নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

তালপাতারসেপাই

লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।

তালপাতারসেপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

৭, ১৭ ও ২৬ র্মাচ

১৮ ই মার্চ, ২০১৪ ভোর ৬:৩০

মার্চ বিদ্রোহের মাস। বিপ্লবের মাস। আত্মোপলব্ধির মাস। ১৯৭১-এর এই মাসেই বাঙালি জাতির জনক অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন। ’৭০-এর নির্বাচনে একচ্ছত্রভাবে পূর্ববাংলায় বিজয় লাভ করে পাকিস্তানের পার্লামেন্টের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা হিসেবে গোটা পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হবার যোগ্যতা তিনি অর্জন করেছিলেন। পাকিস্তানের কোনো কোনো নেতা তাকে সেই মর্মে আহ্বানও জানিয়েছিলেন। ’৭০-এর নির্বাচনে পূর্ববাংলার ১৬৯টি আসনের মধ্যে ১৬৭টি আসন পেয়ে বঙ্গবন্ধু প্রমাণ করেছিলেন তিনি হচ্ছেন পূর্ববাংলার জনগণের একমাত্র নেতা। ’৭০-এর নির্বাচন হয়েছিল ৬ দফা ভিত্তিক গণম্যান্ডেট হিসেবে। ’৬৬ সালে স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে তিনি ৬ দফা ঘোষণা করেছিলেন। ঘোষণার পর থেকেই তিনি পূর্ববাংলার জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে যে গণঅভ্যুত্থান ঘটাতে সক্ষম হয়েছিলেন, তার প্রভাবে ’৭০-এর নির্বাচন পাকিস্তানের সামরিক সরকার নির্বাচন দিতে বাধ্য হয়। ওই নির্বাচনের একচ্ছত্রভাবে বিজয়ী হওয়ার অর্থই ছিল ৬ দফার প্রতি পূর্ববাংলার জনগণের অকুণ্ঠ সমর্থন। তাই নির্বাচনে বিজয়ী হবার পর যখন জাতীয় সংসদের অধিবেশনের ঘোষণা দিয়েও তা বাতিল করা হলো, তখন অসহযোগ আন্দোলন করা ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না। এই অসহযোগ আন্দোলনের মূল লক্ষ্য ছিল গোটা বিশ্বের কাছে প্রমাণ করা যে, পূর্ববাংলার জনগণকে শাসন করবার কোনো আইনগত বা নৈতিক অধিকার পাকিস্তানি শাসকদের নেই। পহেলা মার্চ জাতীয় সংসদের অধিবেশন বাতিল করার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি দেশব্যাপী ধর্মঘটের আহ্বান জানালেন। সেই থেকে শুরু হলো তার অসহযোগ আন্দোলন। প্রায় ২৫ দিন ধরে সে আন্দোলন অব্যাহত ছিল। বঙ্গবন্ধু ঘোষিত নির্দেশনা মোতাবেক পূর্ববাংলার শাসন ব্যবস্থা চলতে থাকলো। কেন্দ্রীয় সরকারের শাসনের কোনো চিহ্ন কোথাও খুঁজে পাওয়া গেলো না। একমাত্র ক্যান্টনমেন্টে ৯৩ হাজার দখলদার বাহিনীর সৈন্যরা অবস্থান করছিল। বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাংলার জনগণ তাদের সকল প্রকার সরবরাহ বন্ধ করে দিলো। এমনকি বাঙালি বাবুর্চিরা তাদের জন্য রান্না করতেও রাজি ছিল না। পূর্ববাংলার বেতার কেন্দ্রীয় সরকারের সকল প্রচার বন্ধ করে দিলো। বঙ্গবন্ধু যা ঘোষণা দিলেন তাই প্রচার হতে লাগলো। অফিস আদালত সকল স্থানে বাঙালিরা তাদের কাজকর্ম বন্ধ করে দিলো। হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর নির্দেশ মেনে চলা শুরু করলো। নির্বাচনে জয়ী হলে ভোটের অধিকার যে কি মারাত্মক শক্তিশালী অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা যায়, তা পূর্ববাংলার মাটিতে বঙ্গবন্ধু প্রমাণ করলেন।

তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের একজন নেতা এয়ার মার্শাল আজগার খান বাংলাদেশে এসে সব কিছু দেখে মন্তব্য করেছিলেন, শেখ মুজিব ছাড়া আর কেউই পাকিস্তানের অখ-তা রক্ষা করতে সক্ষম নন। পাকিস্তানি শাসকরা জনাব ভুট্টোকে সঙ্গে নিয়ে আলোচনার ভান করলেন। বেশ কিছু সময়ক্ষেপণ করলেন। আর সেই সুবাদে পাকিস্তান থেকে হাজার হাজার সৈন্য, গোলা-বারুদ ও অস্ত্র পূর্ববাংলায় নিয়ে আসা হয়। তখন পাকিস্তানি শাসকবর্গ স্পষ্ট অনুধাবন করতে পারলো, বিশেষ করে যখন বঙ্গবন্ধু স্পষ্টতই জানিয়ে দিলেন ৬ দফা জনগণের ম্যান্ডেট, জনগণের ভোটে সে ম্যান্ডেট প্রতিষ্ঠিত। তাই ৬ দফার প্রশ্নে কোনো আপোস করা তার পক্ষে সম্ভব নয়। তখনই ভুট্টো ও পাকিস্তানের শাসকবৃন্দ পূর্ববাংলার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার নির্দেশ দেন। শুরু করা হয় সার্চলাইট অপরেশন ২৫ মার্চের কালরাতে। পাকিস্তান কর্র্তৃক যুদ্ধ ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই বঙ্গবন্ধু ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। হানাদার বাহিনী বঙ্গবন্ধুকে স্বগৃহে ২৫ মার্চ গ্রেপ্তার করে এবং পাকিস্তানের কারাগারে রাখে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে অসহযোগ আন্দোলন এক অবিস্মরণীয় ঘটনা। একচ্ছত্রভাবে নির্বাচনে বিজয়ী হবার কারণে একটা দেশের নিয়মিত সরকার গঠন করবার পূর্বেই যে একজন জননেতার নির্দেশ কি করে সমানতরাল সরকার কার্যকর হতে পারে তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রাখতে পারেন বঙ্গবন্ধু। বিশ্বে সে এক নজিরবিহীন ঘটনা। পাকিস্তানের ২৩ বছর গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকারের জন্যই বঙ্গবন্ধু সংগ্রাম করেছিলেন। ’৭১-এর মার্চ মাসে সেই ভোটের অধিকার প্রয়োগ করেই তিনি বিশ্ববাসীকে জানিয়ে দিলেন বাংলাদেশ স্বাধীন ও সার্বভৌম। জনগণ তাকে ম্যান্ডেট দিয়েছে বাংলাদেশ শাসন করবার। পাকিস্তানি শাসকদের পূর্ববাংলা শাসন করবার কোনো নৈতিক বা আইনগত অধিকার নেই। একটা জনগোষ্ঠীর ভোটের অধিকার যে কিভাবে রাজনৈতিক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে পারে, তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন বঙ্গবন্ধু। অসহযোগ আন্দোলন চলাকালে ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যে ঐতিহাসিক ভাষণ দেন মুক্তিযুদ্ধের সকল দিকনির্দেশনা তার ভেতর পাওয়া যায়। বিশ্ব রাজনৈতিক ইতিহাসে সে এক অপূর্ব ভাষণ। একজন সিভিলিনায় নেতা কি করে এই গেরিলাযুদ্ধের নিখুঁত নির্দেশ দিতে পারেন, তা ভাবতেও অবাক লাগে। ওই ভাষণের প্রতিটি স্তর এবং প্রতিটি বাক্যই ছিল দিকনির্দেশনামূলক। অনেকে বলেন ৭ মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দেননি। তিনি এমন আহ্বান জানালেন, (এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম)। এমন ঘোষণার পর স্বাধীনতা ঘোষণার আর কি বাকি থাকে? ওই আহ্বানের পর স্বাধীনতা ঘোষণার আর কোনো প্রয়োজন ছিল না। পরবর্তীতে স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে অনেক বিতর্ক তোলা হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন একটাই বঙ্গবন্ধু ছাড়া আর কোনো নেতার পক্ষে বাংলাদেশের স্বাধীতা ঘোষণা দেয়ার সুযোগ বা অধিকার ছিল কি? ২৩ বছরের সংগ্রাম সফল করেই তো তিনি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৭ মার্চের ভাষণ দিতে উপনীত হয়েছিলেন। ‘রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরো দেবো, এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাআল্লাহ’। ‘আমরা যখন মরতে শিখেছি, তখন কেউ আমাদের দাবায়া রাখতে পারবে না।’ এরূপ মন্তব্য কি আর কারো পক্ষে করা সম্ভব ছিল?

বাংলাদেশের বিপ্লবে ১৯৭১-এর মার্চ সবচেয়ে ঘটনাবহুল অধ্যয়। এই মার্চের ১৭ তারিখে বঙ্গবন্ধুর বাংলার মাটিতে আবির্ভাব ঘটে। ৭ মার্চের খোকা শেখ মুজিব, বঙ্গবন্ধু, জাতির জনক, সর্বকালের সর্ব শ্রেষ্ঠ বাঙালি হবার কারণেই কিন্তু তিনি ৭ মার্চের ভাষণ দিতে সক্ষম হয়েছিলেন। ১৭ মার্চের কারণেই কিন্তু ৭ এবং ২৬ মার্চ হয়েছিল। এখন স্পষ্ট করে বলা যায় বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে এ দেশ কখনো স্বাধীন হতো না। আমাদের স্বাধীনতার পটভূমি স্বাধীনতার স্বশস্ত্র সংগ্রামের অধ্যায়ের চেয়ে কোনো অংশে কম গুরুত্ববহ নহে।

সেই ’৫২ ভাষা আন্দোলন থেকে তারই ধারাবাহিকতায় ’৫৪-এর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ’৫৮-এর সামরিক শাসন বিরোধী আন্দোলন, ’৬২-এর শিক্ষা কমিশন আন্দোলন, ’৬৪-এর মৌলিক গণতন্ত্র বিরোধী আন্দোলন, ’৬৬-এর ৬ দফা আন্দোলন, ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, ’৭০-এর নির্বাচন, তারপর ’৭১-এর মক্তিযুদ্ধ এই গোটা সংগ্রামের নেতৃত্বে ছিলেন বঙ্গবন্ধু।

তার অনেক রাজনৈতিক সাথী ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারেননি। বিভিন্ন সময়ে আন্দোলন থেকে ঝরে পড়েছেন। বঙ্গবন্ধু হচ্ছেন একমাত্র নেতা যিনি তার অঙ্গীকারকে নিজের জীবনে সত্য ও বাস্তব হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। জাতীয়তাবাদী চেতনাকে জাতিসত্তায় রূপান্তরিত করে জাতিসত্তার প্রতিষ্ঠা করবার একমাত্র কৃতিত্ব তারই। এ কারণেই তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির জনক, বঙ্গবন্ধু। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য হিসেবে অনেকে অনেক কথা বলে থাকেন। কারো কারো মতে মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র লক্ষ্য নাকি গণতন্ত্র। বৈদেশিক শত্রুদের তাড়িয়ে দিয়ে বাংলার জনপ্রতিনিধির হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর। ক্ষমতা কাদের হাতে হস্তান্তরিত হলো এবং তারা জনগণের জন্য কি করলেন এই নিয়ে ওদের কোনো মাথাব্যথা নেই। বঙ্গবন্ধু স্পষ্টভাবে সুদীর্ঘ সময় ধরে বলে আসছিলেন যে স্বাধীনতার লক্ষ্য হচ্ছে বাঙালির দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানো। একটা শোষণমুক্ত সমাজ। সর্বকালের সর্বপ্রকারের শোষণের আহ্বান। বঙ্গবন্ধুর ভাষায় শোষিতের গণতন্ত্র। এ কারণেই তিনি আওয়ামী লীগের নাম বদলে নতুন দল করেছিলেন কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ। এই নামকরণের মধ্য দিয়ে বোঝা যায় বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলার জনগণের জন্য কি প্রত্যাশা করেছিলেন। ১৯৭২ সালে গণপরিষদের সংসদ সদস্যদের দিয়ে তিনি যে সংবিধান প্রণয়ন করেন তার মূলনীতিসমূহ পর্যালোচনা করলেই বোঝা যায় আমাদের মহান স্বাধীনতার লক্ষ্য কি ছিল? বঙ্গবন্ধুর নৃশংস হত্যার পর জাতিকে লক্ষ্যভ্রষ্ট করবার জন্যই সুদীর্ঘ দিন ধরে স্বৈরশাসকরা বিপরীত ধারায় দেশ পরিচালনা করে। জিয়া, সাত্তার, এরশাদ ও খালেদা জিয়া সকলেই এক পথের পথিক। বাংলাদেশের রাজনীতিতে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার আগমন এই প্রতিক্রিয়ার ধারার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। সুদীর্ঘ সংগ্রামের মাধ্যমে শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারায় ফিরিয়ে আনেন। তিনি কখনো বিরোধী দলের থেকে কখনো ক্ষমতায় থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সংরক্ষণ করেছেন।

দেশ আজ দু’ভাগে বিভক্ত। স্বাধীনতার সপক্ষে রয়েছে শেখ হাসিনা, আর স্বাধীনতার শত্রু মৌলবাদী, জঙ্গিবাদী গোষ্ঠীর নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। দেখেশুনে মনে হয় স্বাধীনতার পর এই ৪২ বছরে তারা প্রভূত শক্তি সঞ্চয় করেছে। যে কারণে শেখ হাসিনার পক্ষে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাওয়া বেশ কিছুটা দুরূহ হয়ে পড়েছে। স্বৈরাচারী সাম্প্রদায়িক জঙ্গিবাদী শক্তিকে মোকাবেলা করবার প্রয়োজনে শেখ হাসিনা রাষ্ট্র পরিচালনা করতে গিয়ে কখনো কখনো গণতান্ত্রিক রীতিনীতি সঠিকভাবে মানতে পারেননি। গণতন্ত্র জঙ্গিবাদ কি একসঙ্গে চলতে পারে? জঙ্গিবাদী স্বৈরাচারীরা যখন গণতন্ত্রের বিপক্ষে দাঁড়ান তখন তাদের মোকাবেলায় কঠোর হবার প্রয়োজন পরে। এটা একটা গণতান্ত্রিক সরকারের কৌশল হতে পারে, কখনো নীতি হতে পারে না। এটাই হচ্ছে আজকের বাস্তবতা। যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, সংবিধান মানে না, আইনের শাসন মানেন না, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাস করে না, সামাজিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী না, শোষিত মানুষের কল্যাণ করেন না, তারা যদি নিজেরা নিজেদের গণতন্ত্র রক্ষাকবজ হিসেবে দাবি করেন এবং স্বাধীনতার শত্রুদের নিবিড় সম্পর্ক দেখা যায় তাহলে তাদের ভবিষ্যৎ কি হতে পারে, তা এখন একেবারেই স্বচ্ছ।

স্বাধীনতার সর্বাত্মক শক্তির ঐক্যই পারে এই পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে। যারা বলছেন, একটা অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন হলেই সকল সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে তাদের কাছে প্রশ্ন নির্বাচন হলেই কি জঙ্গিবাদের অবসান হবে? তালেবান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবি থেকে কি তারা সরে আসবে? জামাত ও হেফাজতের ১৩ দফা দাবি কি তারা তুলে নেবে? বাংলাদেশেকে একটা মৌলবাদী, তালেবানি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা থেকে তারা কি পিছু পা হবে? যারা সমঝোতার কথা বলেন, তাদের কাছে প্রশ্ন, মৌলবাদ সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদের পেছনে প্রতিপক্ষ সমঝোতা প্রতিষ্ঠা করতে রাজি আছে কি? এই সব অপশক্তিকে সক্রিয় রেখে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। একটা দুষ্ট ক্ষতের ওপর প্রলেপ দিলেই কি ক্ষত শুকিয়ে যায়। তাই জনগণকে গভীরভাবে ভাবতে ও বুঝতে হবে এবং সঠিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করতে হবে।

সুত্র

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.