নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

তালপাতারসেপাই

লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।

তালপাতারসেপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্র এবং জাতিসংঘ

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৮:২২



সপ্তম নৌবহর! আমেরিকার মূল ভূখণ্ডের বাইরে সবচেয়ে বড় নেভাল ফোর্স সপ্তম নৌবহর। এর প্রধান ঘাঁটি জাপানের ইয়াকোসুকা। আমেরিকার সবচেয়ে উন্নত ও শক্তিশালী জাহাজগুলোই সপ্তম নৌবহরে থাকে। ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানের পরাজয় নিশ্চিত দেখে আমেরিকা জাতিসংঘকে ব্যবহার করে পাকিস্তানের পক্ষে সামরিক শক্তি প্রয়োগ করতে চায়। কিন্তু রাশিয়ার বিরোধিতায় জাতিসংঘকে ব্যবহারে ব্যর্থ হয়ে একতরফা শক্তি প্রদর্শনের সিদ্ধান্ত নেয় আমেরিকা। এ সময় ভিয়েতনাম যুদ্ধের কারণে সপ্তম নৌবহরের বেশির ভাগ জাহাজ ভিয়েতনামের কাছাকাছি ছিল। ১৯৭১ সালের ১০ ডিসেম্বর সপ্তম নৌবহরের কয়েকটি জাহাজ নিয়ে 'টাস্কফোর্স ৭৪' গঠন করা হয়। জাহাজগুলো সিঙ্গাপুরে একত্র হয়ে বঙ্গোপসাগর অভিমুখে যাত্রা শুরু করে। এই বহরের জাহাজগুলোর মধ্যে প্রধান জাহাজটি হলো USS Enterprise। তৎকালীন বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিমানবাহী জাহাজ এটি। জাহাজটি ৭৫টি জঙ্গি বিমান বহন করে আসছিল, যার বেশির ভাগই ছিল F-4 Phantom II ফাইটার। ওই সময় জাহাজটিতে নিউক্লিয়ার বোমাও ছিল। সপ্তম নৌবহরের আরেকটি জাহাজ USS Tripoli। এটি একটি অ্যাম্ফিভিয়াস অ্যাসল্ট শিপ। এতে ২০০০ মেরিন সেনার ব্যাটালিয়ন ও ২৫টি হেলিকপ্টার ছিল। সপ্তম নৌবহরে আরো ছিল USS King, USS Decatur, USS Parsons নামের তিনটি গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ার এবং চারটি গান ডেস্ট্রয়ার- যেগুলোর নাম USS Bausell, Orleck, McKean এবং Anderson। এ ছাড়া এই বহরে ছিল একটি নিউক্লিয়ার অ্যাটাক সাবমেরিন। জাহাজগুলো ১৪ ডিসেম্বর মালাক্কা প্রণালি অতিক্রম করে। কিন্তু রাশিয়া ও ভারতের কঠোর অবস্থানের কারণে এই নৌবহর বঙ্গোপসাগরে অবস্থান নিতে সাহস করেনি। ভারতীয় নৌবাহিনী তাদের বিমানবাহী জাহাজ INS Vikrant ও অন্যান্য জাহাজের সাহায্যে বঙ্গোপসাগরে নেভাল ব্লকেড দিয়ে রেখেছিল। রাশিয়া সপ্তম নৌবহরকে ঠেকানোর জন্য বঙ্গোপসাগরে ব্যাপক সামরিক শক্তি সমাবেশের ঘোষণা দেয়। ফলে আমেরিকা সপ্তম নৌবহর ফিরিয়ে নেয়। সুত্র

৭১এর স্বাধীনতা বিরোধী সেই অবস্থান এখনও বজায় রেখেছে

যুক্তরাষ্ট্র



এবং

জাতিসংঘ



যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রশ্নে জাতিসংঘ এবং যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান-ভূমিকা ক্রমেই স্পষ্ট হয়েছে। বিচার নিয়ে তারা অত্যন্ত কৌশলতায় নানামুখী কর্তব্য পালন করলেও; কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় বাস্তবায়নের পর তাদের কৌশলের মুখোশ উন্মোচিত হয়েছে। স্পষ্ট হয়েছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও রায়ে তাদের নেতিবাচক অবস্থান। সমপ্রতি জামায়াতে ইসলামী কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় বাস্তবায়ন না করার উদ্যোগ এবং পদক্ষেপের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি এবং জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুনকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে দুটি পত্র পাঠিয়েছে। এমন কি আগামীতে সাজাপ্রাপ্তদের রায় বাস্তবায়নে বাধা প্রদানে তাদের উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে।

জাতিসংঘ একটি বিশ্ব সংস্থা বা সম্মিলিত সংগঠন। সদস্য দেশসমূহের সমন্বয়ে একটি রাষ্ট্রসংঘ। তবে বাস্তবতা হচ্ছে জাতিসংঘ স্বকীয় এবং স্বাধীন কোন প্রতিষ্ঠানরূপে নিজেকে প্রমাণ দিতে পারেনি। এবং জাতিসংঘের নিয়ন্ত্রকরূপেও সদস্য সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ নেই। সদস্য রাষ্ট্রগুলো জাতিসংঘে চাঁদা প্রদান ব্যতীত অন্য কোন দিকনির্দেশনা প্রদানের দাবিদার হতে পারেনি। জাতিসংঘের একক নিয়ন্ত্রক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। চীন, রাশিয়া, জার্মান, ফ্রান্সসহ সমৃদ্ধ ও প্রভাব প্রতিপত্তিশালী দেশসমূহের প্রতি জাতিসংঘের কিছুটা নমনীয়তা লক্ষ্য করা গেলেও জাতিসংঘ পরিচালিত হয় মূলত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইশারা-ইঙ্গিতে, আদেশ-নির্দেশে। জাতিসংঘের মহাসচিবের পদে কাকে নিয়োগ দেয়া হবে; এটিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একক কর্তৃত্বের ওপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রই নির্ধারণ করে দেয় কে মহাসচিব হবেন। বর্তমান মহাসচিব মার্কিন মিত্র দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিক বান কি মুন। জাতিসংঘ মার্কিন স্বার্থ হাসিলে আজ্ঞাবহ বিশ্বসংস্থা। জাতিসংঘের স্বকীয়তা বলে কিছু নেই। যুক্তরাষ্ট্রের ঢালরূপে কার্যত জাতিসংঘ বিশ্বব্যাপী মার্কিনি তাঁবেদারিতে নিয়োজিত রয়েছে। নামমাত্র বিশ্ব সংস্থা কিন্তু কার্যত জাতিসংঘ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পকেটস্থ সংস্থামাত্র। অতীতে জাতিসংঘের ভূমিকায় কিছুটা ভারসাম্য থাকলেও; সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর জাতিসংঘ এখন সম্পূর্ণরূপে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তল্পিবাহক সংস্থা।

যুক্তরাষ্ট্রের ইরাক আক্রমণের পূর্বক্ষণে ইরাকের পারমাণবিক অস্ত্র তল্লাশিতে জাতিসংঘর পর্যবেক্ষক দল প্রেরণ করেছিল। ইরাকের পারমাণবিক অস্ত্র নেই_ এই সংবাদ গোপন বার্তায় নিশ্চিত হওয়ামাত্র জাতিসংঘের পর্যবেক্ষণ দলটিকে দ্রুত ইরাক থেকে ফিরিয়ে আনা হয়। এবং যুক্তরাষ্ট্র ইরাক আক্রমণ করে। কুয়েত, তুরস্ক, সৌদিআরবসহ আরব বিশ্বের মার্কিনি তাঁবেদার রাষ্ট্রসমূহের ভূমি ও নিরঙ্কুশ সমর্থনে মাত্র কয়েক দিনে স্বাধীন রাষ্ট্র ইরাক ভূখ- দখল করে নেয়। ইরাক দখলে জাতিসংঘকে ঢালরূপে ব্যবহারের ধারাবাহিকতায় এখন সিরিয়া দখলের পাঁয়তারায় লিপ্ত তারা।

আমাদের মুক্তিযুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধ অবস্থান যেমন ছিল_ তেমনি ছিল জাতিসংঘের বিতর্কিত ভূমিকা। মার্কিনি আগ্রাসন আজ বিশ্ব ব্যবস্থাকে সংকটাপন্ন করে তুলেছে। মার্কিনি আগ্রাসনের-দখলদারিত্বের ক্ষেত্র তৈরিতে রোবটের মতো ভূমিকা পালন করে চলেছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘের সদস্য পদ লাভও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইচ্ছা-অনিচ্ছার ওপর নির্ভরশীল। মার্কিন মিত্র বিশ্বের একমাত্র সন্ত্রাসী ও সামপ্রদায়িক রাষ্ট্র ইসরাইলের আপত্তির কারণেই স্বাধীন ফিলিস্তিন জাতিসংঘের সদস্য পদ পায়নি। একমাত্র ইসরাইল ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আপত্তির কারণে সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্রের সমর্থন থাকা সত্ত্বেও ফিলিস্তিন জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র হতে পারেনি। এরূপ প্রচুর দৃষ্টান্ত রয়েছে। যা জাতিসংঘের ভাবমূর্তি সর্বক্ষেত্রে ক্ষুণ্ন হয়েছে।

ঘাতক যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্রদের নানামুখী অপতৎপরতা লক্ষ্য করা গেছে। ঘাতক কাদের মোল্লার ফাঁসির রায়ের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক দুই বিশেষজ্ঞ আপত্তি জানিয়েছিলেন। এমনকি রায় বাস্তবায়নের পরক্ষণে স্বয়ং জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন দুঃখ প্রকাশ করেছেন। যা আমাদের হতাশ করলেও-অবাক করেনি। আমাদের স্বাধীনতার প্রত্যক্ষ বিরোধী ভূমিকায় ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মুক্তিযুদ্ধে প্রত্যক্ষ সহযোগিতার কারণে ভারতকে শায়েস্তায় ভারত কর্তৃক পাকিস্তান দখলের অজুহাতে ভারতের বিরুদ্ধে চীনকে লেলিয়ে দিয়েছিল। চীন ভারত সীমান্তে সৈন্য সমাবেশ ঘটিয়েছিল এবং ভারত আক্রমণের উদ্দেশ্যে যুক্তরাষ্ট্র সপ্তম নৌবহর পর্যন্ত পাঠিয়েছিল। মূল উদ্দেশ্য বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ঠেকানো এবং পাকিস্তানি হানাদার ও তাদের এদেশীয় দোসরদের অব্যাহত গণহত্যা, ধর্ষণ, লুণ্ঠন নিশ্চিত করা। কিন্তু মার্কিনিদের সব উদ্যোগ, অপতৎপরতা ব্যর্থ করেই আমরা আমাদের স্বাধীনতা অর্জন করেছি।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ছিল নির্মম পরাজয়। সেই পরাজয়ের গ্লানি মুছতে এবং প্রতিশোধ তুলতে নানা অপতৎপরতা স্বাধীনতার পর মুহূর্ত হতে শুরু করে। খাদ্য সহায়তার নামে খাদ্য বোঝাই জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ফিরিয়ে নিয়ে যায়_ কেবল স্বার্থ হাসিল না হবার কারণে। সদ্য স্বাধীন যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে খাদ্য সংকট সৃষ্টিতে এবং দেশকে অস্থিতিশীল করতে নানা কূটকৌশলী পদক্ষেপ গ্রহণ করে। ১৯৭৫-এর মধ্য আগস্টের রক্তাক্ত ঘটনার মধ্য দিয়ে যার যবনিকা পতন হয়। ১৫ আগস্টের ঘটনার নেপথ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্লিষ্টতা ছিল না_ এমন কথা কেবল শিশু ও পাগলেরা বিশ্বাস করে। সেই থেকেই বাংলাদেশ বিচ্যুতির পথ ধরেছিল। যার ধারাবাহিকতায় আজকের এই পরিণতিতে পৌঁছেছে। বিশ্বে সংগঠিত এযাবৎকালের সব গণহত্যার অধিকাংশই করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আণবিক বোমাতঙ্কের অজুহাতে বিশ্বব্যাপী নৈরাজ্য সৃষ্টি করে চলেছে। অথচ বিশ্বে আণবিক বোমা একদেশ অপর দেশের ওপর প্রয়োগের দৃষ্টান্ত স্থাপিত না হলেও; মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রই একমাত্র দেশ যারা পারমাণবিক বোমা হামলার নজির রেখেছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে পারমাণবিক বোমা ফেলে লক্ষ মানুষ হত্যা করেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বিশ্বব্যাপী একচ্ছত্র সন্ত্রাসী আধিপত্য বিস্তারে লিপ্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। অথচ সন্ত্রাসী রাষ্ট্র এবং সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকা তৈরিতে মানবিকতার দোহাই তুলছে। সন্ত্রাস দমনের অজুহাতে বিশ্বজুড়ে সংঘটিত করে চলেছে নৃশংস অনাচার। অথচ বিশ্বের শীর্ষ সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ইসরাইলকে দোসর করে বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসী অপতৎপরতায় লিপ্ত স্বয়ং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আল-কায়েদা, তালেবানদের জনকও কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। কেবল স্বার্থের দ্বন্দ্বেই তাদের বিরুদ্ধে ধর্মযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছে। যে আল-কায়েদার বিরুদ্ধে ধর্মযুদ্ধে অবতীর্ণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র; সেই আল-কায়েদাকেই সিরিয়ার বিরুদ্ধে লেলিয়ে সিরিয়াবিরোধী নানা সশস্ত্র অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।

আমাদের মুক্তিযুদ্ধে আমরা কেবল পাকিস্তানকেই পরাজিত করিনি। করেছিলাম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার তাঁবেদার মিত্রদের। পাকিস্তানিদের দোসর দেশীয় জামায়াতে ইসলামীসহ ঘাতক যুদ্ধাপরাধী চক্রকেও। পরাজিতদের প্রতিশোধের স্পৃহা ছিল, আছে এবং থাকবে। অতীত পরাজয়ের প্রতিশোধেই জামায়াত-শিবির এবং আমাদের তথাকথিত বিরোধীদল আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নে দেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করতে দেশজুড়ে অব্যাহত সন্ত্রাসী অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে। তবে আমাদের সংগঠিত সচেতনতা এবং দৃঢ় প্রত্যয়ই একাত্তরের পরাজিতদের সব অপতৎপরতাকে পরাভূত করতে সক্ষম হবে। আমাদের সংগঠিত ঐক্য আজ বড়ই জরুরি। একাত্তরের মতো সংগঠিত ঐক্যই চিহ্নিত শত্রুদের দেশবিরোধী অপতৎপরতা রোধে সচেষ্ট হবে। তাই দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে দেশপ্রেমিক সব শক্তিকে এক কাতারে শামিল হয়ে দেশবিরোধীদের সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় ঐতিহাসিক কর্তব্য পালনে এগিয়ে আসতে হবে। বিজয়ী জাতিরূপে আত্মপরিচয়ে বেঁচে থাকার আর কোন বিকল্প এখন আমাদের সামনে নেই।

সুত্র

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:২৪

মহানাম বলেছেন: পৃথিবীতে সবচেয়ে নিকৃষ্ঠ ও জঘণ্য রাষ্ট্র হলো আমৈরিকা । এরাই সন্ত্রাসীদের জন্মদাতা, লালনকারী ও পৃষ্ঠপোষক । এরাই সারা বিশ্বে সন্ত্রাস ছড়িয়ে দিচ্ছে । প্রয়োজনে নিজেরাই সন্ত্রাসীর ভুমিকা পালন করে চলেছে আর জাতিসংঘ হলো তাদেরই পোষা কুকুর । তাই মনিবের ইঙ্গিতেই এই জাতিসংঘ ঘেউ ঘেউ করে । প্রকৃত অর্থে এদের কোনই ন্যায়-অন্যায় বোধ নেই ।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:৩৫

তালপাতারসেপাই বলেছেন: মহানাম বলেছেন: পৃথিবীতে সবচেয়ে নিকৃষ্ঠ ও জঘণ্য রাষ্ট্র হলো আমৈরিকা । এরাই সন্ত্রাসীদের জন্মদাতা, লালনকারী ও পৃষ্ঠপোষক । এরাই সারা বিশ্বে সন্ত্রাস ছড়িয়ে দিচ্ছে । প্রয়োজনে নিজেরাই সন্ত্রাসীর ভুমিকা পালন করে চলেছে আর জাতিসংঘ হলো তাদেরই পোষা কুকুর । তাই মনিবের ইঙ্গিতেই এই জাতিসংঘ ঘেউ ঘেউ করে । প্রকৃত অর্থে এদের কোনই ন্যায়-অন্যায় বোধ নেই ।

২| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:০১

রামন বলেছেন:
যে জাতি আরব বিশ্বসহ মুসলিম দেশগুলোর উপর অত্যাধুনিক মরনাস্ত্র ব্যবহার করে লক্ষ লক্ষ নিরপরাধ মানুষ খুন করে যাচ্ছে সেই সাম্রাজ্যবাদী অপশক্তি জামাতের মত সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে কেন এ দেশে জিয়িয়ে রাখতে চায় সেটা যে কেউ সাবালক হওয়া মাত্রই বুঝতে পারবে। মার্কিনিদের জামাতের প্রতি দরদ মাছের মায়ের পুত্র শোকের ন্যায়। তারা জানে এই দেশে থেকে তাদের উদ্দেশ্য পূরণ ও স্বার্থসিদ্ধি করতে হলে প্রথম শর্ত হিসাবে গোটা দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলতে হবে এবং সেটা জামাত দ্বারাই সম্ভব। আর পদ লেহনকারী বেইমান জামাত আগে থেকেই ধর্ষকের কাছে আত্মসমর্পণ করার মত আদর্শ জলাঞ্জলি দিয়ে তাদের সাথে লবিং করে যাচ্ছে।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৮:২১

তালপাতারসেপাই বলেছেন: রামন বলেছেন:
যে জাতি আরব বিশ্বসহ মুসলিম দেশগুলোর উপর অত্যাধুনিক মরনাস্ত্র ব্যবহার করে লক্ষ লক্ষ নিরপরাধ মানুষ খুন করে যাচ্ছে সেই সাম্রাজ্যবাদী অপশক্তি জামাতের মত সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে কেন এ দেশে জিয়িয়ে রাখতে চায় সেটা যে কেউ সাবালক হওয়া মাত্রই বুঝতে পারবে। মার্কিনিদের জামাতের প্রতি দরদ মাছের মায়ের পুত্র শোকের ন্যায়। তারা জানে এই দেশে থেকে তাদের উদ্দেশ্য পূরণ ও স্বার্থসিদ্ধি করতে হলে প্রথম শর্ত হিসাবে গোটা দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলতে হবে এবং সেটা জামাত দ্বারাই সম্ভব। আর পদ লেহনকারী বেইমান জামাত আগে থেকেই ধর্ষকের কাছে আত্মসমর্পণ করার মত আদর্শ জলাঞ্জলি দিয়ে তাদের সাথে লবিং করে যাচ্ছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.