নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

তালপাতারসেপাই

লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।

তালপাতারসেপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

১৪৭ আসনে নির্বাচন ও আরো কিছু তথ্য!

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:১৩



জাতীয় সংসদের তিনশ' আসনের মধ্যে এবার ১৪৭ আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বাকি ১৫৩ আসনে কোন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় ওই সব আসনে ভোট গ্রহণ করা হবে না। ৬৪ জেলার মধ্যে ৫৯ জেলায় ভোট হবে। ভোট হচ্ছে না চাঁদপুর, রাজবাড়ী, জয়পুরহাট, শরীয়তপুর ও মাদারীপুর জেলায়। এই জেলাগুলোর সব আসনেই প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন। নির্বাচনে মোট নয় কোটি ১৯ লাখ ৬৫ হাজার ৯৭৭ জন ভোটারের মধ্যে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন চার কোটি ৩৯ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৮ জন। ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১৮ হাজার ২০৮টি।

প্রার্থী ও দল:নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ৩৯০ জন প্রার্থী। এর মধ্যে রয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ১২০ জন, জাতীয় পার্টি-জাপা'র ৬৫ জন, জাতীয় পার্টি-জেপি'র ২৭ জন, জাসদের ২১ জন, ওয়ার্কার্স পার্টির ১৬ জন, বিএনএফ এর ২২ জন, গণতন্ত্রী পার্টির একজন, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির ছয়জন, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের তিনজন, গণফ্রন্টের একজন, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের একজন এবং বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের দুইজন। এছাড়া ১০৫ জন স্বতন্ত্র প্রার্থীও নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।



১৫ জেলায় একটি আসনে নির্বাচন:

১৫ জেলায় একটি আসনে নির্বাচন হবে। এর মধ্যে আছে সিরাজগঞ্জ, নাটোর, নড়াইল, বাগেরহাট, ঝালকাঠী, পিরোজপুর, কিশোরগঞ্জ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, ফরিদপুর, ফেনী, নোয়াখালী, কক্সবাজার।



১০ জেলায় সব আসনে নির্বাচন:

নির্বাচনে ১০ জেলার সবগুলো আসনে ভোট হচ্ছে। এই জেলাগুলো হলো গোপালগঞ্জ, পঞ্চগড়, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ, মাগুরা, বরগুনা, খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি ও বান্দরবান।



আংশিক ভোট হবে যেখানে:

রাজধানী ঢাকাসহ যেসব জেলায় আংশিক ভোট হবে সেগুলো হচ্ছে লালমনিরহাট, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, বগুড়া, রাজশাহী, পাবনা, সাতক্ষীরা, ভোলা, টাঙ্গাইল, শেরপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট, লক্ষ্মীপুর।



নির্বাচন হচ্ছে ১৪৭ আসনে:

যেসব আসনে নির্বাচন হচ্ছে তা হলো পঞ্চগড়-১, পঞ্চগড়-২, ঠাকুরগাঁও-১, ঠাকুরগাঁও-৩, দিনাজপুর-১, দিনাজপুর-৩, দিনাজপুর-৪, দিনাজপুর-৫, দিনাজপুর-৬, নীলফামারী-১, নীলফামারী-৩, লালমনিরহাট-১, লালমনিরহাট-৩, রংপুর-৩, রংপুর-৪, রংপুর-৬, কুড়িগ্রাম-১, কুড়িগ্রাম-৪, গাইবান্ধা-১, গাইবান্ধা-২, গাইবান্ধা-৩, গাইবান্ধা-৪, বগুড়া-৪, বগুড়া-৭, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২, নওগাঁ-৩, নওগাঁ-৪, নওগাঁ-৫, রাজশাহী-৩, রাজশাহী-৬, নাটোর-৩, সিরাজগঞ্জ-৫, পাবনা-১, পাবনা-৩, মেহেরপুর-১, মেহেরপুর-২, কুষ্টিয়া-১, কুষ্টিয়া-৩, কুষ্টিয়া-৪, চুয়াডাঙ্গা-১, চুয়াডাঙ্গা-২, ঝিনাইদহ-১, ঝিনাইদহ-২, ঝিনাইদহ-৩, ঝিনাইদহ-৪, যশোর-২, যশোর-৪, যশোর-৫, যশোর-৬, মাগুরা-১, মাগুরা-২, নড়াইল-২, বাগেরহাট-৪, খুলনা-১, খুলনা-২, খুলনা-৩, সাতক্ষীরা-১, সাতক্ষীরা-২, বরগুনা-১, বরগুনা-২, পটুয়াখালী-১, পটুয়াখালী-৩, ভোলা-২, ভোলা-৩, বরিশাল-২, বরিশাল-৩, বরিশাল-৪, ঝালকাঠী-১, পিরোজপুর-৩, টাঙ্গাইল-২, টাঙ্গাইল-৫, টাঙ্গাইল-৬, জামালপুর-১, জামালপুর-২, জামালপুর-৪, জামালপুর-৫, শেরপুর-১, শেরপুর-২, শেরপুর-৩, ময়মনসিংহ-৩, ময়মনসিংহ-৬, ময়মনসিংহ-৭, ময়মনসিংহ-১০, ময়মনসিংহ-১১, নেত্রকোনা-১, নেত্রকোনা-২, নেত্রকোনা-৩, কিশোরগঞ্জ-৩, মানিকগঞ্জ-১, মুন্সীগঞ্জ-১, মুন্সীগঞ্জ-২, ঢাকা-১, ঢাকা-৪, ঢাকা-৫, ঢাকা-৬, ঢাকা-৭, ঢাকা-১৫, ঢাকা-১৬, ঢাকা-১৭, ঢাকা-১৮, গাজীপুর-৪, নরসিংদী-১, নরসিংদী-২, নরসিংদী-৩, নারায়ণগঞ্জ-১, ফরিদপুর-৪, গোপালগঞ্জ-১, গোপালগঞ্জ-২, গোপালগঞ্জ-৩, সুনামগঞ্জ-১, সুনামগঞ্জ-৩, সুনামগঞ্জ-৫, সিলেট-২, সিলেট-৪, মৌলভীবাজার-১, মৌলভীবাজার-২, হবিগঞ্জ-২, হবিগঞ্জ-৩, হবিগঞ্জ-৪, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫, কুমিল্লা-১, কুমিল্লা-৩, কুমিল্লা-৪, কুমিল্লা-৫, কুমিল্লা-৬, কুমিল্লা-৮, কুমিল্লা-৯, ফেনী-৩, নোয়াখালী-৬, লক্ষ্মীপুর-১, লক্ষ্মীপুর-৪, চট্টগ্রাম-২, চট্টগ্রাম-৩, চট্টগ্রাম-৪, চট্টগ্রাম-৯, চট্টগ্রাম-১১, চট্টগ্রাম-১২, চট্টগ্রাম-১৩, চট্টগ্রাম-১৫, চট্টগ্রাম-১৬, কক্সবাজার-৪, খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি ও বান্দরবান।



নির্বাচন হচ্ছে না ১৫৩ আসনে:

নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ১৩ ডিসেম্বর প্রত্যাহারের শেষ দিনে ১৫৪ আসনে কোন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিল না। ফলে স্ব স্ব আসনের রিটার্নিং অফিসাররা প্রার্থীদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করেন। এর মধ্যে হাইকোর্ট কুমিল্লা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এএসএম কামরুল ইসলামের প্রার্থিতাকে বৈধ বলে ঘোষণা করে। ফলে ইসি ওই আসনে ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়। ফলে এখন ১৫৩ আসনে ভোট হচ্ছে না। এই আসনগুলোর মধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ১২৭, জাতীয় পার্টি (জাপা) ২০, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক পার্টি-জাসদ তিন, ওয়ার্কার্স পার্টি দুই এবং জাতীয় পার্টি-জেপি প্রার্থীরা একটি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হন। ফলে এসব আসনে আর নির্বাচন লাগছে না।

সবচেয়ে বেশি প্রার্থী ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে:

সবচেয়ে বেশি সাতজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া-২ আসনে। রাঙ্গামাটিতে রয়েছে ছয়জন প্রার্থী। এছাড়া পাঁচজন করে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন খাগড়াছড়ি, কুমিল্লা-১, গাইবান্ধা-৫ আসনে। আর চারজন করে প্রার্থী রয়েছেন, নওগাঁ-৪, সিরাজগঞ্জ-৫, পাবনা-১, কুষ্টিয়া-৪, বাগেরহাট-৪, সাতক্ষীরা-২, টাঙ্গাইল-৫, শেরপুর-৩, নেত্রকোনা-১, ঢাকা-৫, লক্ষ্মীপুর-৪, চট্টগ্রাম-৪, চট্টগ্রাম-৯ ও বান্দরবান আসনে।



এবারের নির্বাচনে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক নেই বললেই চলে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কমনওয়েলথ, যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া এ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ না করার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছে।

ইসি সচিবালয়ের তথ্য অনুসারে ১৪৭টি নির্বাচনী এলাকায় দুজন বিভাগীয় কমিশনার এবং ৫৯ জন জেলা প্রশাসক রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করছেন। সহকারী রিটার্নিং অফিসার রয়েছেন ২৮৭ জন। এ ছাড়া ১৮ হাজার ২০৮ জন প্রিসাইডিং অফিসার, ৯১ হাজার ২১৩ জন সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার এবং এক লাখ ৮২ হাজার ৪২৬ জন পোলিং অফিসার দায়িত্ব পালন করছেন। এ ছাড়া দুই সদস্যবিশিষ্ট ১০৩টি ইলেকট্ররাল ইনকোয়ারি কমিটি কাজ করছে। বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে ১৪৭ জনকে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন ২৯৪ জন।

নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সেনাবাহিনীসহ সশস্ত্র বাহিনীর প্রায় ৫০ হাজার সদস্য নিয়োগ করা হয়েছে। বিজিবি নিয়োগ করা হয়েছে ১৬ হাজার ১৮১ জন। পুলিশ থাকছে ৮০ হজারের ওপরে। র‌্যাবের সংখ্যা সাড়ে আট হাজার। আনসার ভিডিপি থাকছে দুই লাখ ২০ হাজার। কোস্টগার্ডের সদস্য থাকছেন প্রায় ২০০ জন। নির্বাচন কমিশন আগেই জানিয়ে রেখেছে, নির্বাচনী দায়িত্ব পালনকালে কারো মৃত্যু হলে সরকারের নীতিমালা অনুসারে তাঁদের পরিবারের সদস্যদের পাঁচ লাখ টাকা বা গুরুতর আহত হলে প্রত্যেককে দুই লাখ টাকা করে অনুদান দেওয়া হবে।

ইসি সচিবালয়ের আরো তথ্য, এ নির্বাচনে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারদের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন মোট ১৬টি দলের ৮৪৮ জন প্রার্থী। এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন ২৫৯ জন। তাঁদের মধ্যে যাচাই-বাছাইয়ে বাদ পড়েন ২৩০ জন। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন ৩৩৪ জন। এরপর বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা দাঁড়ায় ৫৪৩ জনে। এর মধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে যান ১৫৪ জন। পরে কুমিল্লা-৮ আসনে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হাইকোর্টের নির্দেশে প্রার্থিতা ফিরে পেলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিতর সংখ্যা কমে ১৫৩ জনে দাঁড়ায়। নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী দলের সংখ্যাও কমে ১২টিতে স্থির হয়। বাছাইয়েই বাদ পড়েন বাংলাদেশ মুসলিম লীগের একমাত্র প্রার্থী। বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশের ন্যাপেরও একই অবস্থা হয়। বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির দুই প্রার্থী দুই আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু বাছাইয়ে টিকতে পারেননি তাঁরাও। ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের দুই প্রার্থীর মধ্যে একজন বাছাইয়ে বাদ পড়েন এবং অন্যজন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন।



এ অবস্থায় আগামী ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে ১৪৭টি আসনে অংশগ্রহণকারী ১২টি দলের মধ্যে আওয়ামী লীগের ১২০ জন, জাতীয় পার্টির ৬৬ জন, জাতীয় পার্টি-জেপির ২৭ জন, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের (বিএনএফ) ২২ জন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের ২১ জন, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ১৬ জন, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির ছয়জন, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের তিনজন, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের একজন, গণফ্রন্টের একজন এবং গণতন্ত্রী পার্টির একজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন ১০৪ জন। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার ১৫৩ আসনে আওয়ামী লীগের ১২৭ জন, ওয়ার্কার্স পার্টির দুজন, জাতীয় পার্টির ২০ জন, জাসদের তিনজন এবং জাতীয় পার্টি-জেপির একজন বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়ে গেছেন।

১৯টি জেলায় ঝুঁকি : ইসি সচিবালয় সূত্র জানায়, যে ৫৯টি জেলায় ভোটগ্রহণ হতে যাচ্ছে এর মধ্যে ১৯টি জেলার ৭০ থেকে ৮০টির মতো আসনকে ঝুঁকিপূর্ণ (গুরুত্বপূর্ণ) হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। বিরোধী জোটের নির্বাচন প্রতিরোধে গঠিত সংগ্রাম কমিটি, জামায়াত-শিবিরের নাশকতার আশঙ্কা এবং প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের শক্তি প্রদর্শনকে বিবেচনায় নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র চিহ্নিত করা হয়েছে। ১৮ দলীয় জোটের নেতা খালেদা জিয়া গত ৫ অক্টোবর নির্বাচন প্রতিরোধে দেশব্যাপী সংগ্রাম কমিটি গঠনের তাগিদ দিয়েছিলেন। সর্বশেষ ২৪ ডিসেম্বরও তিনি সারা দেশে সংগ্রাম কমিটি গঠনের জন্য দলের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান। এ বিষয়ে সরকারের একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা মাঠ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে নির্বাচন কমিশনের কাছে প্রতিবেদন পাঠিয়েছে। সর্বশেষ গত বুধবার একটি গোয়েন্দা সংস্থা সারা দেশে গঠিত নির্বাচনবিরোধী সংগ্রাম কমিটি এবং এর নামের তালিকা নির্বাচন কমিশনে পাঠিয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার গোয়েন্দা সংস্থার এই প্রতিবেদন রিটার্নিং অফিসার (জেলা প্রশাসক) ও জেলা পুলিশ সুপারদের কাছে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ও র‌্যাব এ তালিকা ধরে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার এবং সংগ্রাম কমিটির গুরুত্বপূর্ণ সদস্যদের গ্রেপ্তারের অভিযান শুরু করেছে।

কমিশন সচিবালয় সূত্র জানায়, গোয়েন্দা প্রতিবেদনে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, শেরপুর, নেত্রকোনা, সাতক্ষীরা, যশোর, রাজশাহী, বগুড়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নীলফামারী, গাইবান্ধা, হবিগঞ্জ, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার এক বা একাধিক আসনকে ঝুঁকিপূর্ণ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, নীলফামারী, শেরপুর, নেত্রকোনা, হবিগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ ও নোয়াখালীর এক বা একাধিক আসনের প্রার্থীরা পেশিশক্তি প্রয়োগ করতে পারেন। একই সঙ্গে জামায়াত-শিবিরও নাশকতামূলক তৎপরতা চালাতে পারে। বাকি জেলাগুলোতে বিএনপি ও জামায়াতের রাজনৈতিক অবস্থান শক্তিশালী। এসব বিবেচনায় নিয়ে কমিশন এবারের আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।

যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা : যানবাহন চলাচল সম্পর্কে নির্বাচন কমিশনের পরিপত্রে বলা হয়েছে, আজ ৪ জানুয়ারি দিবাগত রাত ১২টা থেকে ৫ জানুয়ারি দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় ট্যাক্সিক্যাব, বেবিট্যাক্সি/অটোরিকশা, মাইক্রোবাস, জিপ, পিকআপ, কার, বাস, ট্রাক, টেম্পো, লঞ্চ, ইজিবাইক, ইঞ্জিনবোট ও স্পিডবোটের চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকবে। মহানগর এলাকায় ট্যাক্সিক্যাব, মাইক্রোবাস, পিকআপ ও জিপ চলাচলের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা থাকবে। এ ছাড়া আজ দিবাগত রাত ১২টা থেকে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকবে। তবে জাতীয় হাইওয়ের ক্ষেত্রে এ নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:২৫

জেকলেট বলেছেন: B-)) B-)) B-)) B-)) ... এখন ও এইটা একটা নির্বাচন ????

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.