জাতীয় পতাকাকে কলুষিত হতে দেওয়া যাবে না। আশা করি আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা এই ব্যাপারে সজাগ দৃষ্টি রাখছে।

এ লড়াই বাঁচার লড়াই,

এ লড়াই জিততে হবে।।



জয় বাংলা

জয় বঙ্গবন্ধু

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৫

পৃথিবীর আলো বলেছেন: " আমি নিজেও সবসময়ই আশা করেছিলাম বিএনপি দেশ ও জনগণের বৃহত্তর স্বার্থের কথা চিন্তা করে শেষ মুহূর্তে হলেও নির্বাচনে অংশ নিবে। "

আপনার এই কথাতেই প্রমাণ হয় যে আপনি হুঁশ এ নাই অথবা টকশো কইরা পয়সা কামান।

এই জন্যই মাঝে মাঝে শুনি "আপনি মানুষ ?.... না আওয়ামিলীগ ?".... নাকি পায়জামা......????

২| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৮

তিক্তভাষী বলেছেন: বিএনপি বাদ দেন! সিপিবি, গনফোরাম, বিকল্প-ধারা, কাদের সিদ্দিকির দল, ১৮ দল বহির্ভূত ইসলামী দলগুলো, এমনকি আওয়ামী সহচর জাতীয় পার্টিও এই নির্বাচন বয়কট করেছে। কেন বলেন তো?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.