নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

তালপাতারসেপাই

লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।

তালপাতারসেপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইতিহাস কথা বলে (ভিডিও সহযোগে)

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪২

ইতিহাস কথা বলে এমন বক্তব্য দেশের প্রাজ্ঞজনেরা প্রায়ই দিয়ে থাকেন। কথা নানা প্রকারের। সত্য কথা, মিথ্যা কথা, কটুকথা, মিষ্টিকথা অর্থাত্ সব মিলিয়ে কথার সীমা-পরিসীমা নেই।



তবে ইতিহাস যখন কথা বলে, তখন সব সময় সত্য কথাই বলে। ইতিহাসের কথাগুলো নিষ্ঠুরও বটে। ইতিহাস কাউকে কখনো ক্ষমা করে না। উদাহরণ হিসেবে ইতিহাসের কতিপয় ঘটনার উল্লেখ এখানে করা যেতে পারে।

ইসলামের ইতিহাস পাঠে জানা যায়, কারবালার যুদ্ধে মহানবীর (স.) অতিপ্রিয় নাতি ইমাম হাসান-হোসেন (রা.) এবং তাঁদের পরিবার-পরিজনকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। তাঁদেরকে হত্যার পর ইয়াজিদ এবং তাঁর অনুসারীগণ দীর্ঘসময় ধরে রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত ছিলেন। এ থেকে ধারণা করা যায়, ইয়াজিদ বাহিনীর এই নিষ্ঠুরতাকে দেশের মানুষ খুব খারাপভাবে নেয়নি বরং ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে গ্রহণ করেছিল। কিন্তু সময়ের ব্যবধানে সে চিত্র আজ সম্পূর্ণ পাল্টে গেছে। পরবর্তী প্রজন্ম ইয়াজিদের নিষ্ঠুরতাকে কোনো অবস্থাতেই মেনে নিতে পারেনি। মানুষের কাছে ইয়াজিদ আজ ঘৃণ্য জীব ছাড়া কিছু নয়। ইতিহাস তাঁকে একেবারে নর্দমায় ফেলে দিয়েছে।

১৭৫৭ সালে বৃটিশদের বিরুদ্ধে পলাশীর যুদ্ধে নবাব সিরাজউদ্দৌলার প্রধান সেনাপতি ছিলেন তাঁর অতিঘনিষ্ঠ আত্মীয় পরম আপনজন মীর জাফর আলী খান। ক্ষমতার লোভে মীর জাফর আলী খান পলাশীর যুদ্ধে বৃটিশদের পক্ষ অবলম্বন করেছিলেন। পলাশীর যুদ্ধে মীর জাফরের এই বিশ্বাস-ঘাতকতার ফলে বাংলার স্বাধীনতাই শুধু অস্তমিত হয়নি, ঘাতকের হাতে নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে নির্মমভাবে প্রাণ হারাতে হয়। সিরাজের পতনের পর কিছু সময়ের জন্য বাংলার মসনদে বসানো হয়েছিল মীর জাফরকে। মীর জাফরের এই বিশ্বাস-ঘাতকতার বিরুদ্ধে দেশে তাত্ক্ষণিকভাবে কোনো আন্দোলন গড়ে উঠেছিল, এমন তথ্য পাওয়া যায় না। তবে কালের গতির সাথে সাথে মীর জাফরের বিশ্বাসঘাতকতার সঠিক মূল্যায়ন হয়ে গেছে। ইতিহাস মীর জাফরকে আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করেছে। মীর জাফরের কৃতকর্মের জন্য আজকের মানুষ মীর জাফরকে শুধু ঘৃণাই করে না, সুযোগ পেলে তার কবরের দিকে থুতু ফেলতেও দ্বিধা করে না। ইতিহাসের এটাই নির্মম বিধান।

১৯৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে কতিপয় বিপথগামী সৈনিক রাতের অন্ধকারে নির্মমভাবে হত্যা করেছিল। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ডালিম-ফারুক-হুদার মতো কতিপয় হত্যাকারী অত্যন্ত দম্ভের সাথে প্রচার মাধ্যমে সে কথা জানিয়ে দিয়েছিল। বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায় বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীরা যখন জেনারেল জিয়ার সাথে সাক্ষাত্ করতে এসেছিল, আবেগ প্রশমিত না করতে পেরে জেনারেল জিয়া বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদেরকে আলিঙ্গন করেছিলেন। খন্দকার মোস্তাক আহমদ খুনিদেরকে সূর্যসৈনিক বলে বাহবা দিয়েছিলেন। খন্দকার মোস্তাক এবং জেনারেল জিয়া ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করেছিলেন। সেই কুখ্যাত ইনডেমনিটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার নিষিদ্ধ করা হয়েছিল এবং হত্যাকারীদেরকে নানাভাবে পুরস্কৃত করা হয়েছিল। এই তথ্য থেকে যে সত্যে আমরা উপনীত হতে পারি তা হলো বঙ্গবন্ধু হত্যার সাথে খন্দকার মোস্তাক এবং জেনারেল জিয়া সম্পৃক্ত ছিলেন। দীর্ঘ একুশ বছর ধরে সেনা শাসকেরা রাষ্ট্রক্ষমতায় থেকে বঙ্গবন্ধুর নামে নানা অপপ্রচার চালিয়ে ছিল, আমাদের স্বাধীনতার ইতিহাসেও নানা বিকৃতি ঘটানো হয়েছিল। এতো সব অপপ্রচারের পরেও বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণ ১৯৯৬ সালের সংসদ নির্বাচনে ভোটের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে রাষ্ট্রক্ষমতায় নিয়ে এসেছিল। আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রক্ষমতায় এসে খন্দকার মোস্তাক এবং জেনারেল জিয়া প্রবর্তিত কুখ্যাত ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিলের ব্যবস্থা করে। এরপর শুরু হয় বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার। আদালত থেকে বিচারের রায় হলেও আওয়ামী লীগের কার্যকালে বিচারের রায় কার্যকর করা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীকালে ২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রক্ষমতায় এসে আদালতের রায় বাস্তবায়িত করে। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের কয়জনের ফাঁসির রায় কার্যকর হয়েছে এবং অবশিষ্ট আসামিগণ ফাঁসির অপেক্ষায় আছে। এ মুহূর্তে তারা বিদেশে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। আশা করা যায় বর্তমান সরকার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদেরকে দেশে ফিরিয়ে এনে অতি শীঘ্র বিচারের রায় কার্যকর করবে। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর যারা দম্ভসহকারে বলেছিল শেখ মুজিব শেষ এবং তাঁর সাথে সাথে আওয়ামী লীগও শেষ। তাদের সেই দম্ভ মিথ্যে হয়ে গেছে। শেখ মুজিব ইতিহাসের মৃত্যুঞ্জয়, আওয়ামী লীগ এখন রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত। ইতিহাস বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদেরকে ক্ষমা করেনি। খন্দকার মোস্তাক এবং জেনারেল জিয়া মৃত্যুজনিত কারণে আদালতের বিচার থেকে নিষ্কৃতি পেয়েছেন বটে কিন্তু জনতার আদালতের শাস্তি থেকে তাদের মুক্তি নেই। মরণোত্তর বিচারের সম্মুখীন একদিন তাদেরকে হতেই হবে। ইতিহাস তাদেরকে এই অপকর্ম থেকে মুক্তি দেবে না। ইতিহাসের চাকাকে যে পেছনের দিকে ঘুরানো যায় না, এ সত্য আজ স্পষ্ট হয়ে গেছে।

বাংলাদেশে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানের পক্ষে যারা যুদ্ধ করেছিল, বাংলাদেশে তারা আজ রাজাকার বলে পরিচিত। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর যারা রাষ্ট্রক্ষমতায় এসেছিল তারা যুদ্ধাপরাধী রাজাকারদেরকে রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করেছিল। বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি বলে দাবি করলেও তারা যুদ্ধাপরাধীদের গাড়িতে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উড়ানোর অধিকার দিয়েছিল। তারা ভেবে নিয়েছিল একদিন এদেশকে তারা পাকিস্তানে রূপান্তরিত করবে। কিন্তু বাংলার মানুষ তাদের সেই স্বপ্নকে ব্যর্থ করে দিয়েছে। ২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচনকালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তার নির্বাচনী ইস্তেহারে স্পষ্ট ঘোষণা দিয়ে রেখেছিল সংসদ নির্বাচনে জয়লাভ করতে পারলে তারা '৭১ সালের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করবে। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার তাদের সেই নির্বাচনী ওয়াদা পূরণ করতে চলেছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজ অনেক দূর এগিয়ে গেছে। মহামান্য আদালত কিছু কিছু যুদ্ধাপরাধীর বিচার কাজ শেষ করে ফেলেছেন। ফাঁসির রায় দিয়েছেন এবং ইতোমধ্যেই যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় কার্যকর হয়ে গেছে। ৪২ বছর পর যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় কার্যকর করা যাবে, অনেকে তা বিশ্বাস করতে পারেননি। কিন্তু আজ তা বিশ্বাস করতে হচ্ছে। শুধু কাদের মোল্লা নয়, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন আদালতের প্রতিটি রায় কার্যকর করতে তাঁর সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। বাংলাদেশের মুক্তিকামী প্রতিটি মানুষ বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার পাশে আছেন। এখানেই তাঁর বড় ভরসা।

প্রশ্ন উঠতে পারে কাদের মোল্লার ফাঁসির ফলে দেশে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশ আজ এক মহাসংকটের সম্মুখীন। কথাটি হয়তো আংশিক সত্য। যুদ্ধাপরাধীদের সমর্থক জামায়াতে ইসলামী দেশ জুড়ে নানা রকমের নাশকতা এবং হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে। তবে সেখানে জনসমর্থন কতটুকু আছে, সেটি লক্ষ্য করবার বিষয়। কাদের মোল্লার ফাঁসির পর যদি এমন হতো দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ রাজপথে দাঁড়িয়ে এই ফাঁসির বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছে, তাহলে বুঝতে হতো এ ফাঁসি দেশের মানুষের কাম্য ছিল না। কিন্তু তেমনটি ঘটেনি। কাদের মোল্লার ফাঁসির পর দেশে যারা নাশকতার পদক্ষেপ নিয়েছে তাদের সংখ্যা অতি নগণ্য। ধ্বংসাত্মক কাজ যারা চালাচ্ছে, খবর নিয়ে জানা গেছে তারা অর্থের বিনিময়ে কাজ করছে। অর্থাত্ তারা ভাড়া খাটছে। ভাড়া করা মানুষ দিয়ে কখনো বিপ্লব ঘটানো যায় না।

বাংলাদেশে কাদের মোল্লার ফাঁসির ব্যাপারে তেমন কোনো প্রতিবাদ হয়নি একথা ঠিক, তবে পাকিস্তানের বিভিন্ন স্থান থেকে কাদের মোল্লার ফাঁসির জোরালো প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। বিষয়টি পত্র-পত্রিকার খবর থেকে তা স্পষ্ট অনুধাবন করা যাচ্ছে। পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের অধিবেশনে পর্যন্ত বিষয়টি আলোচিত হয়েছে এবং এই ফাঁসির প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। বিষয়টি তাত্পর্যপূর্ণ। বাংলাদেশের মতো একটি স্বাধীন দেশের আদালতের রায়কে যারা অবমাননা করতে চেয়েছে তারা শিষ্টাচার বহির্ভূত কাজ করেছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। ১৯৭১ সালে আমরা পাকিস্তানের যে চেহারা দেখেছিলাম এখনো যে পাকিস্তানের সেই চেহারাই আছে, পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের অধিবেশনের সিদ্ধান্তে তা স্পষ্ট হয়েছে। পাকিস্তান যে একটি জঙ্গিবাদী রাষ্ট্র সমগ্র বিশ্ব তা জেনে ফেলেছে। কাদের মোল্লারা যে ১৯৭১ সালে গণহত্যায় লিপ্ত ছিল পাকিস্তানীদের বক্তব্যে বিষয়টি আমাদের দেশের নতুন প্রজন্মের কাছে সহজে বিশ্বাসযোগ্য হয়ে উঠছে। যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে পাকিস্তানের সরকার যতো বেশি কথা বলবে, বাংলাদেশের মানুষ ততো বেশি ঐক্যবদ্ধ হবে।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং আমাদের দেশের সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যে রাজনৈতিক সংকট দেখা দিয়েছে অনেকেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সাথে তা গুলিয়ে ফেলতে বসেছেন। দেশে আজ যে নাশকতা এবং অরাজকতা শুরু হয়েছে তার জন্য কেউ কেউ দায়ী করছেন যুদ্ধাপরাধীর বিচারকে, কেউ কেউ দায়ী করছেন বিএনপি বর্জিত সংসদ নির্বাচনকে। বিষয়টি অত্যন্ত জটিল। নাশকতা দিয়ে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে যে আর কোনোক্রমেই প্রতিহত করা সম্ভব হবে না, দিন দিন তা স্পষ্ট হয়ে উঠছে। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন কতোটা গ্রহণযোগ্য হবে, সামনের দিনগুলো তা বলে দেবে। তবে বাস্তবতা এরকম (আওয়ামী লীগ যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের যে ওয়াদা জাতিকে দিয়ে রেখেছে, সামনের স্বাধীনতা দিবসের আগেই যদি আওয়ামী লীগ বিচারের রায় কার্যকর করতে পারে, সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের মানুষের কাছে আওয়ামী লীগের গ্রহণযোগ্যতা অনেক বেড়ে যাবে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকে কেন্দ্র করে বিএনপির জনবিচ্ছিন্নতা বেড়ে যাওয়ার আশংকা আছে। নতুন প্রজন্ম কোনো অবস্থাতেই যুদ্ধাপরাধীদেরকে ক্ষমা করতে প্রস্তুত নয়। পাকিস্তানের প্রতি বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মের কোনো রকম দুর্বলতা নেই। আমরা লক্ষ্য করেছি স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় তথা দেশের যাবতীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা তাদের জাতীয় পতাকাকে ভালোবাসতে অভ্যস্ত হয়ে গেছে। খেলার মাঠে গেলে আমরা এখন বুঝতে পারি বাংলাদেশের পতাকাকে এদেশের নতুন প্রজন্ম কতো আপন করে নিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানীরা যতোবেশি যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে কথা বলবে, বাংলাদেশের নতুন প্রজন্ম ততোবেশি যুদ্ধাপরাধীদের প্রতি ক্ষিপ্ত হবে। এই পরিস্থিতিতে বিএনপি যদি জামায়াতে ইসলামীর সাথে বড় বেশি ঘনিষ্ঠ হতে চায়, সেক্ষেত্রে বিএনপির নতুন প্রজন্মের কাছ থেকে বাধা আসবে। বিষয়টি হয়তো বিএনপির নেতাদের অজানা নয়। যে কারণে কাদের মোল্লার ফাঁসির পর বিএনপির নেতাদের মুখ থেকে কোনো বাক্য উচ্চারিত হয়নি। 'মৌনতাই সম্মতির লক্ষণ' এমন একটি প্রবাদ বাক্য আমাদের ভাষায় প্রচলিত আছে। বিএনপি হয়তো তার নতুন প্রজন্মকে একথাই বোঝাতে চাইছে কাদের মোল্লার ফাঁসিতে তাদের সম্মতি আছে।

অনেকেই মনে করেন, বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামী একই মুদ্রার এপিঠ আর ওপিঠ। বিষয়টি একটু ভেবে দেখবার আছে। আমাদের বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবস, একুশে ফেব্রুয়ারিতে বিএনপি এবং তাদের নতুন প্রজন্ম যেভাবে শহীদ মিনারের পাদদেশে গিয়ে মিলিত হয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পারে, জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীরা তা কিন্তু পারে না। এমনকি জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র শিবিরও আমাদের জাতীয় দিবসে নির্লিপ্ত থাকে। কিন্তু বিএনপির ছাত্র সংগঠন ছাত্রদল অত্যন্ত উত্সাহ নিয়ে জাতীয় দিবসগুলো পালন করে থাকে। এই সব ঘটনা থেকে মনে হয় আমাদের নতুন প্রজন্ম মনেপ্রাণে চাইছে ভবিষ্যত্ বাংলাদেশ যারা শাসন করবে তারা হবে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি এবং যারা বিরোধী দলে থাকবেন তারাও হবে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি। পাকিস্তানের পক্ষশক্তিকে আর কখনো বাংলাদেশের শাসন ক্ষমতায় আসতে দেবে না এ দেশের মানুষ। আমাদের প্রতিবেশী দেশের দিকে তাকালে যা দেখতে পাই তাতে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে সে দেশের মানুষ কংগ্রেস এবং বিজেপিকে শাসন ক্ষমতায় অথবা বিরোধী দলে রেখে দিয়েছে। ভারতে বিজেপির আজ যে গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে তার মূলে রয়েছে সে দেশের শিব-সেনাদের সাহচর্য তারা বর্জন করেছে। বাংলাদেশে যদি বিএনপি জামায়াতে ইসলামীর সাহচর্য বর্জন করতে পারে, সেক্ষেত্রে এদেশের মানুষের কাছে বিএনপির গ্রহণযোগ্যতা বেড়ে যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। এই সত্য বিএনপির নেতৃত্বে যারা রয়েছেন তারা যত তাড়াতাড়ি উপলব্ধি করতে পারবেন ততোই দেশের জন্য মঙ্গলজনক হবে। আওয়ামী লীগের কতিপয় সিনিয়র নেতা বলেই ফেলেছেন জামায়াতে ইসলামীর কব্জা থেকে যদি বিএনপি বেরিয়ে আসতে পারে, বর্তমান জাতীয় সমস্যা সমাধানের পথ সুগম হবে। কাদের মোল্লার ফাঁসির পর দেশের মানুষের মনে বিশ্বাস জন্মেছে, যে সমস্ত যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসির রায় হয়েছে সে রায় কার্যকর হলে বাংলাদেশের ভবিষ্যত্ রাজনীতিতে সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে বিএনপি। জামায়াতে ইসলামী যতো দুর্বল হবে, তাদের রাহুগ্রাস থেকে বিএনপি ততো সহজে মুক্তি পাবে। সুত্র

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০৯

ালসে বলেছেন: thanks buddy

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:১০

তালপাতারসেপাই বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:০৭

পথহারা নাবিক বলেছেন: এতো বেশী পেচাইয়া লিখছেন কেন!! পড়তে ইচ্ছা করতেছে না!!

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:০৮

তালপাতারসেপাই বলেছেন: পথহারা নাবিক !!! না হলে আপনি হারাবেন কি করে?

৩| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩১

এম আর ইকবাল বলেছেন:
লেখা বড় হলে পড়তে ইচ্ছা হয় না ।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:০৯

তালপাতারসেপাই বলেছেন: নাম আনুসারে MR করেিয়ে নিন :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.