নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

তালপাতারসেপাই

লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।

তালপাতারসেপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভেঙে পড়ছে অর্থনীতি কমেছে উন্নয়ন। দায় কার?

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:১৯





বৈশ্বিক মন্দার প্রেক্ষাপটে ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসেছিল আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোট। অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেওয়ার পর আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছিলেন, বিশ্বমন্দা দেশের অর্থনীতির জন্য বড় শঙ্কা। পাঁচ বছর আগের সেই শঙ্কা কাটিয়ে দেশের অর্থনীতি অনেক দূর এগিয়েছিল। আন্তর্জাতিক নানা জরিপে প্রথম সারির উদীয়মান অর্থনীতির দেশ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। মূল্যস্ফীতি কমেছে, মানুষের আয় বেড়েছে। রপ্তানি, রেমিট্যান্স, বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ- সব সূচকই ফিরেছে ইতিবাচক ধারায়। সামনের দিকে ছুটে চলা সেই অর্থনীতিকে পেছন থেকে টেনে ধরেছে সহিংস রাজনীতি।



নির্বাচনকেন্দ্রিক রাজনৈতিক অস্থিরতায় দেশের অভ্যন্তরীণ ও বহির্বাণিজ্যের সব পথ এখন অবরুদ্ধ। নরসিংদী ও যশোরের সবজি এখন আসছে না ঢাকায়, আশুলিয়া-গাজীপুরের তৈরি পোশাক যাচ্ছে না গ্যাপ কিংবা ওয়ালমার্টের শোরুমে। ধানবাহী ট্রাক জ্বলছে রাজশাহীর রাস্তায়। নাশকতার আগুনে গাজীপুরে পুড়েছে বিশ্বমানের পোশাক কারখানা। সীতাকুণ্ডে অঙ্গার হচ্ছে রপ্তানিমুখী পোশাকভর্তি ট্রাক। ফলে বাংলাদেশ ব্যাংকের ঋণ শ্রেণীকরণ নীতিমালায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা আরো বড় বিপদের মুখে পড়েছেন। ফলে প্রতিবার যেখানে ১৫ দিন করে সর্বোচ্চ এক মাস আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় বাড়ায় রাজস্ব বোর্ড, ব্যবসায়ীদের করুণ পরিণতি দেখে এবার বর্ধিত এক মাসের পর আরো এক মাস সময় বাড়িয়েছে সংস্থাটি। আপাতদৃষ্টিতে রাজনীতির বলি হিসেবে শুধু ব্যবসায়ী ও উৎপাদকের লোকসান হলেও এর প্রভাব পড়বে পুরো দেশ ও সর্বস্তরের মানুষের ওপর।



দেশে উৎপাদিত সব পণ্যের মূল্য ধরেই হিসাব করা হয় মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপি, যা দিয়ে অর্থনীতির পরিমাপ করা হয়। ব্যবসায়ী ও অর্থনীতিবিদরা বলেছেন, রাজনৈতিক সহিংসতার এ রূপ অব্যাহত থাকলে উলটপালট হয়ে যাবে অর্থনীতির সব হিসাব-নিকাশ।



অর্থবছরের তিন মাস পর নির্বাচনের তিন মাস আগে, গত অক্টোবরে নির্বাচনী বছরের সঙ্গে অর্থনৈতিক নিম্নমুখিতার চিত্র তুলে ধরে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। সংস্থাটি জানায়, নির্বাচনী বছরে প্রবৃদ্ধি কমে যায়। ১৯৯৪-৯৫ অর্থবছরে জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৪.৯০ শতাংশ হলেও পরের অর্থবছরে তা নেমে দাঁড়ায় ৪.৬০ শতাংশ। ১৯৯৬ সালটি ছিল নির্বাচনী বছর। একইভাবে ২০০০-০১ অর্থবছরে ৫.২০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়। পরের অর্থবছরে হয় ৪.৪০ শতাংশ।



২০০১ সালে নির্বাচনের কারণে ওই বছর প্রবৃদ্ধি কমে যায়। আবার ২০০৭-০৮ অর্থবছরে ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হলেও ২০০৮-০৯ অর্থবছরে হয় ৫.৭০ শতাংশ। ২০০৮ সালে নির্বাচনের কারণে ওই অর্থবছরেও প্রবৃদ্ধি কম হয়।



নির্বাচনী বছরে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমে যায়- এই তথ্য ছিল অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের হাতেও। তাই এবারও এমনটি হওয়ার আশঙ্কা করেছিলেন গত জুনে সংসদে বাজেট উপস্থাপনের সময়ই। এরশাদ সরকারের অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করার পর বিশ্বব্যাংকসহ আন্তর্জাতিক নানা গবেষণা সংস্থায় দীর্ঘদিনের কর্ম অভিজ্ঞতা থেকে তিনি তখনো আন্দাজ করতে পারেননি যে, আগামী নির্বাচনের আগে অর্থনীতি এত দূর পিছিয়ে যাবে। তাই বাজেট বক্তৃতায় ৭.৫ শতাংশ জিডিপি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণার সাহস দেখিয়েছিলেন তিনি। অর্থবছর শুরুর তিন মাসের মধ্যে সহিংস রাজনীতির ধ্বংসাত্মক রূপ দেখে অবাক অর্থমন্ত্রী গত নভেম্বরে কালের কণ্ঠকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী জিডিপি অর্জন সম্ভব হবে না। এমনকি ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনও নাও হতে পারে। দেশের অর্থনীতির স্বার্থে প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের মধ্যে 'যেকোনো ধরনের একটা সমঝোতা' চেয়ে অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, 'যেকোনো ধরনের একটা সমঝোতা হলেই সব কিছু ঠিকঠাক থাকবে। আর সমঝোতা না হলেই সর্বনাশ।'

অর্থমন্ত্রীর আশঙ্কাই সত্যি হচ্ছে। গ্রামের চুলায় চাল থেকে মুড়ি ভাজার পর তা শহরের দোকানে দোকানে বিক্রির হিসাবও থাকে জিডিপির প্রবৃদ্ধিতে। চলমান রাজনৈতিক সহিংসতায় অর্থনীতির এই ক্ষুদ্রতম কাজটিও করতে পারছে না অনেকেই। আর বড় বড় শিল্প গ্রুপ কেবল পণ্যের মজুদ নিয়ে বসে আছে। দেশের ভেতর বিক্রির জন্যও যেমন সরবরাহ করতে পারছে না, তেমনি বিদেশে রপ্তানির জন্য পাঠাতে পারছে না বন্দরেও। পচনশীল পণ্যগুলো উৎপাদনস্থলেই পচে যাচ্ছে। অন্যদিকে যন্ত্রপাতি, শ্রমিক সব থাকা সত্ত্বেও বন্দরে থাকা কাঁচামাল আনতে না পারায় বন্ধ হয়ে যাচ্ছে কারখানাগুলোও।



রাজনৈতিক অস্থিরতা ও গার্মেন্টে আগুনের পরিপ্রেক্ষিত গতকাল রবিবার পোশাক কারখানার মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর কার্যালয়ে জরুরি বৈঠক করেন বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের কাছে মূল বক্তব্য তুলে ধরতে গিয়ে বিজিএমইএ সভাপতি আতিকুল ইসলাম বলেন, 'আমরা দুই দলের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি যেন তারা রাজনৈতিক সহিংসতা বন্ধ করে। আমাদের নিরবিচ্ছিন্ন ব্যবসা করার সুযোগ দেয়।'



রাজনীতির বলি পোশাক খাত হতে পারে না বলে উল্লেখ করে ওই ব্যবসায়ী সরকার ও বিরোধী দলের কাছে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা চান।



ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমদ গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, 'রাজনীতিবিদরা নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড চান। তাঁরা ব্যবসায়ীদের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড দিক, দেখেন দেশকে আমরা কোথায় নিয়ে যাই।' তিনি রাজনীতিবিদদের উদ্দেশে বলেন, 'আপনারা যা কিছুই করেন নিজেদের ভেতরে করেন। ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্পকারখানার ওপর আক্রমণ করবেন না।'



বিদ্যমান বিনিয়োগ নিয়ে ব্যবসায়ীদের এত শঙ্কার মধ্যে নতুন করে আর বিনিয়োগের কথা ভাবছেন না তাঁরা। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল হবে- এমন লক্ষণ দেখতে না পেরে মূলত ভবিষ্যতে বিনিয়োগের জন্য মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানি করছেন না তাঁরা। কমিয়ে দিয়েছেন বিনিয়োগের প্রস্তাব নিবন্ধন এবং ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়াও।



বিনিয়োগ বোর্ডের হিসাব অনুযায়ী, ২০১২-২০১৩ অর্থবছরে বিনিয়োগ বোর্ডে এক হাজার ৪৫৭টি স্থানীয় বিনিয়োগ প্রস্তাব নিবন্ধন নিয়েছে। আগের (২০১১-২০১২) অর্থবছর নিবন্ধিত বিনিয়োগ প্রস্তাবের সংখ্যা ছিল এক হাজার ৭৩৫। আর চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে (জুলাই-অক্টোবর) ২৭০টি বিনিয়োগ প্রস্তাব নিবন্ধিত হয়েছে বলে জানা গেছে। বিনিয়োগ বোর্ডের হিসাব মতে, দেশি বিনিয়োগ প্রস্তাবের মতোই বিদেশি বিনিয়োগ প্রস্তাব নিবন্ধনের হারও কমেছে। ২০১১-২০১২ অর্থবছরে ২২১টি বিদেশি বিনিয়োগ প্রস্তাব নিবন্ধিত হয়েছে। পরের অর্থবছর তা কিছুটা কমে ২১৯টিতে দাঁড়ায়। আর চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে ৩৫টি বিদেশি বিনিয়োগ প্রস্তাব নিবন্ধন নিয়েছে।



নতুন শিল্পকারখানা স্থাপনের জন্য বিদেশ থেকে যে মূলধনী যন্ত্রপাতি (যন্ত্রপাতি ও মেশিন) আমদানি করেন উদ্যোক্তারা, আগের অর্থবছরের তুলনায় গত অর্থবছর সেগুলোর আমদানিও কমেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১০-২০১১ অর্থবছরে মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানি হয়েছে ২৩৩ কোটি ডলারের। পরের অর্থবছর তা কমে দাঁড়িয়েছে ২০০ কোটি ডলার। আর গত অর্থবছর মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানি আরো কমেছে। ২০১২-২০১৩ অর্থবছরে মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানি হয়েছে ১৮৩ কোটি ডলারের।



বাংলাদেশের প্রধান শিল্প তৈরি পোশাক ও বস্ত্র খাতের প্রধান কাঁচামাল তুলা আমদানিও একই সময়ে কমেছে। ২০১০-২০১১ অর্থবছরে ২৬৯ কোটি ডলারের তুলা আমদানি হয়েছিল। পরের বার তা কমে দাঁড়ায় ২০৮ কোটি ডলার। আর গত অর্থবছরে আরো কমে তুলা আমদানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২০০ কোটি ডলারের।



ঋণ দেওয়ার সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও ঋণদাতা না পাওয়ায় ব্যাংকে ২৮,০০০ কোটি টাকা অলস পড়ে আছে। ব্যাংকগুলোতে আমানত হিসেবে যে পরিমাণ অর্থ জমা হচ্ছে, ঋণ ও অগ্রিম হিসেবে সে পরিমাণ বিতরণ না হওয়ায় অলস অর্থের পরিমাণ বাড়ছে।



উৎপাদন, বিনিয়োগ, বাণিজ্য ও ভোগ- অর্থনীতির মূল নাড়িগুলো যে শুকিয়ে যাচ্ছে, তার প্রমাণ মেলে গত চার মাসের রাজস্ব আয়ের হিসাব থেকে। ২০০৭ সাল থেকে ইউরোপ ও আমেরিকায় শুরু হওয়া বিশ্বমন্দার সময়ও দেশের অর্থনীতি গতি ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছিল অভ্যন্তরীণ বাজারের বিশাল চাহিদা ও সরবরাহের ওপর ভর করে। চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতায় এর সবকটি সূচকেই পতন হওয়ায় দুর্বল হয়ে পড়ছে সামষ্টিক অর্থনীতির চিত্রও। এ চারটি উৎস থেকেই মূলত রাজস্ব আয় করে সরকার। চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে ৩৩,৪৯৩ কোটি টাকার রাজস্ব আয় করেছে রাজস্ব বোর্ড। এই সময়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৬,৬১২ কোটি টাকা।



সিপিডির গবেষণা পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেন, চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতায় দীর্ঘমেয়াদে বড় ধরনের প্রভাব পড়বে। কিন্তু তাৎক্ষণিক প্রভাবও সামাল দেওয়ার মতো নয়। হরতাল আর অবরোধের কারণে দেশে উৎপাদিত পণ্যের সরবরাহ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। ফলে উৎপাদক ক্ষতিগ্রস্ত। ভোক্তাদের ওপরও চাপ বাড়ছে। উচ্চমূল্যে পণ্য কেনার কারণে মানুষের প্রকৃত আয় কমে যাচ্ছে। এর প্রভাব একটি পরিবারের ওপর যেমন পড়বে, তেমনি সামগ্রিকভাবে দেশের প্রবৃদ্ধিকেও আঘাত করবে।



ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব বিজনেসের পরিচালক মামুন রশিদ বলেন, 'রাজনৈতিক অস্থিরতায় পণ্যের সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এর মারাত্মক প্রভাব রয়েছে। আজকের সবজি যেমন আগামীকাল কেউ কিনবে না, তেমনি আজকের প্রয়োজনও আগামী দিন মেটানো সম্ভব না। সরবরাহ না থাকায় ক্ষুদ্র পণ্য বিক্রি ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ কমে গেছে। এভাবে প্রত্যেক ব্যক্তি বা ভোক্তাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, যার প্রভাব পুরো দেশের আর্থ-সামাজিক খাতকেই দুর্বল করে দেবে।

চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতায় ব্যাহত হচ্ছে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড। হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচির কারণে পর্যাপ্ত বরাদ্দ পাওয়ার পরও উন্নয়ন কাজে অর্থ ব্যয় করতে পারছে না বিভিন্ন বাস্তবায়নকারী সংস্থা। চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়ন মাত্র ১৫ শতাংশ, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৫ শতাংশ কম। গত অর্থবছর এই সময়ে এডিপি বাস্তবায়নের হার ছিল ২০ শতাংশ। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) হালনাগাদ তথ্যে এ চিত্র উঠে এসেছে।

আইএমইডি সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে এডিপিতে অর্থ ব্যয় হয়েছে ৯ হাজার ৯০৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে সাত হাজার ১৫৩ কোটি এবং বৈদেশিক ঋণ থেকে দুই হাজার ৭৫৪ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। প্রথম চার মাসে সরকারি কোষাগার ও বৈদেশিক ঋণ উভয় খাত থেকে অর্থ খরচের পরিমাণ কমে গেছে। গত অর্থবছরের এই সময়ে সরকারি কোষাগার থেকে ২১ শতাংশ অর্থ খরচ হয়েছিল। অথচ চলতি বছরের এই সময়ে সরকারি অর্থ খরচ হয়েছে ১৭ শতাংশ। এ ছাড়া গত অক্টোবর পর্যন্ত বৈদেশিক ঋণ খরচ হয়েছে ১১ শতাংশ। গত বছর একই সময়ে তা ছিল ১৮ শতাংশ।

আইএমইডির কর্মকর্তারা বলছেন, সাধারণত নির্বাচনের বছরে তড়িঘড়ি করে এডিপির অর্থ বেশি ব্যয় করার প্রবণতা দেখা যায়। কিন্তু এ বছর হরতালসহ নানা রাজনৈতিক কর্মসূচি এডিপি বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত করছে। তা ছাড়া সরকারের শেষ সময় হওয়ায় ক্ষমতার পালাবদলের আশঙ্কায় সরকারি আমলা ও বাস্তবায়ন কাজে যুক্ত কর্মকর্তাদের মধ্যেও কাজের প্রতি অনীহা দেখা যাচ্ছে। এ কারণে এডিপি বাস্তবায়ন হার কমেছে।

জানা গেছে, অর্থবছরের চার মাস পেরিয়ে গেলেও দুর্নীতি দমন কমিশন এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের বরাদ্দের ১ শতাংশ অর্থও খরচ করতে পারেনি। এ ছাড়া ১৫ মন্ত্রণালয় ও বিভাগের এডিপি বাস্তবায়ন হার এখনো ১০ শতাংশের নিচে। এর পাশাপাশি সর্বোচ্চ বরাদ্দপ্রাপ্ত মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সেতু বিভাগ মাত্র ১.৫৪ শতাংশ অর্থ খরচ করেছে। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত বরাদ্দের ৫ শতাংশ এবং বিদ্যুৎ বিভাগ ৮ শতাংশ অর্থ খরচ করতে সক্ষম হয়েছে। তবে সর্বোচ্চ বরাদ্দপ্রাপ্তদের মধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ২৬ শতাংশ অর্থ খরচ করে প্রথম স্থানে রয়েছে। আর স্থানীয় সরকার বিভাগ ২৪ শতাংশ অর্থ খরচ করে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। আর রেলপথ মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় ২১ শতাংশ করে অর্থ খরচ করে যথাক্রমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে।

জানা গেছে, ১০ শতাংশের নিচে এডিপি বাস্তবায়ন হার এমন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মধ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, আইন, নির্বাচন কমিশন, সমাজকল্যাণ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, সংস্কৃতি, খাদ্য, শিল্প ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় উল্লেখযোগ্য। সুত্র 2

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৪৮

আলাদীন বলেছেন: দায় এককভাবে ডিকটেটরের।

২| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:১৯

এন ইউ এমিল বলেছেন: জনগনের

৩| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৪৮

টি-ভাইরাস বলেছেন: জাতির আব্বার যদি রাতের বেলাতে ঐ মহা ভুল টা সে না করত তাইলে আজকে কেউ পয়দা হয়ত না আর দেশ এর অবস্থা এমন হয়ত না

৪| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:১৬

মামুন_চট্টগ্রাম বলেছেন: দায় নিঃসন্দেহে জনগণের। যাদের সংসদে পাঠানো হয় তারা জনগণকে নিয়ে ঠাট্টা তামাশায় মেতে ওঠেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.