![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একসময় ব্লগ দিয়ে দুনিয়া বদলানোর স্বপ্ন দেখতাম। এখন সাংবাদিকতায় সেই স্বপ্ন দেখি। ফেসবুক প্রোফাইলঃ https://www.facebook.com/ItsTajul
আগস্ট ১৯৭১। ঢাকার অভ্যন্তরে ক্র্যাক প্লাটুনের অপরাশানে দিশেহারা পাকিস্তানী বাহিনী। রাত-দিন সর্বত্র ঢাকার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভেসে আসছে গ্রেনেড বা বোমা বিস্ফোরণের শব্দ। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে রাতে এই ধরণের বিস্ফোরণের শব্দ না শুনলে ঘুমই আসতো না মুক্তিকামী জনতার। এরই মাঝে এগিয়ে আসতে থাকে ১৪ই আগস্ট ১৯৭১, পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস। পাকিস্তানী ও রাজাকাররা এই দিনে গর্বের সাথে ওড়াবে পাকিস্তানী পতাকা, দেখাতে চাইবে বিশ্বকে বাংলাদেশের অবস্থ স্থিতিশীল, কিন্তু ক্র্যাক প্লাটুনের দূর্ধর্ষ যোদ্ধারা থাকতে তা কি হতে পারে কোনো ভাবে?
তাই এবার তারা পরিকল্পনা করলেন এক অন্যরকম যুদ্ধের। পাকিস্তানী পতাকাকে ম্লান করে অবরুদ্ধ ঢাকার আকাশে তারা ওড়াবেন বাংলাদেশী পতাকা। কিন্তু কীভাবে করবেন এই দুঃসাধ্য কাজ? প্রতিকূলতা যে প্রচুর। সাথে সাথেই তাদের মাথায় এলো এক জিনিয়াস আইডিয়া। বেলুনে বেঁধেই ঢাকার আকাশে তারা ওড়াবেন বাংলাদেশী পতাকা।
যেই ভাবনা সেই কাজ। একসাথে এত লাল-সবুজ কাপড় কিনলে সন্দেহ হতে পারে পাকিস্তানী বাহিনীর। তাই শাহাদাত চৌধুরী সদরঘাট থেকে কিনে আনেন অনেকগুলো সবুজ লুঙ্গী আর লাল রঙ্গের পুরনো কাপড়। বীর প্রতীক হাবিবুল আলম নিউমার্কেট থেকে কিনে নেন অনেক হলুদ রঙ্গের কাপড়।
কাপড় তো হলো এবার পতাকা বানানো যায় কীভাবে? এগিয়ে এলেন বীর প্রতীক হাবিবুল আলমের পরিবার। তার তিন বোন আসমা, রেশমা, শাহনাজ মিলে রাত ভর শুরু করেন বাংলাদেশী পতাকা বানানো। বাদ যায়নি চিত্রশিল্পী রফিকুন নবী ও তার পরিবার। মুক্তিযুদ্ধের শুরু থেকেই নিঃস্বার্থভাবে গেরিলাদের সহায়তা দিয়ে যাওয়া এই চিত্রশিল্পী ও তার পরিবারও বানিয়েছিলেন অনেক পতাকা। দিলু রোডের অনেক মেয়েও অংশ নেন এই পতাকা বানানোর মিশনে। সব মিলিয়ে প্রায় পাওয়া যায় আড়াই শতাধিক পতাকা।
এদিকে আরেক গেরিলা চুল্লু ধোলাইখাল থেকে যোগাড় করেন একটি গ্যাস সিলিন্ডার, সেই সাথে পুরনো ঢাকা থেকে যোগাড় করেন প্রচুর বেলুন। সব যোগাড় করে রাখা হয় ধানমন্ডীতে।
অবশেষে নির্ধারিত দিনে ১৪ই আগস্ট ১৯৭১, পাকিস্তানী ও অন্যান্য পাকীপ্রেমিকরা যখন ব্যস্ত তাদের স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে, ঠিক তখনই সকাল সাড়ে ন'টার দিকে ঢাকাবাসী প্রত্যক্ষ করে এক অবাককরা ঘটনা। মৃত্যে পাকিস্তানী পতাকা থাকলেও তীব্র বিস্ময়ে তারা তাকিয়ে দেখে আকাশ ভরে যাচ্ছে বাংলাদেশী পতাকায়। প্রতিটি পতাকার সাথে দু'কোনায় বাঁধা দু'টি বেলুন, আর তার উপর ভর করে গর্বের সাথে আয়েশী ভঙ্গীতে উড়ে চলছে বাংলাদেশী পতাকা। একটি দু'টি নয়, শত শত পতাকা উড়ে বেড়াচ্ছে শরতের আকাশে। গর্বে ফুলে ওঠে বাঙ্গালীদের হৃদয়, মুক্তির সংগ্রামে সহায়তায় আরো প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয় তারা। এই অপরাশেনার উদ্দেশ্য ছিলো পাকিস্তানী বাহিনী নিধন নয়, অবরুদ্ধ ঢাকার আটকে পড়া বাঙ্গালিদের আশা দেওয়া, মুক্তি আসছে শীঘ্রই।
আর বোকা পাকিস্তানীরা কিছুক্ষণ পরই আকাশের দিকে গুলি করতে থাকে পতাকা লক্ষ্য করে। কিন্তু অল্প কিছুক্ষণ পরেই তারা বুঝতে পারে, এই দেশের মাটি আর বাতাসের সাথে মিশে আছে এই অগণিত পতাকার অস্তিত্ব, সামান্য গুলিতে তা নিশ্চিহ্ন করা যাবে না কখনোই।
- - - - - - - - - - - - - - - - - -
মুক্তিযুদ্ধের গল্প শোন A Page totally based on liberation war 1971 ফেসবুক পেইজ থেকে নেয়া
২| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৫:২২
রামন বলেছেন:
মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অনেক মনগড়া কাহিনী আছে। যার বেশিভাগ বি এন পির শাসনামলে জিয়া পরিরারের পৃষ্টপোষকতায় জামাতি-স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির সৃষ্টি। আপনার বর্ণনানুযায়ী ৭১ এর আগস্টে ঢাকার চিত্র এরকম ছিলনা। ঢাকায় তখন পতাকা উড়ানো দুরের কথা মুক্তিবাহিনীর নাম নিতে কেউ সাহস পায়নি। আগস্ট সেপ্টেম্বর মাসে ঢাকাসহ দেশের মফস্বল শহরগুলো পাক বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে ছিল। কিন্তু এই চিত্র ধীরে ধীরে পাল্টাতে থাকে অক্টোবর মাস থেকে। আত্মসমর্পণ করার আগপর্যন্ত ঢাকা পাক বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে ছিল।
৩| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:২০
জগাই মাধব বলেছেন: lekhay Nobi sir er nam ashche.. So ghotona ta Nobi sir confirm korte parbe bole asha kori. Keu ki eita confirm korte pare na (Nobi sir re ekta call dilei asha kori ar kichu lagbe na). Ei ta confirm houa uchit.
(English text e likhar jonno sorry, Mobile to. )
৪| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:৫৮
কালোপরী বলেছেন: এটা আমার জানা ছিল না। এই চমৎকার তথ্য জানানোর জন্য লেখককে ধন্যবাদ জানাচ্ছি
৫| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৩২
নেক্সাস বলেছেন: চমৎকার তথ্য ।
+++
৬| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৪২
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: খুব ভালো লাগলো।
৭| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:০০
ইনকগনিটো বলেছেন: গতকাল ফেসবুকে দেখলাম এটা প্রথম। আগে জানা ছিল না।
শেয়ারের জন্য ধন্যবাদ।
৮| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:১৬
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন:
বাংলার বুকে মানুষ রূপি হায়নাদের উৎপাত এর তিব্র প্রতিবাদে সবাই আওয়াজ দিন ।
: হে নরাধম পশু ধিক্কার
কেন এ কুলুসিত জীবন ঐ বোন টার
ধিক আজি মানবতায়
সমাজ বিমুখ আজি এ লজ্জায়
কবি নজরুল এর বিদ্রোহী আওয়াজ
আমি মানিনাকো কোন আইন
আমি টর্নেডো আমি ভিম ভাসমান মাইন
মহা বিদ্রোহী রন ক্লান্ত আমি সেই দিন হব শান্ত যবে
উৎপীড়নের ক্রন্দন রোল
আকাশে বাতাসে ধবনিবেনা ।
বল বীর
বল উন্নত মম শীর
শীর নেহারি নত শির ঐ শিখর হিমাত্রির ।
অর্থ অন্যায়ের নিকট কখনও মাথা নত নয় ।
আজ আইনের লোকের নিকট আইন বিকৃত ও বিচারক আজ ক্ষমতার গেঁড়াকলে আমলাদের হাতের পুতুল ।
এই যে ভারত নিয়ন্ত্রন সরকার না পারছে পার্বত্য মুক্তি বাস্তবায়ন
না পারছে সিমান্তে বিএসেফ কর্তৃক অন্যায় হত্তা বন্ধ । , না পারছে দেশকে জনগণকে সামাল দিতে ,অগ্নিদহন দ্রব্য মুল্যর উদ্ধগতি ,।হাওর বিল টিপাই মুখ খাল সুন্দরবন সহ পর্যটন প্রাকৃতিক স্থান সমুহ আজ ভারতের নিয়ন্ত্রনে । বাড়ছে প্রতিনিয়ত ঘুষ দুর্নীতি ; হত্তা ধর্ষণের অহরহ চিত্র আর হায়নাদের অবৈধ দখলের রাজনীতি ।
সাধারন মানুষের বাড়ছে দুর্ভোগ , দেশ আবারও পরাধীনতার শিখলে
বন্ধি হে বাঙ্গালী জাগ্রত হও সময়ে আরেকবার ।
বাংলার বুকে মানুষ রূপি হায়নাদের উৎপাত এর তিব্র প্রতিবাদে সবাই আওয়াজ দিন ।
ধর্ষণ , ইজ্জত লুণ্ঠন , যৌন হয়রানি এবং নির্যাতন করে নির্বিশেষে হত্তা প্রভৃতি ভারত ও প্রাশ্চাত্য অন্যান্য ভবগুরে সমাজের মত আমাদের বাঙ্গালী সমাজেও প্রতিনিয়ত দেখছি এর বিস্তার ।
আমাদের রুখে দাড়াতে হবে ।নয়ত এদেশ এ জাতি আবারও বিষাক্ত কাল থাবায় নেমে আসবে অন্ধকার । মেয়েরা হারাবে তাদের পূর্ণ অধিকার । আসুন সচেতন মহল জানাই আজি তিব্র প্রতিবাদ ,
, চাই উপযুক্ত বিচার , চাই হায়েনা মুক্ত বাংলাদেশ / জানাই ধিক্কার ।
গ্রাম বাংলার সব স্থানে তাই তিব্র প্রতিবাদ জানাই
আসুন সবাই মিলে এ কর্মসূচিকে সফল করি
সত্যর আওয়াজে / বাচতে হলে লড়তে হবে সমাজে ।
***আমার আহবান , তিব্র প্রতিবাদে
আমার সাথে সবাই আওয়াজ দিন
ঢাকার বন্ধুরা মিলে প্রতিবাদ সভা এবং সারা বাংলায় যেন সব স্থানে স্কুল ,কলেজ ,বিশ্ববিদ্যালয় ,মাত্রাসা সহ সকল প্রতিষ্ঠানের ছাত্র ছাত্রিদের মধ্য সাড়া ও সচেতনতা জাগে সেই বিষয়ে সোচ্চার
হওয়ার জন্য আহবান করা গেল , প্রত্যক সচেতন ব্লগারকে এ
বিষয়ে অন্তত একটা করে পোষ্ট লিখে আওয়াজ দিন
ধর্ষক দের ফাঁসি চাই । হায়নাদের উৎপাত বন্ধ হোক , নিপাত যাক ,
বাংলার মাটিতে মেয়েদের নির্যাতন করা
চলবেনা বন্ধ হোক ।
৯| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:১৭
খান মেহেদী ইমাম বলেছেন: +++++++
১০| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:২১
আমিনুল ইসলাম সজিব বলেছেন: আমাদের দেহ-মনে - অস্তিত্বে মিশে আছে চির বিস্ময় লাল-সবুজ । কার সাধ্য ? মুছবে কে?
১১| ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৫৪
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: মহাপরিচালকের সারকথা এবং দিক নির্দেশ
২৭ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:২৩ |
শেয়ারঃ
0 0
প্রিয় দেশবাসী ও বন্ধুগন
রাস্টনীতির আওতায় সয়ং প্রধান মন্ত্রি যদি শুন্য রাস্টপতির পদ
অলংকিত করেন তাহলে প্রধান মন্ত্রীর শুন্য পদ আরেক জন এই
নীতিতে পুরন করা সম্ভব পর নয় ।
কারন রাস্টপতি পতি শপথ গ্রহনের পর পরই সাংবিধানিক ৫ বছর
মেয়াদ সে অতিক্রান্ত করবে তার রাস্টিয় ক্ষমতাবলে । কিন্তু প্রধান মন্ত্রীর শুন্য পদ নির্বাচন ব্যথিত পূরণ সম্ভব পর নয় ।
আর প্রধান মন্ত্রীর মেয়াদ কাল অতিক্রান্ত হওয়ার সাথে সাথে রাস্টপতি নিজস্ব ক্ষমতাবলে তত্ত্বাবধায়ক বা রাস্টের অভিভাবক ।
তিনি পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীর শুন্য পদ সৃষ্টির লক্ষ্য ৩ মাসের মধ্য নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় জনগণের প্রত্যক্ষ্য ভোটে বিজিত সংখ্যাগরিস্ট নেতাকে দেশের দায়িত্ব অর্পণ করবেন ।
রাস্টপতি যে কোন সংঘাত বা সহিংসতা এড়াতে সামরিক বাহিনীর হস্তক্ষেপ নিবেন এবং নির্বাচন সংক্রান্ত সহযোগী প্রধান
উপদেষ্টা নিয়োগের সমন্বয়ে ১১ সদস্য বা অধিক সদস্য বিচার পতি বেঞ্চ গঠনের মাধ্যমে দেশের সব রাস্টিয় কর্মকাণ্ড পরিচালনা করবেন ।
এই নীতি ফলফ্রসু করা দেশেও জাতী গঠনে সহায়ক
আসুন আমরা সংবিধান মেনে গণতন্ত্র কে উদ্ধার করি
নয়ত অসাংবিধানিক কর্মকাণ্ডই ইরাক আগফান পরিস্থিতির
জন্ম দেয়
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৫:০১
মরু বালক বলেছেন:
.
.
.
.
একটি দু'টি নয়, শত শত পতাকা উড়ে বেড়াচ্ছে শরতের আকাশে। .