নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

তালপাতারসেপাই

লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।

তালপাতারসেপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

সমাচারঃ গ্রামীণ ব্যাংক এবং ড. মু. ইউনূস

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৪৩



গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশে ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্টের পর শুরু হয় পাকিস্তানি ধারার দ্বি-জাতিতত্ত্বের লেবাসে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের ধারা। এ ধারাতেই নানা জিলিপির প্যাঁচ কষে ১৯৭৮-এর ৩ জুন হ্যাঁ-না ভোটের আঞ্জাম করে রাষ্ট্রপতি বনে যানহভসফাল শাসক জেনারেল।

এর মাত্র ক'দিন পর টাঙ্গাইল জেলার সদরে এক সম্মেলন কক্ষে একটি সমাবেশ ডাকা হয় জেলার সব সরকারি কর্মকর্তা ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান-মেম্বারদের। সে সমাবেশে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ময়মনসিংহের সব অনুষদের ডিনকে আমন্ত্রণ জানানো হয় এবং আমি ঘটনাক্রমে একজন ডিনের প্রতিনিধিত্ব করি। সেই সম্মেলনে জেনারেল জিয়াউর রহমান উপস্থিত থাকেন এবং তিনিই ছিলেন এর মধ্যমণি।

সম্মেলনে কার্যক্রম শুরু হয় যথারীতি এবং প্রয়াত মাহবুব আলম চাষি ছিলেন এর সঞ্চালক। বক্তব্যের শুরুতে জিয়াউর রহমানের বামপাশ্র্বে উপবিষ্ট ড. মু. ইউনূস এবং ডান পাশ্র্বে উপবিষ্ট ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়াত ভিসি ড. এসডি চৌধুরী। মাহবুব আলম চাষি পাশের (মঞ্চের) এককক্ষ থেকে বের হয়ে সঞ্চালকের ভূমিকা পালন করতে থাকেন। বক্তব্য প্রদানের প্রথমেই ডাকা হয় ড. মু. ইউনূসকে। তিনি উপস্থাপন করেন ক্ষুদ্রঋণ বিষয়ে তার চিন্তা-ভাবনা, যে কাজটি তিনি প্রথমে আরম্ভ করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের অদূরে এক গ্রামের ক'জন দরিদ্র মহিলাকে নিয়ে। গ্রামটির নাম জোবরা এবং এখানেই তার ক্ষুদ্রঋণের প্রকল্প চালুর উদ্যোগ নেয়ার চিন্তা আসে বলে জেনেছি তার কোন এক আলোচনায়। মুক্তিযুদ্ধের সফল সমাপ্তিতে কাজের সময়টা ছিল ১৯৭২-৭৩ সাল। এ সময় আমি নিজেও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহে শিক্ষক থাকাকালে প্রগতিশীল ধারার এক সমবায় প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। এটি বাস্তবায়ন হয় মুক্তগাছা থানার সিমলা গ্রামে। এ প্রকল্পটি অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সমবায় ও বিপণন বিভাগের একটি প্রকল্প ছিল এবং অধ্যাপক ড. আ মু মুয়াজ্জাম হোসেন এর নেতৃত্ব দেন। প্রকল্পটি ১৯৭৫ অবধি চালু ছিল এবং এটি ১৫ আগস্টের মর্মান্তিক ঘটনার পর বন্ধ হয়ে যায়। গোটা বাংলাদেশ তখন স্তব্ধ-বিধ্বস্ত। এই পট পরিবর্তনের মধ্যদিয়ে যে সাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছিল শক্তির মহড়ায় (সামরিক শাসনে) সেই পরিবেশ এখনও নানা কর্মে বাংলাদেশে পুরাদস্তুর বহাল রয়েছে।

টাঙ্গাইল জেলা সদরে সেদিনের সমাবেশে ড. মু. ইউনূস কর্তৃক ক্ষুদ্রঋণ প্রকল্প উপস্থাপনের পর শ্রোতাদের কাছ থেকে প্রশ্ন-বক্তব্য উপস্থাপনের আহ্বান জানানো হলে আমি সামনের সারিতে বসা_ দাঁড়িয়ে ড. মু. ইউনূসকে যে প্রশ্নটি করেছি তার জবাব আমি এখনও পাইনি। তিনি আমার প্রশ্নের উত্তর পাশ কাটিয়ে যান। জেনারেল জিয়াউর রহমান আমার দিকে চেয়ে থাকেন প্রশ্ন করার সময়। সম্মেলন কক্ষে বিরাজমান পিনপতন নীরবতা হঠাৎ করেই যেন ক্ষণিকের জন্য ভেঙ্গে যায় এবং শ্রোতাদের মধ্যে একটি গুঞ্জন উঠে। আমি তাকে প্রশ্ন করেছিলাম এভাবে ঋণ দিলে মানুষের তাৎক্ষণিক উপকার হয়- এটা আমরা জানি একেবারে জন্মলগ্ন থেকেই; কিন্তু আপনার এই ক্ষুদ্রঋণে ব্যক্তি বা সমাজ জীবনে অদূর ভবিষ্যতে কী প্রভাব-প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হবে সে ব্যাপারে আপনার বক্তব্যে আমি কিছুই বুঝতে পারলাম না। একটু বলবেন কি? তিনি বলেছিলেন এ প্রশ্নের উত্তর তিনি দিতে পারবেন না। তবে কেউ যখন কিছু করছে না (তিনি) একটা কিছু করছেন। এরপর ১৯৮১-এর ২৯ মে জেনারেল জিয়া একদল সেনার হাতে নিহত হলে জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ক্ষমতাসীন হন। অত্যন্ত ধূর্ত এই জেনারেল রাজনীতির নীতিতে কোন পরিবর্তন না এনেই জেনারেল জিয়ার নীতি অনুসরণ করেই ৯ বছর দেশ শাসন করেন।

এই জেনারেলই ১৯৮৩ সালে ক্ষুদ্রঋণ প্রকল্পকে আইনগত ভিত্তি দিয়ে গ্রামীণ ব্যাংক অধ্যাদেশ জারি করেন এবং গ্রামীণ ব্যাংক দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে বা ছড়িয়ে দেয়া হয়। অধ্যাদেশের ১নং (২) ধারায় বলা হয়েছে ইহা এমন গ্রামীণ এলাকা অবধি সম্প্রসারিত হয় যা সরকার গেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিশেষায়িত করেন। এই অধ্যাদেশে ৩৭টি ধারা রয়েছে ব্যাখ্যাসহ। সরকার কর্তৃক পরিচালকসহ চেয়ারম্যান নিয়োগের বিধি ও পরিচালকদের নির্বাচনের বিধি রয়েছে। মজার ব্যাপার হলো এই অধ্যাদেশটি অনেকেই পড়ে দেখেননি বলে আমার ধারণা, বিশেষ করে যারা সরকারের সমালোচনা করছেন অত্যন্ত নগ্নভাবে। ভেতরে-বাইরে প্রক্রিয়া সম্পর্কেও এই বিশিষ্টজনরা অবহিত নন মনে করি। ড. কামাল হোসেন বা ড. আকবর আলি খানকে আমি যখন ড. ইউনূসের পক্ষাবলম্বন করতে দেখি তখন বিস্মিত হই, কেননা ভেতরে (বাইরে যাই হোক) কী পদ্ধতিতে গ্রামীণ ভূমিহীন দরিদ্র মহিলাদের ঋণ দেয়া হয় ছোট ছোট দলে বিভক্ত করে তা খুবই প্রণিধানযোগ্য এবং আমি তার খোঁজখবর করে দেখেছি। আমার ধারণা এই বিশিষ্টজনরা ১৯৭৮ খ্রিস্টাব্দের সেই টাঙ্গাইল জেলা সদরের সমাবেশটির কথা জানেন না এবং আজকের সাংবাদিক সমাজের কেউ সেদিন সেখানে উপস্থিতও ছিলেন না, প্রথম আলোর সম্পাদকও না। গরিব মহিলাদের ধর্মবিশ্বাসকে যে ড. ইউনূস বন্ধক হিসাবে নিয়েছেন সুদ পরিশোধের ও কিস্তি পরিশোধের জন্য তা কি এই ঢাকার মহাজনব্যক্তিরা জানেন? সুদের পরিমাণ বেশি মহাজনদের তুলনায়- এ কথাটি জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হক গ্রামীণ ব্যাংক সংশোধনী বিল পাসের দিন সংসদে বলেছেন, তিনি কোন প্রাতিষ্ঠানিক ঋণ দান সংস্থার কথা বলেননি। ড. ইউনূস ক্ষুদ্রঋণের আবিষ্কারক নন, কেননা কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সেই ব্রিটিশ আমলেই তার নোবেল পুরস্কারের সমুদয় টাকা দিয়ে নওগাঁ জেলার পতিসরে এটা প্রথম প্রচলন করেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শুধু দরিদ্র মহিলাদের লক্ষ্য করে ঋণ প্রদান করেননি।

বর্তমানে গ্রামীণ ব্যাংকের ঋণগ্রহীতার সংখ্যা ৮৫ লাখ বলে দাবি করেছেন ড. মু. ইউনূস, পক্ষান্তরে পরিসংখ্যানটি ৫৩ লাখ বলে উল্লেখ করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত (জাতীয় সংসদে ভাষণ)। আমরা ইতোমধ্যে লক্ষ্য করে থাকব ড. মু. ইউনূসের সঙ্গে বিগত সরকার জেনারেল জিয়া, জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ও চারদলীয় জোট সরকারের আমলের সংখ্যতা সম্পর্কে। বহির্বিশ্বে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি বিল ক্লিনটন, তার পত্নী হিলারি ক্লিনটন ও নরওয়ের রানীর সঙ্গে এই ক্ষুদ্রঋণ প্রকল্পের গ্রামীণ ব্যাংকের কার্যক্রম পরিদর্শনের সচিত্র দৃশ্য পর্যবেক্ষণ করেছি যা অন্য কোন উপমহাদেশের অর্থনীতিবিদের কর্মের সঙ্গে আমরা দেখিনি বা দেখি না। সর্বশেষ ১৭-১১-১৩ তারিখ নিশা দেশাই বিসওয়ালের সঙ্গে এই নোবেল বিজয়ী ঢাকায় দেখা করেন দেশের এই পেক্ষাপটে! তাছাড়া, নোবেল কমিটি (নরওয়েই) সব সময় নোবেল পুরস্কার যথার্থ ব্যক্তিদের দিয়ে থাকেন এমন নিশ্চয়তাও নেই। কেউ কেউ নিজ দেশে (মার্কিন যু্ক্তরাষ্ট্রে) কারাদ-েও দ-িত হয়েছেন। রাজনৈতিক বিবেচনাও পুরস্কার বিতরণে বাদ যায় না। ইদানীং এমন কিছু উচ্চারণ ড. মু. ইউনূস করে চলেছেন বিভিন্ন সময়ে যা একজন নোবেল জয়ী ব্যক্তির আচরণে অসঙ্গিত পূর্ণই শুধু নয়, অনাকাঙ্ক্ষিতও বটে। গ্রামীণ ব্যাংক অধ্যাদেশ সংশোধন প্রশ্নেই তিনি এসব উচ্চারণ করেন। একটি কথা এখানে উল্লেখ না করে পারছি না। তা হলো দারিদ্র্য বিমোচন ব্যাপারটি এত সহজ নয় যে এখানে সেখানে কিছু ব্যবস্থা নিলেই তা সমাজ থেকে উচ্ছেদ হয়ে যায় বা যাবে। এটা সমাজ জীবনের উৎপাদন-বণ্টন সম্পদের সঙ্গে অত্যন্ত গভীরভাবে যুক্ত এবং তা উৎপাদন সম্পর্কের গায়ে হাত না দিয়ে একটা-দুটা প্রকল্প করেই বিমোচন করা যায় বা যাবে না। পৃথিবীতে এমন কোন নজির নেই। এখানেই আসে মানুষকে গ্রামে-গঞ্জে সমবায়ে সংগঠিত করার বিষয়টি। আমি আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রসঙ্গটি এখানে আনতে চাই। মানুষকে সচেতন ও শিক্ষিত করার বিকল্প কিছু নেই। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব তার চিন্তা-চেতনায়ই কাজটি করতে চেয়েছিলেন। তাই তাকে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যা করে পরাজিত শক্তির দেশীয় অনুচরেরা। খন্দকার মোশতাক জেনারেল জিয়া চক্র মুক্তিযুদ্ধের যাত্রাপথ ঘুরিয়ে দেয়। ড. ইউনূস জেনারেল জিয়ার হাত ধরে দুই জেনারেলের প্রত্যক্ষ সহায়তায় মানুষের চেতনার পথ উন্মুক্ত যাতে না হয় সে কাজটি গত ২৫ বছর ধরে করে যাচ্ছেন। ওদিকে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা প্রতিবিপ্লবী ধারার কৌশলেরই একটি দিক বলে আমি মনে করি। দেশের সম্মান এতে কতটুকু বেড়েছে সে বিচার জনগণই করবে।

এবার আমি আমার চিঠির প্রসঙ্গ নিয়ে আসি। ২০০৬-এর নোবেল পুরস্কার ড. মু. ইউনূসকে প্রদানের গুঞ্জন শুরু হলে। চর্িিঠর ভাষ্য ছিল_ মহাত্মন, শুভেচ্ছা গ্রহণ করবেন। আপনার ব্যস্ততম সময়ে এই ছোট্ট পত্রটি আপনার কার্যালয়ে পৌঁছবে আমার বিশ্বাস। আমাকে আপনি চিনেন না। তারপরও একটি ঐতিহাসিক দিন-তারিখের খোঁজে আপনাকে এই পত্র লেখা হচ্ছে। সহজে যোগাযোগ করার জন্য আপনার টেলিফোন নম্বর সংগ্রহ করেছি। তারপর আবার পত্রও লেখা। আজ থেকে ২৭ বছর আগে হবে হয় তো আপনি টাঙ্গাইল জেলা সদরে এক সম্মেলনে আপনার ক্ষুদ্রঋণ প্রকল্পটি জেনারেল জিয়াউর রহমানের উপস্থিতিতে (প্রয়াত মাহবুব আলম চাষি সাহেবের পরিচালনায়) উপস্থাপন করেন। ওই সম্মেলনে আমি বাকৃবির পশুপালন অনুষদের ডিন মহোদয়ের প্রতিনিধিত্ব করেছি। সম্মেলনে বাকৃবির সাবেক ভিসি প্রয়াত ড. এসডি চৌধুরী তার তুলা চাষ প্রকল্পও উপস্থাপন করেন। আমি, মনে পড়ছে, আপনাকে ক্ষুদ্রঋণ বিষয়ে একটি প্রশ্নও করেছিলাম। আজকে ওই সম্মেলনের দিন তারিখ সম্পর্কে আমার কাছে কোন তথ্য নেই। অনুগ্রহ করে ওই সম্মেলনের তারিখটি আমাকে জানালে কৃতার্থ বোধ করব।

আপনার প্রতি আমার আগাম ধন্যবাদ।

১৮-২-২০০৬ তারিখে লেখা চিঠির কোন উত্তর পাইনি। এমনকি টেলিফোন করলে তিনি ওই সম্মেলনের তারিখ জানাতে তার স্মরণে নেই বলে জানান। গ্রামীণ ব্যাংক অধ্যাদেশ সংশোধনে (বাংলায় লেখাতে) ও তাকে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকে বয়সের কারণে সরিয়ে দেয়াতে তিনি প্রচ- খেপে গেছেন বর্তমান মহাজোট সরকারের ওপর। তিনি দিগ্বিদিক জ্ঞানশূন্য প্রলাপের মতো বক্তব্য দিয়ে চলেছেন। গ্রামীণ ব্যাংক কেউ দখল করতে গেলে তার হাত ভেঙ্গে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ঋণ গ্রহীতাদের। যদিও এমন উদ্যোগ সরকার কোন দিন দেখায়নি। এমন কি তাদের নির্বাচনে ভোট না দেয়ারও আহ্বান জানালেন। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল তাকে রক্ষার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিলেন। এতে তিনি প্রমাণ করছেন তার নোবেল পুরস্কার পাওয়াই তদবিরের ফসল এবং তিনি বিশেষ দলীয় ব্যক্তি। পশ্চিমা বিশ্বের এক নম্বর বন্ধু ড. ইউনূস- এটাকে গোপন রাখার কোন উপায় নেই। এটাই কি বিশ্বায়নের অনিবার্যতা? ড. ইউনূসের নোবেল জয়ী হওয়াতে বাংলার মানুষের স্বার্থ আছে কিনা তা ভবিষ্যৎই বলে দেবে।

সুত্র

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.