![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফা দাবি নিয়ে পরিকল্পিতভাবে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। বিশেষ করে একটি দফায় উল্লিখিত নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশা সম্পর্কিত বক্তব্যের বিকৃত ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে- এই দাবি মানলে নারীদের ঘরের মধ্যে বন্দী হয়ে থাকতে হবে। কোনো চাকরি করতে পারবে না, এমনকি গার্মেন্ট শ্রমিকেরা নিজ ক্ষেত্রে কাজ করতে পারবে না। আর এভাবে জাতিকে মধ্যযুগে ফিরিয়ে নেয়ার জন্যই হেফাজতে ইসলাম এই দাবি পেশ করেছে। তবে হেফাজতে ইসলামের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এটি ঘাদানিক বামদের মিথ্যা অপপ্রচার। হেফাজতের আন্দোলন নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি এবং আন্দোলন থেকে দৃষ্টি ভিন্ন দিকে নেয়ার অপচেষ্টা মাত্র। হেফাজতে ইসলাম নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশা বন্ধ করার কথা বলেছে। বিশেষ করে শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চ কেন্দ্র করে নারী পুরুষের একই তাঁবুতে রাত যাপন, একত্রে গায়ে গায়ে লেগে অশালীনভাবে চলাফেরা ও মেলামেশার মতো যেসব বেহায়পনার ঘটনা ঘটেছে সেগুলো বন্ধ করার কথাই এখানে বিশেষভাবে বলা হয়েছে।
আওয়ামী লীগ, বাম রাজনীতির সাথে জড়িত বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও নারী সংগঠনকে ইতোমধ্যে হেফাজতের দাবিগুলোর ব্যাপারে অপপ্রচারণায় মাঠে নামানো হয়েছে। গত দুই দিনে অনেক মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে এসব সংগঠন। এ ছাড়া আওয়ামী লীগ বামপন্থী সাংবাদিক, কলামিস্ট, বুদ্ধিজীবী ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিরা তাদের লেখায় এবং টেলিভিশনে টক শোতে এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনার ঝড় তোলার চেষ্টা করছেন। বিভিন্ন লাইভ টক শোতে পরিকল্পিতভাবে বিষয়টি প্রশ্নবিদ্ধ করা হচ্ছে।
হেফাজতে ইসলাম প্রায় এক মাস আগে তাদের সুনির্দিষ্ট ১৩ দফা পেশ করে ব্যাপকভাবে প্রচার করে আসছিল। গত ৬ এপ্রিল লংমার্চ ও রাজধানীতে বিশাল মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার আগ পর্যন্ত কোনো মহল থেকেই তাদের ১৩ দফা দাবি নিয়ে এভাবে কথা বলা হয়নি। কিন্তু ওই দিনের মহাসমাবেশের পর থেকেই দফা ধরে ধরে নানা অপব্যাখ্যা করে দাবিগুলোকে অযৌক্তিক আধুনিক জ্ঞান বিজ্ঞান ও প্রগতিবিরোধী হিসেবে আখ্যায়িত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। বিশেষ করে নারীসম্পর্কিত দাবিটিকে নিয়ে আলোচনার ঝড় তোলা হয়েছে।
হেফাজতের দাবির মধ্যে যে ব্যাপারে সর্বাধিক অপপ্রচার হচ্ছে তা হলো : দাবির মধ্যে নাকি রয়েছে নারীরা বাইরে বের হতে পারবে না। কোথাও চাকরি করতে পারবে না। গার্মেন্ট শ্রমিকেরা নাকি গার্মেন্টে কাজ করতে পারবে না।
কিন্তু হেফাজতের দাবির মধ্যে এ ব্যাপারে কিছুই উল্লেখ নেই। ১৩ দফা দাবি ও মহাসমাবেশের ঘোষণাপত্রের কোথাও এসব কথার উল্লেখ নেই। আগে ঘোষিত ১৩ দফার একটি দফায় এ ব্যাপারে বলা হয়েছেÑ ‘ব্যক্তি ও বাক-স্বাধীনতার নামে সব বেহায়াপনা, অনাচার, ব্যভিচার, প্রকাশ্য নারী-পুরুষের অবাধ বিচরণ, মোমবাতি প্রজ্বলনসহ সব বিজাতীয় সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে হবে।’
আর মহাসমাবেশের ঘোষণাপত্রের সপ্তম দফায় এই দাবিটিতে এভাবে বলা হয়েছে :
‘মুসলমানদের জন্য তাদের নিজস্ব মূল্যবোধ, সংস্কৃতিই অনুসরণীয়। অপসংস্কৃতিতে একাত্ম হওয়ার সুযোগ তাদের নেই। তাই ব্যক্তি ও বাক-স্বাধীনতার নামে সব ধরনের ধর্মদ্রোহ, চিন্তা ও আচরণগত অনাচার, বেহায়াপনা, অশ্লীলতা, নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশা, ব্যভিচার, জাতীয় পর্যায়ে মঙ্গলপ্রদীপ জ্বালানোসহ অপসংস্কৃতি, বিজাতীয় ও ভিন্ন ধর্মীয় সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে হবে।
গতকাল হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির ও ঢাকা মহানগরীর আহ্বায়ক মাওলানা নূর হোসাইন কাসেমী এ জাতীয় অপপ্রচারে তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, আমরা নাকি নারীদের গৃহবন্দী ও মধ্যযুগে নিয়ে যাওয়ার নারীর অবাধ মেলামেশা বন্ধের দাবি জানিয়েছি। আজকে নারীরা যেভাবে লাঞ্ছিত হচ্ছে, ধর্ষণের শিকার হচ্ছে তা থেকে তাদের রক্ষার জন্যই আমরা মেলামেশা বন্ধের কথা বলেছি। এতে নারীদের অধিকার ও সম্মানই রক্ষা হবে। এটা অবশ্যই নারীদের কল্যাণের জন্য।
এ ব্যাপারে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মইন উদ্দিন রুহীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা নারীর অবাধ মেলামেশা ও বেহায়াপনা বন্ধের কথা বলেছি। আমরা দেখেছি শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চকে কেন্দ্র করে একই তাঁবুতে পর পুরুষের সাথে নারীরা রাত যাপন করেছে। একই কম্বলের নিচে বসে রাত কাটিয়েছে। অশালীন পোশাক পরে নারী-পুরুষ গায়ে গায়ে লেগে বসে রয়েছে। গান বাজনা করেছে। এসব বেহায়াপনা বন্ধ করার কথাই আমরা বলেছি। আমরা নারীদের চাকরি বন্ধ করা, বাইরে কাজ করতে না পারার কোনো কথা বলিনি। সেটা ইসলামও বলেনি। প্রত্যেক নারীই পর্দা করে শালীনতার সাথে চলাচল করে বাইরে বের হতে পারবে এবং কাজ করতে পারবে। এতে ইসলামের কোনো বাধা নেই।
তিনি বলেন, আমাদের পক্ষে এ দেশের তৌহিদি জনতার সমর্থন দেখে ঘাদানিকেরা দিশেহারা হয়ে অপ্রচারে নেমেছে। আমাদের আন্দোলন থেকে মানুষের দৃষ্টি ভিন্ন খাতে নিতেই তারা এটা করছে।
এ দিকে মহানগর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে গতকাল মহানগর আহ্বায়ক মাওলানা নূর হোসাইন কাসেমী বলেন, আমাদের দাবি বাস্তবায়নের সাথে মধ্য যুগে ফিরে যাওয়ার কথা বলার কী অর্থ। আল্লাহ মানুষের কখন কী প্রয়োজন সবই জানেন। সে জন্য প্রয়োজনীয় সব কিছু তিনি কুরআনের মধ্যেই দিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, আমরা অবাধ মেলামেশা বন্ধের কথা বলেছি মা-বোনদের ইজ্জত রক্ষার জন্যই। আজ তাদের ইজ্জত আব্রু লুণ্ঠিত হচ্ছে। আমরা তাদের ইজ্জত সম্ভ্রম হেফাজতের জন্যই সব ধরনের বেহায়াপনা ব্যভিচার ও নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশা বন্ধের কথা বলেছি।
২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৫
ভাবী জিওলজিস্ট বলেছেন: @ নায়ক রাজ তোমার কি চুল্কি পুল্কায়
৩| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৯
৪| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:০৬
মাজহারুল হুসাইন বলেছেন: প্রথম দাবি আল্লাহর উপর বিশ্বাস ১৫তম সংশোধনীর পুর্বে আমাদের সংবিধানে ছিল । আজ তা পুনঃস্থাপনের দাবিতে আমরা যদি মধ্য যুগে ফিরে যাই । বলতে হয়, ১৯৭৮ থেকে ২০১০ পর্যন্ত ৩২ বছর আমরা মধ্যযুগে(!) ছিলাম ।
আর মধ্যযুগ বলতে ঠিক কত সাল থেকে কত সাল তাও তারা উল্লেখ করে না । এমন হতে পারে তারা ১৯৭৮-২০১০ কে দুই যুগের মধ্যের যুগ বলে মনে করে । তাহলে তাদের দাবি ঠিক আছে ।
নারীনীতি ২০০৮ এ প্রনীত । ২০১০ এ পরিমার্জিত ও গৃহীত ।
শিক্ষানীতিও ২০০৯ এর প্রনীত ।
এরা কি ইসলামকে ভুল, আর ২০০৮ থেকে শুরু হওয়া সিদ্ধান্ত সঠিক মনে করছে ?
৫| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৫:৩৪
অনার্য পথিক বলেছেন: হ্যা, এ সম্পর্কৃত পাঠ অনেক আগেই করেছি। যে কেউ বিভ্রান্তি করতে পারে। তবে নিজের চিন্তাকে সর্বজন গ্রাহ্য করে তোলা অতিব জরুরি।
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৫২
নায়করাজ বলেছেন: এইটা দেখেন, বগল বাজানো বন্ধ হয়ে যাবে।
Click This Link)_GoGo(ExtraTorrent)