নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আমারি মত.................।

তাজ - সৈয়দাবাদী ।

শিক্ষক, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, এম পিও ভুক্ত কলেজ

তাজ - সৈয়দাবাদী । › বিস্তারিত পোস্টঃ

দলে গণতন্ত্র না থাকলে জাতীয় ক্ষেত্রে কী আশা করা যায়! - See more at: http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/46927#sthash.XMuBPPME.dpuf

২১ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:২৭

সাংবিধানিকভাবে বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। সংবিধানের দ্বাদশ সংশোধনী-পরবর্তী ১৯৯১ খ্রিষ্টাব্দ থেকে এ দেশে সংসদীয় পদ্ধতির সরকারব্যবস্থা বহাল রয়েছে। এ পদ্ধতির সরকারব্যবস্থায় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে বিজয়ী দল সরকার পরিচালনার দায়িত্ব পায় এবং বিজয়ী দলের যে নেতা সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের আস্থাভাজন, তিনি প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগ লাভ করে থাকেন। বাংলাদেশের সংবিধানে প্রধানমন্ত্রীকে যে ক্ষমতা দেয়া হয়েছে, তা নিরঙ্কুশ। রাষ্ট্রপতি শুধু দু’টি কাজ যথা- প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিচারপতি পদে নিয়োগ ছাড়া অন্য সব কাজ প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী সমাধা করে থাকেন। ওই দু’টি কাজের ক্ষেত্রেও রাষ্ট্রপতির স্বেচ্ছায় চালিত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। যিনি বিজয়ী দলের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের আস্থাভাজন নন এমন কাউকে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগের কোনো সুযোগ নেই। অনুরূপ, প্রধান বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠতম বিচারককে অতিক্রম করে পরবর্তী কোনো বিচারককে যদি নিয়োগ দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয় তার এ উদ্যোগ প্রশ্নবিদ্ধ হবে।
সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে সংবিধান ও গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের বিধানাবলি অনুসৃত হয়ে থাকে। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের বিধান অনুযায়ী যেকোনো রাজনৈতিক দল জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চাইলে দলটিকে অবশ্যই কিছু শর্ত সাপেক্ষে নির্বাচন কমিশনের কাছে নিবন্ধিত হতে হয়। নিবন্ধনের জন্য একটি দলকে যেসব শর্ত পূরণ করতে হয়, তা হলো- স্বাধীনতা-পরবর্তী সংসদ নির্বাচনের যেকোনো একটিতে দলের প্রতীকের বিপরীতে ন্যূনপক্ষে একটি আসন লাভ; অথবা দলটির একজন প্রার্থীর যেকোনো একটি সংসদীয় নির্বাচনে প্রদত্ত ভোটের ৫ শতাংশ ভোট প্রাপ্তি; অথবা কেন্দ্রীয় কমিটিসমেত কার্যকর কেন্দ্রীয় কার্যালয় স্থাপন তা যে নামেই ডাকা হোক না কেন এবং ন্যূনপক্ষে ১০টি প্রশাসনিক জেলায় জেলা অফিস ও ৫০টি উপজেলা অথবা মেট্রোপলিটন থানায় থানা অফিস চালু থাকা। তা ছাড়া দলটির গঠনতন্ত্রে আবশ্যিকভাবে যে শর্তাবলি থাকতে হবে, তা হলো- দলটির কেন্দ্রীয় কমিটিসহ সব পর্যায়ের সব কমিটির সদস্য নির্বাচিত হতে হবে; ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে কেন্দ্রীয় কমিটিসহ সব কমিটিতে ন্যূনতম ৩৩ শতাংশ পদ মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত রাখার লক্ষ্য নির্ধারণ; কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র বা শিক্ষক অথবা কোনো আর্থিক, বাণিজ্যিক অথবা শিল্পপ্রতিষ্ঠানের কর্মচারী ও শ্রমিক অথবা অন্য কোনো পেশার সদস্য সমন্বয়ে দলটির সহকারী অথবা সহযোগী অঙ্গসংগঠন গঠন নিষিদ্ধ করতে হবে; দলের ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, থানা, উপজেলা ও জেলা কমিটির প্রস্তুতকৃত প্যানেল থেকে কেন্দ্রীয় সংসদীয় বোর্ড কর্তৃক সংসদীয় আসনগুলোর প্রার্থী মনোনয়ন চূড়ান্তকরণ।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে সংশোধনী আনয়ন করে ২০০৮ খ্রিষ্টাব্দে উপরিউক্ত বিধানাবলি আদেশটিতে সন্নিবেশিত হয়। পরবর্তী দু’টি জাতীয় সংসদ যথা নবম ও দশম সংসদনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন কমিশনের কাছে নিবন্ধিত হয়। নবম সংসদ নির্বাচনটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ছিল। এ নির্বাচনে দেশের প্রধান দু’টি রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হয় এবং অপরাপর দল উভয় দলের অন্তর্ভুক্ত জোটের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল। নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর কেন্দ্রীয় কমিটিসহ সব পর্যায়ের কমিটি নির্বাচিত ছিল কি না এবং দলগুলোর সহকারী ও সহযোগী সংগঠনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র বা শিক্ষক অথবা কোনো আর্থিক, বাণিজ্যিক অথবা শিল্পপ্রতিষ্ঠানের কর্মচারী ও শ্রমিক অথবা অন্য কোনো পেশার সদস্য অন্তর্ভ্ক্তু ছিলেন কি না, এ বিষয়গুলো নির্বাচন কমিশন যথাযথভাবে পরীক্ষা বা যাচাই যে করেনি তা দল ও এর অঙ্গসংগঠনগুলোর কার্যকলাপ থেকে স্পষ্ট প্রতিভাত।
বাংলাদেশ অভ্যুদয়-পরবর্তী স্বল্পকালীন সময় ছাড়া এ দেশ তিনটি দল দ্বারা শাসিত হয়েছে। দলগুলো হলো আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টি। এ তিনটি দলের যেটি যখন ক্ষমতাসীন ছিল, এর বেশির ভাগ সময় দেখা গেছে, দলের প্রধান ও সরকারের প্রধান একই ব্যক্তি। কোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে কখনো দল ও সরকারপ্রধান এক ব্যক্তি হন না। দল ও সরকারপ্রধান অভিন্ন হলে দল ও সরকার সংক্রান্ত সব ক্ষমতা এক ব্যক্তির হাতে কেন্দ্রীভূত হয় এবং এ ক্ষেত্রে দলে বিকল্প নেতৃত্ব গড়ে ওঠার সম্ভাবনা সীমিত হয়ে পড়ে। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে যদিও বলা হয়েছে, রাজনৈতিক দলের কেন্দ্রীয় কমিটিসহ সব পর্যায়ের কমিটি নির্বাচিত হতে হবে, কিন্তু আমাদের দেশের বড় দু’টি দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বেলায় দেখা গেছে, কাউন্সিলরদের ভোটে কমিটি নির্বাচন অনেক ক্ষেত্রে বিফল হওয়ার পর দলীয় প্রধানের একক সিদ্ধান্তেই কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো পূরণ করা হয়েছে।
পৃথিবীর বেশির ভাগ গণতান্ত্রিক দেশের ক্ষেত্রে দেখা যায়, নবীন হিসেবে দলের প্রাথমিক সদস্য হয়ে যারা যোগদান করেন তাদের মধ্যে যোগ্যতমরাই দলের নেতৃত্বে আসীন হন এবং যে মুহূর্তে তিনি রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রী পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হন, সে মুহূর্তে তিনি দলের সভাপতি পদে আসীন থাকলে ওই পদটি ছেড়ে দেন।
আমাদের দশম সংসদ নির্বাচনটি প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ও এর জোটভুক্ত দলগুলো বর্জন করেছিল। ফলে এ নির্বাচন একতরফাভাবে অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটের জন্য উন্মুক্ত ৩০০টি আসনের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি আসনের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। অবশিষ্ট যে আসনগুলোতে আনুষ্ঠানিক ভোটগ্রহণ পর্ব চলেছিল, তাতে ভোটার উপস্থিতি এত নগণ্য ছিল যে, এগুলোকে কোনো বিচারেই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ বা যথাযথ নির্বাচন বলার অবকাশ নেই। জাতীয় সংসদ গঠন বিষয়ে সংবিধানের বিধানাবলির প্রতি আলোকপাত করলে দেখা যায়, একক আঞ্চলিক নির্বাচনী এলাকাগুলো থেকে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত ৩০০ সদস্য এবং ওই সদস্যদের দ্বারা নির্বাচিত ৫০ জন মহিলা সদস্য- সর্বমোট ৩৫০ সদস্য সমন্বয়ে সংসদ গঠিত হয়। দশম সংসদ নির্বাচনে বেশির ভাগ সদস্য জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত না হওয়ায় এ সংসদ সংবিধান অনুযায়ী গঠিত হয়েছে কি না সে বিষয়ে সংবিধান বিশেষজ্ঞ ও আইনজ্ঞদের মতভেদ রয়েছে। দেশবাসী এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট বক্তব্য প্রত্যাশা করেছিল। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, কমিশন সম্পূর্ণরূপে বিষয়টিকে এড়িয়ে গেছে।
নির্বাচন কমিশনের কাছে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন এবং নির্বাচন পরিচালনা, উভয়টি নির্বাচন কমিশনের একক দায়িত্ব। উভয় দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ স্বাধীন। কিন্তু প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং কমিশনারদের নিয়োগ বিষয়ে আইনের অনুপস্থিতিতে ক্ষমতাসীন দলের মুখ্য ব্যক্তি ও সরকারের প্রধান নির্বাহীর আকাক্সক্ষায় এ নিয়োগগুলো সমাধা করা হয়। এ কারণেই নিয়োগের সময় যে বিষয়টির ওপর অধিক গুরুত্ব দেয়া হয়, তা হলো নিয়োগপ্রাপ্তরা ক্ষমতাসীন দলের প্রতি কতটুকু অনুগত। বাংলাদেশের অতীত নির্বাচনগুলো পর্যালোচনায় দেখা যায়, এরূপ অনুগত ব্যক্তিরা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন।
সব দেশেই গণতন্ত্রের চর্চা নিজ ঘর অর্থাৎ নিজ দল থেকে শুরু হয়। যেকোনো গণতান্ত্রিক দেশে দলের নেতৃত্ব কাউন্সিলরদের ভোটের মাধ্যমে নির্ধারিত হয় এবং দলই তার সংসদীয় নির্বাচনী বোর্ডের মাধ্যমে মনোনয়ন-সংক্রান্ত কার্যাবলি সম্পন্ন করে থাকে। নির্বাচনে যে দল বিজয়ী হয়, সে দলের সংখ্যাগরিষ্ঠ নির্বাচিত প্রতিনিধিদের আস্থাভাজন- এমন ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ লাভ করে থাকেন। বেশির ভাগ গণতান্ত্রিক দেশেই এ প্রক্রিয়াটি স্বচ্ছ। কিন্তু আমাদের দেশে বড় রাজনৈতিক দলগুলোর ক্ষেত্রে দলীয় ও সরকারপ্রধান এক ব্যক্তি হওয়ার কারণে দল ও সরকার বিষয়ে যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে দল বা সরকারপ্রধানের আকাক্সক্ষাই কার্যকর হতে দেখা যায়।
আমাদের বড় দলগুলোর অভ্যন্তরে যেমন গণতন্ত্র নেই, তেমনি সরকারপ্রধানের হাতে এত বেশি ক্ষমতা ন্যস্ত করা হয়েছে যে, মন্ত্রিসভা বা দলের একজন সংসদ সদস্যের সরকার বা দলীয় প্রধানের আকাক্সক্ষার বাইরে নিজ অবস্থান থেকে সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ একেবারে নেই বললেই চলে।
আমাদের সংবিধান অনুযায়ী মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে কারা অন্তর্ভুক্ত হবেন এটি সরকারপ্রধানের একক ইচ্ছার ওপর নির্ভর করে এবং মন্ত্রিসভার একজন সদস্য সরকারপ্রধানের সন্তুষ্টি সাপেক্ষে মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত হন। সরকারপ্রধান একজন মন্ত্রীকে পদত্যাগ করার জন্য অনুরোধ করলে তার এ সিদ্ধান্ত অমান্য করার কোনো সুযোগ নেই।
আমাদের সংবিধান অনুযায়ী, একজন সংসদ সদস্য দলের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর ওই দল থেকে পদত্যাগ করলে অথবা সংসদে ওই দলের বিরুদ্ধে ভোটদান করলে তার সদস্যপদ শূন্য হয়ে যায়। সংবিধানের এ বিধানটি গণতন্ত্রের চিন্তাচেতনার পরিপন্থী। এ বিষয়ে প্রণিধানযোগ্য যে, একটি নির্বাচনী এলাকার একজন ভোটার যেখানে স্বাধীনভাবে ভোট প্রদান করে তার পছন্দের ব্যক্তিকে নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার ব্যাপারে ভূমিকা রাখতে পারেন, সেখানে সংসদে একজন সংসদসদস্যের স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের পথ রুদ্ধ। এরূপ বিধান যত দিন আমাদের সংবিধানে বহাল থাকবে, তত দিন তা গণতন্ত্র বিকাশের ক্ষেত্রে যে অন্তরায় হিসেবে কাজ করবে, এ বিষয়ে কারো মধ্যে কোনো সংশয় থাকার কথা নয়।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে দলের কেন্দ্রীয় কমিটিসহ অপরাপর কমিটি ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হওয়ার কথা থাকলেও যতক্ষণ পর্যন্ত দলীয় ও সরকারপ্রধান একই ব্যক্তি হবেন, ততক্ষণ পর্যন্ত দলের পদগুলো পূরণের ক্ষেত্রে কাউন্সিলরদের সিদ্ধান্তের চেয়ে দলীয় প্রধানের সিদ্ধান্তই যে প্রাধান্য পাবে, তা আমাদের দেশের অতীত ঘটনাপ্রবাহের বিশ্লেষণে অনেকটা নিশ্চিত। আর সংবিধান সরকারপ্রধানকে যে ক্ষমতা দিয়েছে তাতে দলের নির্বাচিত কোনো সংসদ সদস্যের সরকার বা দলের পদে বহাল থাকতে হলে সরকারপ্রধানের ইচ্ছার বাইরে কোনো কিছু করার সুযোগ নেই। এরূপ সুযোগের অনুপস্থিতি কখনো গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা বিনির্মাণের জন্য সহায়ক নয়। তাই নির্দ্বিধায় বলা যায়, দলের অভ্যন্তরে গণতন্ত্র না থাকা জাতীয় ক্ষেত্রে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথে অন্তরায়।
লেখক : সাবেক জজ; সংবিধান, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিশ্লেষক


- See more at: Click This Link

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.