![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বেশির ভাগ গণতান্ত্রিক দেশে জাতীয় ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়ে থাকে। যেকোনো দেশের এসব নির্বাচনে যখন দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হয়, তখন এগুলো অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে পরিচালনার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হয়। যেকোনো গণতান্ত্রিক দেশে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরই বিজিত দলের প্রধান পরাজয় স্বীকার করে বিজয়ী দলের প্রধানকে অভিনন্দন জানিয়ে থাকেন এবং তাকে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস প্রদান করেন। কিন্তু এ ক্ষেত্রে আমাদের বাংলাদেশ ব্যতিক্রম। বাংলাদেশে যতগুলো জাতীয় ও স্থানীয় সরকারসংক্রান্ত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, এর প্রথমোক্তটির কোনটিতে বিজিত দলের প্রধান পরাজয় স্বীকার করে বিজয়ী দলের প্রধানকে অভিনন্দন জানাননি। শেষোক্তটির ক্ষেত্রে মাত্র দুয়েকটিতে পরাজিত প্রার্থী কর্তৃক অভিনন্দন জানানোর ঘটনা ঘটে।
এ দেশে প্রধান রাজনৈতিক দল বলতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি (বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল) এ দুটি দলকে বোঝায়। তারা একাধিক বার নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে দেশ পরিচালনার সুযোগ পেয়েছেন; কিন্তু এ দু’টি দল একটির ওপর অপরটি আস্থাশীল নয়। এতে পারস্পরিক আস্থাহীনতা ও অবিশ্বাসের কারণে এ সংসদ নির্বাচন কালীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার বিধান প্রবর্তন করা হয়েছিল। কিন্তু দুঃখের সাথে বলতে হয়, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনেও উভয় দল যখন হেরে গেছে, তখন তাদের কাছে ফলাফল গ্রহণযোগ্য হয়নি।
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা মূলত গণতান্ত্রিক রীতিনীতির সাথে। আমাদের দেশে যখন এ ব্যবস্থাটি প্রবর্তিত হয়েছিল তখন অন্য কোনো দেশে সম্পর্কে অভিজ্ঞতা ছিল না। বিগত এক দশকে ইউরোপের রাষ্ট্র ইতালি ও গ্রিস এবং আমাদের উপমহাদেশের রাষ্ট্র পাকিস্তান ও নেপালে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার অধীনে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আমাদের দেশে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার দাবি প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও জামায়াতে ইসলামী দীর্ঘ দিন আন্দোলন করেছিল। আমাদের দেশে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা নিরপেক্ষতা বজায় রেখে দায়িত্ব পালন করতে না পার হলেও দলীয় সরকারকে কোনোভাবেই এর সঠিক বিকল্প ভাবা যায় না।
বাংলাদেশে দলীয় সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কখনো সরকারী দল পরাভূত হয়নি। এর বিপরীতে দেখা গেছে, কোনো অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে অব্যবহিত আগের ক্ষমতাসীন দল বিজয় পেতে ব্যর্থ হয়েছে। আমাদের বড় দু’টি দল সরকারে থাকাবস্থায় দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের পক্ষে, অপর দিকে বিরোধী দলে থাকাবস্থায় অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের পক্ষে। বিরোধী অবস্থানের কারণে আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতি পূর্ণতা পায়নি।
বিএনপি সরকারী দলে থাকাবস্থায় সংবিধানে একতরফভাবে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা সন্নিবেশিত করেছিল। সংবিধান হতে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাদ দেওয়াও ছিল একতরফা। যে আওয়ামী লীগ দলের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা প্রবর্তিত হয়েছিল, সরকারি দল হিসেবে একতরফাভাবে এ ব্যবস্থাটি বিলোপ করে তারাই।
আমাদের দেশে পঞ্চম, সপ্তম, অষ্টম ও নবম- এ চারটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রথমোক্তটি কর্মরত প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের অধীন, দ্বিতীয় ও তৃতীয়টি অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার অধীন এবং চতুর্থটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত গভর্নরের নেতৃত্বাধীন সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার অধীনে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এ চারটি নির্বাচনের কোনটিতেই অব্যবহিত আগের ক্ষমতাসীন দল বিজয়ী হতে পারেনি। নবম সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ এককভাবে দুই-তৃতীয়াংশের অধিক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বিজয়ী হয়। এ কারণেই নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা তুলে দেয়ার ব্যাপারে আওয়ামী লীগকে সংসদের অন্য কোনো দলের মুখাপেক্ষী হতে হয়নি। সংবিধান থেকে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা রহিত করা বিষয়টি প্রধান বিরোধী দল বিএনপি কাছে কখনো গ্রহণযোগ্য হয়নি। দলটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা রহিত বিষয়ে কঠোর অবস্থান ব্যক্ত করলেও সংসদে আসন সংখ্যা স্বল্প হওয়ায় সংসদের ভেতরে ও বাইরে কার্যকর আন্দোলন গড়ে তুলতে পারেনি।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের পর দশম সংসদ নির্বাচনটি দলীয় সরকারের অধীনে অনুষ্ঠানের উদ্যোগ নেয়া হলে বিএনপি এর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে নির্বাচন হতে সরে দাঁড়ায়। বিএনপির বর্জনের মুখে নানা নাটকীয়তায় জাতীয় পার্টির সহায়তায় একতরফা ও ভোটারবিহীনভাবে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনটিতে দেখা গেছে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটের জন্য উন্মুক্ত ৩০০টি আসনের মধ্যে ১৫৩টি আসনের প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। যে ১৪৭টি আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল, এগুলোর অধিকাংশেই ভোটারদের উপস্থিতি এত নগণ্য ছিল যে, কোনো বিবেচনায় এ নির্বাচনগুলোকে গণতান্ত্রিক নির্বাচন বলার যুক্তি নেই।
দশম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের আগে ছয়টি সিটি করপোরেশন নির্বাচন হয়েছিল। এ ছয়টি সিটি করপোরেশন যথা সিলেট, বরিশাল, খুলনা, রাজশাহী, কুমিল্লা ও গাজীপুরের নির্বাচনে বিএনপিসমর্থিত প্রার্থীরা বিপুল ভোটের ব্যবধানে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীদের পরাজিত করেন। সে নির্বাচনগুলো বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনেই অনুষ্ঠিত হয়। তখন সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনের ওপর কোনোরূপ হস্তক্ষেপ করা হয়নি; তবে এর পেছনে যে উদ্দেশ্য ছিল, তা হলো দলীয় সরকারের অধীনে গুরুত্বপূর্ণ স্থানীয় সরকার নির্বাচন সুষ্ঠু হয়, এটি প্রতিষ্ঠিত করে প্রধান বিরোধী দলকে দলীয় সরকারের অধীনে সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণে আগ্রহী করা। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বিজয়ী হওয়া সত্ত্বেও সরকারী দলের প্রলোভন বিএনপিকে আকৃষ্ট করতে পারেনি। বিএনপি এ নির্বাচন বর্জন করে প্রতিহত করার ডাক দিয়েছিল কিন্তু আক্ষরিক অর্থে বিএনপি নির্বাচনটি প্রতিহত করতে না পারলেও এ নির্বাচন কোনো অর্থেই অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ছিল না। এ সাথে ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন তুল্য। আওয়ামী লীগের সাথে একযোগে জাতীয় পার্টি ও জামায়াতে ইসলামী ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জনপূর্বক প্রতিহত ঘোষণা দিয়েছিল। এ তিনটি দল নির্বাচনটি প্রতিহত করতে না পারলেও সে নির্বাচনটিও অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ছিল না; তবে দশম সংসদ নির্বাচনের সাথে ষষ্ঠ সংসদ নির্বাচনের পার্থক্য হলো বিএনপি সে নির্বাচন অনুষ্ঠানের এক মাসের মধ্যে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা সংক্রান্ত বিল পাস করিয়ে সংসদের অবলুপ্ত ঘটায়। দশম সংসদে নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে বিএনপির মতো দেশবাসীও আশা করেছিল, স্বল্পতম সময়ের মধ্যে কোনো ধরনের অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এ বিষয়ে বিএনপির সাথে সমঝোতায় উপনীত হয়ে আওয়ামী লীগ সংসদ এতদসংক্রান্ত বিল পাস করে সংসদটির অবলুপ্তি ঘটাবে। কিন্তু নির্বাচন-পরবর্তী দেখা গেল আওয়ামী লীগ নির্ধারিত সময়ে, অর্থাৎ পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পাঁচ বছরের মাথায় ছাড়া এ বিষয়ে আলোচনা করতে অনিচ্ছুক। দশম সংসদ নির্বাচনের পরবর্তী এক বছরের মধ্যে আওয়ামী লীগ নির্বাচনকালীন সরকারব্যবস্থার একটি বিহিত করবে- এ আশায় বিএনপি কোনো কর্মসূচি দেয়নি। কিন্তু যখন স্পষ্ট হয়ে গেল, আওয়ামী লীগ এ ব্যাপারে ছাড় না দেয়ার ব্যাপারে অনড়, তখন বিএনপির পক্ষ থেকে হরতাল ও অবরোধের কর্মসূচি দেয়া হয়। যা হোক, ৯০ দিনের অধিক সময় পার হওয়ার পরও যখন দেখা গেল আন্দোলনে কাঙ্খিত সফলতা আসছে না, তখন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে হঠাৎ ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা আসে। তাদের সরকারী দল আওয়ামী লীগের ধারণা ছিল বিএনপি দশম সংসদের মতো এ নির্বাচনটিও বর্জন করবে। কিন্তু বিএনপি যখন এতে অংশগ্রহণের ব্যাপারে দৃঢ়তা দেখাতে থাকে, তখন সরকারি দল আওয়ামী লীগ জনমতের বিবেচনায় নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে আশঙ্কাগ্রস্ত হয়ে পড়ল। এ নির্বাচনটিতে বিএনপি অংশ নিলেও দলটির একজন মেয়র প্রার্থী এবং বেশির ভাগ কমিশনার প্রার্থীর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক মামলা থাকায় এবং অনেক কমিশনার প্রার্থী কারান্তরীণ থাকায় উভয় দলের জন্য সমসুযোগ সংবলিত মাঠ নিশ্চিত করা যায়নি। তার পরও বিএনপির আশা ছিল এ নির্বাচন তিনটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হলে ফলাফল তাদের অনুকূলে আসবে। নির্বাচনের দিন দেখা গেল, বেশির ভাগ কেন্দ্রের নির্বাচনই ভোট জালিয়াতি, ভোট কারচুপি ও সহিংসতার কারণে মারাত্মকভাবে কলুষিত। এমতাবস্থায় দুপুর ১২টা নাগাদ তিনটি নির্বাচনই বিএনপি বর্জনের ঘোষণা দিতে বাধ্য হয়।
বর্তমান যে নির্বাচন কমিশন রয়েছে এর একজন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও চারজন কমিশনার আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত। বিগত দশম সংসদ নির্বাচন, পরবর্তী উপজেলা পরিষদ নির্বাচন এবং সম্প্রতি সম্পন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচন পর্যালোচনায় প্রতীয়মান হয়, এ নির্বাচন কমিশন মেরুদণ্ডহীন ও আজ্ঞাবহ এবং স্বাধীনভাবে কাজ করতে অক্ষম।
দশম সংসদ নির্বাচনটি দলীয় সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হওয়ার কারণে বিএনপি বর্জন করেছিল। তখন এ বিষয়ে বিএনপির নেতা-কর্মী এবং জনসাধারণের মধ্যে দ্বিধাবিভক্তি ছিল। অনেকেই অভিমত ব্যক্ত করেছিলেন যে, বর্জনের মধ্য দিয়ে বিএনপি সংসদে না থাকার কারণে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে এবং এতে করে নেতাকর্মীরা হতাশাগ্রস্ত হওয়ায় দলের ওপর এর সুদূরপ্রসারী নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। অপর দিকে, বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতাদের অভিমত ছিল। দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ নির্বাচনকে প্রভাবিত করে বিজয় থেকে বিএনপিকে বঞ্চিত করবে। নেতাদের এ ধারণাটি যে অমূলক ছিল না তা সম্প্রতি অনুষ্ঠিত সিটি করপোরেশন নির্বাচন থেকে স্পষ্ট। দশম সংসদ নির্বাচন ও এবারের সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মধ্যে পার্থক্য হলো, প্রথমোক্তটি দলীয় সরকারের অধীন অনুষ্ঠিত হওয়ায় নির্বাচন অনুষ্ঠানের আগেই বিএনপি বর্জন করেছিল আর শেষোক্তটি দলীয় সরকারের অধীনে হওয়া সত্ত্বেও নির্বাচনের দিন ভোট জালিয়াতি, কারচুপি ও সহিংসতা পর্যবেক্ষণ করে মাঝপথে বর্জন করে।
বিএনপির মতো আওয়ামী লীগেরও নির্বাচন বর্জনের ইতিহাস আছে। আওয়ামী লীগ ষষ্ঠ সংসদ নির্বাচন বর্জন করেছিল। এ বর্জন দলটিকে আওয়ামী লীগকে সপ্তম সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিল। কিন্তু সেটি কখনো সম্ভব হতো না যদি না সপ্তম সংসদ নির্বাচন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার অধীনে না হতো। সচেতন জনমানুষ যারা দশম সংসদ সিটি করপোরেশন নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছেন, তাদের অভিমত দলীয় সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সরকারী দলবহির্ভূত অন্য কোনো দলের বিজয় পাওয়া দুরূহ। সাধারণ মানুষের এ অভিমতের ওপর ভিত্তি করে বলা যায়, দলীয় সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ সংসদ নির্বাচন বর্জন করে আওয়ামী লীগ যতটুকু অর্জন করেছিল, তা থেকে দলীয় সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত দশম সংসদ নির্বাচন ও সম্প্রতি সিটি নির্বাচন বর্জন করে বিএনপির অর্জন কোনো অংশে কম নয়। উভয়ের অর্জন যখন সমরূপ তখন বর্জনের মধ্য দিয়ে যে অর্জন, তাতে প্রতিষ্ঠিত হয় যে, এদেশে দলীয় সরকার এখনো অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনের অনকূল পরিবেশ সৃষ্টি করে জনমতের প্রকৃত প্রতিফলনে সরকার গঠন করতে অক্ষম।
লেখক : সাবেক জজ, সংবিধান, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিশ্লেষক
- See more at: Click This Link
©somewhere in net ltd.